ব্রিটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ব্রিটিশ পুলিশ এবং বিচারব্যবস্থার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল আলিপুর বোমা মামলা (Alipore Bomb Trial)। এই মামলা মানিকতলা বোমা মামলা নামেও পরিচিত। গুপ্ত বিপ্লবী সমিতির গেরিলা আক্রমণে গোটা বাংলার মাটি যেন ল্যাণ্ড-মাইনে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশদের কাছে। আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি আর বোমা তৈরির কৌশল শিখে অত্যাচারী, নৃশংস ব্রিটিশ পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটদের একেবারে পৃথিবী থেকে নিকেশ করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন ‘যুগান্তর’ দলের বিপ্লবীরা এবং এদের সকলের নেতা ছিলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। কিন্তু ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী এর আগে মুজফফ্রপুরে বোমা মেরে কিংসফোর্ড হত্যা করলে তার পর থেকেই খানা-তল্লাশি শুরু হয় পুলিশের আর তার ফলেই একদিন মানিকতলার মুরারিপুকুর রোডের বাগানবাড়িতে বোমার কারখানা আবিষ্কার করে। অভিযুক্ত সকলেই বন্দি হন, শুরু হয় ভারতের প্রথম রোমাঞ্চকর এক বৎসর-ব্যাপী দীর্ঘ ঐতিহাসিক আলিপুর বোমা মামলা।
১৯০৮ সালের ১৭ মে থেকে ১৯০৯ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩১ দিন যাবৎ আলিপুর উচ্চ আদালতে আলিপুর বোমার মামলা চলেছিল। মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হয়েছিল ১৯০৯ সালের ৬ মে তারিখে। মোট ৩৯ জন বিপ্লবী এই মামলায় অভিযুক্ত হন এবং ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে এই মামলার বিচারপতি ছিলেন মি. চার্লস পোর্টেন বীচক্রফ্ট। গুপ্ত হত্যার ষড়যন্ত্র, সম্মিলিতভাবে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিস্ফোরক তৈরির প্রচেষ্টা এই অভিযোগে ‘যুগান্তর’ দলের বিপ্লবী নেতা বারীন ঘোষ, তাঁর দাদা অরবিন্দ ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, হেমচন্দ্র কানুনগো, উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুধীর ঘোষ, বীরেন্দ্র নাথ সেন, বিভূতিভূষণ সরকার, অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য, শৈলেন্দ্রনাথ বসু, হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল, ইন্দুভূষণ রায়, পরেশ মৌলিক, শিশির কুমার ঘোষ, অশোক নন্দী, নলিনী কুমার গুপ্ত, শচীন্দ্র কুমার সেন, কুঞ্জলাল সাহা, বিজয় কুমার নাগ, নরেন্দ্রনাথ বক্সী, পূর্ণচন্দ্র সেন, নিরাপদ রায়, হেমেন্দ্র নাথ ঘোষ, নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, ধরণী নাথ গুপ্ত, বিজয়রত্ন সেনগুপ্ত, মতিলাল বসু, দীনদয়াল বসু, নরেন্দ্রনাথ গোস্বামী, কৃষ্টজীবন সান্যাল, সুশীল কুমার সেন প্রমুখের মতো মোট ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলার অগ্নিযুগের এক অগ্নিগর্ভ দলিল এই মামলা। বাংলার এখানে সেখানে যখন শত শত গুপ্ত সমিতি জেগে উঠছে, ব্রিটিশ পুলিশ ও অত্যাচারী অফিসারদের নিধনের যজ্ঞে সারা বাংলা যখন উত্তাল, ঠিক তখনই বোমার আমদানি সমগ্র বিপ্লবের মানচিত্রটাকে পালটে ফেলেছিল। হেমচন্দ্র দাস (কানুনগো) সুদূর ফ্রান্স থেকে বোমা তৈরির কৌশল শিখে এসে কলকাতার মানিকতলার কাছে ৩২ নং মুরারিপুকুর রোডের বাড়িতে গোপনে গড়ে তোলেন এক আস্ত বোমার কারখানা। আর সেখানে তৈরি হওয়া বোমা নিয়েই ক্ষুদিরাম দাস আর প্রফুল্ল চাকী হত্যার চেষ্টা করেন অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে, কিন্তু ব্যর্থ হন তারা। মুজফ্ফরপুরের সেই ঘটনার পর সারা বাংলা জুড়ে পুলিশের তল্লাশি শুরু হয়ে যায়। দুজনেই ধরা পড়েন। ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয় এবং প্রফুল্ল চাকী আত্মহত্যা করেন। বাংলায় বিপ্লবের প্রয়াসে, বোমা সন্ত্রাস তৈরি করে দিয়েছিল ইংরেজ সরকারের মনে। অন্যদিকে বারীন ঘোষের নেতৃত্বে ‘যুগান্তর দল’ও গেরিলা আক্রমণে ব্রিটিশদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে চাইছিল। এই দলের সদস্য ছিলেন উল্লাসকর দত্ত, হেমচন্দ্র কানুনগো, উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুধীর ঘোষ, বীরেন্দ্র সেন, বিভূতিভূষণ সরকার, অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য, শৈলেন্দ্রনাথ বসু, হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল, ইন্দুভূষণ রায় প্রমুখরা। তাঁদের আড্ডা বসতো ৩২ নং মুরারিপুকুর রোডের বাগানবাড়িটায়, আসলে আড্ডা ছিল বোমা তৈরির প্রয়াস আর বিপ্লবী আক্রমণের পরিকল্পনা প্রস্তুতি। ১৯০৯ সালের এক শুক্রবার গভীর রাতে এই বাড়িতেই হানা দেয় তৎকালীন পুলিশ সুপারিনটেণ্ডেন্ট ক্রেগান এবং তাঁর বিখ্যাত গোয়েন্দা বিনোদকুমার গুপ্ত সহ আরো পুলিশ। অরবিন্দ ঘোষের সমস্ত জিনিসপত্র এবং গোটা বাড়ি খানা-তল্লাশি করে বোমার কারখানা আবিষ্কার করেন তারা। বোমা তৈরি সংক্রান্ত একটি বইও পাওয়া যায় ঐ বাড়িতে যাতে পিকরিক অ্যাসিডের সাহায্যে বোমা তৈরির কৌশল বিশদে বর্ণিত ছিল। বইটিতে তিরিশটি ভিন্ন প্রকারের বোমা তৈরির কৌশল
বর্ণিত ছিল। এমনকি বোমার ভয়ে এতটাই ভীত ছিলেন তাঁরা যে ঋষি অরবিন্দের ঘরে এক তাল দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গা মাটি দেখেও তাঁদের বোমা বলে ভ্রম হয়েছিল। অরবিন্দ ঘোষের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন মোট আঠারোজন, শ্রী অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য, শৈলেন্দ্র বসু, বারীন ঘোষ, হেমচন্দ্র দাস (কানুনগো) এবং পরে সত্যেন বসু, কানাইলাল দত্ত প্রমুখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মানিকতলার বাড়ি থেকে পুলিশ প্রচুর অস্ত্র-বোমা-কার্তুজ, জাতীয়তাবাদী প্রচারপত্র বাজেয়াপ্ত করে। পরে রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিট, গোপীমোহন ধর লেন, হ্যারিসন রোড, কলেজ স্ট্রিট এবং শ্রীরামপুরের মতো কলকাতার আরো আটটি স্থানে পুলিশের চিরুনি-তল্লাশির ফলে আরো বহু বিপ্লবী গ্রেপ্তার হলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখ্য সুধীরচন্দ্র সরকার, হৃষীকেশ কাঞ্জিলাল, নরেন্দ্রনাথ গোস্বামী, দীনদয়াল বসু, নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, কানাইলাল দত্ত এবং হেমচন্দ্র দাস (কানুনগো) প্রমুখ যাদের সকলকেই প্রেসিডেন্সি আদালতের বিচারাধীনে ৫ মে তারিখে বন্দি করা হয়। মুরারিপুকুর রোডের বাগানবাড়ির পাশাপাশি ঐ রাত্রেই একইসঙ্গে ২৩ নং স্কট লেন, হেমচন্দ্র কানুনগোর বোমা-কারখানা ৩৮/৪ রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিট, যুগান্তর সমিতির বোমার গুদাম হিসেবে ১৫ নং গোপীমোহন দত্ত লেন, যুগান্তরের বইয়ের দোকান ৪ নং হ্যারিসন রোড, ৩০/২ হ্যারিসন রোড যেখানে দলের বিপ্লবীরা পরস্পরের সঙ্গে বার্তা প্রদান আর কার্যক্রমের পরিকল্পনা করার জন্য জড়ো হতেন আর ‘নবশক্তি’ পত্রিকার অফিসে খানাতল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করার পরে যে বয়ান আদায় করা হয় তাতে স্পষ্ট হয় যে যুগান্তর দলের সদস্যরা মোট পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত যার মধ্যে নারায়ণগড়ে ট্রেন বিস্ফোরণের প্রয়াস, মানকুণ্ডু আর চন্দননগরে রেলস্টেশন বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা এবং এর আগে মুজফ্ফপুর বোমার মামলা ছিল উল্লেখযোগ্য। বিপ্লবীদের প্রত্যেককে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ এ, ১২২, ১২৩ এবং ১২৪ ধারায় অভিযুক্ত সাব্যস্ত করা হয়। ১৭ মে, ১৯০৮ সালে মোট ৩৯ জন অভিযুক্তকে নিয়ে তৎকালীন চব্বিশ পরগণার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুখ্যাত মি. বার্লির আদালতে যে মামলা শুরু হয়, ইতিহাসে সেটিই আলিপুর বোমা মামলা বা মানিকতলা বোমা মামলা নামে সুপরিচিত।
বাংলার তৎকালীন গোয়েন্দাবিভাগের অধিকর্তা বাবু পূরণচন্দ্র বিশ্বাস এই মামলার তদন্ত করছিলেন এবং ১৭ মে তারিখে বিচারপতি বীচ্ক্রফ্টের সামনে আদালতে মামলা ওঠে। মামলার মুখ্য বিচারক ছিলেন স্যার লরেন্স জেনকিন্স। ঠিক এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ গোস্বামী রাজসাক্ষী হতে চাইলে তাঁকে যে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া হবে সেই সংবাদ সকলে পেয়ে যায়। নিরাপত্তার জন্য তাঁকে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা করে হিগনেস নামের এক ইউরোপীয় রক্ষীর পাহারায় রাখা হবে। আর মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের রাখা হয়েছিল ৪৪ ডিগ্রি ওয়ার্ডে যেখানে সাতফুট বাই পাঁচফুট মাপের খুপরি ঘরে আলো-বাতাসহীন পরিস্থিতিতে তাঁদের থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। এমনকি মলমূত্র ত্যাগের ব্যবস্থাও ছিল ঘরেরই ভিতর। এরপরে মামলা চলাকালীন জেলের ভিতরেই নরেন গোস্বামীকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন কানাইলাল দত্ত এবং সত্যেন বসু। নরেন গোস্বামীর মতো তাঁরাও রাজসাক্ষী হবার অনুমতি চাইলে তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় নরেন গোস্বামীর সেলে। ১৯০৮ সালের ৩১ আগস্ট সেই সেলের ভিতরেই কানাইলাল দত্ত গুলি চালান নরেনের বুকে। কিন্তু গুলি ব্যর্থ হয়, নরেন গোস্বামী ড্রেনে পড়ে যান চূড়ান্ত আহত হয়ে পালানোর সময়। কারারক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন কানাইলাল আর সত্যেন বসু। বিচারে দুজনের কেউই আত্মপক্ষ সমর্থন করতে চাননি। কারণ অরবিন্দ ঘোষের বিরুদ্ধে সবথেকে বড়ো প্রমাণ হিসেবে নরেন গোস্বামীর সাক্ষ্যকে তাঁরা নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলেন। ১০ নভেম্বর এবং ২১ নভেম্বর যথাক্রমে কানাইলাল আর সত্যেনের ফাঁসি হয়। এ প্রসঙ্গেই জেনে রাখা দরকার, জেলের কর্মীদেরই ঘুষ খাইয়ে বারীন ঘোষ জেলের ভিতরে রিভলবার আমদানি করেছিলেন। ব্রিটিশ পুলিশ এবং বিচারপতিরা ঠিক করেই রেখেছিলেন দলের মাথা অরবিন্দ ঘোষ সহ আরো দুই-তিনজনকে ফাঁসি দেওয়া হবে। ১৯০৯ সালের ৬ মে আলিপুর বোমা মামলার চূড়ান্ত রায় বেরোয়। রায়ে বারীন ঘোষ ও উল্লাসকর দত্তের মৃত্যুদণ্ড, দশজনের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর এবং সাতজনের দ্বীপান্তর সহ বিভিন্ন মেয়াদি কারাবাস ঘোষণা হয়। কিন্তু মামলার মোড় ঘুরে যায় ব্যারিস্টার চিত্তরঞ্জন দাশের সওয়াল-জবাবে।
চিত্তরঞ্জন দাশের বিপরীতে সরকারপক্ষের হয়ে মামলা লড়ছিলেন মাদ্রাজের বিখ্যাত ব্যারিস্টার ইয়ার্ডলি নর্টন। অরবিন্দ ঘোষের সঙ্গে চিত্তরঞ্জনের হৃদ্যতা ছিল। দীর্ঘ আটদিন ধরে চলা চিত্তরঞ্জন দাশের সওয়াল জবাবের ফলস্বরূপ শ্রী অরবিন্দ, বারীন ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত আর নগেন্দ্রনাথ গুপ্তের ফাঁসির দণ্ডাদেশ মকুব হয়ে যায়। মামলার বিচার চলাকালীন শ্রী অরবিন্দ ঘোষের পক্ষে চিত্তরঞ্জন দাশ আদালতে যে আপিল করেছিলেন এবং যে বক্তব্য রেখেছিলেন তা আজও প্রতিটি বাঙালির মনে স্মরণীয় হয়ে আছে। অরবিন্দ ঘোষ আর নগেন্দ্রনাথ গুপ্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়, কিন্তু বারীন ঘোষ আর উল্লাসকর দত্তের ফাঁসির আদেশ মকুব করে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরে পাঠানো হয়। ইতিহাসে এমন মোড় বদলকারী মামলার ঘটনা সত্যই বিরল।
এই অতি চাঞ্চল্যকর মামলা সে সময় জনমানসে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিল। কানাইলাল এবং সত্যেন বসুর ফাঁসির আদেশে সমগ্র বঙ্গদেশ জেলের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। কানাইলালের মৃতদেহ নেওয়ার জন্যে বহু চেষ্টা করেও সকলে বিফল হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে নাটককার ব্রাত্য বসুর কলমে এই মামলার অন্তর্ঘাত ও অন্তর্দ্বন্দ্বের কদর্যরূপ ফুটে উঠেছে ‘বোমা’ নাটকে। অরবিন্দ ঘোষ, বারীন ঘোষ, হেমচন্দ্র কানুনগো সহ আন্দামানে দ্বীপান্তরে থাকা মামলায় অভিযুক্ত প্রত্যেক বিপ্লবী পরে তাঁদের আত্মজীবনীতে এই মামলা ও আন্দামানে থাকাকালীন যে প্রবল অত্যাচার সহ্য করেছিলেন তাঁরা সেই বর্ণনা তুলে ধরেছেন। অরবিন্দ ঘোষের ‘কারাকাহিনী’, বারীন ঘোষের লেখা ‘ বারীন ঘোষের আত্মকথা’, তরুণ উল্লাসকর দত্তের ‘আমার কারাজীবনী’, হেমচন্দ্র দাশের লেখা ‘বাংলায় বিপ্লব প্রচেষ্টা’ ইত্যাদি বইগুলিতে প্রত্যেক বিপ্লবীর নিজ নিজ উপলব্ধি ও মতাদর্শ ফুটে উঠেছে। আশ্চর্যজনকভাবে বাংলার সেকালের বিপ্লবী অভ্যুত্থানের মধ্যেও যে বিভাজন ছিল, অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল, পারস্পরিক ঘৃণা ও ঈর্ষাপরায়ণতা ছিল তা এইসব আত্মজীবনীতে স্পষ্ট। ব্রাত্য বসুর নাটকেও ফিকশনের ঢঙে সেই গোপন অন্দরের কথাই ফুটে উঠতে দেখা যায়।
8 comments