প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষত বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী যেসমস্ত মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাঘের মতো সঙ্কটাপন্ন পশুদের টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে আজও, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফতেহ সিং রাঠোর (Fateh Singh Rathore)। মূলত তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় বাঘ সংরক্ষণবাদী। ইন্দিরা গান্ধীর প্রজেক্ট টাইগার দলের অন্যতম একজন ব্যক্তি ছিলেন ফতেহ সিং৷ বাঘ শিকারের দায়িত্ব থেকে বাঘ সংরক্ষণের জার্নিটা তাঁর খুবই আকর্ষণীয়৷ একসময় স্টোর ক্লার্ক থেকে শুরু করে কয়লা বিক্রি পর্যন্ত করেছিলেন তিনি। বাঘের বিকাশের জন্য রণথম্ভোর ন্যাশনাল পার্কের ভিতরে বসতি স্থাপন করা গ্রাম্য দরিদ্র মানুষদের স্থানান্তরিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন তিনি। এই রণথম্ভোরকে কেবলমাত্র বাঘের জন্যই সারা বিশ্বের কাছে বিখ্যাত করে তোলেন তিনি। পরবর্তীকালে নব্বইয়ের দশকে টাইগার ওয়াচ নামে একটি এনজিও-ও শুরু করেন। বাঘ সংরক্ষণের বিষয়ে এতখানিই উদ্যমী ছিলেন তিনি, যে, জনগণের মধ্যে গিয়ে কাজ করতেই বিশ্বাস করতেন, ভালোবাসতেন। একসময় ফটোগ্রাফারের কাজও করেছিলেন। তাঁর তোলা বাঘের ছবি ছাপা হয়েছিল বাল্মীক থাপারের বইতে। আজীবন কৃতিত্বের জন্য পেয়েছেন ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’-এর মতো পুরস্কার।
১৯৩৮ সালের ১০ আগস্ট রাজস্থানের যোধপুর জেলার চোরাদিয়া গ্রামে এক রাজপুত পরিবারে ফতেহ সিং রাঠোরের জন্ম হয়। তাঁর ঠাকুরদা লক্ষ্মণ সিং রাঠোর সেনাবাহিনীর একজন মেজর ছিলেন। তাঁর পিতা সগত সিং ছিলেন লক্ষ্মণ সিং-এর বড় ছেলে। সগত সিং পেশায় ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার এবং যোধপুরের কাছেই গ্রামে পরিবারের জমি ও সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতেন৷ ছয় পুত্র এবং পাঁচ কন্যার পরিবারে ফতেহ সিং ছিলেন বড়। তাঁর দুই কাকা যাঁর মধ্যে একজন ছিলেন সেনাবাহিনীতে এবং অপর একজন আইনজীবী, ফতেহ সিংয়ের বড় হয়ে ওঠায় সাহায্য করেছিলেন। মরুভূমি ঘেষা এক রুক্ষ গ্রামে বড় হয়ে প্রকৃতির এক অন্যতর রূপ প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি ছোট থেকেই। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা অল্প বয়স থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল যা পরবর্তীকালে তাঁর জীবনের অন্যতম ধ্যান-জ্ঞান হয়ে উঠবে। ফতেহ সিং খেন নাম্নী এক নারীকে বিবাহ করেছিলেন। তাঁদের এক পুত্র (গোবর্ধন) এবং দুই কন্যা (পদ্মিনী ও জয়া) রয়েছে।
প্রথমে দেরাদুনের কনেল ব্রাউন কেমব্রিজ স্কুল নামক একটি বোর্ডিং স্কুলে শিক্ষাগ্রহণ করেন ফতেহ সিং। পরবর্তীকালে কলেজে থাকাকালীন নিজের এক কাকার সঙ্গেই থাকতেন তিনি। পড়াশুনায় আগ্রহ খুব একটা ছিল না তাঁর, অথচ সেই কাকা চাইতেন ফতেহ সিং একজন আইনজীবী হবেন। স্কুলে-কলেজে বিভিন্ন নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। অবশেষে ১৯৬০ সালে রাজপুতানা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। কিন্তু পড়াশুনার পর বসে থাকেননি। প্রথমে স্টোর ক্লার্কের কাজ করেন এবং পরবর্তীতে কয়লা বিক্রিও করতেন তিনি। এমতাবস্থায় রাঠোরের এক কাকা যিনি পরবর্তীকালে রাজস্থানের বন উপমন্ত্রী হয়েছিলেন, তিনি তাঁকে পার্ক রেঞ্জারের একটি চাকরির প্রস্তাব দিলেন। এই প্রস্তাবই তাঁর জীবনের বাঁক বদল ঘটিয়ে দিয়েছিল। অরণ্যের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল তাঁকে।
সেই কাকারই পরামর্শ মতো রাজস্থান ফরেস্ট সার্ভিসে যোগ দিলেন ফতেহ সিং রাঠোর এবং উদয়পুরের মহারাজার হয়েও কাজ করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে বন্যপ্রাণের প্রতি তাঁর আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৬১ সালের জানুয়ারিতে রাণী এলিজাবেথ এবং ডিউক অব এডিনবার্গ ভারতবর্ষে এলে তাঁদের জন্য এক শিকারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল এবং দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ফাতেহ সিং রাঠোরকে। যেখানে শিকারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল পরবর্তীকালে সেই স্থানের নাম হয়েছিল রণথম্ভোর ন্যাশানাল পার্ক। শিকারে ডিউকের গুলিতে ক্ষতবিক্ষত একটি বাঘই ফতেহ সিং-এর দেখা প্রথম বাঘ। তখনও বাঘের প্রতি আলাদা কোনো প্রীতি না জন্মালেও এই শিকার এবং বন্যপ্রাণ ধ্বংসের প্রতি উত্তরোত্তর এক বিতৃষ্ণা জন্মাতে থাকে তাঁর। বন পরিচর্যা পছন্দ করতেন তিনি। সেসময় তাঁকে সারিস্কায় গেম ওয়ার্ডেন হিসেবে পোস্ট করা হয়েছিল। এরপর ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে মাউন্ট আবু গেম রিজার্ভে কাজ করেন ফতেহ সিং। ১৯৬৯ সালে বনবিভাগের অফিসারদের সঙ্গে তাঁকেও দেরাদুনে অবস্থিত ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াতে পাঠানো হয় প্রশিক্ষণের জন্য। সেখানে বইয়ে লিপিবদ্ধ তত্ত্ব পাঠের তুলনায় মাঠে-ঘাটে ঘুরে হাতে-কলমের কাজ করতে বেশি পছন্দ করতেন এবং সেই ফিল্ডের কাজে দারুণ দক্ষতাও প্রদর্শন করেছিলেন। সেই প্রতিষ্ঠানে তাঁর গুরু এস.আর চৌধুরীর কাছ থেকেও প্রভূত প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।
১৯৭১ সালে ফতেহ সিংকে রণথম্ভোরে গেম ওয়ার্ডেন হিসেবে পোস্ট করা হয়েছিল। ওই বনাঞ্চল তখন জয়পুরের রাজপরিবারের গেম রিজার্ভ ছিল। ১৯৬৯ সালে প্রথম রনথম্ভোরে এসেছিলেন রাঠোর। তখনও এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। গ্রাম এবং খয়মারবাড়ি ছিল চারদিকে। এখানে উল্লেখ্য রাজস্থানের জঙ্গল একসময়ে বাঘে ভরপুর ছিল এবং শিকার করা আদিবাসী রাজপরিবার এবং ব্রিটিশ অফিসারদের প্রিয় বিনোদন ছিল৷ যাই হোক, ১৯৭৩ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার ‘প্রজেক্ট টাইগার’ প্রকল্পের সূচনা করে বাঘ শিকার নিষিদ্ধ করে দেয় বাঘ সংরক্ষণের জন্য। কারণ বাঘের সংখ্যা হ্রাস চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে ৯টি রিজার্ভ নির্বাচন করা হয়েছিল এবং রনথম্ভোর ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম। রাঠোরকে সেখানে সহকারী ফিল্ড ডিরেক্টর হিসেবে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তাঁর সিনিয়র তাঁকে অনেকখানিই স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। প্রজেক্ট টাইগারের প্রথম ডিরেক্টর কৈলাশ শঙ্খলা এই যুবকটির মধ্যে দুর্দান্ত সম্ভাবনা দেখেছিলেন। সেসময়ে রণথম্ভোরে প্রায় ১৬টি গ্রাম ছিল, ফলে বন্যজন্তু, বিশেষত বাঘ খুব একটা দেখা যেত না। সেইসব প্রাণীদের, বাঘদের পুনরায় জঙ্গলে ফিরিয়ে এনে তাদের সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করতে গেলে প্রথমে প্রয়োজন ছিল ওই অঞ্চল থেকে অন্য কোথাও গ্রামবাসীদের স্থানান্তরিত করে দেওয়া। এই কাজটা সহজ ছিল না মোটেই। সেই গ্রামবাসীরা ছিল চরম বঞ্চনার শিকার, দারিদ্র্য তাদেরকে জীর্ণ করে দিয়েছিল। কোনোরকম স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষারও সুযোগ ছিল না তাদের। গহপালিত গবাদি পশুরা সমস্ত গাছপালাই খেয়ে ফেলেছিল। চারপাশে বন্যপ্রাণীরা থাকলেও তারা বেশিরভাগ সময় রাতেই বেরোত। সেই এলাকাগুলির মধ্যে দিয়ে রাস্তা খোদাই করতে গিয়ে রাঠোর বুঝেছিলেন এ-অঞ্চলে বাঘের বিকাশের জন্য গ্রামবাসীদের সরানো প্রয়োজন। লোকজনকে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে রাজি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে কৌশল এবং ধৈর্যের প্রয়োজন ছিল এবং রাঠোর প্রায়ই গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিজেও চোখের জল ফেলতেন। তবে সেখানকার এক স্কুল মাস্টারকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার লাভগুলি বোঝানো সম্ভব হয়েছিল। গ্রামবাসীদের একটি ভাল ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল, এবং অবশেষে কৈলাশপুরী নামে একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত গ্রামে তাদের স্থানান্তরিত করা হয়েছিল যেখানে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং একটি স্কুল ছিল এবং পার্কের বাইরে ছিল আরও ভাল কৃষি জমি। এছাড়াও ১৮ বছরের বেশি প্রত্যেক পুরুষকে অতিরিক্ত পাঁচ বিঘা জমি দেওয়া হয়েছিল। তাদের বাড়ি তৈরি এবং কূপ খননের জন্য অর্থও প্রদান করা হয়।
গ্রাম উঠে যাওয়ার পর অরণ্য যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য মেলে ধরেছিল। গ্রামবাসীদের ফেলে যাওয়া একটি খোঁড়া মহিষকে খেতে বাঘের আগমন ঘটেছিল। একটি গাছের ওপর উঠে তিনি সেই ১৯৭৬ সালে প্রথম বাঘ দেখেছিলেন সেখানে। বাঘিনীটির নামকরণ করেছিলেন নিজের মেয়ে পদ্মিনীর নামে। বন জনশূন্য হয়ে যাওয়ায় শাবককে নিয়ে বাঘেরা আসতে শুরু করেছিল। ১৯৮১ সালে কয়েকজন অসন্তুষ্ট গ্রামবাসী তাদের এলাকা থেকে দূরে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য ফতেহ সিংকে আক্রমণ করেছিল। কয়েকটি ফ্র্যাকচার এবং মাথায় আঘাত নিয়ে বেশ কয়েকদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি৷ পরবর্তীকালে এরজন্য তাকে বীরত্বের পুরস্কারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব কিছুই তাঁকে বাঘ সংরক্ষণের কাজ থেকে সরাতে পারেনি।আজ রণথম্ভোর যে গোটা বিশ্বের কাছে বাঘের জন্য পরিচিত, তার নেপথ্য কান্ডারি বলা চলে এই ফতেহ সিং রাঠোরকে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি রণথম্ভোরের ফিল্ড ডিরেক্টর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৯০-এর দশকে ফতেহ সিং একদল বন্ধুর সঙ্গে ‘টাইগার ওয়াচ’ নামে একটি এনজিও গঠন করেছিলেন। রাঠোর নিজে ছিলেন সেই সংস্থার ভাইস-চেয়ারম্যান। রাজস্থান বনবিভাগ এই এনজিওকে অরণ্যে গবেষণা করার অনুমতি দিয়েছিল। ২০০৩ সালে ধর্মেন্দ্র খন্ডাল নামে এক তরুণ জীববিজ্ঞানীকে গবেষণার জন্য এই এনজিও থেকে নির্বাচন করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে এই ধর্মেন্দ্র একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন, যেটি বনবিভাগের আদমশুমারীর সঙ্গে মেলেনি। বনবিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী পার্কে বাঘের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ৪৫, কিন্তু ধর্মেন্দ্র তাঁর রিপোর্টে দাবি করেন যে, আসলে বাঘ আছে ২৬টি। ‘টাইগার ওয়াচ’ সংস্থার আরেকটি প্রায় শাখা সংগঠন ‘প্রাকৃতিক সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাঠোরের ছেলে গোবর্ধন৷ সবসময় বাঘ সংরক্ষণের জন্য তিনি জনগণের সঙ্গে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করতেন। বিড়াল প্রজাতির প্রাণী সম্বন্ধে ফতেহ সিং প্রায় একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন বলা যায়৷ অনেকে ভালোবেসে তাঁকে ‘দ্য টাইগার ম্যান অব ইন্ডিয়া’ বলতেন।
তিনি একজন ফটোগ্রাফারও ছিলেন। বাল্মীক থাপারের লেখা ‘টাইগারস : দ্য সিক্রেট লাইফ’ বইতে তাঁর তোলা ছবি ছাপা হয়েছিল। এছাড়া বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি নিজেও গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। রোমিলা থাপার, তেজবীর সিং-এর সঙ্গে যৌথভাবে রচনা করেছিলেন ‘উইথ টাইগারস ইন দ্য ওয়াইল্ড : অ্যান এক্সপেরিয়েন্স ইন অ্যান ইন্ডিয়ান ফরেস্ট’।
বন পরিচর্যা এবং বাঘ সংরক্ষণের মতো কাজের জন্য নানা সময়ে বিবিধ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন ফতেহ সিং। ১৯৮২ সালে সুরক্ষিত এলাকার সংরক্ষণের উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অসামান্য পরিষেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ডিউক অফ এডিনবার্গ দ্বারা প্রদত্ত আই ইউ সি এন (IUCN) কমিশন অন ন্যাশনাল পার্কস অ্যান্ড প্রোটেক্টেড এরিয়াস ফ্রেড এম প্যাকার্ড পুরষ্কারে সম্মানিত হন ফতেহ সিং। ১৯৮৩ সালে সংরক্ষণে সাহসিকতার জন্য পান আন্তর্জাতিক বীরত্ব পুরস্কার। বাঘ সংরক্ষণে আজীবন কৃতিত্বের জন্য ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী আই কে গুজরাল কর্তৃক এসসো পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানের অনারারি ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন খেতাব পান। ২০১১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় তাঁকে।
২০১১ সালের ১ মার্চ ৭২ বছর বয়সে সওয়াই মাধোপুরে নিজের বাড়িতেই ফুসফুসের ক্যান্সারে ভারতের টাইগার ম্যান ফতেহ সিং রাঠোরের মৃত্যু হয়।