রামতনু লাহিড়ী

রামতনু লাহিড়ী

উনিশ শতকের বঙ্গদেশে প্রচুর এমন মানুষ জন্মেছেন যাঁরা শিক্ষা ও সমাজসংস্কারে ব্রতী হয়ে নিজের মনপ্রাণ নিয়োজিত করেছিলেন মানুষের কল্যাণে৷ সেইসব মহান ব্যক্তিদের মধ্যে রামতনু লাহিড়ী (Ramtanu Lahiri) অন্যতম। তিনি মূলত কৃষ্ণনগরে বড় হয়েছেন কিন্তু পড়াশোনার জন্য কলকাতায় এসে বিখ্যাত সব মানুষদের সংস্পর্শ লাভ করেন। রাজা রামমোহন রায়ের সংস্পর্শ তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিল। তিনি রামমোহন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। সর্বদা ছাত্রদের আদর্শ চরিত্রগঠনের পাঠ দিয়েছেন তিনি। নৈতিকতাবোধ, বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশসাধনে চেষ্টা করেছেন। তাঁকে ‘আর্নল্ড অব বেঙ্গল’ বলা হত। শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর জীবনের ঘটনা নিয়ে রচনা করেছিলেন ‘রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ গ্রন্থটি।

১৮১৩ সালের চৈত্র মাসে কৃষ্ণনগরের বারূইহুদা গ্রামে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে রামতনু লাহিড়ীর জন্ম হয়। তাঁর বাবা রামকৃষ্ণ লাহিড়ী কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দেওয়ান ছিলেন। রামকৃষ্ণ রাধাকান্ত রায়ের কন্যা জগদ্ধাত্রী দেবীকে বিবাহ করেন। রামতনু লাহিড়ীর জন্মের সময় তাঁর বাবা নবদ্বীপের রাজা শিবচন্দ্রের দুই দৌহিত্র হরিপ্রসন্ন রায় ও নন্দপ্রসন্নের বিষয় সম্পত্তির ম্যানেজারি করে কষ্টে সংসার চালাচ্ছিলেন। রামতনুর বাবা নিজে ছিলেন একজন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ মানুষ এবং নিজের সন্তানদের প্রাণপণে কুসঙ্গ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে গেছেন। রামতনুর বড় ভাইয়ের নাম ছিল কেশবচন্দ্র লাহিড়ী। এই কেশবচন্দ্র নিজেও একজন অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন। ছোটবেলা থেকে মা বাবা এবং দাদার স্নেহে, আদরে বড় হয়ে উঠেছিলেন রামতনু।

জন্মের পর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলে রামতনুর বিদ্যাচর্চার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। দেবী চৌধুরী মহাশয়ের ভবনের পাঠশালাতেই সম্ভবত প্রথম পড়াশুনার সূচনা হয় তাঁর। রামতনু যে দিনলিপি লিখতেন তাতে এক জায়গায় লিখেছিলেন যে প্রতিদিন শাস্তি পাবার আশংকায় তিনি পাঠশালায় যেতে ভয় পেতেন এবং সেই কারণে তাঁর বাবাও মনে কষ্ট পেতেন খুব। এমনকি সেই দিনলিপিতে পাওয়া যায় যে পাঠশালায় একটি দুষ্ট বালকের খপ্পরে পড়ে তিনি চুরি করতেও নাকি শিখেছিলেন। একদিন অবশ্য দাদা কেশবচন্দ্র তাঁর চুরি ধরে ফেলে তাঁকে প্রভূত তিরস্কার করেছিলেন। বাল্যকালে রামতনুর ঘোড়ায় চড়ার নেশাও ছিল প্রবল। সেসময় কলকাতা অনেকেই মামলা মোকদ্দমার জন্য ঘোড়াগাড়ি চড়ে কৃষ্ণনগরে আসতেন। নিকটবর্তী কোনো মাঠে যখন সেই ঘোড়া ঘুরে বেড়াত, রামতনু নাকি সেই ঘোড়াটি ধরে তার পিঠে চড়ে বসতেন। 

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

১৮২৬ সালে দাদা কেশবচন্দ্রের সঙ্গে পড়াশুনার জন্য কলকাতা শহরে চলে আসেন রামতনু লাহিড়ী । কলকাতার কালীঘাটের কাছে চেতলা অঞ্চলে কেশবচন্দ্রের বাড়িতেই উঠেছিলেন তাঁরা। মূলত ইংরেজি শিক্ষা দেওয়ার জন্যই রামতনুকে কলকাতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু সেসময় চেতলা অঞ্চলের আশেপাশে ভালো ইংরেজি স্কুল ছিল না। তাই বিদ্যালয়ের যতদিন না কোনো সুব্যবস্থা হয় ততদিন কেশবচন্দ্র নিজে সকালে ও সন্ধেবেলায় রামতনুর ইংরেজি শিক্ষার ভার গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ঠিক যে সামাজিক অবস্থা তখন কৃষ্ণনগরের ছিল, কলকাতাও তার ব্যতিক্রম ছিল না, বরং বলা যায় এটিই ছিল তার প্রাণকেন্দ্র। চেতলা সেসময় দুশ্চরিত্র পুরুষ এবং নারীতে ছিল পূর্ণ। এইরূপ একটি স্থান থেকে রামতনুকে কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাবেন, তার শিক্ষারই বা কী ব্যবস্থা করবেন এ নিয়ে ভীষণই দুশ্চিন্তায় দিনযাপন করতেন কেশবচন্দ্র।

সেসময় একদিন কালীশঙ্কর মৈত্র নামে এক ব্যক্তি কাজের সন্ধানে দেখা করতে এলেন কেশবচন্দ্রের সঙ্গে। সৌভাগ্যবশত সেই কালীশঙ্করের এক আত্মীয় গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার উনিশ শতকীয় নবজাগরণের অন্যতম মুখ ডেভিড হেয়ার সাহেব প্রতিষ্ঠিত হেয়ার স্কুলে পড়াতেন। কেশবচন্দ্র এই খবর জানায় হাতে চাঁদ পেলেন। তিনি কালীশঙ্করকে চাকরিদানের প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং তার বদলে রামতনুকে হেয়ারের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেবার জন্য আবেদন করলেন কালীশঙ্করের কাছে। রামতনু লাহিড়ী নিজেই বলতেন পরে, যে, যেহেতু তিনি কুলীনের সন্তান, সেহেতু গৌরমোহন খুব আনন্দের সঙ্গে তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তবে এত সহজেই কেবল হেয়ারের স্কুলে ভর্তি হওয়া যেত না, কিন্তু গৌরমোহন হেয়ারের কোমল হৃদয়ের কথা জানতেন। তিনি রামতনুকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন যে, কিছুদিন হেয়ারের পালকির পিছন পিছন ছুটতে হবে। তাই করতেন রামতনু। এভাবে প্রায় দু’মাস কেটে যাওয়ার পর যখন হেয়ার বুঝলেন এই বালক ছাড়বার পাত্র নয়, তখন রামতনুকে বিনা বেতনে ভর্তি করিয়ে নিলেন নিজের স্কুলে। সেই সময় রামতনুর সহপাঠীদের মধ্যে আরেকজন বিখ্যাত মানুষ ছিলেন, তাঁর নাম ঈশ্বরচন্দ্র ঘোষাল।

স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরও একটা দুশ্চিন্তা ছিল যে, কোথায় থেকে রামতনু লাহিড়ী পড়াশোনা করবেন। তখন সহৃদয় গৌরমোহন নিজের বাড়িতে রামতনুর থাকার ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু গৌরমোহনের নিজের চরিত্র খুব একটা ভালো ছিল না, এমনকি তাঁর বাড়ির লোকজনও নানারকমভাবে রামতনুকে খাটাত, ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হত তাঁর। একথা কেশবচন্দ্রের কানে গেলে তিনি রামতনুকে আত্মীয় রামকান্ত খাঁ-এর বাড়িতে রেখে এলেন। 

১৮২৮ সালে রামতনু লাহিড়ী ভর্তি হলেন হিন্দু কলেজে। এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অধ্যায় নিঃসন্দেহে। সেসময় নিয়ম ছিল যে সমস্ত প্রতিভাবান ছাত্রেরা হিন্দু কলেজে পড়তে আসত সেইসব ছাত্রের মধ্যে যাঁদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ছিল না, তাঁদের বেতন জোগাত স্কুল সোসাইটি। রামতনুও সেইসব ছাত্রের দলেই ছিলেন। সেইসময় হিন্দু কলেজে যেসমস্ত দিগগজ মানুষেরা অধ্যয়ন করতেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রামগোপাল ঘোষ, রসিককৃষ্ণ মল্লিক, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। তবে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা ছিল শিক্ষক হিসেবে হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর সান্নিধ্যলাভ।

ধীরে ধীরে রামতনু প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলেন। প্রথম শ্রেণিতে একবছর অধ্যয়ন করার পর তিনি ছাত্রবৃত্তির জন্য আবেদন করে ষোলো টাকা বৃত্তি পান রামতনু।

 তখন শ্যামপুকুরের রামকান্ত খাঁ-এর বাড়ি থেকে তিনি চলে আসেন জ্যাঠামশাই ঠাকুরদাস লাহিড়ী মহাশয়ের বাড়িতে। এখানে উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পঠনপাঠনকালেই কাঁদবিলা গ্রামের এক ব্রাহ্মণ কন্যার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তবে সেই স্ত্রী চার-পাঁচ বছরের বেশি জীবিত ছিল না। এরপর পাবনার মথুরা গ্রাামের একটি ব্রাহ্মণের মেয়েকে বিবাহ করেন রামতনু। সম্ভবত সেই মেয়ের বাবা মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি যেতে দেননি কারণ তখন রামতনু ডিরোজিওর শিষ্যদলের মধ্যে ছিলেন।

রামতনু সেই ছোটবেলা থেকেই এতই বড় মনের মানুষ ছিলেন যে, বৃত্তি পেয়ে প্রথমেই চিন্তা করেছিলেন নিজের আরও দুই ভাই রাধাবিলাস ও কালীচরণের শিক্ষার কথা। কলেজের কাছে একটি আলাদা বাড়ির ব্যবস্থা করে তিনি ভাইদের নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু তাঁরা তিনজন ভীষণই দুরাবস্থার মধ্যে দিন কাটাতেন৷

ডিরোজিও রামতনুদের চতুর্থ শ্রেণিতেই সাহিত্য ও ইতিহাসের শিক্ষক হয়েছিলেন। দক্ষিণারঞ্জন, রামগোপালদের সঙ্গে একবার ডিরোজিওর বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। ক্রমে ডিরোজিও তাঁর ছাত্রদের হৃদয়ে মহা বিপ্লব ঘটাতে শুরু করেন। তাঁর ছাত্ররা প্রচলিত হিন্দুধর্মের আচারসর্বস্বতার বিরোধিতা করতে শুরু করলেন।

১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হন এবং সেবছরই ওই কলেজের অধস্তন শিক্ষক হিসেবে ত্রিশ টাকা বেতনের চাকরিতে  নিযুক্ত হন তিনি। এই বেতন থেকেই তিনি ভাইদের খরচ চালাতেন, বাবা মায়ের পারিবারিক সাংসারিক খরচেও সাহায্য করতেন এবং সেই সাথে দুস্থ ও নিম্নবিত্তের মানুষদের যথাসাধ্য সাহায্য করতেন। 

১৮৩৪ সাল নাগাদ মেকলে ভারতে এসে ইংরেজি শিক্ষার জন্য অর্থব্যয়ের কথা বললে রামতনু লাহিড়ীসহ হিন্দু কলেজের ছাত্ররা তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। রামগোপাল ঘোষের প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে একজন ছিলেন রামতনু লাহিড়ী। ডিরোজিওর শিষ্য এই নব্যবঙ্গীয়রা নিজেদের জ্ঞানোন্নতির জন্য একটি সার্কুলেটিং লাইব্রেরি এবং এপিস্টোলারি অ্যাশোসিয়েশন স্থাপন করেন। এই দুটিরই কার্যক্রম দেখাশোনা করতেন রামগোপাল ঘোষ এবং রামতনু লাহিড়ী। অবশেষে তাঁরা একটি সভা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন এবং ১৮৩৮ সালে ফলস্বরূপ ‘জ্ঞানার্জন সভা’ স্থাপিত হয়।

এই সময়ে পরপর ভাই এবং দাদার মৃত্যুতে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন রামতনু। ইতিমধ্যে তৃতীয়বার বিবাহ করেন সাঁতরাগাছি গ্রামের কৃষ্ণকিশোর চৌধুরীর কনিষ্ঠ কন্যাকে। এরপরে মা অসুস্থ হলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসেন রামতনু।

১৮৪৬ সালে মহাসমারোহে কৃষ্ণনগর কলেজ খোলা হলে তার স্কুল ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় শিক্ষক হয়ে সেখানে চলে যান। তাঁর বেতন হয় একশো টাকা। তাঁর পড়ানোর মধ্যে ডিরোজিওর প্রভাব প্রভূত পরিমাণে লক্ষ করা যেত। উল্লেখ্য যে, পরবর্তীতে নারীদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের জন্য প্রভূত চেষ্টা করেছেন তিনি।

রাজা রামমোহনের ভাবাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হলেও প্রথমে ব্রাহ্মদলের সঙ্গে যোগ দেননি রামতনু।  পরবর্তীকালে প্রগতিশীল ব্রাহ্মধর্মের উত্থান হলে তিনি যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে। সেই সময়ে প্রথাগত হিন্দুধর্ম বিরোধী ব্রাহ্মদের কার্যকলাপ কৃষ্ণনগরেও ছেয়ে গিয়েছিল। ফলে ব্রাহ্মসমাজে যোগদানের কারণে সামাজিকভাবে নানা হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি মিথ্যা গোহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে সহ আরও অনেক ব্রাহ্মদের । এছাড়াও তাঁরা বিধবা-বিবাহের পক্ষেও সভা করেছিলেন কিছু কার্যক্রমের জন্য। এই সবের ফলস্বরূপ একসময় কৃষ্ণনগরে থাকা রামতনুর পক্ষে সমস্যা হয়ে ওঠে। তাঁর ওপর নানারকম সামাজিক নির্যাতন চলতে থাকে। তাঁর পরিবারেও মানসিক শান্তি ছিল না। বাধ্য হয়ে ১৮৫১ সালে বদলির আবেদন জানিয়ে তিনি বর্ধমানে বদলি হয়ে যান।

সেখানে পৈতে পরিত্যাগ করে আবারও সামাজিক রোষে পড়লে ১৮৫২ সালে বালি-উত্তরপাড়ার ইংরেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে চলে যান তিনি। উত্তরপাড়াতে এসে বন্ধু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাহায্য পেয়েছিলেন তিনি। ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের সময় রামতনু বারাসাত স্কুলে চলে যান। সেখানে প্রায় দেড় বছর পড়িয়েছিলেন। ১৮৫৮ সালে দ্বিতীয়বার কৃষ্ণনগর কলেজে যান তিনি। ১৮৬০ সালে বরিশাল জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে চলে যান তিনি। ১৮৬১ সালে আবার কৃষ্ণনগর কলেজে আসেন এবং ১৮৬৫ সালে সেই কলেজ থেকেই শিক্ষকতায় অবসর নেন।

একেরপর এক মৃত্যুতে ভেঙে পড়া পরিবার নিয়ে রামতনু ১৮৭৯ সালে কলকাতায় চলে আসেন। ১৮৯৮ সালের শুরুতে খাট থেকে পড়ে পা ভেঙে শয্যাশায়ী হন রামতনু এবং দীর্ঘদিন ভুগে অবশেষে ১৩ আগস্ট সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র


  1. রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ, শিবনাথ শাস্ত্রী, নিউ এজ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, দ্বিতীয় সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ১৯৫৭
  2. https://www.indianetzone.com/
  3. https://peoplepill.com/
  4. https://www.anandabazar.com/

আপনার মতামত জানান