মারের নাম ধনঞ্জয়, এই প্রবাদের উৎপত্তি কোথায়, জেনে নেওয়া যাক।
এক ব্রাহ্মণের চার জামাই ছিল। তাদের নাম- হরি, মাধব, পুণ্ডরীকাক্ষ ও ধনঞ্জয়। শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছিল তারা। বিনা পরিশ্রমে আদর-যত্নে তাদের দিন কেটে যাচ্ছিল ভালই। কিন্তু শ্যালকেরা ভগ্নিপতিদের অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছিল না। নানা কৌশলেও বাড়িছাড়া করা যাচ্ছিল না জামাইদের। ফন্দি আঁটতে থাকে শ্যালকেরা।
একদিন খাবার সময় জামাইরা দেখলো যে তাদের পাতে ঘি পড়েনি। বড় জামাই হরি এতে অপমানিত বোধ করলেও অন্যরা তেমন কিছু মনে করলো না। হরি অসন্তুষ্ট হয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়লো। থাকলো অন্য তিন জামাই। আরেকদিন খাবার আসন বা পিঁড়ি দেয়া হলো না জামাইদের। এতে অপমানিত হয়ে চলে গেল দ্বিতীয় জামাই মাধব। আরেকদিন খাদ্যসামগ্রী ছিল নিকৃষ্টমানের। মনের দু:খে তৃতীয় জামাই পুণ্ডরীকাক্ষ ত্যাগ করলো শ্বশুরালয়।
কিন্তু চতুর্থ জামাই ধনঞ্জয় আর যায় না। যত অপমানজনক ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেন কোনটিই তাকে টলাতে পারে না। মহাসঙ্কটে পড়ে শ্যালকেরা তাকে একদিন লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দিল। জন্ম নিল সেই বিখ্যাত শ্লোকঃ
হবির্বিনা হরি যাতি
বিনা পীঠেন মাধবঃ
কদন্নেঃ পুণ্ডরীকাক্ষ
প্রহারেণ ধনঞ্জয়ঃ।
সেই থেকে মারের নাম ধনঞ্জয় এটা আমরা ব্যবহার করে আসছি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে।
তথ্যসূত্র
- সমর পাল। ‘প্রবাদের উৎসসন্ধান’
- https://ebela.in/lifestyle/jamai-shosthi-of-ghar-jamai-dgtl-1.406067