বিশ্বসাহিত্যের দরবারে এমন একেকজন সাহিত্যিকের আবির্ভাব ঘটেছে যাঁদের সৃষ্টি সব বয়সের মানুষের কাছেই সমান সমাদর লাভ করেছে। রোম্যান্টিক যুগের বিখ্যাত ফরাসি লেখক আলেকজাণ্ডার দুমা (Alexandre Dumas) ছিলেন সেই গোত্রের অন্যতম সাহিত্যিক। নাটক, প্রবন্ধ, উপন্যাস মূলত সাহিত্যের এই তিন জনপ্রিয় শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ সারস্বত সমাজের প্রশংসা লাভ করেছিল। দুঃসাহসিক অভিযান এবং রোমাঞ্চে ভরপুর ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং রোম্যান্টিক রচনাগুলির জন্য দুমা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সারা বিশ্বের পাঠকের কাছে। মানুষের বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতিশোধস্পৃহা ইত্যাদি প্রবৃত্তিগুলিই দুমার সাহিত্যের উপকরণ হিসেবে বারবার উঠে এসেছে। যেহেতু সব দেশে সবকালেই এইসব প্রবৃত্তি মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়, সেকারণেই তাঁর সাহিত্যকর্ম দেশকালের গণ্ডি ছাড়িয়ে হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন। বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত ফরাসি লেখক তিনি। নাটক রচনা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু করেন তিনি এবং পরে সাময়িকপত্রের জন্য প্রবন্ধ এমনকি ভ্রমণের বইও রচনা করেছিলেন দুমা। সাহিত্যের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতাও ছিল তাঁর। আলেকজাণ্ডার দুমার বিখ্যাত একটি উপন্যাস হল ‘দ্য কাউন্ট অব মন্টি ক্রিস্টো’।
১৮০২ সালের ২৪ জুলাই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নিকটবর্তী প্রশাসনিক অঞ্চল পিকার্দির আইসনে বিভাগের অন্তর্গত ভিলার্স-কোটারেটসে আলেকজাণ্ডার দুমার জন্ম হয়। তাঁর আসল নাম ছিল দুমাস ডেভি দে লা পাইলেটেরি (Dumas Davy de la Pailleterie), পরে আলেকজাণ্ডার দুমা নামেই পরিচিত হন তিনি। তাঁর বাবা টমাস-আলেকজাণ্ডার দুমা (Thomas-Alexandre Dumas) ছিলেন নেপোলিয়ানের সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং দুমার মায়ের নাম ছিল মারি-লুইস এলিজাবেথ ল্যাবোরেট (Marie-Louise Élisabeth Labouret)। দুমার ঠাকুরমা মারি-সেসেট দুমা ছিলেন সেন্ট ডোমিঙ্গুর ফরাসি উপনিবেশের একজন ক্রীতদাস মহিলা। টমাস এবং মারি লুইসের তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন আলেকজাণ্ডার দুমা। তাঁর দুই বড়ো বোনের নাম মেরি-আলেকজান্দ্রিন এবং লুইস-আলেকজান্দ্রিন।
১৮০৬ সালে আলেকজাণ্ডার দুমার যখন মাত্র চার বছর বয়স তখন ক্যান্সারে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। সেই কারণে তাঁদের পরিবারে চরম দারিদ্র্য নেমে আসে। ফলত দুমার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার সুযোগ তেমন হয়নি। একজন যাজক তাঁকে প্রাথমিকভাবে শিক্ষাদান করেছিলেন। পড়াশোনার প্রতি তাঁর সহজাত ভালোবাসা ছিল। নিজেকে মূলত স্ব-শিক্ষিত করেছিলেন দুমা এবং নিজের প্রচেষ্টায় স্প্যানিশ ভাষাও শিখেছিলেন তিনি। শৈশবে রবিনসন ক্রুশো, দ্য অ্যারাবিয়ান নাইটসের মতো গল্প-কাহিনী তাঁর পড়া হয়ে গিয়েছিল। সামরিক বাহিনীতে বাবার বীরত্বের কাহিনী মায়ের মুখে শুনে শুনে বড় হয়েছিলেন দুমা। এই অভিজ্ঞতা তাঁর সাহিত্যরচনাতেও কাজে লেগেছিল।
আর্থিক দুর্বলতার কারণে দুমা ১৮১৮ সালে প্রথমে একজন আইনজীবীর সহকারী বা নোটারি হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর প্যারিসে গিয়ে বাবার অভিজাত পদমর্যাদা এবং পরিচিতির জন্য ডিউক অফ অর্লিয়েন্স বা লুই ফিলিপের সচিব হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন দুমা, তখন তাঁর বয়স বাইশ বছর। শুধুমাত্র লুই ফিলিপের অফিসে কাজ করে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। সেখানে কাজ করবার সময় বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রবন্ধ লিখতেন তিনি। প্যারিসের থিয়েটার তাঁকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করেছিল। কাজের অবসরে তিনি পড়াশোনা করতেন এবং বিভিন্ন থিয়েটারে উপস্থিত থাকতেন। ওয়াল্টার স্কট, লর্ড বায়রন এবং বিশেষত শেক্সপীয়ারের রচনা দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন দুমা। অভিনেতা ফ্রাঁসোয়া-জোসেফ তালমার সঙ্গে কাজ করবার জন্য তাঁর এক পুরনো বন্ধু অ্যাডলফ ডি লিউভেনের সহযোগিতায় ঐতিহাসিক, মেলোড্রামাটিক নাটক রচনা শুরু করেন দুমা। ১৮২৫ সালে প্রথম নাটক রচনা করেন তিনি। কিন্তু ১৮২৯ সালে সাতাশ বছর বয়সে রচিত নাটক ‘হেনরি থ্রি এট সা কউর’ (হেনরি থ্রি অ্যাণ্ড হিস কোর্ট) তাঁকে অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দেয় এবং এর মধ্য দিয়েই তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এই নাটকটি লুই ফিলিপের এতই পছন্দ হয়েছিল যে তিনি প্যালাইস রয়্যালের গ্রন্থাগারিক হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন দুমাকে। পরবর্তী বছর ১৮৩০ সালে এককভাবে লেখা ‘ক্রিস্টিন’ নাটকটিও প্রভূত আর্থিক সফলতা অর্জন করে এবং এরপর থেকেই পুরোদমে পেশাদার সাহিত্য রচয়িতা হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন তিনি।
১৮৩০ সালের বিপ্লবের কারণে ফ্রান্সের অশান্ত পরিস্থিতি কিছু সময়ের জন্য দুমাকে তাঁর লেখালেখি থেকে সরিয়ে এনেছিল। সেই বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বিক্ষিপ্ত দাঙ্গায় ফরাসি জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছিল তখন। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, শিল্পায়ন শুরু হয়, প্রেস সেন্সারশিপেরও অবসান ঘটে। লুই ফিলিপ চার্লস এক্সকে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন। এই বিপ্লবের সময় নিজেকে প্রজাতন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন দুমা, কারণ তাঁর বাবাও তাই ছিলেন। ১৮৩১ সালে ‘নেপোলিয়ন বোনাপার্ট’ নামে একটি নাটক রচনা করেন তিনি এবং সেই নাটকের ভূমিকায় প্রজাতন্ত্রের প্রতি তাঁর ভক্তি প্রকাশ করেন। যদিও এই নাটকের জন্য খুব একটা সাফল্য অর্জন করেননি তিনি। এছাড়াও ১৮৩০-এর দশক জুড়ে তিনি অনেকগুলি নাটক রচনা করেছিলেন যা মঞ্চসাফল্য পেয়েছিল। ১৮৩১ সালে তাঁর লেখা ‘অ্যান্টনি’কেই প্রথম অনৈতিহাসিক রোম্যান্টিক নাটক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও ১৮৩২ সালে রচিত ঐতিহাসিক মেলোড্রামা ‘লা ট্যুর ডি নেসলে’, ১৮৩৬ সালে মৃত ইংরেজ অভিনেতা এডমন্ড কিনের জীবনের উপর ভিত্তি করে রচিত নাটক ‘কিন’ দুমার উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। এছাড়াও ‘রিচার্ড ডারলিংটন’ (১৮৩১), ‘লা রেইনে মারগোটে’র (১৮৪৫) মতো নাটকও রচনা করেছিলেন তিনি। নাটক রচনায় সাফল্য অর্জনের পর কথাসাহিত্যের দিকে মনোনিবেশ করেন আলেকজাণ্ডার দুমা এবং সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন সাহিত্যের এই সংরূপটিতেই। সেইসময় সংবাদপত্রে ধারাবাহিকভাবে উপন্যাস রচনার রমরমা চলছিল। দুমাও সেই পথ বেছে নিয়েছিলেন। ১৮৩৬ সালে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে তাঁর প্রথম ধারাবাহিক উপন্যাস ‘লা কমটেস ডে সালিসবারি’ প্রকাশিত হয়। ১৮৩৮ সালে দুমা নিজের লেখা একটি জনপ্রিয় নাটককে পুনরায় ‘লে ক্যাপিটাইন পল’ নামক উপন্যাস হিসেবে নির্মাণ করেন। ১৮৩৯ থেকে ১৮৪১ পর্যন্ত দুমা তাঁর বন্ধুদের সহযোগিতায় আট খণ্ডে সম্পূর্ণ ‘সেলিব্রেটেড ক্রাইমস’ নামে একটি সুবৃহৎ সংকলন প্রকাশ করেছিলেন ইউরোপের ইতিহাসের কুখ্যাত অপরাধী এবং অপরাধ জগতের উপর। মার্টিন গুয়েরে, লুক্রেজিয়া বোর্জিয়া, সিজার ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধী এবং সাম্প্রতিক অপরাধের উপরে অসংখ্য প্রবন্ধ ছিল সেই বইতে। ১৮৪০ সালে দুমা অগাস্টিন গ্রিসিয়ারের সহযোগিতায় রচনা করেছিলেন ‘দ্য ফেন্সিং মাস্টার’ উপন্যাসটি। এই উপন্যাসের আখ্যানভাগ মূলত গ্রেসিয়ারের জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। রাশিয়ায় ডিসেম্ব্রিস্ট বিদ্রোহ প্রত্যক্ষ করেছিলেন গ্রেসিয়ার। সেই অভিজ্ঞতাকেই এই উপন্যাসে রূপ দিয়েছেন আলেকজাণ্ডার দুমা। উপন্যাসটি রাশিয়ার জার প্রথম নিকোলাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। ১৮৪০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দুমা অভিনেত্রী ইডা ফেরিয়ারকে (Ida Ferrier) বিবাহ করেন, কিন্তু অসংখ্য মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল এবং চারটি অবৈধ সন্তানের বাবাও ছিলেন তিনি।
১৮৩৭ সালে আলেকজাণ্ডার দুমা ফরাসি লেখক অগাস্ট ম্যাকয়েটের সঙ্গে পরিচিত হন এবং তাঁর সহযোগিতায় একের পর এক যুগপৎ ঐতিহাসিক এবং রোমাঞ্চকর অভিযানে ভরপুর সব উপন্যাস রচনা করতে থাকেন তিনি। ১৮৪৩ সালে দুমা ‘জর্জেস’ নামে একটি ছোট উপন্যাস রচনা করেছিলেন এবং এই উপন্যাসের প্লট পরবর্তীকালে ‘দ্য কাউন্ট অব মন্টি ক্রিস্টো’ লেখার সময় কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। ১৮৪৪ সালে ম্যাকয়েটের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশিত তাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ রচনা ছিল ‘দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ যা মূলত একটি সংবাদপত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। রচনাটির ইতিবাচক পর্যালোচনার ফলে দুমা উপন্যাসটির যে দুটি সিক্যুয়াল রচনা করেছিলেন, সেগুলি হল ‘টুয়েন্টি ইয়ারস আফটার’ এবং ‘দ্য ভিকোমটে অফ ব্রাজেলন’। ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’-এর চরিত্র ডি’আর্টগনানের জন্যই এই ট্রিলজিটিকে ‘ডি’আর্টগনান রোম্যান্স’ নামে অভিহিত করা হয়। ১৮৪৪ সালেই ‘দ্য করসিকান ব্রাদার্স’ নামে একটি উপন্যাসিকা (Novella) রচনা করেছিলেন দুমা। তবে সেবছরই ম্যাকয়েটের সহযোগিতায় সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস ‘দ্য কাউন্ট অব মন্টি ক্রিস্টো’ রচনা করেছিলেন আলেকজাণ্ডার দুমা যেটি ১৮৪৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ফ্রান্সের ঐতিহাসিক বিবরণের উপর ভিত্তি করে এই উপন্যাসটি রচিত। দুমার উপন্যাসগুলি এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে ইংরেজি সহ প্রায় একশোটি ভাষায় সেগুলি অনূদিত হয়েছিল।সাহিত্য রচনা করে প্রচুর অর্থ উপার্জনও করেছিলেন তিনি, কিন্তু অনেক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং এক জমকালো জীবনযাপনের কারণে অধিকাংশ সময় ঋণগ্রস্ত হয়ে থাকতেন তিনি। ১৮৪৬ সালে তিনি প্যারিসের বাইরে লে পোর্ট-মার্লিতে এক বিলাসবহুল ভবন ক্রয় করেন এবং সেখানেই লেখার স্টুডিও তৈরি করেন।
দুমা কখনোই তাঁর রাজনৈতিক মতামত পরিবর্তন করেননি। ১৮৪৮ সালের বিপ্লবকে উৎসাহের সঙ্গে স্বাগত জানান তিনি। এছাড়াও বিধানসভার সদস্যপদ পাওয়ার জন্যও চেষ্টা করেছিলেন আলেকজাণ্ডার দুমা। ১৮৫১ সালে লুই ফিলিপের পতনের পর তৃতীয় নেপোলিয়ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। দুমার প্রতি খুব একটা অনুকুল দৃষ্টিভঙ্গী ছিল না তাঁর। তাছাড়া ঋণের বোঝাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ১৮৫১ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে চলে যান দুমা। ১৮৫৩ সালে প্যারিসে ফিরে আসেন তিনি এবং ‘লে মাস্কেটেয়ার’ নামে একটি পত্রিকা শুরু করেন। এই পত্রিকা শিল্প-সাহিত্যের প্রতি নিবেদিত ছিল। ১৮৫৯ সালে দুমা রাশিয়ায় চলে যান, সেখানে ফরাসি ছিল অভিজাতদের দ্বিতীয় ভাষা এবং দুমার সাহিত্য সেখানে জনপ্রিয় ছিল। রাশিয়ায় দুই বছর কাটিয়েছিলেন দুমা এবং সেন্ট পিটাসবার্গ, মস্কো, কাজান, আস্ট্রখান, বাকু এবং তিবিলিসি ইত্যাদি বিখ্যাত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেন। এই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে রাশিয়া সম্পর্কে ভ্রমণের বই রচনা করেছিলেন তিনি। ১৮৬১ সালে ইতালির রাজা যখন ভিক্টর দ্বিতীয় এমানুয়েল তখন দুমা সেখানে ভ্রমণ করেন এবং পরবর্তী তিন বছর ইতালির একীকরণের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ‘এল ইণ্ডিপেণ্ডেন্টে’ নামে একটি সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ইতালিতে থাকাকালীন জিউসেপ গ্যারিবল্ডির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। গ্যারিবল্ডির উদারনৈতিক প্রজাতন্ত্রের নীতিকে সমর্থন করেন দুমা এবং ফ্রিম্যাসনরির সদস্য হিসেবেও অঙ্গীকার করেন। ১৮৬৪ সালে প্যারিসে ফিরে এসে ইতালি সম্পর্কে ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেন তিনি। তাঁর ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘আ ইয়ার ইন ফ্লোরেন্স’, ‘ফ্রম প্যারিস টু ক্যাডিজ’ এবং ‘ট্রাভেল ইম্প্রেশনস : ইন রাশিয়া’।
দুমা আখ্যানধর্মী সাহিত্য যেমন রচনা করেছিলেন, তেমনি তার পাশাপাশি রাজনীতি এবং সংস্কৃতি বিষয়ক বহু নিবন্ধ এবং প্রবন্ধও লিখেছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন ভোজনরসিক ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ। তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত দুমার সুবিশাল ‘গ্র্যাণ্ড ডিকশনারি দে কুইজিন’ বইটিকে ‘রন্ধন বিষয়ক বিশ্বকোষ’ বলা চলে।
১৮৭০ সালের ৫ ডিসেম্বর ৬৮ বছর বয়সে সম্ভবত স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আলেকজাণ্ডার দুমার মৃত্যু হয়।
One comment