জার্মানি বলতে অনেকের মনে পড়ে আইনস্টাইন, হিটলার, বিসমার্ক বা কালমার্ক্সের কথা। অনেকে বার্লিন পাঁচিলের কথা বলে। অনেকের কাছে অসাধারণ বিয়ার উৎপাদনের দেশ। কেউ দুর্গ আর রোমান সাম্রাজ্যেরও কথা বলেন। বিভিন্ন মানুষ জার্মানিকে চেনেন বিভিন্নভাবে। এই বিভিন্ন চেনার বাইরে দেশ হিসেবে জার্মানিকে আমরা জেনে নেব একটু।
ইউরোপ মহাদেশের একটি অন্যতম দেশ হল জার্মানি। উত্তরে ডেনমার্ক ও বাল্টিক সাগর, উত্তর পশ্চিমে উত্তর সাগর, দক্ষিণে সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া, দক্ষিণ পশ্চিমে ফ্রান্স, পূর্ব দিকে পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র এবং পশ্চিমে নেদারল্যান্ড্স, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ ঘিরে রয়েছে সমগ্র দেশটিকে।
জার্মানির রাজধানী হল বার্লিন। এটি দেশের বৃহত্তম এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর। অন্যান্য বড় শহরের মধ্যে হামবুর্গ আর মিউনিখ উল্লেখযোগ্য। আয়তনের বিচারে বিশ্বের ৬২তম এবং ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম দেশ।
জার্মানির মুদ্রার নাম ইউরো । ১ ইউরো সমান আমেরিকান ডলারে প্রায় ১.১৫ ডলার । আর ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮০ টাকা। জাতীয় ভাষা হল জার্মান। প্রায় সবাই এখানে জার্মান ভাষাতেই কথা বলে।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এ দেশের প্রায় সকলেই ছিল খ্রিস্টান। দেশের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান এবং বাকি এক ভাগ ক্যাথলিক খ্রিস্টান। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ছিল ইহুদী সম্প্রদায়। কিন্তু হিটলারের ইহুদী নিধন পর্বের (The Holocaust) পর দেশ প্রায় ইহুদীশূন্য হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন জার্মানি দুভাগে ভাগ হয়ে যায়, তখন পূর্ব জার্মানি আস্তে আস্তে নাস্তিক হয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে দুই জার্মানি আবার এক হয়ে গেলেও পূর্ব জার্মানিতে নাস্তিকতা প্রায় অক্ষুণ্ণই থাকে। এখন জার্মানিতে ৬০ শতাংশ খ্রিস্টান, ৩০ শতাংশ নাস্তিক এবং বাকি অন্যান্য ধর্মের।
দেশের শাসক রাষ্ট্রপতি। ভ্রমণের দিক থেকে জার্মানি পৃথিবীতে সপ্তম স্থান অধিকার করে আছে।
জার্মানি বিয়ারের বিশ্ববিখ্যাত। বিয়ারকে অনেকে জার্মানির জাতীয় পানীয় বলে। জার্মানরা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিয়ার পান করে থাকে।
22 comments