অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট

অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট

নারীদের অগ্রগতির ইতিহাসে যেসব কীর্তিমতীদের কথা অবিস্মরণীয় তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট (Amelia Earhart)। তিনি ছিলেন বিশ্বের প্রথম নারী বিমানচালক যিনি একা বিমান চালিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের পেরিয়ে ছিলেন। তিনিই প্রথম বিমানচালক যিনি ব্যবসায়িক স্বার্থে যাত্রীবাহী বিমান চালানোর দিকটির কথা প্রথম বলেন। মহিলা বিমানচালকদের একটি সংস্থা ‘দ্য নাইনটি-নাইনস’ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট ‘লেডি লিন্ডি’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মহিলা বিমানচালকদের মধ্যে  ষোলোতম মহিলা বিমানচালক ছিলেন যাঁকে পাইলট লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। বিমানচালকের পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন লেখিকা। অ্যামেলিয়া চেয়েছিলেন বিমানপথে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই যাত্রা শুরু হলেও মাঝপথে তাঁর বিমান নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।  পরবর্তীকালে সেই বিমানের কোনোরকম সন্ধানই আর পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট মৃত্যু রহস্য সম্পর্কে জানতে পড়ুন এখানে। 

১৮৯৭ সালের ২৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের অন্তর্গত অ্যাচিসনে অ্যামেলিয়া মেরি ইয়ারহার্টের (Amelia Mary Earhart) জন্ম হয়। তাঁর বাবা স্যামুয়েল ‘এডউইন’ স্ট্যান্টন ইয়ারহার্ট পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী। তাঁর মায়ের নাম অ্যামেলিয়া ওটিস ইয়ারহার্ট। দাদু আলফ্রেড গিডিয়ন ওটিসের বাড়িতে অ্যামেলিয়ার জন্ম হয়। তাঁর দাদু ছিলেন একজন প্রাক্তন ফেডারেল বিচারক, অ্যাচিসন সেভিংস ব্যাঙ্কের সভাপতি এবং শহরের একজন নেতৃস্থানীয় নাগরিক। অ্যামেলিয়ার একটি বোনও ছিল। পারিবারিক রীতি অনুসারে, ইয়ারহার্টের নামকরণ করা হয়েছিল তাঁর ঠাকুরমা এবং দিদিমার নাম মিলিয়ে। ছোটবেলায় অ্যামেলিয়ার ডাকনাম ছিল মিলি।

শৈশবে ভীষণই দুরন্ত এবং দুঃসাহসিক প্রকৃতির ছিলেন অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট । ছোট বোনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে খেলতেন, গাছে চড়তেন, রাইফেল দিয়ে ইঁদুর শিকার করতেন এমনকি স্লেজে শ্বাসরুদ্ধকর রাইডও করতেন। তাঁর জীবনীকার তরুণী ইয়ারহার্টকে ‘টম বয়’ (ডানপিটে নারী)বলে উল্লেখ করেছেন৷

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

প্রাথমিকভাবে শৈশবের বেশিরভাগ সময় নিজের মা এবং একজন আয়ার কাছে পড়াশুনা করেছিলেন অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট । পড়তে ভীষণই পছন্দ করতেন তিনি এবং পারিবারিক লাইব্রেরিতে ঘন্টার পর ঘন্টা বই পড়ে কাটিয়ে দিতেন। অ্যামেলিয়ার বাবা যেহেতু রেলের আইনজীবী ছিলেন তাই মাঝেমাঝেই নানা জায়গায় বদলি হতে হত তাঁকে এবং পরিবারও তাঁর সঙ্গে যেত। ১৯০৭ সালে রক আইল্যান্ড রেডরোডের অফিসার হিসেবে আইওয়ার ডেস মইনেসে স্থানান্তরিত হন তিনি। এর ঠিক পরের বছর ১৯০৮ সালে যখন অ্যামেলিয়ার মাত্র দশ বছর বয়স তখন ডেস মইনেসের আইওয়া রাজ্য মেলায় প্রথম বিমান দেখেন তিনি। যদিও সেই প্রথম দেখা বিমানটিকে অ্যামেলিয়ার আকর্ষণীয় বলে একদমই মনে হয়নি। 

এই সময় থেকে অ্যামেলিয়ার বাবা এডউইনের মদ্যপানের মাত্রা বেড়ে ওঠে। এরফলে ১৯১৪ সালে চাকরি ছাড়তেও বাধ্য করা হয় এডউইনকে। যদিও চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান এডউইন। ১৯১৫ সালে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর, ইয়ারহার্টের বাবা সেন্ট পল মিনেসোটার গ্রেট নর্দার্ন রেলওয়েতে একজন কেরানি হিসেবে কাজ পান। সেখানে ইয়ারহার্ট সেন্ট্রাল হাই স্কুলে ভর্তি হন। ঐ বছরেই পুনরায় এডুইন চাকরি সংক্রান্ত সংকটের মুখোমুখি হলে এবং পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তাও বিধ্বস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে অ্যামেলিয়ার মা এডউইনকে স্প্রিংফিল্ডে রেখে তাঁর দুই কন্যাকে নিয়ে শিকাগোতে বন্ধুদের কাছে চলে যান। সেখানে বিজ্ঞান শিক্ষার আদর্শ স্থানের খোঁজ করতে থাকেন অ্যামেলিয়া এবং অবশেষে ভর্তি হন হাইড পার্ক হাই স্কুলে। ১৯১৬ সালের জুন মাসে এই স্কুল থেকে স্নাতক হন অ্যামেলিয়া।

এরপর ১৯১৬ সাল থেকে পেনসিলভেনিয়ার রাইডালের ওগন্টজ স্কুলে পড়াশুনা করতে থাকেন তিনি। সেসময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। অ্যামেলিয়া টরন্টোতে বোনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রথমবার যুদ্ধে আহত হয়ে ফিরে আসা সৈনিকদের দেখেন তিনি। তিনি রেড ক্রস থেকে নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। ওগন্টজ স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার আগেই তিনি টরন্টোর স্পাডিনা মিলিটারি হাসপাতালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আহত সৈন্যদের নার্স হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের কাজকে বেছে নেন৷ সেখানে, ইয়ারহার্ট সামরিক পাইলটদের কাছ থেকে বিমান চালানোর নানান গল্প শুনেছিলেন যা ক্রমেই তাঁর মধ্যে বিমান চালনার প্রতি আকর্ষণ তৈরী করে।

১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু টরন্টোতেও দেখা দেয়। নিজেও তিনি সেসময় নিউমোনিয়া এবং ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সাইনাসের নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তাঁর। হাসপাতালে থাকার সময় ছোট একটি অপারেশনও হয়েছিল অ্যামেলিয়ার। সুস্থ হতে প্রায় একবছর সময় লেগেছিল। এসময়ে ম্যাসাচুসেটসের নর্দাম্পটনে বোনের বাড়িতে ছিলেন তিনি। কবিতা পড়ে, ব্যাঞ্জো বাজানো শিখে, মেকানিক্স অধ্যয়ন করে সময় অতিবাহিত করতেন তিনি। সেসময় টরন্টোতে একজন তরুণী বান্ধবীর সঙ্গে কানাডিয়ান জাতীয় প্রদর্শনীর সাথে একত্রে অনুষ্ঠিত একটি বিমান সংক্রান্ত প্রদর্শনী দেখতে যান তিনি। সেই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত বিমানগুলি বিমান চালনার প্রতি এক অদম্য আকর্ষণ তৈরী করে অ্যামেলিয়ার মনে।

১৯২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইয়ারহার্ট এবং তাঁর বাবা ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচের ডগারটি ফিল্ডে একটি ‘এরিয়াল মিট’-এ অংশ নেন। সেখানে অ্যামেলিয়া বাবাকে খোঁজ নিতে বলেন যাত্রীবিমান এবং বিমান চালনার প্রশিক্ষণ সম্পর্কে। পরের দিন যাত্রীবাহী ফ্লাইটের জন্য তাঁর বাবা তাঁর জন্য একটি আসন সংরক্ষণ করেন। ১০ মিনিট বিমানে চেপে ওড়ার জন্য বিনিময় মূল্য ছিল ১০ ডলার। হকসের সঙ্গে সেই স্বল্প সময়ের বিমানযাত্রা অ্যামেলিয়ার জীবনটিকেই চিরতরে বদলে দিয়েছিল বলা যায়। স্থানীয় টেলিফোন কোম্পানিতে ফটোগ্রাফার, ট্রাক ড্রাইভার এবং স্টেনোগ্রাফারসহ বিভিন্ন চাকরি করে বিমান চালনার বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ১০০০ ডলার সঞ্চয় করেছিলেন অ্যামেলিয়া। জমানো সেই টাকা থেকেই পরের মাসে নিতা স্নুককে নিজের ফ্লাইং প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন অ্যামেলিয়া। ১২ ঘন্টা বিমান চালনা সম্পর্কে নির্দেশনার জন্য ৫০০ ডলার চুক্তির বিনিময়ে।

অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্টের প্রথম প্রশিক্ষণ হয়েছিল ১৯২১ সালের ৩ জানুয়ারি লং বিচ বুলেভার্ড এবং টুইডি রোডের পশ্চিম দিকে কিনার ফিল্ডে।  এসময় অন্যান্য মহিলা পাইলটদের মতোই চুল ছোট করে কেটেছিলেন তিনি৷ ছয় মাস পরে ১৯২১ সালের গ্রীষ্মে, ইয়ারহার্ট স্নুকের পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে একটি ব্যবহৃত বিমান কেনেন অ্যামেলিয়া যার নাম দেন ‘দ্য ক্যানারি’। সেবছর ১৫ ডিসেম্বর অ্যামেলিয়া ন্যাশনাল অ্যারোনটিক অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা প্রদত্ত তাঁর লাইসেন্সের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯২২ সালের ২২ অক্টোবর ১৪০০০ ফুট উচ্চতায় তাঁর নিজস্ব বিমানটি উড়িয়ে মহিলা পাইলট হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেন তিনি। ১৯২৩ সালের ১৬ মে ইয়ারহার্ট হয়েছিলেন ষোলতম মহিলা হিসেবে ফেডারেশন অ্যারোনাটিক ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেন।

১৯২৪ সাল নাগাদ অ্যামেলিয়ার সাইনাসের সমস্যাটি আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তিনি সেবছরই সাইনাস অপারেশনের জন্য ভর্তি হন হাসপাতালে কিন্তু তাঁর অপারেশন সফল হয়নি। ঐ একই বছর অ্যামেলিয়ার বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে পরিবারের পাশে দাঁডানোর জন্য তাঁকে তাঁর প্রিয় ‘দ্য ক্যানারি’ নামক বিমানটি বিক্রি করতে হয়েছিল এবং বদলে একটি ‘স্পিডস্টার’ বিমান কেনেন যাকে তিনি ‘ইয়েলো পেরিল’ নামে অভিহিত করেছিলেন। 

১৯২৮ সালে জর্জ পামার পুটনামের সঙ্গে দেখা হয় অ্যামেলিয়ার। পুটনাম মূলত ছিলেন একজন প্রকাশক তবে বিমান চালনায় তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল। তিনিই প্রথম অ্যামেলিয়াকে যাত্রী হিসেবে বিমানে আটলান্টিক পাড়ি দেওয়ার জন্য রাজি করান। এর আগে ১৯২৭ সালে একক দক্ষতায় বিমানে আটলান্টিক পেরিয়ে আসা প্রথম ব্যক্তি  হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেন চার্লস লিন্ডবার্গ৷ পাইলট উইলমার স্টল্টজ এবং মেকানিক লুই গর্ডনের সাথে, অ্যামেলিয়া ১৯২৮ সালের ১৮ জুন যাত্রা শুরু করে ১৯ জুন আটলান্টিক (নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে ওয়েলস পর্যন্ত) পাড়ি দেন বিমানে। সময় লেগেছিল কুড়ি ঘন্টা চল্লিশ মিনিট। অ্যামেলিয়া সহ সমগ্র দলটিকে রাষ্ট্রপতি ক্যালভিন কুলিজের তরফ থেকেও সম্বর্ধনা জানানো হয়। অ্যামেলিয়াকে এরপর থেকে ‘লেডি লিন্ডি’ নামে অভিহিত করা হতে থাকে। এই আটলান্টিক-ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বইও লেখেন অ্যামেলিয়া যার নাম দেন  ‘টুয়েন্টি আওয়ার্স ফরটি মিনিটস’। এই বই প্রকাশের পর জর্জ পামার পুটনাম বইটির ব্যাপক প্রচার করতে থাকেন। এরপর অ্যামেলিয়া কসমোপলিটান ম্যাগাজিনে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে একটি পদ গ্রহণ করেন। বিমান চালনাকে বৃহত্তর জনসাধারণের মধ্যে গ্রহণীয় করে তোলবার জন্য এই ম্যাগাজিনকে ব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি । বিশেষ করে বিমান চালনাতে নারীদের ভূমিকার উপর বেশি করে জোর দেন তিনি। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯২৮ সালের আগস্টে একা একা উত্তর আমেরিকা মহাদেশ ভ্রমণ করে ঘুরে আসা প্রথম মহিলা বিমানচালক ছিলেন তিনি।

১৯২৯ সালে অ্যামেলিয়া প্রথম সান্তা মনিকা-টু-ক্লিভল্যান্ড উইমেনস এয়ার ডার্বিতে প্রবেশ করে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৯৩১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুটনাম এবং অ্যামেলিয়া বিবাহ করেন। ১৯৩২ সালের ২০ মে অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা হিসেবে সমগ্র আটলান্টিক জুড়ে একা একা বিমান নিয়ে উড়েছিলেন এবং প্রায় পনেরো ঘন্টার সমুদ্রযাত্রায় নিউফাউন্ডল্যান্ডের হারবার গ্রেস থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের কুলমোরে পৌঁছোন। এই যাত্রায় তাঁকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বিমানপথে দুবার আটলান্টিক পেরোনো প্রথম ব্যক্তি ছিলেন অ্যামেলিয়া। এই কৃতিত্বের জন্য ফরাসি সরকারের কাছ থেকে ক্রস অফ নাইট অফ দ্য লিজিয়ন অফ অনার এবং আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হার্বার্ট হুভারের কাছ থেকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির স্বর্ণপদক অর্জন করা প্রথম মহিলা হন তিনি।

১৯৩৫ সালে অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট হাওয়াই থেকে ওকল্যান্ডে এককভাবে বিমানযাত্রা করেন এবং প্রথম ব্যক্তি হন যিনি হাওয়াই থেকে আমেরিকার মূল ভূখন্ডে উড়ে গিয়েছিলেন। এসময় তিনি পারদু ইউনিভার্সিটিতে মহিলাদের পেশা পরামর্শদাতা ছিলেন।

১৯৩৫ সালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিমানযাত্রার কিছু পরেই অ্যামেলিয়া সিদ্ধান্ত নেন তিনি সারাবিশ্বের ওপর দিয়ে একবার অন্তত বিমানপথে উড়বেন এবং বিশ্বজুড়ে এককভাবে উড়ে আসা প্রথম মহিলা হবেন। তাঁর সেই পরিকল্পনার সঙ্গী হন ফ্রেড নুনান।

১৯৩৭ সালের ১৭ মার্চ এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। সে চেষ্টা ব্যর্থ হলে ২০ মে পুনরায় যাত্রা করেন। অবশেষে লা থেকে হাওল্যান্ড দ্বীপে যাওয়ার পথে তাঁদের বিমান অদৃশ্য হয়ে যায়। তারপর আর কোনও সন্ধান মেলেনি তাঁদের। দীর্ঘকাল সন্ধান না-পাওয়ার ফলে ১৯৩৯ সালের ৫ জানুয়ারি আইনত তাঁকে মৃত ঘোষণা করে আদালত। 

2 comments

আপনার মতামত জানান