আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

৮ সেপ্টেম্বর ।। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। বিশ্বের পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলোর মধ্যে একটি হল ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস'(International Literacy Day)।

প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর‌ সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়। সারা বিশ্বে ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য লেখাপড়ার গুরুত্ব ও ক্ষমতার বিষয়টি বোঝাতে এবং সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই আজকের দিনটি পালন করা হয়।

ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬৫ সালের ৮-১৯ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর উদ্যোগে ইরানের তেহরানে বিশ্ব সাক্ষরতা সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের প্রস্তাব করা হয়। পরে ১৯৬৬ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো প্রথম এই দিবসটি উদযাপন করে।

আজকের পৃথিবীতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষকে শিক্ষিত করার সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকাংশেই। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা অন্য। বিশ্বের সমগ্র মানুষ আজও শিক্ষার আলো গ্রহণ করতে পারেনি।ইউনেস্কো(UNESCO)-র করা একটি সমীক্ষা অনুযায়ী নিজের পরিচয়ও লিখতে পারে না এমন মানুষের সংখ্যা ৭৫ কোটি। তাদের সাক্ষরতা দানের উদ্দেশ্যে  ইউনেস্কো সারা বিশ্বে যারা লিখতে ও পড়তে পারেন না তাদের সাক্ষর করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দিবস পালন করে আসছে।

ইউনেস্কোর তথ্য বলছে, বহু দশক ধরে সাক্ষরতা অভিযান চালানোর পরও ভারতে আজও ২৮ কোটি ৬০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিরক্ষর – যা ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যারও চারগুণ। এই নিরক্ষরদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা – এবং এই পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সমাজের লিঙ্গ বৈষম্য এবং নীতি নির্ধারণের ত্রুটিকেই বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন।

2 comments

আপনার মতামত জানান