দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলা

দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলা

অগ্নিযুগের বাংলায় দিকে দিকে তখন বোমা বিস্ফোরণের জোয়ার দেখা দিয়েছিল। সশস্ত্র গুপ্ত বিপ্লবী সমিতির উত্থান ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। আলিপুর বোমা মামলা, মুজফ্‌ফারপুর বোমা মামলার পরে পরাধীন ভারতের বিপ্লববাদের ইতিহাসে দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলা আরেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় খুলে দিয়েছিল। কলকাতা শহরের বেশ কিছু গুপ্ত আখড়ায় বোমা তৈরি করতেন বিপ্লবীরা, আর সেই বোমা সমগ্র বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো একাধারে। অকুতোভয় বিপ্লবীদের থেকে বোমা বানানোর কৌশল শিখতে আসছিলেন অনেকে। ফলে সব মিলিয়ে পুরো বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল বোমা কারখানা। বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ধরা পড়েছিল বহু বিপ্লবী, তাদের বিরুদ্ধে আদালতে উঠেছিল মামলা। সেইরকমই বাংলার বিপ্লববাদের ইতিহাসে দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলা(Dakshineswar Bomb Case) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

১৯২৫ সালের ১০ নভেম্বর দক্ষিণেশ্বর এবং শোভাবাজারের দুটি গুপ্ত আস্তানা থেকে মোট এগারোজন বিপ্লবীকে গ্রেপ্তার করে ব্রিটিশ পুলিশ এবং তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার শুরু করে দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলা। মামলায় অভিযুক্ত বিপ্লবীরা হলেন – হরিনারায়ণ চন্দ্র, বীরেন ব্যানার্জি, নিখিলবন্ধু ব্যানার্জি, ধ্রুবেশ চ্যাটার্জি, রাজেন লাহিড়ি, অনন্তহরি মিত্র, রাখাল চন্দ্র দে, দেবীপ্রসাদ চ্যাটার্জি, শিবরাম চ্যাটার্জি, প্রমোদরঞ্জন চৌধুরি এবং সবশেষে অনন্ত চক্রবর্তী। ১৯২৬ সাল পর্যন্ত এই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা চলেছিল এবং এই বছরই ৯ জানুয়ারি চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছিল এই মামলার। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে মামলা লড়েছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল বি.এল মিত্র, পাবলিক প্রসিকিউটর এন.এন ব্যানার্জি এবং গুণেন সেন। অন্যদিকে বিপ্লবীদের হয়ে মামলা লড়েছিলেন এ.সি মুখার্জি, হর্ষনাথ ব্যানার্জি, সি.সি বিশ্বাস, এ.কে  মুখার্জি এবং হেমন্ত কুমার রায়চৌধুরি।

বাংলায় বোমা তৈরির ইতিহাস সূচিত হয়েছিল অনেক আগেই এবং তা নিয়ে আলিপুর বোমা মামলাও ঘটে গেছে, আদালতে দায়ের হয়েছে মুজফ্‌ফরপুর বোমা মামলাও। গোটা বাংলা তখন একটা বিশাল বোমা কারখানায় পরিণত হয়েছিল, বাংলার মাটিতে সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল বিপ্লবের বারুদ। অনুশীলন সমিতি কিংবা যুগান্তর সমিতির অনুপ্রেরণায় আরো গুপ্ত সমিতি গড়ে উঠেছিল। এইরকমই নতুন একটি গুপ্ত বিপ্লবী দল তৈরি হয় যাদের সঙ্গে মূলত হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মি এবং অনুশীলন সমিতির যোগাযোগ ছিল আর সবার উর্ধ্বে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ছিল যেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিস্থানীয় বিপ্লবী বন্ধুরা যোগ দিতেন। পুলিশের এক গুপ্তচর মারফত খবর পাওয়া যায় যে, এই দলের প্রথম আলোচনাসভা বসে ১৯২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ঐ সভায় ঠিক হয় বীরেন ব্যানার্জিকে হাওড়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং চৈতন্য দেব চ্যাটার্জিকে দেওয়া হবে হুগলি জেলার দায়ভার। তাঁরা দুজন ছাড়াও আরো সাত-আটজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন সেই সভায়। প্রত্যেকের একটি ছদ্মনাম দেওয়া হয়, যেমন – বীরেন ব্যানার্জির নাম  হয় অশোক, হরিনারায়ণ চন্দ্রের নাম হয় দাদা যিনি বোমা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। এই সভাতেই ঠিক হয়েছিল এই দলটি সারা বাংলা জুড়ে বোমা সরবরাহ করবে এবং সমস্ত জেলা-শাখাগুলি থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠাবে। এর বদলে কেন্দ্রীয় কমিটি এই সমস্ত জেলা-শাখাগুলিকে অস্ত্র, বারুদ, গুলি ইত্যাদি সরবরাহ করবে। ১৯২৪ সাল নাগাদ এই দলের সালকিয়া শাখার বিপিন গাঙ্গুলি এবং নগেন সেন পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে ডোমজুড়ের বিজন ব্যানার্জির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু পুলিশ সেই আস্তানার সন্ধান পেয়ে গেলে বিজন ব্যানার্জি, বীরেন ব্যানার্জি আর সুধাংশু চৌধুরি একত্রে কলকাতার ৪ নং শোভাবাজার স্ট্রিটের একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেন। তাঁদের সঙ্গেই যোগ দেন হরিনারায়ণ চন্দ্র, অনন্তহরি মিত্র এবং প্রমোদ চৌধুরি। ১৯২৫ সালে বীরেন ব্যানার্জি বরানগরে একটি বাড়ি ভাড়া করে অন্য আরো কয়েকজন বিপ্লবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ক্রমেই পুলিশ জানতে পারে এই গোপন আস্তানার কথা, ফলের আবার জায়গা বদল করতে হয়। আর এইভাবেই দক্ষিণেশ্বর অঞ্চলের বাচস্পতিপাড়ায় স্থাপিত হয়েছিল বিপ্লবীদের নতুন গোপন আস্তানা। সেই সময় দক্ষিণেশ্বর আর শোভাবাজার এই দুই অঞ্চলের বাড়িদুটিই বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। কলকাতার কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন বিপ্লবী পাঁচু দাঁ, বীরেন ব্যানার্জি, চৈতন্যদেব চ্যাটার্জি, অনন্তহরি মিত্র এবং নিখিল ব্যানার্জি। এই কমিটির সঙ্গে সমস্ত চিঠিপত্র আদানপ্রদানের কাজ করতেন সালকিয়া শাখার সন্তোষ গাঙ্গুলি আর বঙ্কিম মুখার্জি দেখভাল করতেন অর্থনৈতিক দিকটি। এখন কীভাবে দক্ষিণেশ্বরের এই গুপ্ত আস্তানা পুলিশ উদ্ধার করলো তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, ১৯২৫ সালের ৭ নভেম্বর একজন রাজনৈতিক সন্দেহভাজন ব্যাক্তি কয়েকজন তরুণ আগন্তুকের সঙ্গে কাশীপুরের দিকে যাচ্ছিল। একজন অনুসরণকারী তাঁদের পিছু ধাওয়া করে দেখে একটা ট্যাক্সিতে করে বরানগরে নামে তারা আর তারপরে ট্যাক্সি থেকে নেমে কিছুটা পথ রিক্সায় আর কিছুটা হেঁটে দক্ষিণেশ্বরের সেই বাড়িতে পৌঁছায় তাঁরা। পুলিশ সেই ট্যাক্সির নাম্বার নোট করে রেখে তাঁর থেকে জবানবন্দী আদায় করে অনেক খুঁজে সেই আস্তানা আবিষ্কার করে। কিন্তু বিপ্লবী হরিনারায়ণ চন্দ্র বা বীরেন ব্যানার্জির বক্তব্য অনুযায়ী দক্ষিণেশ্বরের সেই বাড়িতে কয়েকজন বিপ্লবী বন্ধু জ্বরে ভুগছিল আর অন্যদিকে শোভাবাজারের বাড়িতেও বন্ধু ধ্রুবেশ চ্যাটার্জি জ্বরে আক্রান্ত ছিল। বীরেন ব্যানার্জি এবং অনন্তহরি মিত্র উভয়ে মিলে শোভাবাজার থেকে ধ্রুবেশকে দক্ষিণেশ্বরে নিয়ে আসতে যায় যাতে একজায়গায় থাকলে চিকিৎসার সুবিধে হয়। সেই মতো তাঁকে নিয়ে ফেরার পথে কাশীপুরে ট্যাক্সি ছেড়ে কিছুটা রিক্সায় আর কিছুটা পথ হেঁটে ফেরে তাঁরা। পুলিশ সেই পথ অনুসরণ করে অবশেষে ১০ নভেম্বর ভোর সাড়ে ছয়টার সময় দক্ষিণেশ্বরের সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে। দরজা খুলে বেরিয়ে আসা মাত্রই যাকে গ্রেপ্তার করা হয় তিনি নিজেকে নিমাই দে বলে পরিচয় দেন, কিন্তু পরে জানা যায় তাঁর আসল নাম রাখাল দে। তারপর একে একে উপরের তলায় সকলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং সেই বাড়িতেই চারজন অসুস্থ বিপ্লবীদেরও উদ্ধার করে পুলিশ। একটা আলমারিতে তাজা বোমা খুঁজে পায় পুলিশ। মুখ্য বিস্ফোরক ইন্সপেক্টর রবসন বোমাটিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে জলে ডুবিয়ে দেন। দক্ষিণেশ্বরের এই বাড়ি থেকে এই বোমা ছাড়াও কতগুলি সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড আর গ্লিসারিনের বোতল, ছয় চেম্বারের গুলিভর্তি রিভলবার, একটা সাত কার্তুজের পিস্তল, বোমা তৈরির বাহাত্তরটি উপাদানের মিশ্রণ প্রণালী সম্বলিত একটি বই উদ্ধার করে পুলিশ। ঐ দিনই দুপুর ২টো নাগাদ শোভাবাজারের বাড়িটিও ঘিরে ফেলে খানা-তল্লাশি শুরু করে পুলিশ এবং সেখান থেকে প্রমোদ চৌধুরি আর অনন্ত চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে। ব্রিটিশ পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে এই দলের এক বিরাট ষড়যন্ত্র আড়ালে আড়ালে গড়ে উঠেছিল। বিদেশ থেকে চোরাপাচারের মাধ্যমে অস্ত্রের আমদানি চলতো সেই দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে। বিভিন্ন বিদেশি জাহাজে ইলেক্ট্রিশিয়ান, কেরানি বা পর্যবেক্ষকের পদে কর্মরত ভারতীয়দের সঙ্গে অস্ত্র পাচারের ব্যাপারে যোগাযোগ রাখার জন্য হরিনারায়ণ চন্দ্র নিযুক্ত করেন সুধাংশু চৌধুরিকে অস্ত্র আমদানির জন্য নির্মল সেনকে পাঠানো হয় রেঙ্গুনে আর সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় দেবেন দে’কে। কলকাতায় বীরেন ব্যানার্জি আর এই দুই বিপ্লবীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতেন সুধাংশু চৌধুরি। একটা বিরাট বড়ো ক্ষেত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এস.এস. আরাঙ্কালা জাহাজের কেরানি ফণীন্দ্র বসু আর এস.এস এডভান জাহাজের পর্যবেক্ষক আজমাত আলির প্রচেষ্টায় পিস্তল ও অন্যান্য অস্ত্র সংগৃহীত হয়। অন্যদিকে রেঙ্গুনের পুলিশ কমিশনারের অফিস থেকে একটি রিভলবার চুরি করেন নির্মল সেন যা তিনি সুধাংশুর হাতে দেন কলকাতায় বীরেন ব্যানার্জির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এমনকি এও জানা যায় জাপানে রাসবিহারী বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা জাপান থেকে ভারতীয় মুদ্রার বিনিময়ে বেশ কিছু অস্ত্র-শস্ত্র গোপনে আমদানি করার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এই গ্রেপ্তারের ফলে সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বিপ্লবীদের। সমস্ত বিপ্লবী শাখা-সংগঠনগুলি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

মি. জে.ডব্লিউ. নেলসন, মি. মুজফ্‌ফর আহমেদ এবং রায়বাহাদুর সুরেশচন্দ্র সিন্‌হার নেতৃত্বে দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেণ্ডমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯২৫’ ধারায় বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করে ব্রিটিশ সরকার। গোপনে মামলা রুজু করা বা গোপনে তার প্রক্রিয়াকরণ চালু রাখার বিরুদ্ধে সারা বাংলা জুড়ে জনমত গড়ে ওঠে, সকলের দাবি উপযুক্ত পদ্ধতিতে উন্মুক্ত আদালতে দোষী তথা অভিযুক্তদের বিচার হোক। ব্রিটিশ সরকার এই মামলার বিষয়ে জনরোষের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে মামলা চলাকালীন এর সঙ্গে যুক্ত বিচারক, পুলিশ প্রমুখের সুরক্ষার জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেয় –

১) বন্দীদের গরাদের সামনে একজন সার্জেন্ট এবং ঘরের সামনে ঢোকার আগেই একজন সার্জেন্ট মোতায়েন করা হয়।

২) আদালতকক্ষে কেবলমাত্র উকিলের অনুমতি নিয়েই প্রবেশ করা যেতো।

৩) শুধুমাত্র বন্দীদের আত্মীয়দেরই প্রবেশাধিকার ছিল।

৪) আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় সমস্ত বন্দিদের ভালোমতো সার্চ করা হতো। কারো মল-মূত্রত্যাগের প্রয়োজন পড়লে একজন সার্জেন্ট তাদের নিয়ে যেতেন যথাস্থানে এবং আদালতে আসার আগে আবার তাদের ভালোমতো সার্চ করা হতো।

৫) সবশেষে বন্দীদের জন্য বাইরে থেকে কোনোরকম খাবার জেলের ভিতর আনা নিষেধ ছিল।

১৯২৬ সালের ৯ জানুয়ারি এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয় যেখানে হরিনারায়ণ চন্দ্র, অনন্তহরি মিত্র এবং রাজেন লাহিড়িকে দশ বছরের কারাবাসের দণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে বীরেন ব্যানার্জি, নিখিলবন্ধু ব্যানার্জি এবং ধ্রুবেশ চ্যাটার্জিকে পাঁচ বছরের কারাবাস এবং দেবীপ্রসাদ চ্যাটার্জি ও শিবরাম চ্যাটার্জিকে তিন বছরের কারাবাসের দণ্ড দেওয়া হয়। বিপ্লবীরা প্রত্যেকে সাজা কমানোর আবেদন করলেও একমাত্র রাজেন লাহিড়ির কারাবাসের সময় দশ বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করা ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে কোনো সাজা মকুব করা হয়নি। এই বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীনই ১৯২৬ সালের ২৮ মে ধ্রুবেশ চ্যাটার্জি এবং নিখিল ব্যানার্জি নিউ আলিপুর কেন্দ্রীয় জেলের মধ্যেই একটা লোহার তীক্ষ্ণ রড দিয়ে আই.বি অফিসার ভূপেন চ্যাটার্জিকে হত্যা করেন। এর ফলে ১৯২৬ সালের ৯ আগস্ট বিচারে অদ্ভুতভাবে নির্দোষ অনন্তহরি মিত্র, প্রমোদ চৌধুরি এবং বীরেন ব্যানার্জির ফাঁসি হয় আর বাকিদের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরে পাঠানো হয়।

বিচার চলাকালীন দৈনিক বসুমতী পত্রিকার ১২ নভেম্বর সংখ্যায় লেখা হয় যে একটি মাত্র বোমা আবিষ্কার করে পুরো বাড়িটিকে দক্ষিণেশ্বরের বোমা কারখানা বলে দেগে দেওয়া যায় না। এর পরেরদিন ১৩ নভেম্বর আনন্দবাজার পত্রিকায় লেখা হয় যে, যাতে সমস্ত দেশবাসী রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল না হয়, সেই জন্যেই সমস্ত বিচার প্রক্রিয়া গোপন রাখা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র


  1. DAKSHINESWAR BOMB CASE (1925-26) : A FORGOTTEN CHAPTER OF THE INDIAN NATIONAL MOVEMENT,
    GOUTAM NEOGI, Proceedings of the Indian History Congress, Vol. 57 (1996), pp. 527-535 (9 pages), Published By: Indian History Congress
  2. https://shodhganga.inflibnet.ac.in/
  3. https://ritambangla.com/
  4. https://ritambangla.com/

3 comments

আপনার মতামত জানান