ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে কিন্তু ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রেলগাড়ির সব শ্রেণিতে শৌচালয় ছিল না। ১৮৯১ সালে দূরপাল্লার ট্রেনের প্রথম শ্রেণিতে এই ব্যবস্থা চালু হলেও অন্যান্য শ্রেণিতে ছিল না। ভারতীয় রেলগাড়ির সাধারণ শ্রেণিতে শৌচালয় চালু কিভাবে হল তার পিছনে এক মজাদার কাহিনী জড়িত আছে। সেই কাহিনী পড়ুন এবং জানুন ভারতীয় রেলগাড়ির সাধারণ শ্রেণিতে শৌচালয় চালু হওয়ার পিছনে অখিল চন্দ্র সেনের অবদান সম্পর্কে।
১৯০৯ সালে জনৈক অখিল চন্দ্র সেন ট্রেন যাত্রা করছিলেন। পথ মধ্যে আহমেদপুর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে তিনি প্রকৃতির ডাক উপেক্ষা করতে না পেরে ট্রেন থেকে লোটা হাতে নেমে স্টেশনের শৌচালয়ে যান। কিন্তু ট্রেনের গার্ড তাঁর জন্য অপেক্ষা না করে ট্রেন ছাড়ার হুইসেল বাজিয়ে দেয়। ফলে তিনি তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে এক হাতে লোটা আরেক হাতে ধুতি ধরে ট্রেনে চাপার জন্যে দৌড়াতে থাকেন। তাঁকে দৌড়াতে দেখেও গার্ড ট্র
েন থামায়নি এবং তিনি প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান। বলা বাহুল্য, জনসমক্ষে এ ঘটনা তাঁ র কাছে খুব একটা সুখকর হয়নি। তাই তিনি রেল কর্তৃপক্ষকে (সাহেবগঞ্জ ডিভিশন) ইংরাজিতে অভিযোগপত্র লেখেন যেখানে তিনি সেই ঘটনার বর্ণনা দেন, গার্ডকে ফাইন করার কথাও বলেন এবং ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তিনি এই ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে লেখার হুমকিও দেন।
ভুল ইংরাজিতে লেখা হলেও এই চিঠিটি তৎকালীন রেল বিভাগের নজরে আসে, এবং তাঁরা পরবর্তীকালে দূরপাল্লার (তৎকালীন সময়ে ৫০ মাইলের বেশি) রেলগাড়ির সাধারণ শ্রেণিতেও শৌচালয় চালু করার ব্যবস্থা করেন। শোনা যায়, ১৯০৯ সালে অখিলবাবুর লেখা চিঠিটি দিল্লির রেল মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। পাশের ছবিতে ক্লিক করে সেই মজাদার চিঠিটি পড়তে পারেন।
তথ্যসূত্র
https://www.indiatoday.in/india/north/story/indian-railways-history-160-years-interesting-facts-180735-2014-02-12 https://ebela.in/national/bengali-behind-introduction-of-toilets-in-trains-dgtl-1.379174
