একটি সাধারণ কম্পিউটারে যত ভালো প্রসেসর, র্যাম, গ্রাফিক্স কার্ড তত ভালো তার কাজের গতি বা ক্ষমতা। তবে সাধারণ কম্পিউটারে একটিই প্রসেসর থাকে, যা কতগুলি লোড পরিচালনা করতে পারে তা সীমাবদ্ধ। একটি সুপার কম্পিউটারে তার কাজগুলি সঞ্চালনের জন্য অনেক প্রসেসর থাকে। এই প্রসেসরগুলো খুব দ্রুত সমান্তরালভাবে কাজ করতে সক্ষম। ফলে একটি সুপার কম্পিউটার সেকেন্ডে যে কাজ করে দিতে পারে, টা একটি সাধারণ কম্পিউটার বহুদিন লাগাতে পারে।
১৯৭০ সালের দিকের সুপার কম্পিউটারগুলোতে সামান্য কয়েকটি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও ১৯৯০ সালের দিকের সুপার কম্পিউটারগুলোতে হাজার হাজার প্রসেসর ব্যবহার হতো কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সুপার কম্পিউটারে প্রসেসরের এ সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। সুপার কম্পিউটার বলা হয়ে থাকে ক্ষমতা বিচার করার মাত্রাকে বলে ফ্লোটিং পয়েন্ট অপারেশানস পার সেকেন্ড বা ফ্লপস।
কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া, জলবায়ু গবেষণা, তেল ও গ্যাসের উৎস চিহ্নিত করতে, আণবিক মডেল পর্যবেক্ষণ যেমন কোন কেমিকেল কম্পাউন্ড, বায়োলজিক্যাল ম্যাক্রোমলিকিউল, পলিমার এবং ক্রিস্টালের গঠন ও বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষনের ক্ষেত্রে, নিউক্লিয়ার ফিউশন গবেষণার ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
২০১৬ সালে পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার ছিল চীনের তৈরী সানওয়ে তাইহুলাইট। এটির প্রসেসিং ক্ষমতা ছিল প্রতি সেকেন্ডে তিরানব্বুই পেটাফ্লপস। তবে ২০১৮ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বানানো সুপার কম্পিউটার ‘সামিট’ এই তালিকায় প্রথম। সামিট প্রতি সেকেন্ডে দুই লক্ষ ট্রিলিয়ন হিসেব কষতে পারে। এটির প্রসেসিং ক্ষমতা হচ্ছে প্রায় দুশ’ পেটাফ্লপস। ২০১৬ সালের হিসাবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ৫০০ সুপার কম্পিউটারের মধ্যে ৫টি ভারতবর্ষে।
তথ্যসূত্র
- https://en.wikipedia.org/wiki/Supercomputer
- https://www.bbc.com/
- https://en.wikipedia.org/wiki/Supercomputing_in_India5ti
