প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশেই কিছু দিবস পালিত হয়। ঐ নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরী করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। শ্রীলঙ্কাও তার ব্যতিক্রম নয়। শ্রীলঙ্কার পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলোর মধ্যেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন হল শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা দিবস।
১৯৪৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্ত হয়৷ যদিও শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা দিবস দিনটি শ্রীলঙ্কায় ‘জাতীয় দিবস’ হিসেবে পালিত হয়৷
তবে যেসময় শ্রীলঙ্কা স্বাধীন হয়েছিল, তখনও তার নাম শ্রীলঙ্কা ছিল না। দেশটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের শুরু থেকে ‘সিলন’ হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান শ্রীলঙ্কা নামটি ১৯৭২ সালে গ্রহণ করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বিংশ শতকের প্রথম দিকে এই দেশে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল যা ১৯৪৮ সালে গৃহীত হয়। সমগ্র দেশজুড়ে উৎসবের ন্যায় প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালিত হয়ে থাকে। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি কলোম্বোতে পতাকা উত্তোলন করেন এবং বক্তৃতা দেন৷ সেখানে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়৷ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠান, গান, প্যারেড ইত্যাদির মধ্য দিনে এই বিশেষ দিনটি উৎযাপন করা হয়ে থাকে। স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাদের স্মরণ করা হয় এই দিনে, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন মধ্য দিয়ে ব্রিটিশদের উপর জয়ের ইতিহাস শ্রীলঙ্কাবাসীদের মনে জেগে ওঠে। রাষ্টপতির বক্তৃতা সমগ্র অনুষ্ঠানের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য। কুচকাওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক। রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি বিগত বৎসরের সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে আগামী দিনের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন৷ দু মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী দের উদ্দেশ্যে, তাঁদের মহানুভবতা এবং বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠেন দেশবাসী।
এই বিশেষ দিনে ঐতিহ্যমন্ডিত ভাবে কলোম্বো লাইট হাউসে ২৫ টি বন্দুকের সেলামী দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র
- https://en.m.wikipedia.org/wiki/Independence_Day_(Sri_Lanka)
- https://bn.m.wikipedia.org/wiki/শ্রীলঙ্কা
