ব্ল্যাক আইভরি কফি

এই কফি সিসিডি, বারিস্তা র কফি নয়। এই কফির প্রতিকাপ কফি মাত্র- চার হাজার পাঁচশো সাত টাকা। এর নাম ব্ল্যাক আইভরি কফি (black ivory coffee)। এ’কি আর যে সে কফি, হাতির মল থেকে বেরনো কফি’র বীজ দিয়ে তৈরি কফি। দাম তো একটু পড়বেই, তা আর কি করা যাবে।

কথা হচ্ছিল ব্ল্যাক আইভরি কফি (black ivory coffee) নিয়ে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবথেকে দামি কফি যা হাতিকে খাইয়ে তারপর হাতির মল থেকে তৈরি করা হয়।কফি বীজ গুলো হাতির পরিপাকতন্ত্রে তিন দিন থাকে। এ সময় হাতির পরিপাকতন্ত্রের এনজাইমগুলো কফি বীজের প্রোটিনকে ভেঙ্গে দেয়। এই প্রোটিনের কারণেই কফি তিতকুটে হয়ে থাকে তার মানে যত কম প্রোটিন হবে তেঁতো ভাবটা প্রায় চলেই যাবে।এই কফির ফল খাওয়ার পরে হাতির প্রাতঃক্রিয়া হওয়ার সময় লাগে প্রায় ১৭ ঘণ্টা। কফিটির গন্ধ ফুলের এবং চকোলেটের মিশ্রণের মত আর স্বাদও চকলেটের মত। আইভরি কফিতে কোন তিক্ততা থাকেনা।

প্রথমে হাতিকে এই ফল খাওয়াতে হয়। তারপর হাতি ফল হজম করে নেয়। তারপর গিয়ে প্রাতঃক্রিয়া করে হাতি। প্রতি বছর প্রায় ৪৪০ পাউন্ড এই কফি পাওয়া যায়। ১ কেজি কফি পাওয়ার জন্য হাতিকে প্রায় ৩৩ কেজি ফল খাওয়াতে হয়। এই সমস্ত প্রক্রিয়ার জন্যই দাম বেড়ে যায় কফির।ব্লেক ডিঙ্কিন একজন কানাডিয়ান ভদ্রলোক প্রথমে হাতির প্রাতঃক্রিয়া থেকে এই কফি উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, হাতি ফলটিকে হজম করে ফেলে শুধুমাত্র দানাটিকেই বাইরে বের করতে পারে।কানাডার একজন প্রানিবিদ এবং উদ্যোক্তা ব্লেক ডিঙ্কিন চেয়েছিলেন হাতির শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে। তার উদ্ভাবনী চিন্তা থেকেই একটি সৃজনশীল এবং লাভজনক ব্যাবসার সুত্রপাত।

অ্যামাজনে এই ব্ল্যাক আইভরি কফি’র ৩৫ গ্রামের একটি প্যাকেটের দাম  শিপিং চার্জ নিয়ে ৭৮ ডলার।ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ হাজার বাইশ টাকা মত।বিশ্বের বাইশটা মাত্র হোটেলে এই কফি পাবেন যার প্রায় সবকটিই থাইল্যান্ডে।

আপনার মতামত জানান