ইতালীয় দার্শনিক, কূটনীতিক, ইতিহাসবিদ এবং লেখক হিসেবেই সমগ্র বিশ্বে পরিচিত নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি (Niccolò Machiavelli)। তাঁকে অনেকেই আধুনিক রাজনৈতিক দর্শন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলে থাকেন। তাঁর ধ্রুপদী বাস্তববাদের জন্য ম্যাকিয়াভেলি প্রভূত জনপ্রিয়। এছাড়াও তাঁর সামরিক তত্ত্বচিন্তা এবং ইতিহাস সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি পরবর্তী ইতিহাসবিদদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আধুনিক প্রজাতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করার কাজে ম্যাকিয়াভেলির অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। নিজেকে কখনওই দার্শনিক মনে করেননি নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি, দর্শন সংক্রান্ত তাঁর প্রস্তাবগুলিও বিদ্যায়তনিক দর্শনের আদর্শের সঙ্গে খাপ খায় না অনেক সময়। কিন্তু প্রথম সারির দার্শনিকরা তাঁকে এড়াতে পারেননি। যৌক্তিক বিশ্লেষণের বদলে অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিতেন তিনি। ম্যাকিয়াভেলির লেখা রাজনীতি বিষয়ক বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম ‘দ্য প্রিন্স’।
১৪৬৯ সালে ৩ মে ইতালির ফ্লোরেন্সের এক বিশিষ্ট পরিবারে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলির জন্ম হয়। ফ্লোরেন্সের সান্টো স্পিরিটো জেলায় তিনি বড় হয়ে ওঠেন। তাঁর বাবা বার্নার্দো ডি নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি (Bernardo di Niccolò Machiavelli) একজন প্রভাবশালী আইনজীবী ছিলেন। ম্যাকিয়াভেলির মায়ের নাম বার্তোলোমিয়া ডি স্টেফানো নেলি (Bartolomea di Stefano Nelli)। বার্নার্দো এবং বার্তোলোমিয়ার চার সন্তানের মধ্যে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন তৃতীয় এবং একমাত্র পুত্র। তাঁর তিন দিদির নাম যথাক্রমে প্রাইমাভেরা, মার্গেরিটা এবং টোটো। ম্যাকিয়াভেলির বাবা বার্নার্দো ছিলেন একজন বইপ্রেমী মানুষ। পরিবারের দরিদ্রতম সদস্য হওয়ার পরেও বার্নার্দো নিজের আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বইয়ের পিছনে খরচ করতেন। ফলে সেই গ্রন্থসম্ভারের সাহায্যে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি অনেক ধ্রুপদি লেখকের রচনার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৫০১ সালের আগস্ট মাসে তিনি মারিয়েটো ডি লুডোভিকো করসিনিকে (Marietta di Ludovico Corsini) বিবাহ করেন এবং তাঁদের বেশ কয়েকটি সন্তান হয়েছিল। তাঁদের সন্তানদের মধ্যে প্রাইমেরানা এবং এক নামহীন কন্যা খুব অল্প বয়সেই মারা যায়। মারিয়েটো এবং ম্যাকিয়াভেলির অন্যান্য সন্তানেরা হলেন বার্নার্ডো, ব্যাকিনা, লুডোভিকো, পিয়েরো, গুইডো এবং টোটো। গণিকা লা রিসিয়া এবং গায়িকা বারবেরা সালুতাতির মত মহিলাদের সঙ্গেও ম্যাকিয়াভেলির সম্পর্ক ছিল।
আর্থিক অনটনের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তেমন সুযোগ হয়নি তাঁর। নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি হয়তো গ্রিক ভাষা জানতেন না, তবে থুকিডিডিস, প্লেটো, জেনোফোন, অ্যারিস্টটল, পলিবিয়াস, প্লুটার্ক প্রমুখ গ্রিক লেখকদের লেখার অনুবাদ সবই পড়েছিলেন তিনি। সাত বছর বয়সে লাতিন ভাষা অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। একজন বিখ্যাত লাতিন শিক্ষক পাওলো দা রনসিগ্লিওনের ছাত্র ছিলেন ম্যাকিয়াভেলি এবং তাঁর কাছে লাতিন ছাড়াও ব্যাকরণ এবং অলঙ্কারশাস্ত্রও অধ্যয়ন করেছিলেন নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি। বারো বছর বয়সে ম্যাকিয়াভেলি আঞ্চলিক কিছু রচনাকে লাতিন ভাষায় অনুবাদ করেন। প্লাউটাস, টেরেন্স, সিজার, সিসেরো, স্যালুস্ট, ভার্জিল প্রমুখ ল্যাটিন ভাষার লেখকদের লেখা পড়েছিলেন তিনি। ইতালীয় লেখকদের মধ্যে দান্তে এবং পেত্রার্কের লেখা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন ম্যাকিয়াভেলি। পরবর্তীকালে তিনি ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্সেলো ডি ভার্জিলিও আদ্রিয়ানির অধীনে ব্যক্তিগতভাবে পড়াশোনা করতে শুরু করেন। অনেকের মতে, তিনি ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।
নিকোলো ম্যাকিয়াভেলির জন্ম এক উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে। পোপরা তখন ইতালীয় নগর-রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অধিগ্রহণমূলক যুদ্ধ পরিচালনা করছিলেন। ১৮৯৪ সালে দীর্ঘ ষাট বছর ধরে শাসন করা মেডিসি পরিবারকে বিতাড়িত করে ফ্লোরেন্স প্রজাতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিল। ১৪৯৮ সালের ২৩ মে রেনেসাঁর সক্রিয় প্রচারক সাভোনারোলাকে পুড়িয়ে মারা হয়। এই ঘটনার কিছু সময় পরে ম্যাকিয়াভেলিকে দ্বিতীয় চ্যান্সারির প্রধান হিসেবে আদ্রিয়ানির অধীনে নিযুক্ত করা হয়। তখন ফ্লোরেন্টাইন সরকারের নথিপত্র তৈরির দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। ১৪৯৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ফ্লোরেন্সের কূটনৈতিক দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী চোদ্দো বছর এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন ম্যাকিয়াভেলি। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁকে ‘ডিসি ডি লিবার্টা ই পেস’-এর সেক্রেটারিও নিযুক্ত করা হয়। ফ্রান্সের রাজদরবার এবং ম্যাক্সমিলিয়নের সাম্রাজ্য সফর করেন তিনি।
ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দশকে বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন ম্যাকিয়াভেলি, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রোমের পেপেসির অভিযানটি। ১৪৯৯ সালের মার্চ মাসে ভাড়াটে ক্যাপ্টেন জ্যাকোপো ডি’অ্যাপিয়ানোর সঙ্গে জড়িত একটি বেতন বিষয়ক বিরোধের আলোচনার জন্য ম্যাকিয়াভেলিকে পন্টেডেরায় পাঠানো হয়েছিল। সেই বছরই জুলাই মাসে তিনি ফোর্লিতে কাউন্টেস ক্যাটেরিনা স্ফোরজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৫০১ এবং ১৫০২ সালের দাঙ্গায় ভেঙে যাওয়া বিবদমান দুই বিরোধী দলের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য ম্যাকিয়াভেলিকে পিস্টোইয়াতে পাঠিয়েছিল ফ্লোরেন্স সরকার। কিন্তু এই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হলে নেতাদের শহর থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই কৌশল শুরু থেকেই খুব পছন্দ ছিল ম্যাকিয়াভেলির।
১৫০২ সালে প্রথমবার ম্যাকিয়াভেলি সিজার বোরজিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন৷ ১৫০২-০৩ সালে ম্যাকিয়াভেলি সিজার বোরজিয়ার রাষ্ট্র-নির্মাণ পদ্ধতির নির্মম বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ১৫০২ সালে ফ্লোরেন্সে একটি প্রধান সাংবিধানিক সংস্কার ঘটে এবং পিয়েরো সোদেরিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপদের দায়িত্ব পান। বিদেশি এবং ভাড়াটে সৈন্যদের উপর যেন নির্ভর করতে না হয়, সেই উদ্দেশ্যে ম্যাকিয়াভেলির পরিকল্পনা ছিল ফ্লোরেন্সের একটি সেনাবাহিনী গঠন করা। ১৫০৫-০৬ সালে সেই সেনাবাহিনী গঠনের অনুমতি তিনি পেয়েছিলেন পিয়েরো সোদেরিনির কাছ থেকে। ১৫০৭ সালে সেনাসংক্রান্ত সদ্যগঠিত এক কমিটির চ্যান্সেলার হিসেবে নিয়োগ করা হয় ম্যাকিয়াভেলিকে। নাগরিকদের নিয়েই এই সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে থাকেন তিনি। ১৫০৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি প্রায় চারশো কৃষককে প্যারেডে মার্চ করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেই কৃষকেরা অস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন। ১৫০৯ সালে এই ফ্লোরেন্টাইন সৈন্য ম্যাকিয়াভেলির নেতৃত্বে পিসাকে পরাজিত করে। যদিও ম্যাকিয়াভেলির সাফল্য স্থায়ী হয়নি। ১৫১২ সালের গ্রীষ্মে পোপ দ্বিতীয় জুলিয়াসের সমর্থনে স্পেনীয় সৈন্যের সাহায্যে মেডিসিরা প্রাতো শহরে ফ্লোরেন্টাইন সৈন্যকে পরাজিত করে। এরপর অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লোরেন্টাইনের রাষ্ট্রপ্রধান সোদেরিনি পদত্যাগ করেন এবং নির্বাসনে চলে যান। মেডিসি শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রজাতন্ত্রের যে কয়জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ম্যাকিয়াভেলি। ১৪৯৮ সালের ১৯ জুন থেকে ১৫১২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ফ্লোরেন্টাইন সরকারের হয়ে ম্যাকিয়াভেলির কাজ করেছিলেন।
সরকারী পদে থাকাকালীন ১৫০২ সাল থেকে ১৫০৭ সালের মধ্যে ম্যাকিয়াভেলি বিখ্যাত শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে সহায়তা করেছিলেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর্নো নদীকে সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টা, আর্নো উপত্যকায় সেচের বন্দোবস্ত এবং পিসায় জল সরবরাহ বন্ধ করা। ১৫১২ সালের শেষ দিকে ম্যাকিয়াভেলির বিরুদ্ধে মেডিসি বিরোধী ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই অপরাধে ১৫১৩ সালের গোড়ার দিকে তাঁকে বাইশ দিন কারাবন্দী অবস্থায় রাখা হয়। এই সময় তাঁকে ‘স্ট্র্যাপেডো’ নামক এক শাস্তি প্রদানের যন্ত্রের সাহায্যে অত্যাচার করা হত। মার্চ মাসে মুক্তি পান তিনি এবং পারকুসিনার সান্ত’আন্দ্রেয়র একটি বাড়িতে ফার্ম এস্টেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
অবসর গ্রহণের পর তিনি লেখালেখির প্রতি উৎসর্গ করেন নিজেকে এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করেন ও তাঁর বিখ্যাত রাজনৈতিক গ্রন্থগুলিও রচনা করতে থাকেন। ১৫১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ম্যাকিয়াভেলি তাঁর বন্ধু ফ্রান্সেস্কো ভেট্টরিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠি থেকে জানতে পারা যায় সেই সময় নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি তাঁর জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দার্শনিক এবং রাজনীতিবিষয়ক গ্রন্থ ‘দ্য প্রিন্স’ রচনার জন্য পরিশ্রম করছিলেন, যে গ্রন্থটি তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছিল। এই গ্রন্থটি প্রশংসা যেমন পেয়েছে, তেমনি মন্দ সমালোচনাও কম হয়নি। রাজনীতি বিষয়ে এই গ্রন্থের বেশ কিছু মন্তব্য খুবই বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ক্ষমতার সফল স্থিতিশীলতা এবং নতুন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রবর্তনের জন্য সহিংসতার প্রয়োজন হতে পারে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূল করতে, প্রতিরোধী জনগণকে ধ্বংস করতে শক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে যা অনিবার্যভাবে শাসকের প্রতিস্থাপনে সহায়তা করবে। এরকম দৃষ্টিভঙ্গি পরবর্তীকালে ‘ম্যাকিয়াভেলিয়ান’ দৃষ্টিভঙ্গি নামে পরিচিতি লাভ করে। এই ধরনের মন্তব্যের কারণে ‘দ্য প্রিন্স’ সম্পর্কে অনেক সমালোচক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকেন। এই একই সময়ে তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক গ্রন্থ ‘ডিসকোর্সেস অন লিভি’ রচনার কাজও করছিলেন। এই গ্রন্থে প্রজাতন্ত্রের সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি।
ফ্লোরেন্সের বুদ্ধিজীবি মহলেও অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি। পরবর্তী বছরগুলিতে মেকিয়াভেলি রুসেলাই পরিবারের সাহিত্যিক এবং দার্শনিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করতেন। সেসময় বেশ কিছু কবিতা এবং নাটক রচনা করেন তিনি, যেগুলি তাঁর জীবদ্দশায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ১৫১৮ সালে ম্যাকিয়াভেলি সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত নাটক ‘মান্দ্রগোলা’ রচনা করেন।
তিনি ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালির বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন এবং সেসব স্থানে ফ্লোরেন্টাইন প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৫২০ সালে ম্যাকিয়াভেলিকে লুক্কায় পাঠানো হয়েছিল একটি কূটনৈতিক কাজে। সেখানে তিনি ‘লাইফ অফ কাস্ত্রুসিও কাস্ত্রাকানি’ রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থটি পাঠ করে মুগ্ধ হয়ে গিউলিয়ানো ডি’ মেডিসি ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে শহরের সরকারী ইতিহাসবিদ পদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ম্যাকিয়াভেলিকে। এরপর মেডিসি তাঁকে ফ্লোরেন্সের ইতিহাস লেখার দায়িত্বও দেন এবং ১৫২৫ সালে ম্যাকিয়াভেলি ‘ফ্লোরেন্টাইন হিস্টোরিও’ রচনা সমাপ্ত করেন।
১৫২০ সালে তাঁর ‘আর্ট অফ ওয়ার’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এটিই একমাত্র গ্রন্থ যা তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশ পেয়েছিল। এই বই ফ্লোরেন্স এবং রোম উভয় স্থানেই সমাদর লাভ করেছিল। নিজের লেখা একটি কমেডি নাটক ‘ক্লিজিয়া’ তিনি নিজেই পরিচালনা করেছিলেন ১৫২৫ সালের জানুয়ারিতে।
ম্যাকিয়াভেলির লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা হল ‘ডেসেনালে প্রাইমো’ (১৫০৬), ‘ডেসেনালে সেকেন্ডো’ (১৫০৯), ‘আসিনো ডি’ওরো’ বা ‘দ্য গোল্ডেন অ্যাস’ (১৫১৭) ইত্যাদি।
১৫২৭ সালের ২১ জুন মাত্র ৫৮ বছর বয়সে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলির মৃত্যু হয়।