বিদ্যা জৈন হত্যা মামলা

বিদ্যা জৈন হত্যা মামলা

ভারতবর্ষে বিচারের ইতিহাস ঘাঁটলে এমন অনেক হত্যাকান্ড-কেন্দ্রিক মামলার হদিশ পাওয়া যাবে, যার সঙ্গে সমাজের উচ্চকোটির সুপরিচিত মানুষদের নাম জড়িত। দিল্লির বিদ্যা জৈন হত্যা মামলাকেও সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কারণ এই মামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরির ডাক্তার এবং দিল্লির একজন সুপরিচিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনএস জৈন। তদন্তের ফলে জানা গিয়েছিল ডাক্তার জৈন নিজের সচিব চন্দ্রেশ শর্মার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত একটি সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এই সম্পর্কের যে পথের কাঁটা ডাক্তার জৈনের স্ত্রী বিদ্যা জৈন, তাঁকে হত্যা করতে ভাড়া করা গুন্ডার সহায়তা নিয়েছিলেন চন্দ্রেশ এবং ডাক্তার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে তদন্ত এবং মামলা চলেছিল তা বিদ্যা জৈন হত্যা মামলা নামে পরিচিত। এই মামলাটি দিল্লি হাইকোর্টে চলেছিল দীর্ঘদিন। শেষে উক্ত দুই প্রধান ষড়যন্ত্রকারী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত হয়েছিলেন।

১৯৭৩ সালের ৪ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির ডিফেন্স কলোনীতে সন্ধ্যাবেলায় দুজন আততায়ীর অজস্র ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছিল ডাক্তার এনএস জৈনের স্ত্রী বিদ্যা জৈনের। খুনের দিন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ নাগাদ ডাক্তার বাড়ি ফিরে আসেন এবং একই পাড়াতে বসবাসকারী তাঁর বোনের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে  স্ত্রীকে তৈরি হয়ে নিতে বলেন। তাঁদের ফিয়াট গাড়িটি তখন পার্ক করা ছিল পাশের ডি-২৯২ নম্বর বাড়ির গেটের কাছে। কিছুক্ষণ পর দুজন বেরিয়ে আসেন বাড়ির বাইরে। গাড়ির কাছে পৌঁছে দরজা খোলার জন্য গাড়ির ডানদিকে চলে যান ডাক্তার জৈন এবং বিদ্যা যান বামদিকে। কিন্তু গাড়ির দরজা খোলার আগেই দেখেন বামদিকে স্ত্রীকে আর দেখা যাচ্ছে না এবং স্পষ্ট এক ধস্তাধস্তি টের পান তিনি। দ্রুত সেদিকে যেতেই নর্দমার প্রায় ভিতর থেকে এক ব্যক্তি লাফিয়ে বাইরে আসে এবং রিভলবার ডাক্তারের দিকে উ়ঁচিয়ে ধরে তাঁকে বিমূঢ় করে দিয়ে অন্য আরেকজন সঙ্গীর সঙ্গে দৌঁড়ে পলায়ন করে।
অন্যদিকে নর্দমার ভিতরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন বিদ্যা জৈন। তৎক্ষনাৎ ঠাকুর রাম সিং, তাঁর স্ত্রী কিরণ বাই এবং ডাক্তারের ভৃত্যদের সহায়তায় ড্রেন থেকে বের করে আনা হয় বিদ্যাকে। প্রথমে বাড়ির বারান্দায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় বিদ্যার। বিলম্ব না করে ডাক্তার জৈন আহত স্ত্রীকে গাড়িতে তুলে তিলক ব্রিজের কাছে ডাক্তার সেনের নার্সিংহোমে নিয়ে যান। ৭টা ৪৫ মিনিটে বিদ্যাকে গাড়ি থেকে নামানো হলে তাঁকে পরীক্ষা করে ডাক্তার সেন বিদ্যাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাক্তার সেন এনএস জৈনের শ্যালক জেনারেল ভেরিন্দর সিংকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এছাড়াও রিসেপশনিস্টকে নির্দেশ দেন, ফোনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। জেনারেল ভেরিন্দর সিং নার্সিং হোমে পৌঁছোন এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর, ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ও তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব মিঃ গোবিন্দ নারায়ণ সহ আরও কয়েকজনকে ফোন করেন। ৮.২২ মিনিটে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বিদ্যা জৈন হত্যাকান্ডের কথা জানান তিনি। এই তথ্যটি কন্ট্রোল রুম থেকে সোজা ডিফেন্স কলোনীর পুলিশ স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রথমে ভুলবশত বাড়ির নম্বর সঠিক না দেওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থল খুঁজে বের করতে পারেনি। তারপর রাত ৯টা ২০ নাগাদ কন্ট্রোল রুম থেকে ডিফেন্স কলোনীর পুলিশ স্টেশনে আরেকটি বার্তা গিয়েছিল সঠিক বাড়ির নম্বরসহ। থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং কয়েকজন চলে যায় ডাক্তার সেনের নার্সিংহোমে। রাত সাড়ে দশটার সময় ডাক্তার জৈনের বিবৃতি রেকর্ড করা হয় এবং ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করার জন্য তা ডিফেন্স কলোনীতে পাঠানো হয়েছিল।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

সেসময় ডিফেন্স কলোনী পুলিশ স্টেশনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন ইন্সপেক্টর দাইজিত সিং। তিনি ইন্সপেক্টর রাম মেহরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরদিন অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর সকাল এগারোটায় ডাক্তার ভারত সিং বিদ্যা জৈনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছিল। সেই ডাক্তারের মতে প্রায় ১৫টি আঘাতের মধ্যে ১৪টি আঘাত ছুরির সাহায্যে করা হয়েছিল।

এই হত্যাকান্ডের তদন্ত সঠিকভাবে শুরু হওয়ার পর তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, যে, এই হত্যার পিছনে কোনো চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্য ছিল না। এই হত্যাটি যে পূর্বপরিকল্পিত ছিল, এবং হত্যাকারী আততায়ী যে দুজন ছিলেন সেবিষয়েও নিশ্চিত হয়েছিলেন তদন্তকারীর দল। এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ডাক্তার জৈনের সামনে হলেও আততায়ীরা যে ডাক্তারের কোনো ক্ষতি করেনি, এবং হত্যার পর তাঁরা পালিয়ে গেলেও যে তাঁদের ধাওয়া করে যাননি ডাক্তার, এই ব্যপারগুলি থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। ৬ ডিসেম্বর চাঁদনি চকের কুচা মহাজানিতে ডাক্তার জৈনের চেম্বারে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ডাক্তার এবং চন্দ্রেশ শর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অবশেষে ৯ ডিসেম্বর ডাক্তার জৈনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দু-একদিন পর গ্রেপ্তার হন চন্দ্রেশ শর্মা। এছাড়াও পুলিশ তদন্ত চালিয়ে, রাকেশ কৌশিক, কল্যাণ, ভগীরথ, উজাগর সিং এবং কর্তার সিংকেও গ্রেপ্তার করেছিল।

অনেক জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তের ফলে জানা যায় ১৯৬০ সালে চন্দ্রেশ বিধবা হয়েছিলেন এবং তখন তাঁর বয়স ছিল কুড়ি বছর। পরে ১৯৬৭ সালের প্রথমদিকে ডাক্তার জৈনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেবছরই ১ এপ্রিল ডাক্তার জৈন চন্দ্রেশকে তাঁর সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। এরমধ্যে মিসেস বিদ্যা জৈন তাঁর স্বামী এবং চন্দ্রেশের ঘনিষ্ঠতার আঁচ পেয়েছিলেন এবং চন্দ্রেশকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিতে জোর করেছিলেন স্বামীকে। এরপর চন্দ্রেশ ১৯৬৭ সালের ২ মে কোঠারি এন্ড অ্যাসোসিয়েটসে কাজ করবার জন্য প্রবেশ করেন এবং ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কাজ করেন সেখানে। যদিও ডাক্তার জৈন চন্দ্রেশকে সেক্রেটারি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন নিতান্তই স্ত্রী-এর সন্দেহ প্রশমিত করবার জন্য। এটা ছিল ডাক্তার জৈনের একটা ছল। চন্দ্রেশকে একটি বাড়িও দিয়েছিলেন ডাক্তার জৈন এবং নিয়মিত চেকে টাকা পাঠাতেন তাঁকে। চন্দ্রেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রয়োজন স্ত্রী বিদ্যা জৈনের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ। কিন্তু ডাক্তার জৈন রাজধানীর উচ্চকোটির অভিজাত সমাজের একজন গণ্যমাণ্য মানুষ, তাই বিবাহবিচ্ছেদের ফলে উপস্থিত কেলেঙ্কারি তাঁর ভাবমূর্তিতে কলঙ্ক লেপে দিতে পারে, এই চিন্তা থেকেই সেপথে না গিয়ে চন্দ্রেশ এবং ডাক্তার ঠিক করেছিলেন যে, বিদ্যা জৈনকে সরিয়ে দিলে আর ঝামেলা থাকে না কোনো, তাই এই হত্যার পরিকল্পনা। এই কাজের জন্য প্রথম চন্দ্রেশ রাকেশ কৌশিকের সঙ্গে দেখা করেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল ভগীরথ, কল্যাণ, রামজী, উজাগর এবং কর্তারের। তদন্তে জানা যায় হত্যার সময় চন্দ্রেশও উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যা জৈনকে হত্যা করার জন্য ট্রায়াল কোর্ট ডক্টর এনএস জৈন, চন্দ্রেশ শর্মা, রাকেশ কৌশিক, ভগীরথ, কল্যাণ গুপ্ত, কর্তার সিং এবং উজাগর সিংকে ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০ (আইপিসি) এর ১২০বি ধারার অধীনে অভিযুক্ত করেছে। কর্তার এবং উজাগরের কাছ থেকে পিস্তল, কার্তুজ এবং ছুরি উদ্ধার হওয়ার কারণে অস্ত্র আইনের ২৭ ধারায় তাঁদের আলাদা করে বিচার করা হয় এবং কর্তার ও উজাগরকে যথাক্রমে দুই ও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দায়রা বিচারক কল্যাণ এবং ভগীরথকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে যদিও আপিল করে মুক্তি পেয়ে গিয়েছিলেন কল্যাণ।
ডাক্তার জৈনের আইনজীবী মিঃ বি বি লাল দাবি করেছিলেন যে, এত বছর ধরে চন্দ্রেশের সঙ্গে সম্পর্কের ফলে কাঙ্খিত তৃপ্তিলাভের পর হঠাৎ চন্দ্রেশকে বিবাহ করার জন্য ডাক্তারের এক বিধ্বংসী আকাঙ্ক্ষা জন্মাবে এবং তিনি স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করবেন, এটি ঠিক যুক্তিযুক্ত নাও হতে পারে। চন্দ্রেশের আইনজীবী মিঃ এ এন মুল্লাও জোর দিয়ে বলেন যে, চন্দ্রেশ এবং ডাক্তার জৈনের সম্পর্ক নিয়ে ১৯৬৭-এর এপ্রিল থেকেই বিরক্তি এবং বিরোধিতা শুরু হয় বিদ্যার৷ কিন্তু চন্দ্রেশ কখনও বিদ্যা জৈনের ক্ষতি করার মতো কিছু করেননি। চন্দ্রেশের পক্ষ থেকে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যাতে শত্রুতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বিদ্যা জৈনকে হঠাৎ হত্যার জোরালো কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না চন্দ্রেশের।

বিদ্যা জৈন হত্যা মামলা র দায়িত্বে ছিলেন ভি মিশ্র এবং এম জোশী। হাইকোর্ট বলেছিল, এমন নয় যে একজন অভিযুক্তকে স্রেফ অপরাধের উদ্দেশ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই দোষী সাব্যস্ত করা যায়, তবে এটি অবশ্যই অপরাধের প্রমাণ বহন করতে সহায়তা করেন। এছাড়াও একজনের কাছে কোনো বিষয়কে গৌণ বলে মনে হলেও অন্যের কাছে সেটাই সবচেয়ে জঘন্য অপরাধটি করার জন্য যথেষ্ট মনে হতেই পারে। দিল্লি হাইকোর্ট এবিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় যে, চন্দ্রেশ এবং ডাক্তার জৈনের সম্পর্ক মোটেই ক্ষণস্থায়ী বা অগভীর ছিল না। দীর্ঘ তদন্ত, সওয়াল জবাব তথ্যের যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করে আদালত একটা বিষয়ে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, হত্যাকান্ডটির সময়ে ডাক্তার জৈন ছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রেশ এবং রাকেশ। সর্বোপরি তাঁরা প্রত্যেকেই হত্যা-পরিক

অভিনিবেশ সহকারে পর্যবেক্ষণের পরে দিল্লি হাইকোর্ট গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্তব্য রেখেছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, এই বিদ্যা জৈন হত্যা মামলার দায়িত্বে ছিলেন ভি মিশ্র এবং এম জোশী। হাইকোর্ট বলেছিল, এমন নয় যে একজন অভিযুক্তকে স্রেফ অপরাধের উদ্দেশ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই দোষী সাব্যস্ত করা যায়, তবে এটি অবশ্যই অপরাধের প্রমাণ বহন করতে সহায়তা করেন। এছাড়াও একজনের কাছে কোনো বিষয়কে গৌণ বলে মনে হলেও অন্যের কাছে সেটাই সবচেয়ে জঘন্য অপরাধটি করার জন্য যথেষ্ট মনে হতেই পারে। দিল্লি হাইকোর্ট এবিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় যে, চন্দ্রেশ এবং ডাক্তার জৈনের সম্পর্ক মোটেই ক্ষণস্থায়ী বা অগভীর ছিল না। দীর্ঘ তদন্ত, সওয়াল জবাব তথ্যের যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করে আদালত একটা বিষয়ে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, হত্যাকান্ডটির সময়ে ডাক্তার জৈন ছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রেশ এবং রাকেশ। সর্বোপরি তাঁরা প্রত্যেকেই হত্যা-পরিকল্পনার নেপথ্যের মূল কাণ্ডারিও ছিলেন। আদালত বলেছিল উক্ত তিনজন দোষী অবশ্যই কারণ তাঁরা বিদ্যা জৈনের মৃত্যু কামনা করেছিল এবং সেইমতো পরিকল্পনাও করেছিল কিন্তু কর্তার ও উজাগরের অপরাধ এঁদের প্রত্যেকের তুলনায় অনেক বেশী। কারণ হত্যার পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে তারা দুজন হাত না লাগালে এই ঘটনাটিই ঘটত না। ফলে রাকেশ, ডাক্তার জৈন এবং চন্দ্রেশকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয় কিন্তু মূল হত্যাকারী কর্তার এবং উজাগরকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে তা বদলে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক ষড়যন্ত্রকারী সে তারা নিজে হাতে অপরাধ-কার্য সমাধা করুক বা না করুক, সমান দোষে দোষী—দেশের সাধারণ আইন একথাই বলে। তাই তিনজনের যাবজ্জীবন এবং একই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত দুজন যারা মূল কার্যটি সমাধা করেছিল, তাদের মৃত্যুদন্ড দান, আদালতেের এইরূপ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু এই মামলাটি নিঃসন্দেহে ভারতীয় বিচারের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য একটি অধ্যায় হয়ে থাকবে।

আপনার মতামত জানান