বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ তথা ভারতের অন্যতম প্রধান সমাজসংস্কারক রাজা রামমোহন রায়কে সারা জীবন ধরে নানা বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই ছোট্ট বয়স থেকে নিজের পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয়, হিন্দু সমাজ এমনকি ক্রিশ্চানদের থেকেও বিরোধিতার মুখোমুখি রাজা রামমোহন হয়েছেন। এখানে রাজা রামমোহন রায়ের বিরোধীপক্ষ সম্পর্কে আলোচনা করব।
রামমোহনকে সম্ভবত সর্ব প্রথম বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় নিজের পিতার কাছে। মাত্র ষোল বছর বয়সে হিন্দু ধর্মের পৌত্তলিক প্রথার সমালোচনা করে বই লিখে ফেলেন তিনি। বইয়ের নাম ‘হিন্দুদের পৌত্তলিক ধর্মপ্রণালী’। যদিও এই বইটি ছাপিয়ে প্রকাশ করার সুযোগ তাঁর ছিল না, কিন্তু পরিবারের লোকজনকে ঠিকই পড়িয়েছেন। পড়িয়ে উচিত কাজ করেছেন! এবার ফল ভোগ করার পালা। পিতার সাথে আর সম্পর্কই রইল না। ফলত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্য ভ্রমণ করে নেপালে যান। সেখান থেকে বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার বাসনায় হিমালয় ডিঙিয়ে তিব্বত যান। পরবর্তীকালে অবশ্য পিতা তাঁকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
তিব্বতে গিয়েও বসে থাকলেন না। তিব্বতীদের ভ্রান্ত ধারণাগুলো নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। অল্প বয়সে কথার কোন সীমা থাকে না। পদে পদে ‘সীমালংঘন’ হয়। রামমোহনও করলেন। তখন তিব্বতের মানুষের বিশ্বাস ছিলো ‘লামা’ পদবীর মানুষরাই পৃথিবী পরিচালনা করে, মানে ঈশ্বর! তাদের একজন নেতা থাকে, সে মারা গেলে নতুন নেতা আসে। অর্থাৎ ঈশ্বরের আত্মা তার শরীর বদল করেন মাত্র! এ নিয়ে কথা বলে তিব্বতীদের ক্ষেপিয়ে তোলেন। বিচার ও শাস্তির মুখোমুখিও হতে হয়। কিন্তু তিব্বতি নারীরা রামমোহনকে কয়েকবার শাস্তির হাত থেকে রক্ষা করেন। এখান থেকেই নারীজাতির প্রতি তিনি বিশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। কারণ তাঁর ধারণা হয়, পুরুষের চেয়ে নারীরা অধিক মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন।
নিজের পরিবার থেকে আরও একটি বড় বিরোধিতার মুখোমুখি রাজা রামমোহন হয়েছিলেন যখন তাঁর নিজের মা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিরোধ বাঁধলে, মা তারিণী দেবী কোর্টে পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা-ই করে বসেন! ছেলে বিধর্মী, তাই পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী যেন সে না হয়। ছেলে প্রথমে মায়ের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে চাইলেন না। কিন্তু পরে ঠিক করলেন, তিনি মামলা লড়বেন। কারণ ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধেই তাঁর লড়াই। আর ধর্মের সাথে আইনের কোনো সম্পর্ক নেই। মামলা কোর্টে উঠল। মা তারিণী দেবী কোর্টে বিচারের সময় বললেন, “ধর্মত্যাগী পুত্রের মস্তক যদি এখানে ছিন্ন করা হয় তাহলে তা আমি অত্যন্ত পুণ্য কাজ বলে মনে করব।” কিন্তু আইন যে ধর্মের দোহাই দিয়ে চলে না। ছেলে মামলায় জয়ী হল। কিন্তু মামলায় জয়ী হওয়ার পর ছেলে তাঁর প্রাপ্ত সম্পত্তি মাকে সসম্মানে ফেরত দিয়ে দিলেন। কারণ, তাঁর যুদ্ধ মায়ের করা মামলার বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সমাজের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় গোঁড়ামি-কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।
যে বেদ শূদ্র সম্প্রদায়ের শোনার অধিকার ছিল না, আর তা উচ্চারণ করলে নাকি জিহ্বা কেটে দেওয়ার রীতি ছিল সেই বেদ-কে অনুবাদ করে সাধারণ মানুষের কাছে উন্মুক্ত করে দিলেন তিনি। ব্যাস! সর্বসাধারণের জন্যে বেদ ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু সমাজে চাঞ্চল্য ও উত্তেজনার সৃষ্টি হল। শুরু হল তাঁর প্রকাশ্য বিরোধিতা। ইংরেজি বেদান্ত গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি লিখলেন, “আমি ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করে বিবেক ও সরলতার আদেশে যে পথ অবলম্বন করেছি তাতে আমার প্রবল কুসংস্কারাচ্ছন্ন আত্মীয়গণের তিরস্কার ও নিন্দার পাত্র হতে হল। কিন্তু যাই হোক না কেন, আমি এই বিশ্বাসে ধীরভাবে সমস্ত কিছু সহ্য করতে পারি যে, একদিন আসবে, যখন আমার এই সামান্য চেষ্টা লোকে ন্যায় দৃষ্টিতে দেখবে।”
তাঁর পুত্র রাধাপ্রসাদের বিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধপক্ষ উঠেপড়ে লাগল সে-বিয়ে ভাঙার জন্য। এমনকি তাঁকে এক ঘরে করে রাখার আয়োজন অবধি করল। ব্যর্থ হল তাঁরা।
তাঁর বিরোধী পক্ষরা কিন্তু সহজে দমে যাওয়ার পাত্র ছিল না। খাস কলকাতার বিরোধী পক্ষ বলে কথা! তাঁর বাড়ির কাছে এসে তাঁরা সকালে মুরগির ডাক ডাকত, কেউবা বাড়ির ভেতরে গরুর হাড় ফেলে দিত। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে গান রচনা করে শহর কলকাতার রাস্তায় সেই গান গাইবার ব্যবস্থা অবধি তাঁরা করল।
কলকাতায় তখন সেই সবে ব্রাহ্মধর্মের ভিত তৈরি হচ্ছে, তিনি প্রায়শই ব্রাহ্মসভায় উপাসনা করতে যাচ্ছেন। কলকাতার কিছু লোক শুরু করল তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া। প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটতে লাগল। নিরুপায় হয়ে তিনি বাধ্য হলেন বেশিরভাগ সময় গাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখতে। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরোধীপক্ষের তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা পর্যন্ত করল। আশ্চর্যের কথা, এই বিরোধীপক্ষের কেউই কিন্তু বিদেশি নয়, খাস কলকাতার ‘বাঙালি’। শেষে তিনি আত্মরক্ষার জন্য সঙ্গে পিস্তল সঙ্গে নিয়ে বের হওয়া শুরু করলেন কলকাতায় যখন তাঁর এই ব্রাহ্মভাবধারা প্রচার করা নিয়ে নানান মহলে প্রতিবাদ চলছে, তখন তাঁরই ঘনিষ্ঠ একজন একদিন তাকে এসে জানালেন, তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কথা শুনে তিনি হেসে বললেন, “কলকাতার লোক আমাকে মারবে? তারা কী খায়?’’ প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসচেতন রামমোহন প্রতিদিন প্রায় বারো সের দুধ খেতেন। শোনা যায়, আস্ত একটি পাঁঠার মাংস খেতে পারতেন তিনি।
তিনি ‘আত্মীয় সভা’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সপ্তাহে একদিন এই আত্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হত। সেখানে বেদান্ত অনুযায়ী এক ব্রহ্মের উপাসনা এবং পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কথা বলা হত। সভায় বেদপাঠের পর ব্রাহ্মসঙ্গীত গাওয়া হত। সভা সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল না, কেবলমাত্র তাঁরই কয়েক জন বন্ধু তাতে যোগদান করতেন। সে-সময় নিন্দুকেরা আত্মীয় সভার বিরুদ্ধে গুজব রটাল যে, আত্মীয় সভায় লুকিয়ে লুকিয়ে গো মাংস খাওয়া হয়। ব্যাস! তাঁর অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু একথা শুনে তাঁকে ত্যাগ করল। কিন্তু তা সত্বেও তিনি নির্বিকার। একদিন তিনি মধু দিয়ে রুটি খাচ্ছেন ঠাকুরবাড়ির দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে। দেবেন্দ্রনাথ রামমোহনের থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট। রামমোহন খেতে খেতে দেবেন্দ্রনাথকে বললেন – “বেরাদর, আমি মধু আর রুটি খাচ্ছি, কিন্তু লোকে বলে আমি নাকি গরুর মাংস দিয়ে ভোজন করে থাকি।”
এরই মধ্যে তিনি যীশুখ্রিস্টের উপদেশ -‘শান্তি সুখের পথ’ ইংরাজিতে- ‘Precepts of Jesus-Guide to Peace and Happiness’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এই বইটি লেখার জন্য তিনি শুধুমাত্র বাইবেল কিংবা ওল্ড টেস্টামেন্টের ইংরেজি পড়েই ক্ষান্ত হননি, গ্রিক ও হিব্রু ভাষাও আয়ত্ত করেছিলেন। এতদিন তিনি হিন্দু সমাজ ও ধার্মিকদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন, এই বই প্রকাশের পর এবার খ্রিস্টান পাদ্রীদের বিরোধিতার সম্মুখীন হলেন। মিশনারি পাদ্রী উইলিয়াম কেরি ও মার্শম্যান সাহেবও এই বইয়ের বিরোধিতা করলেন। ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা “ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া”য় তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করলেন কেরি ও মার্শম্যান। তাঁদের বক্তব্য, লেখক যীশুর উপদেশ মান্য করেছেন ঠিক কথা, কিন্তু প্রভু যীশুর অলৌকিক ঘটনাগুলোকে অস্বীকার করেছেন। ব্যাস! এই নিয়ে উভয়পক্ষের বিরোধ চরমে উঠল এতদিন ধরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস তাঁর সমস্ত বই ছাপতেন। খ্রিস্টানরা বিরোধিতা করার ফলে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস তাঁর নতুন বই ‘Final Appeal’ ছাপাতে অস্বীকার করল। কিন্তু তিনি হারতে শেখেননি। তিনি নিজেই ‘ইউনিটেরিয়ান প্রেস’ নামে একটি প্রেস নির্মাণ করলেন। আর সেই প্রেস থেকে ‘Final Appeal’ বইটি ছাপা হল। তাঁর লেখা শেষ এই গ্রন্থে তাঁর মেধা ও পাণ্ডিত্য দেখে সবাই অবাক হয়ে গেলেন। তিনি মার্শম্যানের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যে খ্রিষ্টধর্ম নিয়ে তাঁর ভাবনার মধ্যে কোনো যুক্তি নেই এবং তাঁর ভুল কোথায়। মার্শম্যান ভুল বুঝলেন এবং নীরব থাকলেন।
সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে রামমোহন একটি গ্রন্থ রচনা করেন এবং তার ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশ করেন। তিনি প্রমাণ করে দেখান যে এই প্রথা শাস্ত্রবিরোধী। তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের ফলে গোঁড়া রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ আবার তাঁর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হল। তাঁকে মেরে ফেলার জন্য আবার ষড়যন্ত্র শুরু হল। তিনি সতীদাহ নিয়ে শুধু বই লিখেই থেমে থাকলেন না কিংবা ইংরেজদের এই প্রথার বিরুদ্ধে আইন করার জন্যে আবেদন করেই বসে থাকলেন না। তিনি নিজের বন্ধুদের নিয়ে একটি দল গঠন করলেন। তাঁরা সতীদাহ বন্ধ করার জন্যে বিভিন্ন শ্মশানে ছুটে যেতেন। মানুষকে এই প্রথার বিরুদ্ধে বোঝাতেন। চেষ্টা করতেন এই প্রথা বন্ধের। আর এই কাজ করতে গিয়ে তাঁকে প্রতিনিয়ত অনেক লাঞ্ছনা, অপমান ভোগ করতে হল। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। সতীদাহ নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক বিবাদের ফলে তৎকালীন রক্ষণশীল হিন্দুসমাজ ক্রমেই রামমোহনের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছিল। ১৮৩০-এর ১৭ জুন, সংস্কৃত কলেজে এক সভায় হিন্দুধর্ম রক্ষার জন্য রাজা রাধাকান্ত দেব, রামকমল সেন, ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ রক্ষণশীল নেতৃবর্গ ‘ধর্মসভা’-র পত্তন করেছিলেন।
সতীদাহ প্রথা রদে বদ্ধ পরিকর রামমোহন, বেন্টিঙ্কের সহযোগিতায় সতীদাহ প্রথা রদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পত্র জমা দেওয়া, কিংবা ব্যারিস্টার বেথিকে প্রিভি কাউন্সিলে মামলা লড়তে পাঠানো কোনও কিছুই বাদ দেননি। অন্য দিকে, পুরস্কার স্বরূপ তিনি পেয়েছিলেন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কুৎসা আর নিন্দা। শুধু তাই নয়, সমাজে যাঁরা সতীদাহ প্রথা রদের আইনকে সমর্থন করে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ফতোয়া জারি হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে কেউ বিবাহ বা আহার করলে তিনি জাতিচ্যুত হিসেবে গণ্য হতেন। শোনা যায়, পরিস্থিতি এমনই হয়ে উঠেছিল যে রাস্তাঘাটে রামমোহনকে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে চলাফেরা করতে হত। তাই, যত দিন না পর্যন্ত প্রিভি কাউন্সিল সতীদাহ প্রথা রদের বিরুদ্ধে রক্ষণশীল গোষ্ঠীর আবেদন পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছিল তত দিন রামমোহনকে দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছিল।
তিনি নারীর সম্পত্তি লাভের জন্যে আন্দোলন শুরু করলেন। তিনি শাস্ত্র ঘেঁটে বলেন- প্রাচীন ঋষিগণ ব্যবস্থা করেছিলেন যে, মৃত-স্বামীর সম্পত্তিতে পুত্রের সাথে স্ত্রীও সমান অধিকারী। একাধিক পত্নী থাকলেও তারা সবাই সমানভাবে সম্পত্তির অংশীদার। ব্যাস! আবার অগ্নিতে ঘৃতাহুতি। কলকাতার রক্ষণশীল সমাজ আবার তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করল। কিন্তু তিনি মরিয়া। এই আইনও তিনি পাশ করালেন।
কিশোর বয়স থেকে নিজের পরিবার থেকে প্রথম যে বিরোধিতার মুখোমুখি রাজা রামমোহন হয়েছিলেন, সেই বিরোধিতা আজীবন পরিবার, আত্মীয়, সমাজ, দেশ ইত্যাদি বিভিন্ন অংশ থেকে এসেছিল। দৃঢ় চিত্তে সেই সকল বিরুদ্ধপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে সমাজ সংস্কারে মন দিয়েছিলেন বলেই নবজাগরণের বীজটি রোপণ করতে পেরেছিলেন – সঙ্গে পেয়েছিলেন কয়েকজন গুণী মানুষকে আর পরবর্তীকালে তাঁর দেখানো পথেই বাংলার নবজাগরণ সম্পন্ন হতে পেরেছিল।
রাজা রামমোহন রায়ের জবানীতে নিজের জীবনী লিখেছিলেন একটি চিঠিতে। সেই চিঠির বয়ান শুনুন এখানে
তথ্যসূত্র
- রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ – শিবনাথ শাস্ত্রী।
- রামমোহন রায় -জাহান ইমরান, বণিক বার্তা।
- বাংলার রেনেসাঁ —অসীমকুমার চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত।
- মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় এবং ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ে তাঁহার উপদেশ ও মতামত —নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রণীত।
- আনন্দবাজার পত্রিকা, ২১শে জুন ২০১৫ সাল।
- https://obisshash.com/raja-rammohan-bio/
- https://www.bongodorshon.com/home/story_detail/rammohon-also-won-a-lawsuit-against-his-mother
One comment