প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশেই কিছু দিবস পালিত হয়। ঐ নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরী করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলির মধ্যেই একটি হল জাতীয় যুব দিবস(National Youth Day)।
প্রতি বছর ১২ জানুয়ারি দেশজুড়ে জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয় যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বামীজীর দৰ্শন ও শিক্ষায় অনুপ্ৰাণিত হয়ে নিজের দেশ সম্পর্কে কর্ম চেতনা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।
১৯৮৪ সাল নাগাদ ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে ১৯৮৫ সাল থেকে স্বামীজির জন্মদিবসটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালন করা হবে। তাই ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয় স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণে।
এ বিষয়ে ভারত সরকারের মুখপত্রে বলা হয়েছে’- ‘এটি অনুভূত হয় যে, স্বামীজির দর্শন এবং জীবন ও কর্মপদ্ধতি যা তিনি অনুসরণ করতেন তা ভারতীয় যুবদের জন্য অনুকরণীয়।’ এই দিন দেশব্যাপী বিভিন্ন স্কুল, কলেজে স্বামীজির জীবন ও কাজ সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে গান, বক্তৃতা, ও বানী পাঠের মধ্যে দিয়ে দেশের প্রতি ও দেশবাসীর প্রতি যুব সম্প্রদায় হিসেবে তাদের যে দায়িত্বের কথা স্বামীজি বলে গেছেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
তার জীবনী যুবকদের মনে উৎসাহের সঞ্চার করবে, এই লক্ষ্যে তার জন্মদিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।ভারতের সমাজ তথা যুবসমাজের কাছে তাঁর ভূমিকা অনেক। পরাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেও তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিভায় তিনি সেই সময়েও গোটা পৃথিবীর কাছে ভারতকে তুলে ধরেন।
4 comments