মহাভারত

শান্তনুর পুত্রদের অকালমৃত্যু

সত্যবতীর গর্ভে শান্তনুর দুই পুত্র হল। চিত্রাঙ্গদ ও বিচিত্রবীর্য। চিত্রাঙ্গদ অত্যন্ত বলশালী ও অহংকারী ছিল। দেবতা, মানুষ বা অসুর কাউকেই পরোয়া করত না সে, সকলেরই নিন্দা করত। এ ব্যাপারটা জানতে পেরে গন্ধর্বদের রাজা চিত্রাঙ্গদ তার কাছে এসে বললেন হয় তার নাম পাল্টাতে নাহলে যুদ্ধ করতে। অহংকারী চিত্রাঙ্গদ গন্ধর্বকে যুদ্ধে আহ্বান জানাল এবং যুদ্ধেই শান্তনুপুত্র চিত্রাঙ্গদের মৃত্যু হল।

তখন অন্য ভাই বিচিত্রবীর্য রাজা হল। তখন তার বয়স অনেকটাই কম। যেহেতু ভীষ্ম নিজে বিয়ে না করার প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন, তাই বিচিত্রবীর্য যুবক হলে তার জন্য ভীষ্ম কন্যা আনতে চললেন বিয়ের জন্য। কাশীরাজের তিন মেয়ের  একইসাথে স্বয়ম্ভর হবে শুনে ভীষ্ম বিমাতা সত্যবতীর অনুমতি নিয়ে চললেন কাশীরাজের তিন কন্যা অম্বা, অম্বিকা ও অম্বালিকাকে নিয়ে আসতে। তারপর কাশীরাজের স্বয়ম্ভর সভা থেকে ক্ষত্রিয় বিবাহেরই একটি নিয়ম মেনে তিনকন্যাকে রথে করে তুলে আনলেন।

এদিকে কাশীরাজার বড় মেয়ে অম্বা শাল্বরাজাকে ভালবাসতো। তাঁর বাবাও সেকথা জানত। কিন্তু জানত না ভীষ্ম, তাই তিন মেয়েকে নিয়ে আসার সময় যুদ্ধে শাল্বরাজকে পরাজিত করে আসেন। কিন্তু পরে অম্বার মুখে তাঁদের প্রেমকাহিনি জানতে পেরে তাকে ভীষ্ম শাল্বরাজার কাছে পাঠালেন, যদিও শাল্বরাজা তাকে গ্রহণ করল না। কাশীরাজের অপর দুই কন্যা অম্বিকা ও অম্বালিকার সাথে বিচিত্রবীর্যের বিয়ে হল। সাতবছর ধরে তাদের সাথে অতিরিক্ত বিহার করে যক্ষ্মারোগে প্রান হারাল বিচিত্রবীর্য।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

তথ্যসূত্র


  1. "মহাভারত সারানুবাদ", দেবালয় লাইব্রেরী(প্রকাশক সৌরভ দে, তৃতীয় প্রকাশ) - রাজশেখর বসু, আদিপর্ব (১৭। চিত্রাঙ্গদ ও বিচিত্রবীর্য - কাশীরাজের তিন কন্যা) পৃষ্ঠাঃ ৩৯-৪০
  2.  "মহাভারতের একশোটি দুর্লভ মুহূর্ত", আনন্দ পাবলিশার্স, পঞ্চম মুদ্রণ - ধীরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, অধ্যায় ১১- চিত্রাঙ্গদ ও বিচিত্রবীর্যের অকালমৃত্যু , পৃষ্ঠাঃ ৬৪-৬৫

 

One comment

আপনার মতামত জানান