চোটিলা ভ্রমণ

গুজরাটের  চোটিলা রাজকোটের নিকটে অবস্থিত সুরেন্দ্রনগর জেলার একটি ছোট শহর। এখানে চোটিলা পাহাড়ের ওপর চামুণ্ডেশ্বরী মন্দিরটি  বিখ্যাত। এটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র একটি স্থান।  বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তেরা ভিড় করে এখানে।  নবরাত্রির সময় এখানে ভিড় উপচে পড়ে। এখানে মা খুব জাগ্রত বলে বিশ্বাস করা হয়। প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে চামুন্ডা মা’র সিংহ এই পাহাড়েই থাকে এবং সন্ধেবেলা মন্দিরে এসে বসে।

চোটিলা পাহাড় (ছবিঃ সববাংলায়)

গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে রাজকোট যাবার পথে ছোট শহর চোটিলা অবস্থিত। শহরটি রাজকোট থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে এবং আমেদাবাদ থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে চোটিলা পাহাড়টি প্রায় ১২০০ ফুট উঁচু এবং এই পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত মা চামুণ্ডেশ্বরী মন্দিরটি এই অঞ্চলের বিখ্যাত মন্দির। হিন্দুদের কাছে এই মন্দির খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে এখানেরই এক বাসিন্দা স্বপ্ন দেখেছিল যে দেবী বলছেন চোটিলা পাহাড়ে তিনি অবস্থান করছেন। দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে পাহাড়ের নির্দিষ্ট জায়গায় মাটি খুঁড়ে তিনি চামুণ্ডা দেবীর একটি সুন্দর মুর্তি দেখতে পান। প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে চামুন্ডা মা’র সিংহ এই পাহাড়েই থাকে এবং সন্ধেবেলা মন্দিরে এসে বসে। তাই বিকেলের আরতি শেষে সন্ধ্যার মধ্যেই সকলকে নেমে আসতে বলা হয়।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

মন্দিরের প্রবেশদ্বার (ছবিঃ সববাংলায়)

রাজকোট বা আমেদাবাদ থেকে একদিনের জন্য ভ্রমণে যাওয়া যায়। আবার এখানে অনেকে দু একদিন থেকে মায়ের মন্দির দর্শন করে। রাজকোট বা আমেদাবাদ থেকে প্রচুর বাস আসে চোটিলায়। এছাড়াও গাড়ি করেও আসতে পারেন এখানে। ট্রেনে করে আসতে চাইলে কাছাকাছি স্টেশনটি রাজকোটে।মন্দির অর্থাৎ পাহাড়ের কাছেই থাকার জন্য প্রচুর গেস্ট হাউস আছে। দর্শনীয় স্থান এখানে মা চামুন্ডার মন্দির। কিছুটা দূরে পায়ে হেঁটে গেলে স্বামীনারায়ণের একটি মন্দির।

ভক্তদের ভিড় সারা বছর ধরেই থাকে। তাই সারা বছর ধরেই যাওয়া যায় এখানে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভাল সময়। চামুন্ডা মন্দিরে ওঠার জন্য ছয়শোর বেশি সিঁড়ি ভেঙে পাহাড়ে উঠতে হয়। তবে বয়স্ক মানুষ বা চলতে কষ্ট হয় যাদের তাদের জন্য নিচে পুজোর ব্যবস্থা আছে। এখানের সিঁড়িগুলোর ওপরে সুন্দর ছাউনির ব্যবস্থা আছে  যাতে রোদে চলতে চলতে কষ্ট না হয়। সন্ধ্যায় আরতি হয়ে গেলে কাউকে মন্দিরে থাকতে দেওয়া হয় না। এমনকি পূজারীদেরকেও মন্দিরটি ছাড়তে হয়। প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে চামুন্ডা মা’র সিংহ এই পাহাড়েই থাকে এবং সন্ধেবেলা মন্দিরে এসে বসে।

 

ট্রিপ টিপস


  • কিভাবে যাবেনঃ রাজকোট বা আমেদাবাদ থেকে প্রচুর বাস আসে চোটিলায়। এছাড়া গাড়ি করেও আসতে পারেন এখানে। ট্রেনে করে আসতে চাইলে কাছাকাছি স্টেশনটি রাজকোটে।
  • কোথায় থাকবেনঃ চামুণ্ডেশ্বরী মন্দির অর্থাৎ পাহাড়ের কাছেই থাকার জন্য প্রচুর গেস্ট হাউস আছে।
  • কি দেখবেনঃ দর্শনীয় স্থান এখানে মা চামুন্ডার মন্দির। কিছুটা দূরে পায়ে হেঁটে গেলে স্বামীনারায়ণের একটি মন্দির।
  • কখন যাবেনঃ সারা বছর ধরেই মানুষ ভিড় জমায় এখানে।
  • সতর্কতাঃ সন্ধ্যায় আরতি হয়ে গেলে কাউকে মন্দিরে থাকতে দেওয়া হয় না। অতএব চেষ্টা করবেন না।
  • বিশেষ পরামর্শঃ বয়স্ক মানুষ বা চলতে কষ্ট হয় যাদের তাদের জন্য নিচে পুজোর ব্যবস্থা আছে।

 

তথ্যসূত্র


  1. নিজস্ব প্রতিনিধি
  2. https://en.m.wikipedia.org/wiki/Chotila

আপনার মতামত জানান