সুশ্রুত

সুশ্রুত

আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান অস্ত্রোপচারবিদ্যায় যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি এবং সাফল্য লাভ করেছে তার সূচনা করেছিলেন প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাবিজ্ঞানী সুশ্রুত (Sushruta)। তাঁকে ‘শল্যচিকিৎসার জনক’ এবং ‘ভারতীয় ঔষধশাস্ত্রের জনক’ বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। সেই অরণ্যসঙ্কুল ভারতবর্ষের বুকে দাঁড়িয়ে মানব শরীর অধ্যয়ন, রোগ নির্ণয় এবং সর্বোপরি দেহ ব্যবচ্ছেদের পর অস্ত্রোপচারের মতো জটিল বিষয়ের জ্ঞানার্জন ও সফল প্রয়োগ কীভাবে করতে পেরেছিলেন সুশ্রত তা আজও এক বিস্ময়। আমরা বর্তমানে যাকে প্লাস্টিক সার্জারি বলে জানি, সেটিরও জনক বলা হয় সুশ্রুতকে। শল্যচিকিৎসার উপর বিশ্বের প্রাচীনতম গ্রন্থগুলির একটি হল তাঁর লেখা ‘সুশ্রুত সংহিতা’। এই বৃহৎ গ্রন্থে প্রায় ১৮৪টি অধ্যায়, ১১২০টি অসুখের বিবরণ এবং ৭০০টি ঔষধি গাছের হদিশ দেওয়া আছে। সুশ্রুতেরর যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্তমানে ‘রাইনোপ্লাস্ট’ নামে খ্যাত নাক-মেরামতির এক চিকিৎসা। এছাড়াও মৃত ভ্রূণ অপসারণ, লিথোটমি, দাঁত নিষ্কাশন, প্রোস্টেট গ্রন্থি অপসারণ ইত্যাদি আরও নানাবিধ অস্ত্রোপচারের কৌশল তিনি আয়ত্ত করেছিলেন এবং পথ দেখিয়েছিলেন আগামী চিকিৎসাশাস্ত্রকে। তাঁর গ্রন্থ কেবল ভারতবর্ষে নয়, ভারতের বাইরে, আরবে, কম্বোডিয়ায়, ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল। লাতিন, ইংরেজিসহ আরও নানা ভাষায় তাঁর মহামূল্যবান গ্রন্থটির অনুবাদ হয়েছিল।

আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম বা ষষ্ঠ শতাব্দীতে গঙ্গা তীরবর্তী কাশী শহরের (বর্তমানে বারাণসী) ফেভঘাট অঞ্চলে সুশ্রুতের জন্ম হয় বলে পণ্ডিতেরা মনে করেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুবই কম তথ্যের সন্ধান মেলে। তার একটা প্রধান কারণ ঐতিহাসিকেরা কিংবা গবেষকেরা সুশ্রুতের চিকিৎসা কৌশল এবং প্রয়োগের প্রতি সমস্ত মনোযোগ দেওয়ার ফলে ব্যক্তিমানুষটি সম্পর্কে তথ্যগুলি অন্ধকারেই থেকে গেছে। মহাভারতে উল্লিখিত সুশ্রুতের সঙ্গে আমাদের বর্তমান আলোচ্য সুশ্রুতের মিল আছে বলে মনে করেন না অনেক গবেষক। কিন্তু দুজনেই যদি এক হন, তবে মহাভারত অনুসারে সুশ্রুতের বাবা ছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র। এও বলা হয় যে, বিশ্বামিত্র যে বংশের মানুষ ছিলেন সেই বংশের নাম সুশ্রুত। গবেষকদের গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে, প্রাচীনকালে সুশ্রুত নামে একাধিক লেখক ছিলেন। পণ্ডিতরা আশঙ্কা করেন সুশ্রুতের গ্রন্থের মধ্যে অনেক লেখকের রচনার সংমিশ্রণ ঘটেছে। বোয়ার পান্ডুলিপিতে সুশ্রুতকে হিমালয়ে বসবাসকারী দশজন ঋষির একজন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। আপাতত অনেক মতামত এবং গবেষণার দৌলতে এটুকু অনেকেই মেনে নেন যে সুশ্রুত নামের কোনও মহাপণ্ডিত ঋষিবর উত্তর ভারতের গঙ্গা তীরবর্তী কাশী শহরে বসে চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা করতেন। কিংবদন্তি অনুসারে দেবতারা তাঁদের চিকিৎসার অন্তর্দৃষ্টি মহান চিকিৎসক ধন্বন্তরীকে প্রদান করেছিল। ধন্বন্তরী সেটি তাঁর অনুচর বেনারসের রাজা দিভোদাসকে প্রদান করেন এবং দিভোদাসের কাছ থেকে তা লাভ করেন সুশ্রুত।

অস্ত্রোপচারের অনুশীলন সুশ্রুতের সময়ে যে একেবারেই ছিল না তা নয়। তবে কিনা তাঁর অনুশীলনের তুলনায় সেসব ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। সুশ্রুত উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের কৌশল তৈরি করেছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘সুশ্রুত সংহিতা’ নির্দেশ দেয়, একজন শল্যচিকিৎসকের কীভাবে চিকিৎসাকার্যে এগিয়ে যাওয়া উচিত। সামগ্রিকভাবে চিকিৎসা করার নানা নির্দেশিকা এই গ্রন্থ-মধ্যে ছড়িয়ে রেখেছেন তিনি। আরেক চিকিৎসাবিদ্যার পণ্ডিত চরকের অনুসরণ করে তিনি বলেছিলেন শরীরের ভারসাম্যহীনতার কারণেই রোগের জন্ম হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করা এবং ভারসাম্য নষ্ট হলে তা পুনরুদ্ধার করাই হল চিকিৎসকের একমাত্র কর্তব্য। ‘সুশ্রুত সংহিতা’র বর্তমান যে আকারটি লক্ষ্য করা যায় তাতে সর্বমোট ১৮৪টি অধ্যায় রয়েছে। এই গ্রন্থে ১১২০টি অসুখ, ৭০০টি ঔষধি গাছ, খনিজ থেকে উৎপন্ন ৬৪টি ও প্রাণীজ উৎস থেকে প্রাপ্ত ৫৭টি ঔষধপ্রণালীর বিবরণ, ৩০০টি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, ১২১টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচারের যন্ত্র এবং ২৭টিরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন জ্বরের উল্লেখ পাওয়া যাবে। গ্রন্থটির দুটি ভাগ, পূর্বতন্ত্র এবং উত্তরতন্ত্র। সুশ্রুতের এই গ্রন্থ আয়ুর্বেদিক ট্রিলজির মধ্যে অন্যতম একটি। বাকি দুটি গ্রন্থ হল ‘চরক সংহিতা’ এবং ‘অস্তাঙ্গ হৃদয়’। সুশ্রুতের এই গ্রন্থ প্রাচীন ভারতের অস্ত্রোপচার সম্পর্কিত জ্ঞানের একটি প্রধান উৎস।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

বর্তমানে যাকে আমরা প্লাস্টিক সার্জারি বলে জানি, তাও সুশ্রুতের হাতেই বিকাশলাভ করেছিল। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি চিকিৎসাপদ্ধতির মধ্যে ‘রাইনোপ্লাস্টি’ ছিল অন্যতম। আসলে প্রাচীনকালে ভারতীয় সমাজে নাক ছিল মর্যাদা এবং সম্মানের প্রতীক। সেকারণেই তখন অপরাধী, যুদ্ধবন্দী এবং ব্যাভিচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের নাক কেটে শাস্তি দেওয়া হত। সুতরাং এই নাকের যত্ন প্রাচীন ভারতীয় সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল। এই নাকের প্রসাধনী চেহারা উন্নত করতে, অনেক সময় বিচ্ছিন্ন নাক পুনর্গঠনের জন্য কপাল থেকে চামড়া নিয়ে একটি ফ্ল্যাপ তৈরির হদিশ সুশ্রুতই প্রথম দিয়েছিলেন। আজও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে এবং এটিই রাইনোপ্লাস্টি নামে পরিচিত। নাক ছাড়াও গালের প্লাস্টিক সার্জারিতেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সুশ্রুত মানবদেহ ব্যবচ্ছেদের পর সেলাইয়ের জন্য পিঁপড়ের মাথা ব্যবহার করেছিলেন।

চিকিৎসার সময় নেশার পানীয় পান করিয়ে রোগীকে নেশাগ্রস্ত করে দিয়ে নীচু কাঠের টেবিলের সঙ্গে তাঁকে বেঁধে অপারেশনের কাজ শুরু করার মতো পদ্ধতিকে উৎসাহিত করেছিলেন সুশ্রুত। এই আমাদের আধুনিক অ্যানাস্থেশিয়ার প্রাচীনতম বীজ। পৃথিবীর আর কোনও দেশে অ্যানাস্থেশিয়ার পদ্ধতি লিপিবদ্ধ আকারে খুঁজে পাওয়া যায় না। সেদিক থেকে সুশ্রুতকে অ্যানাস্থেশিওলজির জনকও বলা যেতে পারে। বর্তমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ডায়াবেটিস রোগটিকেও চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন সুশ্রুত এবং তার নাম দিয়েছিলেন মধুমেহ রোগ। এর নিরাময়ের জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সুশ্রুত হারানো চুলের বৃদ্ধি এবং অবাঞ্ছিত লোম অপসারণের ব্যবস্থাও নির্ধারণ করেছিলেন। এছাড়াও শিশুরোগ, মনোরোগ, জেরিয়াট্রিক্স ইত্যাদি চিকিৎসাতেও সুশ্রুত ছিলেন সিদ্ধহস্ত।

মধ্যযুগীয় ভারতের শল্যচিকিৎসাকে এক উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন সুশ্রুত। সেসময়টিকে শল্যচিকিৎসার স্বর্ণযুগ বললেও অত্যুক্তি হবে না। প্রাচীন অস্ত্রোপচার বিজ্ঞান ‘শল্যতন্ত্র’ নামে পরিচিত।  শল্য অর্থাৎ ভাঙা তীর বা অস্ত্রের ধারালো অংশ এবং তন্ত্রের অর্থ কৌশল। ‘সুশ্রুত সংহিতা’য় শল্য চিকিৎসা বিষয়ে সুশ্রুতের জ্ঞান এবং অনুশীলনের বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। সুশ্রুত যে আটটি শিরোনামের মাধ্যমে শল্য চিকিৎসাকে ব্যাখা করেছিলেন সেগুলি হল চেদ্যা, লেখ্যা, ভেদ্য, এস্যা, অহর্য, শ্রয় এবং শিব্য। এছাড়াও বিভিন্নরকম ত্রুটির জন্য পুনর্গঠনের পদ্ধতিও বর্ণনা করেছেন তাঁর গ্রন্থে। সুশ্রুত তাঁর গ্রন্থে বারো ধরনের ফ্র্যাকচার এবং ছয় ধরনের স্থানচ্যুতি বা ডিসলোকেশনের চিকিৎসার গভীর বিবরণ দিয়েছিলেন। তিনি যে ছয় ধরনের দুর্ঘটনাজনিত আঘাতের বর্ণনা দিয়েছিলেন সেগুলি হল চিন্না, ভিন্না, বিদ্ধ প্রাণ, ক্ষত, পিচ্চিটা এবং ঘ্রষ্টা। সুশ্রুত চিকিৎসায় অস্ত্রোপচারকে সর্বাপেক্ষা বেশি গুরুত্ব দিতেন কারণ, চিকিৎসার অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় এতে খুব দ্রুত এবং ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। হার্নিয়া, স্তন, প্রোস্টেট অপসারণ, ক্ষত ও অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, হাহড্রোসিল এবং অ্যাসাইটিক তরল নিষ্কাশন, ফোঁড়া নির্মূলকরণ, যৌনাঙ্গের পুনর্গঠন, দাঁতের নিষ্কাশন এবং ছেদন ইত্যাদির জন্য অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি তাঁর গ্রন্থে। সুশ্রুতই শল্য চিকিৎসক হিসেবে প্রথম চোখের ছানির অপারেশন করেছিলেন।

অস্ত্রোপচারে দক্ষতা অর্জনের জন্য চাই মানবশরীরের বিস্তৃত জ্ঞান। মানবদেহ ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে সেই শারীরবৃত্তীয় জ্ঞান অর্জন করেছিলেন তিনি। শরীর কীভাবে কাজ করে সে বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন সুশ্রুত। মানুষের সর্বোত্তম স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য মানব অবস্থার প্রতিটি দিক সম্পর্কে চিকিৎসকের সদা সচেতন হওয়া উচিত, এমন কথাও লিখেছেন তিনি তাঁর গ্রন্থে।

কথিত আছে একসময় বারাণসী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন সুশ্রুত। তিনি কয়েকজন শিষ্যকে আকৃষ্ট করেছিলেন তাঁর বিদ্যার প্রতি। সেই সমস্ত শিষ্যেরা ‘সৌশ্রুত’ নামে পরিচিত। শিষ্যদের চিকিৎসাবিদ্যার পাঠদান করতেন তিনি একেবারে হাতে-কলমে। শিক্ষানবিশদের প্রথমে কমপক্ষে ৬ বছর চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করতেন সুশ্রুত। প্রশিক্ষণ শুরুর আগে শিষ্যদের একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ শপথ গ্রহণ করতে হত। অঙ্গ ছেদনের দৈর্ঘ্য এবং গভীরতা আরও নিঁখুত করবার জন্য সুশ্রুত ছাত্রদের মৃতপ্রাণী, শাক-সবজি, পচা নরম কাঠ ইত্যাদি কাটার অভ্যেস করিয়ে অস্ত্রোপচার পদ্ধতি শেখাতেন। সুশ্রুতই সম্ভবত প্রথম ব্যক্তি যিনি মানুষের মরদেহ ছেদন করে ছাত্রদের পর্যবেক্ষণ করতে বলেছিলেন মানবশরীর সম্পর্কে জ্ঞানলাভের জন্য। মৃত মানবশরীর পর্যবেক্ষণের পূর্বে সেই মৃতদেহটিকে জলে নিমজ্জিত করে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। একটা সময় পর নিমজ্জমান দেহে পচনক্রিয়া শুরু হলে স্তরে স্তরে সেই পচনশীল দেহের কাঠামো অধ্যয়ন করা হত। প্রথমে মৃত প্রাণী, পচা কাঠ, শাকসবজি ছেদনে সফল হওয়ার পরেই শিষ্যদের অস্ত্রোপচারের অনুমতি মিলত।

সুশ্রুতের কাছে ঔষধের অনুশীলন ছিল একটি রীতিমতো বুদ্ধিমত্তার কাজ। কেবলমাত্র বুদ্ধিমান নয়, ওষুধের অনুশীলনের জন্য যথেষ্ট যুক্তিবাদী হওয়া প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করতেন। চরকের দেখানো পথেই সুশ্রুতও নিজের ছাত্রদের সর্বদা রোগীকে প্রশ্ন করতে এবং সৎ উত্তর দেওয়ার জন্য রোগীকে উৎসাহ দিতে বলতেন। পরিবেশগত কারণে বা জীবনধারা কোনো রোগের কারণ না হলে, সেই রোগ যে বংশগত, তা সুশ্রুত বা চরক দুজনেই বুঝেছিলেন। সুশ্রুত খাদ্যের ওপরে ভীষণই জোর দিতেন কারণ তিনি জানতেন তা সুস্বাস্থ্যের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। সুশ্রুত অনুভব করেছিলেন যে সর্বোত্তম স্বাস্থ্য কেবলমাত্র মন এবং শরীরের সামঞ্জস্যের মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে। পুষ্টি, ব্যায়াম, এবং যুক্তিযুক্ত, উন্নত চিন্তার মাধ্যমে সেই সামঞ্জস্য বজায় রাখা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

অন্যান্য সংস্কৃত গ্রন্থের মতোই ‘সুশ্রুত সংহিতা’ও ভারত থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। অষ্টম শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাগদাদের খলিফা হারুন-আল-রশিদের একজন শক্তিশালী মন্ত্রী ইয়াহিয়া বারমাকিদের নির্দেশে মানকাহ নামক একজন ভারতীয় চিকিৎসক ‘কিতাব শাহ শুন আল-হিন্দ আই’ শিরোনাম দিয়ে আরবিতে সুশ্রুতের গ্রন্থটি অনুবাদ করেছিলেন। উনিশ শতকের প্রথম দিকে প্রথম ইউরোপে অনুবাদ হয়েছিল এই বই। লাতিন ভাষার অনুবাদ প্রকাশ করেছিলেন হেসলার এবং মুলার জার্মান ভাষার অনুবাদ প্রকাশ করেন। তবে এই গ্রন্থের প্রথম সম্পূর্ণ ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন ১৯০৭ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে কলকাতায় বসে কবিরাজ কুঞ্জ লাল ভীষগ্রত্ন। অনুবাদটি ছিল তিন খণ্ডে সমাপ্ত।

পণ্ডিতদের মতে খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ অব্দে কাশীতে সুশ্রুতের মৃত্যু হয়।

আপনার মতামত জানান