প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশেই কিছু দিবস পালিত হয়। ঐ নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরী করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারতে পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলির মধ্যেই একটি হল জাতীয় গ্রন্থাগারিক দিবস (National Librarian Day)।
প্রতি বছর ১২ আগস্ট সারা ভারত জুড়ে গ্রন্থাগার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ও যুব সম্প্রদায়কে গ্রন্থাগারমুখী করে তোলবার উদ্দেশ্যে ভারতে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ এস.আর.রঙ্গনাথনের জন্মদিনকে জাতীয় গ্রন্থাগারিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ইউনেস্কো’র মতে সাধারণ গ্রন্থাগার হল- পিপলস্ ইউনিভার্সিটি অর্থাৎ জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়।এই গ্রন্থাগার যে পড়াশোনা, গবেষণারও একটি বিষয় হতে পারে সেটি প্রথম যিনি দেখিয়েছিলেন তিনি এস.আর.রঙ্গনাথন বা শিয়ালী রামামৃতা রঙ্গনাথন। আজ গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের এই প্রাণপুরুষ এস.আর.রঙ্গনাথনের জন্মদিন। তার জন্মদিনটি সারা ভারতে জাতীয় গ্রন্থাগারিক দিবস (National Librarian Day) হিসেবে পালিত হয়।
শিয়ালী রামামৃতা রঙ্গনাথন.রঙ্গনাথন ১৮৯২-এর ১২ আগস্ট তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর জেলার শিয়ালী নামে একটি ছোট্ট গ্রামে জন্ম হয়। উনি ছিলেন গণিতজ্ঞ এবং একাধারে গ্রন্থাগারিক। উনিই প্রথম গ্রন্থাগারকে বৈজ্ঞানিক ভাবে পড়াশোনার একটি বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ওনার অবদান- গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের পাঁচটি নীতি এবং কোলন ক্লাসিফিকেশান সিস্টেম আনয়ন।১৯৭২ এর ২৭শে সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে এস.আর.রঙ্গনাথনের মৃত্যু বরণ করেন।
বাংলায় প্রথম গ্রন্থাগার দিবস পালিত হত – ২০শে ডিসেম্বরে। ১৯২৫ সালে ২০শে ডিসেম্বর কলকাতার অ্যালবার্ট হলে (বর্তমান কফি হাউস)একটি সম্মেলনে গঠন হয়- বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ। এই বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ। এর বেশ কিছু বছর পর ২০ ডিসেম্বর দিনটিকে বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ প্রথম গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালন করে। গ্রন্থাগার দিবসে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে স্মরণীয় — কুমার মণীন্দ্রদেব রায়, সুশীলকুমার ঘোষ, তিনকড়ি দত্ত, রাজেন্দ্রলাল মিত্র,ড. নীহাররঞ্জন রায়, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, প্রমীলচন্দ্র বসু, ফণীভূষণ রায় প্রমুখেরা।
2 comments