মহাভারত

অর্জুনের জন্ম

পাণ্ডু অভিশপ্ত থাকার জন্য সে পিতা হতে পারছিল না। সে যখন নিজের বংশবিস্তার নিয়ে চিন্তায় কাতর ছিল, তখন কুন্তীর কাছে দুর্বাসার মন্ত্র আশীর্বাদের মত লেগেছিল তার কানে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাণ্ডু ডাকতে বলেছিল ধর্মরাজকে। ধর্ম এবং কুন্তীর মিলনে জন্মেছিল যুধিষ্ঠির। তারপর পাণ্ডুর ক্ষত্রিয় পুত্রলাভের চাহিদায় কুন্তী ডেকেছিল বায়ুদেবতাকে। তার ঔরসে কুন্তীর গর্ভে এল ভীম। পাণ্ডু যে পুত্রলাভের কথা ভেবে হতাশ হচ্ছিল, তা এবার প্রশমিত হল। এবার সে ভাবল, দেবতাদের যে রাজা, সেই দেবতুল্য এক পুত্র তার থাকলে কেমন হয়, লোকশ্রেষ্ঠ এবং বীরশ্রেষ্ঠ সেই পুত্র হবে সেরার সেরা!

কুন্তীকে তার মনের কথা জানিয়ে মহর্ষিগণের সাথে পরামর্শ করে পাণ্ডু আর কুন্তী দুজনেই মন দিল সাধনায়। কুন্তী এক বছরের এক মাঙ্গলিক ব্রত করল, পাণ্ডু করল তপস্যা। পাণ্ডুর তপস্যায় প্রীত হয়ে ইন্দ্র এলেন তার কাছে। তাকে এসে বললেন, “জগত জয় করে নেবে এমন একটা পুত্র আমি তোমায় দেব। তোমার ইচ্ছা সম্পূর্ণ হবে পাণ্ডু।”। পাণ্ডু এসে কুন্তীকে জানাল এই কথা। তখন কুন্তী দুর্বাসার মন্ত্রে আহ্বান করল দেবরাজ ইন্দ্রকে। ইন্দ্র এলেন, কুন্তীর সাথে মিলিত হলেন। তাদের মিলনে জন্ম নিল অর্জুন, মহাভারতের এক নায়ক অর্জুন।

তথ্যসূত্র


  1. "মহাভারত সারানুবাদ", দেবালয় লাইব্রেরী(প্রকাশক সৌরভ দে, তৃতীয় প্রকাশ) - রাজশেখর বসু, আদিপর্ব 
  2. "মহাভারতের একশোটি দুর্লভ মুহূর্ত", আনন্দ পাবলিশার্স, পঞ্চম মুদ্রণ - ধীরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য
  3. "কৃষ্ণা, কুন্তী ও কৌন্তেয়", আনন্দ পাবলিশার্স, নবম মুদ্রণ - নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 

9 comments

আপনার মতামত জানান