সববাংলায়

লুই ব্রেইল

কিছু কিছু উদ্ভাবন মানবসভ্যতার ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের জীবনের পথে সহজেই এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে এমন অনেক উদ্ভাবনের মধ্যে অন্যতম হল ব্রেইল পদ্ধতি, যার উদ্ভাবক হলেন লুই ব্রেইল (Louis Braille)। মাত্র পনেরো বছর বয়সে অন্ধ মানুষদের শিক্ষার সহায়ক এই পঠন পদ্ধতির আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। কেবল পড়াই নয়, সঙ্গীতশিক্ষার ক্ষেত্রেও যাতে ব্রেইল পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়, তারও ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি নিজে অন্ধত্বের শিকার হয়েছিলেন বলেই অন্ধ মানুষদের শিক্ষাকেন্দ্রিক সমস্যাগুলিকে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তিনি অধ্যাপনার কাজ যেমন করেছিলেন তেমনই পরেরদিকে একজন সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবেও নাম করেছিলেন। ব্রেইলের উপর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থও রচনা করেছিলেন তিনি। তাঁর তৈরি ব্রেইল পদ্ধতি আজও সারা বিশ্বের অন্ধ মানুষদের শিক্ষার জন্য অপরিহার্য।

১৮০৯ সালের ৪ জানুয়ারি প্যারিসের কুড়ি মাইল পূর্বে অবস্থিত একটি ছোট শহর কুপভ্রেতে লুই ব্রেইলের জন্ম হয়। তাঁর বাবা ছিলেন সাইমন-রেনে (Simon-René) এবং মায়ের নাম ছিল মনিক ব্রেইল (Monique Braille)। ব্রেইলের যে আরও তিন বড়দিদি ছিলেন তাঁরা হলেন, মনিক ক্যাথরিন, লুই-সিমন এবং মেরি সেলিন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁরা গ্রামাঞ্চলে তিন হেক্টর জমির ওপরে বসবাস করতেন। ব্রেইলের বাবা সাইমন-রেনের হার্নেস বা ঘোড়ার সাজসরঞ্জাম তৈরির দোকান ছিল। ব্রেইলের যখন মাত্র তিন বছর বয়স, সেই সময়েই বাবার দোকানে তাঁর একটি গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটে। সেই দোকানে শিশু ব্রেইল তাঁর বাবার কাজের সরঞ্জাম নিয়ে খেলা করছিলেন। শিশু ব্রেইল ভেবেছিলেন যে, তিনিও তাঁর বাবার মতো ছিদ্র করবার সূঁচোলো বস্তুটি দিয়ে চামড়া ফুটো করবেন। তিনি চোখ আংশিক বন্ধ করে ঝুঁকিয়ে প্রাণপনে একটি চামড়ার নীচে সেই ছিদ্র করার যন্ত্রটি দিয়ে চাপ দিতে থাকেন। শক্ত চামড়া ভেদ করে সেই সূঁচোলো জিনিসটি তীব্র গতিতে ব্রেইলের চোখে গিয়ে আঘাত করে। যন্ত্রণায় ব্রেইল চিৎকার করে ওঠেন, তাঁর দিদি, মা-বাবা সকলেই তাঁর আর্তনাদ শুনে ছুটে যান। সেইসময় কুপভ্রেতে কাছাকাছি কোন হাসপাতাল ছিল না। তাঁরা আহত ব্রেইলকে গ্রাম্য এক মহিলার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মহিলা ভেষজ কিছু ওষুধ ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু চোখের সেই ক্ষত সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্রমশ এবং ব্রেইলের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পায় ও তিনি স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যান।

ব্রেইলের যখন ছয় বছর বয়স তখন গ্রামে একজন নতুন যাজক এসেছিলেন। সেই যাজকের কাছে এক বছর শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। অথচ ব্রেইল অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে গ্রামের স্কুলে যেতে চাইতেন। অবশেষে একজন সহপাঠী তাঁকে রোজ সকালে স্কুলে নিয়ে যেত। সেখানে তিনি কেবল শুনে শুনে অনেকের তুলনায় ভাল পড়া মুখস্থ করে ফেলতেন। ক্লাসের সেরা ছাত্র ছিলেন তিনি। গ্রামের সেই স্কুলে তিন বছর পড়াশোনা করেন ব্রেইল। সেই যাজক সেই সময় ভেবেছিলেন ব্রেইল অন্ধদের স্কুলে গেলে আরও দ্রুত উন্নতি করবার সুযোগ পাবে। সেই সময় ফ্রান্সে এরকম একটিমাত্র স্কুল ছিল, তা হল রয়্যাল ইনস্টিটিউট ফর ব্লাইন্ড ইয়ুথ। তবে সেই স্কুলটি ছিল অনেকখানি দূরে এবং ১০ বছর বয়সী ব্রেইলকে তাঁর বাবা-মা বাড়ি থেকে দূরে যেতে দিতে নারাজ ছিলেন। তবে যাজক তাঁর বাবা-মাকে সেই স্কুলে পড়বার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন এবং ১৮১৯ সালে ব্রেইল সেই স্কুলে পড়বার জন্য রওনা হন। ব্রেইলের ক্লাসে যাওয়ার এবং সেখানে থাকবার খরচাও স্কুল প্রদান করেছিল। সেই স্কুলে থাকতেই ক্লাসের পর ব্রেইল সেলো এবং পিয়ানো বাজানো শিখতেন। সাঙ্গীতিক যে স্বরলিপি তা তিনি পড়তে পারতেন না, তবে নোটগুলি মুখস্থ করে নিতেন। ব্রেইল সেই সময় অনেক পড়াশোনা করতে চাইতেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তখন অন্ধদের জন্য খুব বেশি বই পাওয়া যেত না। সেই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেন্টিন হাউয়ের তৈরি একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেই অন্ধ শিশুদের পড়তে শেখানো হত। উল্লেখ্য যে হাউই কিন্তু নিজে অন্ধ ছিলেন না। তিনি ল্যাটিন উত্থিত অক্ষর কাগজে এমবস করে শিশুদের জন্য বই তৈরি করেছিলেন। সেই বইতে আঙুল বুলিয়ে অক্ষরগুলির আকার অনুভব করে বুঝে শিশুরা পড়াশুনা করত। এই বইগুলি ওজনে খুব ভারী হত, এবং অক্ষরগুলি এতই বড় হত যে একটি বাক্যের জন্য গোটা একটি পাতা লেগে যেত। বাক্যটি অনেক সময় ধরে পড়বার পর শিশুরা বাক্যের প্রথম শব্দটিই অনেক সময় ভুলে যেত। এমনই সব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে তখন অন্ধশিশুদের শিক্ষা চলছিল। অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও অবশ্য হাউইয়ের এই প্রচেষ্টা ছিল যুগান্তকারী। যখন হাউইয়ের স্কুল খোলা হয়েছিল তখন মাত্র তিনটি বই ছিল।

আরও পড়ুন:  ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ

১৮২১ সালে চার্লস বারবিয়ার নামে এক ব্যক্তির উদ্ভাবিত পঠনের একটি পদ্ধতি সম্পর্কে শিখেছিলেন ব্রেইল। এই বারবিয়ার ছিলেন একজ ফরাসি সেনা ক্যাপ্টেন, তিনি ব্লাইন্ড স্কুলটি পরিদর্শনে এসেছিলেন। এই বারবিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের সংকেতে একে অপরের সঙ্গে কোনরকম শব্দ বা আলোর ব্যবহার না করে যোগাযোগ করবার কৌশল আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। তিনি ওজনদার শক্ত কাগজের ওপর অনেকগুলি বিন্দু এবং ড্যাশ খোদাই করেছিলেন। সেই প্রতিটি বিন্দু ও ড্যাশ আলাদা আলাদা সাউন্ড করে। এই চিহ্নগুলি একত্রে তৈরি করে একেকটি শব্দ। সৈন্যদের পক্ষে যোগাযোগের এই মাধ্যম একটু জটিল ও কঠিন মনে হওয়ায় বারবিয়ার ভেবেছিলেন এটি অন্ধদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। সেই কারণে উক্ত ব্লাইন্ড স্কুলে তাঁর তৈরি এই পদ্ধতিটি নিয়ে গিয়েছিলেন। অন্ধ শিক্ষার্থীদের কাছেও সেই পদ্ধতির মাধ্যমে পড়া খুব একটা সহজসাধ্য ছিল না। একটি একক শব্দ উপস্থাপনের জন্য অনেকগুলি বিন্দুর প্রয়োজন হত। বারবিয়ার পদ্ধতিটিতে ছিল দুটি কলামে বারোটি বিন্দু পর্যন্ত সীমিত একটি কোড। বারবিয়ারের এই সিস্টেম থেকে ব্রেইল দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং একটি উন্নতমানের সহজবোধ্য নতুন সিস্টেম তৈরি করতে গেলে বারবিয়ারের এই সিস্টেমটি যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাও অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। পরের কয়েক বছর তিনি নিজস্ব কোড উদ্ভাবনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। অবশেষে বারবিয়ারের বারোটির পরিবর্তে ছয়টি বিন্দুর কোড উদ্ভাবন করেন ব্রেইল। দুটি কলামে তিনটি করে বিন্দুতে সাজানো ডমিনোর মত দেখতে সেই কোড স্ট্যান্ডার্ড বর্ণমালার প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটি অক্ষরের জন্য তিনি অভিন্ন কলাম তৈরি করেছিলেন৷ একটি আঙুলের ডগার মতো অতি অল্প পরিমাণ জায়গাতে ছয়টি বিন্দুর একটি সেল ব্যবহার করার ৬৩টি উপায় খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। এই সিস্টেমটি ১৮২৪ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছিল, যখন ব্রেইলের বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। এই ১৮২৯ সালে প্রকাশিত ব্রেইল সিস্টেমের প্রথম সংস্করণে ডট এবং ড্যাশ তিনি ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু ১৮৩৭ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণে তিনি ড্যাশগুলি বাতিল করে দেন কারণ সেগুলি পড়া বেশ কঠিন ছিল। বারবিয়ারের আবিষ্কৃত স্লেট অ্যান্ড স্টাইলাস নামক টুলটি ব্যবহার করে ব্রেইল নিজের ডট সিস্টেম এবং সহজে পাঠযোগ্য সোজা লাইনে লেখার কৌশলেরও বিকাশ করেন। ব্রেইল এমনকি মিউজিক্যাল নোটস পড়ার এবং বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্যও তাঁর সিস্টেমকে উন্নত করতে চেয়েছিলেন। ১৮৩৪ সালে ব্রেইল তাঁর এই ডট বর্ণমালার একটি প্রদর্শনী করেছিলেন প্যারিসে অনুষ্ঠিত একটি শিল্প প্রদর্শনীতে। রাজা লুইয়ের সেই আবিষ্কার দেখলেও তাকে অন্ধদের জন্য সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেননি এমনকি সেই ডট বর্ণমালায় বই তৈরির জন্য কোনও অর্থও দেননি। অন্যদিকে রয়্যাল ইনস্টিটিউট ফর ব্লাইন্ড ইয়ুথ-এ একজন নতুন পরিচালক এসেছিলেন, তিনি শিক্ষার্থীদের ব্রেইলের এই নতুন বর্ণমালার ব্যবহার চালিয়ে যেতে দিতেও নারাজ ছিলেন কারণ তাঁর ভয় ছিল যে, এর ফলে ছাত্ররা অত্যন্ত স্বাধীন হয়ে উঠবে এবং আর কেনও শিক্ষকের প্রয়োজন হবে না।

আরও পড়ুন:  টমাস আলভা এডিসন

১৮৩৯ সালে ব্রেইল ডেকাপয়েন্ট নামক একটি লিখন পদ্ধতি চালু করেন, যার দ্বারা অন্ধদের লেখা কোন অক্ষর বা শব্দ বা বাক্য দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন মানুষও বুঝতে পারবেন।

ব্রেইলের মৃত্যুর দুই বছর পর ফরাসি সরকারের তরফ থেকে ডট সিস্টেম অনুমোদন পায় এবং এই পদ্ধতির নাম হয় ব্রেইল পদ্ধতি। ১৮৭৮ সালের ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস বিশ্বব্যাপী অন্ধ মানুষদের শিক্ষার জন্য ব্রেইল পদ্ধতির পক্ষে ভোটদান করে।

স্কুলের একজন অত্যন্ত দক্ষ ছাত্র হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন তিনি। স্কুলের পড়া শেষ হলেই তিনি সেখানেই একজন শিক্ষকের সহকারী হিসেবে কাজ করবার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। ১৮৩৩ সালের মধ্যে তিনি পূর্ণ সময়ের একজন শিক্ষকের পদে উন্নীত হন। সেখানে তিনি ইতিহাস, জ্যামিতি এবং বীজগণিত শিখিয়েছিলেন দীর্ঘদিন। তিনি একজন দক্ষ সেলিস্ট এবং অর্গানিস্টও হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর অসাধারণ সঙ্গীত প্রতিভার জন্য ফ্রান্সের প্রায় সমস্ত গীর্জায় তিনি অরগ্যান বাজানোর আহ্বান পেয়েছিলেন। ১৮৩৪ থেকে ১৮৩৯ সাল পর্যন্ত প্যারিসের চার্চ অফ সেন্ট-নিকোলাস-ডেস-চ্যাম্পে এবং পরে সেন্ট-ভিনসেন্ট-ডি-পল চার্চে অরগ্যান বাদকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

ব্রেইল তাঁর উদ্ভাবিত পদ্ধতি এবং সঙ্গীতের ভাষাশিক্ষা করার জন্য তাকে উপযুক্ত করে তোলার যে যাত্রা ও গবেষণা, সে-সম্পর্কে গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ব্রেইলের রচিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটি হল ‘মেথড অব রাইটিং ওয়ার্ডস, মিউজিক, প্লেইন সং’স বাই মিনস অব ডটস, ফর ইউজ বাই দ্য ব্লাইন্ড অ্যান্ড অ্যারেঞ্জড ফর দেম’ (১৮২৯)। উল্লেখ্য এই বইটি কিন্তু প্রথমে হাউইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করে ছাপা হয়েছিল। ১৮৩৭ সালে বইটি সংশোধিত হয়ে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল। দৃষ্টিহীনদের গণিতশিক্ষার বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বই হল ‘লিটল সিনপসিস অব অ্যারিথমেটিক ফর বিগিনার্স’ (১৯৩৮)। ১৮৩৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ব্রেইলের মোনোগ্রাফ ‘নিউ মেথড ফর রিপ্রেজেন্টিং ফর ডটস দ্য ফর্ম অফ লেটারস, ম্যাপস, জিওমেট্রিক ফিগারস, মিউজিক্যাল সিম্বল এটসেট্রা ফর ইউজ বাই দ্য ব্লাইন্ড’।

ব্রেইল সারাজীবনই প্রায় অসুখে ভুগেছেন। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যেন তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবিরাম শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা থেকে অনুমান করা হয় দীর্ঘকাল যক্ষ্মারোগে ভুগেছিলেন। সেই অবস্থাতেই দীর্ঘ ষোলো বছর তিনি বেঁচেছিলেন। যখন তাঁর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়, তখন, সেই ৪০ বছর বয়সে তিনি শিক্ষকতার পদ থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন এবং অসুস্থ ব্রেইলকে রয়্যাল ইন্সটিটিউশনে ইনফার্মারিতে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ১৮৫২ সালের ৬ জানুয়ারি মাত্র ৪৩ বছর বয়সে এই কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব লুই ব্রেইলের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:  যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর

২০১৯ সাল থেকে লুই ব্রেইলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশ্ব ব্রেইল দিবস পালন করা হচ্ছে।

error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন।

Discover more from সববাংলায়

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

চৈতন্যদেবের অসামান্য জীবনী দেখুন

চৈতন্য জীবনী

ভিডিওটি দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন