আবুল ফজল মুহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী

আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী

বাংলাদেশের একাদশ রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী (Abul Fazal Mohammad Ahsanuddin Chowdhury)। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে বহাল ছিলেন তিনি। তাছাড়া বাংলাদেশ উচ্চ আদালতের অতিরিক্ত বিচারপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি পদে আসীন হন আহসানউদ্দিন চৌধুরী। সরকারি ও বেসরকারি নানা কমিটি তথা সংস্থার চেয়ারম্যান পদেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন তিনি।

১৯১৫ সালের ১ জুলাই অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার অন্তর্গত বোকাইনগর গ্রামে আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরীর জন্ম হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক উত্তীর্ণ হন আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

১৯৪২ সালে বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। ক্রমে শ্রীহট্ট, রংপুর ও ঢাকা অঞ্চলের জেলা বিচারপতি পদে কাজ করতে শুরু করেন আহসানউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৬৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের নির্দেশে ঢাক উচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এরপরে ১৯৭৪ সালের ৩০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন সম্মানীয় বিচারপতি পদে উন্নীত হন আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৭৭ সালের ১ জুলাই তারিখে এই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন এবং তিনি নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন। ঐ বছরই ২৭ মার্চ তারিখে জেনারেল এরশাদের সুপারিশে বাংলাদেশের একাদশ রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী। আবার ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদের চাপের মুখে পড়েই রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন আহসানউদ্দিন চৌধুরী। তারপর জেনারেল এরশাদ নিজেই রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন।

আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী একাধারে বাংলাদেশ স্কাউট, ঢাকা শিশু হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট ও ট্রাস্টি বোর্ড, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অফ মেন্টাল হেলথ, ঢাকা ল কলেজের ম্যানেজিং কমিটি ইত্যাদি সংস্থার চেয়ারম্যান পদে নানাসময় নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের হিতকর্মে আত্মনিবেদন করেছেন। এছাড়া ঢাকা উচ্চ আদালতের মাজার কমিটিরও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

২০০১ সালের ৩০ আগস্ট আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যু হয়।

আপনার মতামত জানান