চার্লস ডমরি। প্রুশিয়ান সৈন্য বাহিনীর সেনা। ছিলেন পোল্যান্ডের বাসিন্দা। আহামরি যোদ্ধা না হলেও ইতিহাসে তিনি বিখ্যাত অন্য একটি কারণে।আর সেটা ওনার রাক্ষুসে খিদের জন্য।
প্রুশিয়ান বাহিনীর বরাদ্দ খাবারে একেবারেই খিদে মিটত না। চলে গেলেন ফ্রেঞ্চ সেনাবাহিনীতে। ফ্রেঞ্চ জেনারেল ওনাকে একটি বিশাল কুমড়ো দেন, দু-তিনদিন ধরে খাওয়ার জন্য। ডমরি ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোটা কুমড়োটা খেয়ে নিলেন একেবারে খোসা পর্যন্ত। ধীরে ধীরে ওনার রাক্ষুসে খিদের খবর গোটা বাহিনীতে ছড়িয়ে গেল।দ্বিগুণ করা হল ওনার বরাদ্দ খাবারের পরিমাণ।কিন্তু ডমরির খিদে মিটল না।ওনার বরাদ্দ খাবারের সাথে আড়াই কেজি করে ঘাস দেওয়া হল খাবার হিসেবে।কিন্তু ডমরির খিদে মেটার নয়।সেনা শিবিরে থাকার এক বছরে ডমরি ১৭৪টা বেড়াল খেলেন।খিদে খুব পেলে আর মারবার সময় থাকতো না।তখন একেবারে জ্যান্তই খেয়ে নিতেন।একবার তো এমনও হয় খিদের চোটে এক নাবিকের বোমার আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পুড়ে যাওয়া কাটা পা টা খেতে শুরু করে দেন রোস্টেড মাংস হিসেবে।শেষে বাকি নাবিকরা ওনাকে জোর করে নিরস্ত করেন। ডমরি হাতের সামনে যা পেতেন, তাই খেয়ে নিতেন,মজার ব্যাপার হল সেগুলো দিব্যি হজমও করে নিতেন। ডমরির একদিনের খাদ্য তালিকাটা বরং একবার দেখে নেওয়া যাক।
ভোর ৪টে- ঘুম থেকে উঠে ২কেজি কাঁচা গরুর বাঁট
বেলা ৯টা- আড়াই কেজি গরুর কাঁচা মাংস সঙ্গে এক বোতল বিয়ার সঙ্গে মোটা করে চর্বি মাখানো ১২টা মোমবাতি।
দুপুর ১টা- আবার আড়াই কেজি গরুর কাঁচা মাংস সঙ্গে মোটা করে চর্বি মাখানো ১২টা মোমবাতি আর তিনটে বড় বোতলের বিয়ার।
রাতের দিকে গরুর ২কেজি কাঁচা লিভার।এর মাঝে সুযোগ পেলে খানকুড়ি ইঁদুর।বলা হয় ডমরির এই রাক্ষুসে খিদের পেছনে রয়েছে -‘পলিফ্যাগিয়া’ নামের একটি রোগ।