ভারতীয় ভাস্কর্য শিল্পের ইতিহাসে যাঁরা উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন ভাস্কর শঙ্খ চৌধুরী (Sankho Chaudhuri) তাঁদের মধ্যে নিঃসন্দেহে অন্যতম। আধুনিক ভারতীয় ভাস্কর্যের পরিবর্তিত দিগন্তে শান্তিনিকেতনের ছাত্র শঙ্খ চৌধুরীর গঠনমূলক কাজের প্রভাব অনস্বীকার্য। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের কৃতী ছাত্র এবং তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মানুষ ছিলেন শঙ্খ চৌধুরী। বিভিন্ন ধরনের নারী শরীর এবং বন্যপ্রাণী ছিল তাঁর শিল্পের মূল থিম। নানা রকম উপাদান এবং বিবিধ পদ্ধতির সাহায্যে ভাস্কর্য শিল্পে আজীবন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। ভারতবর্ষের প্রান্তিক উপজাতিদের শিল্প দ্বারা বিস্তর প্রভাবিত হয়েছিলেন তিনি। কখনও কখনও উপজাতিদের ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদানকে কাজে লাগিয়েছেন ভাস্কর্য নির্মাণের কাজে। ভারতবর্ষে যেমন ইউরোপেরও নানা প্রান্তের শিল্প-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। কেবল শিল্পী নন, একজন শিক্ষকও ছিলেন শঙ্খ চৌধুরী। বরোদার এম এস বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বেশ কিছু শিল্প-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। অল ইণ্ডিয়া রেডিও, বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠানে তাঁর সৃষ্টির নিদর্শন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বিদেশে অনুষ্ঠিত শিল্পসংক্রান্ত বিভিন্ন সম্মেলনে, অধিবেশনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন শঙ্খ। ভাস্কর্য শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করে।
১৯১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিহারের সাঁওতাল পরগণায় বিখ্যাত ভাস্কর শঙ্খ চৌধুরীর জন্ম হয়। তাঁর বাবা নরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী পাবনা জেলার এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করে ঢাকায় আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন শুরু করেছিলেন। শঙ্খ চৌধুরীর মা ছিলেন কিরন্ময়ী দেবী। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল নরনারায়ণ চৌধুরী, শঙ্খ ছিল তাঁর ডাকনাম। তাঁর দাদা শচীন চৌধুরী ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং ‘ইকোনমিক অ্যাণ্ড পলিটিক্যাল উইকলি’ সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। এছাড়াও কল্লোল যুগের বিখ্যাত লেখক মণীশ ঘটক এবং পরবর্তীকালের আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য কিংবা জ্ঞানপীঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল শঙ্খ চৌধুরীর। বিহারের প্রাচীন উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে জন্মানোর ফলে শৈশব থেকেই আদিবাসীদের জীবনচর্যা এবং শিল্পচর্চার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে এই উপজাতিদের শিল্পপদ্ধতি এবং উপকরণ তাঁর শিল্পের প্রধান অবলম্বন হিসেবে ফুটে উঠতে দেখা যায়। শঙ্খ চৌধুরী ছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের কনিষ্ঠ সন্তান। কৈশোরকালের কিছুদিন ঢাকায় কেটেছিল তাঁর।
পরবর্তীকালে পড়াশোনার জন্য তিনি চলে আসেন শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে। সেখান থেকে ১৯৩৯ সালে শিল্পকলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে পড়াশোনা করার সময় তিনি বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সংগঠিত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথের নির্দেশনায় নাটকে অভিনয়ও করেছিলেন শঙ্খ। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু চিত্রকর্ম এবং ভাস্কর্য শিক্ষা পুনরায় শুরু করার জন্য জেল থেকে মুক্তির পর শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন তিনি। পরবর্তীকালে ১৯৪৫ সালে শান্তিনিকেতনের কলাভবন থেকে ভাস্কর্যের ওপর ডিস্টিংশন সহযোগে ডিপ্লোমা অর্জন করেন তিনি। শান্তিনিকেতনে বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের অধীনে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ হয়েছিল তাঁর।
১৯৪০-এর দশকে ভাস্কর্য শিল্প আধুনিকতাবাদীদের হাতে খোল-নলচে পালটে ফেলতে শুরু করেছিল। ভাস্কর্য শিল্প তো বিশেষভাবেই নতুন কিছুর জন্যই উন্মুখ হয়ে ছিল এবং পুরাতন ভিক্টোরিয়ান যুগের শৈলী ভেঙে বেরোতে চাইছিল প্রাণপনে। ভাস্কররা নতুন মাধ্যম, নতুন শৈলীর সন্ধান করছিলেন নিয়ত এবং বিমূর্ততার দিকেও ঝুঁকে পড়ছিলেন। রামকিঙ্কর বেইজ এই সময়ের এই নবাগত ধারারই একজন উৎকৃষ্ট উদাহরণ। রামকিঙ্করের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শঙ্খ চৌধুরীও চেষ্টা করেছিলেন আধুনিক ভারতীয় ভাস্কর্যকে এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের স্মারক বা ওয়ার মেমোরিয়াল নির্মাণের জন্য তিনি রামকিঙ্করের সঙ্গে গিয়েছিলেন নেপালে। সেখানে গিয়ে নেপালের ধাতব ঢালাই পদ্ধতি শিখে এসেছিলেন তিনি। ১৯৪৬ সালে তাঁর প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল বম্বেতে। ১৯৪৯ সালে শিল্প অধ্যয়নের জন্য ইউরোপ ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। শঙ্খ প্যারিস এবং ইংল্যান্ডে কাজ করেছিলেন এবং ইতালি, সুইজারল্যাণ্ড, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যাণ্ডসের শিল্পকেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করেছিলেন। প্যারিসে থাকাকালীন বিখ্যাত শিল্পী ইস্তভান বিওথির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি এবং ভীষণভাবে তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হন।
শঙ্খ চৌধুরী প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন তাঁর ভাস্কর্য নির্মাণের ক্ষেত্রে। ভাস্কর্যের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করতেন কখনও মাটি, পোড়ামাটি, প্লাস্টার কখনও আবার সিমেন্ট, কাঠ, পাথর, তামা, পিতল কিংবা অ্যালুমিনিয়াম। এখানে উল্লেখ্য যে তাঁর স্ত্রী ইরা (Ira) নিজেও একজন বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী বা সিরামিসিস্ট (Cyramicist) ছিলেন। তাঁদের বাড়িতে শিল্পী এবং ছাত্রদের আনাগোনা লেগেই থাকত।
১৯৪৯ সালে এমএস ইউনিভার্সিটি অব বরোদার ভাস্কর্য বিভাগে প্রভাষক এবং প্রধান হিসেবে যোগদান করেন শঙ্খ চৌধুরী। ১৯৫৭ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন তিনি এবং ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এখানকার চারুকলা অনুষদের ডিন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলান। তাছাড়া তানজানিয়ার দার-ই-সালাম বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। ১৯৭৭-৭৮ সালে বিশ্বভারতীর অতিথি সদস্য (Visiting Fellow) হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি।
১৯৫২ সালে বম্বের ভারতীয় ভাস্কর সমিতির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক হয়েছিলেন শঙ্খ। ১৯৫৬ সালে ললিত কলা আকাদেমির সদস্য পদ লাভ করেছিলেন তিনি এবং ১৯৭৪ সালে এখানকার সম্মানীয় সম্পাদক পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন. পরবর্তীকালে তাঁকে চেয়ারম্যানের পদের জন্য আমন্ত্রণ করা হয় এবং সেই পদও অলঙ্কৃত করেছিলেন শঙ্খ চৌধুরী। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শিল্প সম্মেলনে এবং অধিবেশনে ভারতবর্ষের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন শঙ্খ চৌধুরী। ১৯৬২ সালে যুগোস্লাভিয়ায় ভাস্করদের আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ১৯৬৩ সালে মাকরানায় ললিত কলা আকাদেমির ভাস্করদের শিবিরের আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিলেন শঙ্খ। ১৯৬৪ সালে তিনি পোল্যাণ্ড ভ্রমণ করেছিলেন বক্তৃতার জন্য এবং আর্টিস্ট ইউনিয়নের অতিথি হিসেব রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে আরবি শিল্পীদের প্রথম প্রদর্শনী বা বিয়েনাল্লেতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ডার্লিংটনে রবীন্দ্রনাথের ওপর অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৮২ সালে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারেও অংশগ্রহণ করেন তিনি, সেখানে ভারতের উৎসবের উপর নানা বইয়ের একটি প্রদর্শনীও হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে বাগদাদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শিল্প উৎসবে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি এবং সেখানে জুরির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কোতে অনুষ্ঠিত ‘প্যারিস কনফারেন্স অন প্রিজারভেশন অফ ফোক লোর ট্র্যাডিশন’-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন শঙ্খ। ‘চাইনিজ পিপলস-সোসাইটি ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রি’র আমন্ত্রণে চিনে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শঙ্খ। এছাড়াও বুখারেস্ট, অসলো, লিলেহ্যামারে, কোপেনহেগেন প্রভৃতি জায়গার মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন তিনি। ইউনেস্কোর স্পনসর করা ভেনিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেমন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তেমনি অতিথি সদস্য হিসেবে সফর করেছিলেন জাপান এবং পরবর্তীকালে ইন্দোনেশিয়াতেও গিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭৬-৭৭ সালে ললিত কলা আকাদেমির জন্য গরহিতে একটি আর্টিস্টস স্টুডিও গড়ে তুলেছিলেন শঙ্খ চৌধুরী। সেখানে শিল্পীরা তাঁদের ধারণা, মিডিয়াম এবং ফর্ম নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারতেন। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ‘মিউজিয়াম অফ ম্যান’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। শঙ্খ চৌধুরীর ভাস্কর্যের বিষয় হিসেবে সাধারণত দেখা যায় নারী শরীর এবং বন্যপ্রাণী। তাঁর কাজগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল ‘ফিগার অফ আ উওম্যান’, ‘নিউড’, ‘মাদার অ্যাণ্ড চাইল্ড’, ‘লেডি উইথ ক্যাকটাস’, ‘ডাক’, ‘বার্ড’, মোনা বেন্দ্রের ভাস্কর্য, অনেকগুলি দণ্ডায়মান নারীমূর্তি যেগুলি মূলত স্ট্যান্ডিং ফিগার নামে পরিচিত। এছাড়াও ১৯৫৭ সালে তিনি নিউ দিল্লির অল ইন্ডিয়া রেডিওর জন্য ‘মিউজিক’ শিরোনামের ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৫৮ সালে বরোদা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যালেম্বিক কেমিক্যাল লিমিটেডের জন্য ম্যুরাল তৈরি করেছিলেন শঙ্খ। ১৯৬৪ সালে মহাত্মা গান্ধীর বিখ্যাত ব্রোঞ্জ মূর্তি নির্মাণ করেন তিনি, যা বর্তমানে রিও ডি জেনেরিওতে রয়েছে। ১৯৬৭-৬৮ সালে বরোদার জ্যোতি লিমিটেডের জন্য স্টিলের ঘূর্ণায়মান ভাস্কর্য এবং ১৯৭৬ সালে ভারত সরকারের অনুমোদনে বিশ্বব্যাঙ্কের জন্য পিতলের ভাস্কর্যও নির্মাণ করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে কোপেনহেগেনের জন্য মহাত্মা গান্ধীর ব্রোঞ্জ মূর্তি এবং ১৯৮৭ সালে ইউনিসেফের জন্য মার্বেলের ভাস্কর্য তৈরি করেছিলেন শঙ্খ চৌধুরী। ১৯৬০-এর দশকে খান আব্দুল গফফর খানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁর। তখন গফ্ফর খানের একটি আবক্ষ মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। ১৯৭৯ সালে বম্বেতে স্ত্রী ইরার সঙ্গে একটি যৌথ প্রদর্শনী করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ‘ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট’, নয়াদিল্লির ‘এল টি জি গ্যালারি’, বম্বের ‘সাইমরোজা আর্ট গ্যালারি’, বরোদার ‘সারজন আর্ট গ্যালারি’ প্রভৃতি জায়গায় শঙ্খ চৌধুরীর কাজের প্রদর্শনী হয়েছিল।
ভাস্কর্য শিল্পে অবদানের জন্য আজীবন বহু পুরস্কার ও উপাধি অর্জন করেছিলেন শঙ্খ। ১৯৫৬ সালে ললিত কলা আকাদেমির জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে ফিলিপাইনসের সেন্ট্রাল এসকোলার ইউনিভার্সিটি তাঁকে সম্মানীয় ডি.লিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৭৯ সালে বিশ্বভারতীর ‘অবন-গগন পুরস্কার’-এ সম্মানিত করা হয় শঙ্খ চৌধুরীকে। ১৯৮২ সালে ললিত কলা আকাদেমির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৭ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানীয় ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৯৮ সালে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে ‘দেশিকোত্তম’ (ডক্টরেট) উপাধি লাভ করেন তিনি। এছাড়াও ২০০০ সালে কালিদাস সম্মান, ২০০২ সালে আদিত্য বিড়লা কালা শিখর পুরস্কার, ২০০৪ সালে ললিত কলা আকাদেমি প্রদত্ত ‘ললিত কলা রত্ন’, ২০০৪ সালে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রভৃতি পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন তিনি। সর্বোপরি ভারত সরকার তাঁকে ভাস্কর্য শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭১ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে সম্মানিত করে।
২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট ৯০ বছর বয়সে দিল্লীতে শঙ্খ চৌধুরীর মৃত্যু হয়।
এই ধরণের তথ্য লিখে আয় করতে চাইলে…
আপনার নিজের একটি তথ্যমূলক লেখা আপনার নাম ও যোগাযোগ নম্বরসহ আমাদের ইমেল করুন contact@sobbanglay.com এ
তথ্যসূত্র
- https://peoplepill.com/
- https://www.thehindu.com/
- https://www.veethi.com/
- https://en.wikipedia.org/
- https://dagworld.com/
- https://www.christies.com/
- https://www.telegraphindia.com/
- https://www.indiatoday.in/
