ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসকে অসাধারণ মনীষা এবং অতুলনীয় সাহিত্যকীর্তির দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন এলিজাবেথীয় যুগের সাহিত্যিক ক্রিস্টোফার মারলো (Christopher Marlowe)। যদিও কবি এবং নাট্যকার হিসেবেই তাঁর জগতজোড়া খ্যাতি তবে অনুবাদক হিসেবেও তিনি তাঁর দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। প্রথিতযশা নাট্যকার শেক্সপীয়ার তাঁর দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। বিশেষত ক্রিস্টোফার মারলোর উদ্ভাবিত গদ্য রীতির কবিতা (ব্ল্যাঙ্ক ভার্স) শেক্সপীয়ারকে এবং এলিজাবেথীয় যুগের অপরাপর সাহিত্যিকদেরও আকৃষ্ট করেছিল৷ মারলোর লেখার ভিতরে নাস্তিকতা, প্রচলিত ধর্মের বিরোধিতার আঁচ পাওয়া যায়, এমনকি চার্চের ভুল ত্রুটি নিয়েও লেখায় সরব হয়েছিলেন তিনি। ফলে রাণীর রোষানলেও পড়েছিলেন বলে মনে করা হয়। বাস্তববাদের সঙ্গে মানবতাবাদের সহাবস্থান লক্ষ করা যায় তাঁর লেখায়। নিষ্ঠুরতা, বিভৎসতা, রক্তপাতের আধিক্যও লক্ষ্যনীয় মারলোর সৃষ্টিকর্মে। গবেষকেরা বলে থাকেন তিনি গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে রয়েছে জটিল রহস্য, যা আজও নিশ্চিতভাবে ভেদ করা সম্ভব হয়নি ( পড়ুন ক্রিস্টোফার মারলো মৃত্যু রহস্য)।
১৫৬৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের কেন্টের ক্যান্টারবেরিতে ক্রিস্টোফার মারলোর জন্ম হয়। তিনি কিট মারলো নামেও পরিচিত ছিলেন। নয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। ইতিহাসবিদরা মনে করে থাকেন মারলো শেক্সপীয়ারের থেকে দুই মাসের বড় ছিলেন। মারলো -র বাবা জন মারলো ছিলেন পেশায় একজন জুতো প্রস্তুতকারক। ক্রিস্টোফার মারলোর মায়ের নাম ক্যাথরিন আর্থার।
ক্রিস্টোফার মারলোর প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে তেমন কিছু জানতে পারা যায় না। তবে জানা যায়, চোদ্দ বছর বয়সে মারলো ক্যান্টারবেরির দ্য কিংস স্কুলের একজন ছাত্র ছিলেন। স্কুলে পড়ার সময়েই মারলো ল্যাটিন ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন এবং রোমান কবি ওভিডের কাজগুলি পড়ে তার অনুবাদও করেছিলেন। এর দুই বছর পর কেমব্রিজের কর্পাস ক্রিস্টি কলেজে ভর্তি হন তিনি। সেখানে বৃত্তি নিয়ে পড়াশুনা করেন। ১৫৮৪ সালে মারলো তাঁর স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে সক্ষম হন। এরপর এখানেই তিনি ল্যাটিন সাহিত্য নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ১৫৮৭ সালে। কিন্তু কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি প্রদানে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে, কারণ সেসময় একটি গুজব রটেছিল তাঁকে কেন্দ্র করে যে, তিনি উত্তর ফ্রান্সের রেইমসে অবস্থিত একটি গির্জার যাজক প্রশিক্ষণ স্কুলে চলে যেতে চান সম্ভবত একজন রোমান ক্যাথলিক যাজক হিসেবে পৌরহিত্যের অভিষেকের প্রস্তুতির জন্য। যদি এই ঘটনা সত্যি হত, তবে তা হত রাণীর আদেশ লঙ্ঘনের মতো অপরাধ। ১৫৮৫ সালে রাণী প্রথম এলিজাবেথ কর্তৃক এক রাজকীয় আদেশ জারি করা হয়েছিল যেখানে বলা হয় একজন ইংরেজ নাগরিকের রোমান ক্যাথলিক চার্চে নিযুক্ত হওয়ার যে-কোনোরকম প্রচেষ্টাই অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অবশ্য পরে এ-ব্যাপারে প্রিভি কাউন্সিল হস্তক্ষেপ করে এবং মারলোকে রাণীর প্রতি বিশ্বস্ত আচরণ ও ভালো পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রশংসা করলে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিগ্রি প্রদান করেছিল।
মারলোর পরবর্তী জীবন সম্পর্কেও পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্যের অভাব রয়েছে। যেটুকু এখন জানতে পারা যায়, তার অনেকখানিই গবেষকদের অনুমান। সাহিত্যকর্ম ছাড়াও আইনি রেকর্ড, সরকারি নথি এবং কিছু নন-ফিকশন লেখকদের লেখা থেকে মারলোর জীবন সম্পর্কে জানতে পারি আমরা।
সবচেয়ে কৌতুহলজনক হল, অনেকে মনে করেন যে মারলো একজন সরকারী গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন। আমেরিকান ঐতিহাসিকদ্বয় পার্ক হোনান এবং চার্লস নিকোল অনুমান করেন যে, কেমব্রিজে পড়াকালীনই এই গুপ্তচরের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল মারলোকে। ১৫৮৭ সালে যখন প্রিভি কাউন্সিলের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিগ্রি প্রদানে সম্মত হয় তখন তাঁর রেইমসের ইংলিশ ক্যাথলিক কলেজে যাওয়ার গুজবটি ভুল প্রমাণিত হয়। অনেকে মনে করেন, প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য স্যার ফ্রান্সিস ওয়ালসিংহাম, যিনি রাণীর গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ছিলেন তাঁর তত্ত্বাবধানেই গুপ্তচর বৃত্তি করতেন মারলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিপত্র ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৫৮৪ সাল থেকে ১৫৮৫ সাল, এই সময়পর্ব জুড়ে মারলোর দীর্ঘ অনুপস্থিতি। এছাড়াও নথি থেকে জানা যায় সেসময় খাবার এবং পানীয়ের পিছনেও প্রভূত পরিমাণে ব্যয় করতেন মারলো, যা কেবল স্কলারশিপের টাকায় সম্ভব ছিল না। অর্থাৎ সেসময় বাড়তি একটি আয়ের উৎস ছিল তাঁর। তবে গুপ্তচরবৃত্তির অনুমান জোরালো হয় যখন জানতে পারা যায় যে, ‘মর্লি’ নামের কেউ একজন ১৫৮৯ সালে রানীর সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরবেলা স্টুয়ার্টের গৃহশিক্ষক ছিলেন। জন বেকার জানিয়েছেন এই মর্লি আসলে ক্রিস্টোফার মারলো, কারণ সেসময় অন্য কোনো মর্লির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এখন মারলো যদি আরবেলার গৃহশিক্ষক হন, তবে একথা মেনে নেওয়া যেতে পারে তিনি গুপ্তচর হিসেবেই কাজ করছিলেন, কারণ আরবেলা ছিলেন স্কটসের রাণী মেরির ভাগ্নী এবং ষষ্ঠ জেমসের খুড়তুতো বোন। কিন্তু ফ্রেডরিক এস. বোয়াস অবশ্য এই সম্ভাবনাকে খারিজ করে দিয়েছেন।
১৫৮৭ সালের শেষদিকে মারলোর প্রথম নাটক ‘ট্যাম্বুরলাইন দ্য গ্রেট’-এর প্রথম অংশ পরিবেশিত হয়েছিল এবং বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। সেসময় মারলোর বয়স তেইশ বছর। এত অল্প বয়সেই নাট্যকার হিসেবে এমন পরিচিতি পেয়ে রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত হয়ে যান তিনি৷ এই নাটকেই ব্ল্যাঙ্ক ভার্সের ব্যবহার করে ইংল্যান্ডের সাহিত্যসমাজকে আলোড়িত করে দেন তিনি। ১৫৯০ সালে এই নাটকের দুটি অংশই প্রকাশিত হয়। তবে অনেকে ‘ডিডো, কুইন অব কার্থেজ’কে মারলোর প্রথম অভিনীত নাটক বলে মনে করেন। এই নাটকটি মারলোর মৃত্যুর পরে ১৫৯৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৫৯২ সালে সম্ভবত তাঁর লেখা ‘দ্য জিউ অব মাল্টা’র প্রথম প্রযোজনা সম্পন্ন হয়েছিল। ১৫৯২ সালে তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাটক ‘এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড’-এর প্রথম অভিনয় হয় যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৫৯০ সালে। তাঁর ‘ডক্টর ফস্টাস’ নাটকটি প্রথম ১৬০১ সালে প্রকাশ পেয়েছিল। এই নাটকটি একটি সত্যিকারের ব্যক্তির জীবনকে কেন্দ্র করে লিখিত, যিনি জাদুশক্তির বিনিময়ে শয়তানের কাছে তাঁর আত্মা বিক্রি করেছিলেন। ‘দ্য ম্যাসাকার অ্যাট প্যারিস’ নাটকটি ১৫৯৩ সালের ২৬ জানুয়ারি অভিনীত হয়। ১৫৭২ সালে প্যারিসে ক্যাথলিকদের দ্বারা প্রোটেস্ট্যান্টদের গণহত্যার ওপর ভিত্তি করে এই নাটকটি রচনা করেন তিনি। নাটকের পাশাপাশি কবিতা রচনা এবং অনুবাদকর্মেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন মারলো। ‘এলিজিয়াক কাপলেট’ – এ লেখা ওভিডের প্রথম সম্পূর্ণ কবিতার বই ‘আমোরেস’-এর অনুবাদ করেছিলেন মারলো। ১৫৯৯ সালে এই অনুবাদটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। লুকানের ‘ফার্সালিয়া’র অনুবাদও করেন তিনি। ১৫৮৭ সাল থেকে ১৫৮৮ সালের মধ্যে তিনি রচনা করেছিলেন তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লিরিক কবিতা ‘দ্য প্যাশনেট শেফার্ড টু হিজ লাভ’। সম্ভবত ১৫৯৩ সালেই মারলো ‘হিরো অ্যান্ড লিয়েন্ডার’ কবিতা রচনা শুরু করেন কিন্তু আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটায় সেই কবিতাটি পরে ১৫৯৮ সালে সম্পূর্ণ করেন জর্জ চ্যাপম্যান৷
এখানে উল্লেখ্য যে কোন কোন পন্ডিত মনে করেন যে মারলো ছিলেন একজন সমকামী। রিচার্ড বেইনসের কথাবার্তায় এই ইঙ্গিত স্পষ্টভাবেই ছিল। যদিও মারলো আজীবন অবিবাহিত ছিলেন।
১৫৮৯ সালে লন্ডনে শোরডিচের কাছে নর্টন ফোলগেটে উইলিয়াম ব্র্যাডলির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান মারলো এবং কবি টমাস ওয়াটসন তাতে হস্তক্ষেপের জন্য এগিয়ে আসেন৷ সেই লড়াইতে ব্র্যাডলি মারা গেলে হত্যার অভিযোগে পুলিশ মারলো এবং ওয়াটসনকে গ্রেপ্তার করে নিউগেট কারাগারে বন্দী অবস্থায় রাখে। যদিও এক পক্ষকাল পরেই জামিন পান মারলো। ১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনা ঘটে এবং ১ অক্টোবর মুক্তি পেয়ে যান তিনি।
এরপর ১৫৯২ সালে মারলোকে নেদারল্যান্ডসের ফ্লাশিং-এর ইংলিশ গ্যারিসন শহরে মুদ্রা জাল করার অভিযোগে, সম্ভবত রাষ্ট্রদ্রোহী ক্যাথলিকদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে লর্ড ট্রেজারারের কাছে পাঠানো হলেও কারাদন্ড হয়নি তাঁর। আবার কেউ বলেন, ১৫৯২ সালে শোরেডিচে দুই কনস্টেবলকে আক্রমণ করার জন্য মারলোকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল, কিন্তু অবশেষে তাঁকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৫৯৩ সালের মে মাসের প্রথমদিকে লন্ডনে ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসের যে সকল প্রোটেস্ট্যান্ট উদ্বাস্তু শহরে বসতি স্থাপন করেছিল তাদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকটি বিল পোস্ট করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল ‘ডাচ চার্চ লিবেল’ যার মধ্যে মারলোর লেখা বিশেষত কয়েকটি নাটকের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। এর কিছুদিন পরে ১১ মে প্রিভি কাউন্সিল সেই মানহানিকর মন্তব্যকারদের গ্রেপ্তারের আদেশ জারি করে। সেসময় প্রখ্যাত নাট্যকার থমাস কিড ছিলেন মারলোর রুমমেট। প্রথমত, কিডকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সেই ঘর তল্লাশি চালিয়ে তিনখন্ড ধর্মবিরোধী প্রস্তাবনা উদ্ধার করা হয়। কিড স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন যে, সেই কাগজপত্রগুলি সবই মারলোর লেখা এবং স্যার জন পাকারিংকে একটি চিঠিতে কিড মারলোকে উচ্ছৃঙ্খল, অসংযমী, নিষ্ঠুর ও ধর্মবিরোধী বলে উল্লেখ করেছিলেন। এছাড়াও গুপ্তচর রিচার্ড বেইনসও মারলোর নাস্তিকতা এবং ধর্মবিরোধিতার কথা নিন্দা সহকারে উল্লেখ করেছিলেন। অবশেষে ১৮ মে প্রিভি কাউন্সিল মারলোকে গ্রেপ্তারের আদেশ জারি করে। সেসময় লন্ডনে ছিলেন না মারলো, প্রয়াত স্যার ফ্রান্সিস ওয়ালসিংহামের খুড়তুতো ভাই টমাস ওয়ালসিংহামের কাছে ছিলেন বলেই মনে করা হয়। ২০ মে মারলো নিজে এসে প্রিভি কাউন্সিলে হাজির হন এবং তাঁকে রোজ হাজিরা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। এর ঠিক দশদিন পরে ৩০ মে ক্রিস্টোফার মারলোকে হত্যা করা হয়েছিল।
মারলোর এই হত্যাকে কেন্দ্র করে নানা জটিল রহস্য দানা বেঁধে উঠেছিল। সেই রহস্যের অন্ধকার আজও কাটেনি, কিন্তু তাঁর হত্যার কারণ অনুমান করে গবেষকরা বিভিন্ন তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন। ১৫৯৩ সালের ৩০ মে ডেম এলেনর বুলের মালিকানাধীন ডেপ্টফোর্ডের একটি বাড়িতে ক্রিস্টোফার মারলোকে হত্যা করা হয়, প্রাথমিক অনুমান একথাই বলে। সেবাড়িতে সেদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইনগ্রাম ফ্রিজার, নিকোলাস স্কেরেস এবং রবার্ট পলি। মনে করা হয়, খাদ্য ও পানীয়ের খরচ মেটানো নিয়ে কিংবা মারলোকে বাকি অর্থ পরিশোধ করার জন্য চাপ দেওয়ার ফলে ফ্রিজার এবং মারলোর মধ্যে বচসা বাঁধে। অবশেষে ডানচোখের ওপর ছুরিকাঘাতের ফলে মারলোর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। তবে এই তত্ত্বটি ছাড়াও কেউ কেউ বলে থাকেন নাস্তিকতা এবং ধর্মবিরোধিতার কারণে রাণীর আদেশেই হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে। যেহেতু তিনি গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাই কেউ কেউ মনে করেন, রাষ্ট্রের কোনো বিপজ্জনক গোপনীয়তা প্রকাশ করার প্রবণতাকে রুখতেই এই হত্যাকান্ড। কেউ আবার প্রশ্ন তোলেন মারলো কি রাণীর অভ্যন্তরীন বৃত্তের অন্তর্নিহিত রাজনীতির ফলস্বরূপ নিহত হয়েছেন? আবার মনে করা হয় মারলোর মৃত্যু সম্পর্কে ভুয়ো ধারণা রটেছে এবং তিনি সেসময় পলায়ন করেছিলেন এবং পরে উইলিয়াম শেক্সপীয়ার নামে কিছু লেখালেখি করেন। সেকারণেই শেক্সপীয়ারের কোনো কোনো লেখায় মারলোর প্রভূত পরিমাণ প্রভাব লক্ষ্য করা যায় বলে গবেষকদের একাংশের মত। এতসব জল্পনা কল্পনার মধ্যে অবশ্য ক্রিস্টোফার মারলোর হত্যা রহস্য আজও যবনিকার অন্তরালেই রয়ে গেছে।
One comment