ফিফা বিশ্বকাপ ২০০২

ফিফা বিশ্বকাপ ২০০২

ফিফা বিশ্বকাপ ২০০২ ছিল ফিফা বিশ্বকাপের সপ্তদশ আসর। এই বিশ্বকাপের আসর ৩১ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। সর্বমোট ৩২টি দেশ এই খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে পঞ্চমবারের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।

২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে নানান কারণে উল্লেখযোগ্য  হয়ে আছে। এটিই ছিল প্রথম বিশ্বকাপ যেটি দুটি দেশ মিলিতভাবে আয়োজন করে। এই বিশ্বকাপ জয়ের পর ব্রাজিল বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র দল হিসেবে পঞ্চমবার ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের অনন্য নজির গড়ে তোলে। এই বিশ্বকাপ থেকেই ব্রাজিলের রোনাল্ডো ব্রাজিলের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফুটবলারদের  মধ্যে অন্যতম হিসেবে পরিগণিত হতে শুরু করেন।  এই বিশ্বকাপ থেকেই প্রথমবার ২২ জনের দলের পরিবর্তে ২৩ জনের দল গঠনের নিয়ম চালু হয় যার মধ্যে তিনজন আবশ্যিকভাবে হবেন গোল কিপার।  এই বিশ্বকাপেই প্রথম একই ম্যাচে দুটি দল আত্মঘাতী গোল করে।

এই বিশ্বকাপের ম্যাসকটটি ছিল জাপানের জনপ্রিয় কার্টুন শো – দ্য স্ফেরিক্স -এর তিন চরিত্র যাদের নাম যথাক্রমে ‘আতো’, ‘কাজ’ এবং ‘নিক’। এই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত বলটির নাম ছিল – ‘ফিভারনোভা’। এই বিশ্বকাপের ৬৪টি ম্যাচে মোট ১৬১টি গোল হয়। 

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

৩২টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রথম গ্রুপে ছিল – ডেনমার্ক, সেনেগাল, ফ্রান্স, উরুগুয়ে। দ্বিতীয় গ্রুপে ছিল –  স্পেন,প্যারাগুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্লোভেনিয়া। তৃতীয় গ্ৰুপে ছিল – ব্রাজিল, তুরস্ক, কোস্টারিকা, চীন। চতুর্থ গ্ৰুপে ছিল – দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, পর্তুগাল, পোল্যান্ড। পঞ্চম গ্ৰুপে ছিল – জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ক্যামেরুন, সৌদি আরব। ষষ্ঠ গ্ৰুপে ছিল – ইংল্যান্ড, সুইডেন, আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া। সপ্তম গ্ৰুপে ছিল – মেক্সিকো, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি, ইকুয়েডর। অষ্টম গ্ৰুপ ছিল – জাপান, বেলজিয়াম, তিউনিশিয়া, রাশিয়া।  

ফিফা বিশ্বকাপ ২০০২ এর ফাইনালে জার্মানিকে ০ -২ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয় ব্রাজিল। এটি ছিল ব্রাজিলের পঞ্চমবার বিশ্বকাপ জয়। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান যথাক্রমে তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া অর্জন করে।

জাপানের ইয়াকোহামাতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি খেলা হয়।  ব্রাজিলের পক্ষে দুটি গোল করেন রোনাল্ডো।  

ব্রাজিলের রোনাল্ডো ৮টি গোল করে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটি অর্জন করেন। 

« ফিফা বিশ্বকাপ ২০০৬ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৯৮ »

আপনার মতামত জানান