জাতীয় চিকিৎসক দিবস

১ জুলাই।। জাতীয় চিকিৎসক দিবস

প্রতিবছর প্রতিমাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে কিছু দিবস পালিত হয়। নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরী করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। ভারতবর্ষও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারতবর্ষে পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলি মধ্যে একটি হলো ‘জাতীয় চিকিৎসক দিবস’ (National Doctors’ Day)।  ১ জুলাই দিনটি ভারতে ‘জাতীয় চিকিৎসক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দিনে এ দিনটি পালিত হয়। মূলত চিকিৎসকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই এই দিনটি পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

ভারতে ১৯৯১ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনকে স্মরণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্য এবং সমগ্র চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের গুরুত্ব প্রচার করার উদ্দেশ্যে এই দিনটি পালন করতে শুরু করে। ভারতের কিংবদন্তি চিকিৎসক ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ড: বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিনকে সম্মানসূচক ‘জাতীয় চিকিৎসক দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়। ঘটনাচক্রে ১ জুলাই একই সঙ্গে তাঁর জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন। ১৮৮২ সালের ১ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬২ সালে ১ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৬১ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি এই কিংবদন্তী চিকিৎসক ‘ভারতরত্ন’ সম্মানে ভূষিত হন।
প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় চিকিৎসক দিবস। সমাজে চিকিৎসকদের গুরুত্ব এবং তাদের নিরলস প্রচেষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। এই বিশেষ দিনটিতে চিকিৎসকদের কার্ড এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এমনকি মৃত চিকিৎসকদের কবরেও ফুল দেওয়া হয়। কোন কোন দেশে, এই দিনটিতে চিকিৎসকদের ছুটির দিন হিসাবে পালন করা হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোথাও বা বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।‌ চিকিৎসা বিজ্ঞান ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর বিভিন্ন আলোচনা সভা আয়োজন ও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া রক্তদান অনুষ্ঠান, প্রেসার মাপা, ইসিজি ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এছাড়া প্রত্যেক বছর এই দিনটিতে একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য বা থিম নির্বাচিত থাকে। ২০১৯ সালের প্রতিপাদ্য ছিল – ‘চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ কে কখনোই বরদাশ্ত করা হবে না’ (‘Zero tolerance to violence against doctors and clinical establishment’)। ২০২০ সালের প্রতিপাদ্য ছিল – ‘কোভিড-১৯ এ মৃত্যুহার কমানো'(“Lessen the mortality of COVID 19”)। ২০২১ সালের প্রতিপাদ্য ছিল – পরিত্রাতাদের বাঁচান  (Save The Saviours)২০২২ সালের প্রতিপাদ্য ছিল -পারিবারিক চিকিৎসকরা সামনে থেকে লড়াই করছেন  (Family Doctors on the Front Line)।  ২০২৩ সালের প্রতিপাদ্য – স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ও চিকিৎসকদের লড়াইয়ের উদযাপন   (Celebrating Resilience and Healing Hands)। 

2 comments

আপনার মতামত জানান