শিরডি সাঁই

শিরডি সাঁইবাবা

ভারতবর্ষ আধ্যাত্মিক চিন্তার দেশ। যুগে যুগে কালে কালে নানা সন্ত মানুষের পুণ্য আবির্ভাবে ধন্য হয়েছে এই দেশের মাটি। এইসব সাধুসন্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন শিরডি সাঁই বাবা (Shirdi Sai Baba)। মূলত শিরডির সাঁই বাবা থেকেই শিরডি সাঁই নামে পরিচিত হন তিনি৷ সাঁই ছিলেন মূলত একজন ফকির, এবং সাধুসন্তদের তালিকায় এমনই এক নাম এই সাঁই, যিনি হিন্দু-মুসলিম উভয় ধর্মের মানুষেরই শ্রদ্ধা এবং ভক্তির পাত্র। আজীবন সাঁই আত্মোপলব্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। যেকোনো পচনশীল জিনিসের প্রতি ভালোবাসাকে সমালোচনা করে এসেছেন চিরকাল। প্রেম, ক্ষমা, অপরকে সাহায্য করা এবং সর্বোপরি ঈশ্বর ও গুরুর প্রতি ভক্তিতে মনোনিবেশ করার শিক্ষাই দিয়ে গেছেন সাঁই তাঁর ভক্তদের৷ তিনি মুসলিম ধর্মের আচার-বিচার পালন করলেও ধর্মীয় সংকীর্ণতা কখনও প্রশ্রয় পায়নি তাঁর কাছে। ভক্তরা তাঁকে হিন্দুদেবতা দত্তাত্রেয়র অবতার বলে মনে করে থাকে।

সাঁইবাবার প্রাথমিক জীবন বিষয়ে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে, তথ্যের  অপ্রতুলতাই এর কারন। তাঁর জীবন সংক্রান্ত তথ্য মূলত পাওয়া যায় দুটি গ্রন্থ থেকে। একটি গ্রন্থ হল হেমাদপান্তের লেখা ‘শ্রী সাঁই সচ্চরিত্র’ এবং অপরটি নরসিংহ স্বামী রচিত ‘লাইফ অব সাঁই বাবা’। যদিও সঠিকভাবে সাঁইবাবার জন্মস্থান এবং তারিখ বলা যাবে না, তবে কেউ কেউ বিশ্বাস করেন ১৮৩৮ থেকে ১৮৪২ সালের মধ্যে কোন একসময়ে শিরডি থেকে অনতিদূরে মধ্য ভারতের মারাঠওয়াড়ার পাথরি নামক একটি স্থানে সাঁই বাবার জন্ম হয়। তবে কোন কোন বিশ্বাসী ভক্ত আবার ১৮৩৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখটিকে তাঁর জন্মদিবস হিসেবে ধরে নিয়েছেন৷

মনে করা হয় যে পাথরি গ্রামের এক মাঝি পরিবারে সাঁইয়ের জন্ম হয়েছিল। তাঁর বাবার নাম গঙ্গা ভাবদিয়া এবং তাঁর মায়ের নাম দেবগিরিয়ামমার। আরেকটি মত অনুসারে, সাঁইবাবার জন্ম তামিলনাড়ুতে হয়েছে। এই মতানুসারে তাঁর মায়ের নাম বৈষ্ণবদেবী এবং পিতা হলেন আব্দুল সাত্তার। সাঁই নিজেই তাঁর পিতামাতা সম্পর্কে ভীষণই ধোঁয়াটে মন্তব্য করেছিলেন৷ তবে তিনি তাঁর এক ঘনিষ্ঠ অনুসারী মহলসপতিকে বলেছিলেন যে, তিনি পাথরি গ্রামের দেশস্থ ব্রাহ্মণ পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু শৈশবকালে এক মুসলিম ফকির তাঁকে লালন-পালন করেছিলেন। মতান্তরে সাঁইয়ের হিন্দু পিতামাতা তাঁকে এক মুসলিম ফকিরের হাতে তুলে দেন এবং  সেখানেই প্রতিপালিত হন তিনি। অন্য এক অনুষ্ঠানে সাঁই বলেন যে, ফকিরের স্ত্রী তাঁকে সেলুর এক হিন্দু গুরু ভেঙ্কুসার কাছে রেখে গিয়েছিলেন এবং সেই ভেঙ্কুসারের শিষ্য হিসেবে বারো বছর সেখানে কাটিয়েছিলেন সাঁই।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

যখন সাঁইয়ের ১৬ বছর বয়স, তখন তিনি মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের শিরডি গ্রামে এসেছিলেন বলে মনে করা হয়। অনেক গবেষক বলে থাকেন যে, প্রাথমিকভাবে শিরডি গ্রামে তিনবছর থাকবার পর একবছরের জন্য হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান এবং তারপর ১৮৫৮ সালে পুনরায় ফিরে আসেন সেখানে।  সেই গ্রামে এসে এক নিমগাছের নীচে তিনি নিশ্চলভাবে বসে থাকতেন বলে জানা যায়। বেশিরভাগ সময়েই তিনি ধ্যান করতেন এবং কঠোর ও সরল জীবনযাপন করতেন। প্রাথমিকভাবে গ্রামের লোকেরা এই সৌম্যকান্তি রহস্যময় চেহারার যুবককে এই রূপে দেখে একটু বিস্মিত হয়েছিলেন। কিন্তু সাঁই তখন নিজের নাম এবং বাসস্থান সম্পর্কে কোনো কথা স্পষ্ট করে বলেননি। তাছাড়া নিজে সাঁই খুব কম কথাই বলতেন নাকি। কিন্তু ধীরে ধীরে গ্রামের প্রবীন মানুষদের সঙ্গে আধ্যাত্মিক বিষয়ের আলোচনা শুরু করেন তিনি। সেসময়ে এত অল্প বয়সেই সাঁইয়ের পরিপক্কতা এবং বুদ্ধিমত্তা দেখে আশ্চর্য হয়ে যান শিরডি গ্রামবাসীরা। সেইসময়তেই মহলসপতি, আপ্পা জোগলে এবং কাশীনাথ প্রায় নিয়মিত তাঁর কাছে আসতেন। যদিও গ্রামের শিশুরা তাঁকে পাগল মনে করে তাঁর দিকে ইট-পাথর নিক্ষেপ করত। কিন্তু বেশ কিছুদিন শিরডিতে থাকার পর যখন তিনি হঠাৎ উধাও গেলেন একদিন, বেশ কিছু ইঙ্গিত থেকে মনে করা হয়, সেসময় তিনি অনেক সাধু ও ফকিরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাঁতির কাজ করেছিলেন। অনেকে আবার এও দাবি করেন যে, তিনি নাকি ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহে ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মীবাইয়ের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন।সাঁইবাবার আসল নাম আজও অজানা রয়ে গেছে। ১৮৫৮ সালে যখন তিনি শিরডিতে ফেরত আসেন তখন মন্দিরের পুরোহিত মহলসাপতি তাঁকে সাঁই নামটি দিয়েছিলেন। এইসময় তিনি হাঁটু-দৈর্ঘ্যের একটি কাফনি পোশাক এবং কাপড়ের টুপি পরা অভ্যেস করেছিলেন। রামগীর বুয়া নামে এক ভক্তের সাক্ষ্য থেকে জানা যায় যে, সেসময় সাঁইবাবা অনেকটা ক্রীড়াবিদদের মতো পোশাক পরেছিলেন এবং মেরুদণ্ডের শেষপর্যন্ত তাঁর লম্বা চুল ছিল। কখনই মাথা ন্যাড়া করেননি তিনি। সাঁই মোহদিন তাম্বোলির সঙ্গে একটি কুস্তি খেলার পর সুফি পোশাকের ধরনের ওই কাফনি এবং কাপড়ের টুপি ব্যবহার করতে থাকেন। এইরকম পোশাক পরার ফলে তাঁকে একজন মুসলিম ফকির হিসেবেই বিবেচনা করত সাধারণ মানুষ এবং এই কারণেই হিন্দু গ্রামাঞ্চলে তাঁর প্রতি একরকম উদাসীন ও কখনও কখনও শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব দেখা গিয়েছিল।

অন্য আরেকটি মতানুসারে, ১৮৬৮ থেকে ১৮৭২-এর মধ্যে কোনো এক সময়ে সাঁই শিরডিতে এসেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে। দুপখেড়ের চাঁদ পাটিল নামে একজন মুসলমানের বিবাহের শোভাযাত্রার সঙ্গে তিনি শিরডিতে এসেছিলেন বলে মনে করা হয়। নিজের গ্রাম থেকে ঔরঙ্গাবাদ যাওয়ার পথে চাঁদ পাটিলের সঙ্গে নাকি দেখা হয় সাঁইবাবার। আসলে নিজের ঘোড়াটি চাঁদ হারিয়ে ফেলেছিলেন৷ তখন গাছ তলায় বসে থাকা যুবক ফকির সাঁই তাঁকে বলে তাঁর ঘোড়াটি স্রোতের কাছাকাছি রয়েছে। অনুসন্ধান করে সত্যি সত্যি ঘোড়া খুঁজে পেয়ে চাঁদ খুশি হয় এবং ধন্যবাদ জানাতে ফকিরের কাছে ফিরে আসেন। ফকির সাঁই তখন হুকা প্রস্তুত করছিলেন। দুজনে ধুমপান করেন তাঁরা এবং চাঁদ তখন সাঁইকে অতিথি হিসেবে সঙ্গে করে নিয়ে যান। বিয়ের পর চাঁদ পাটিল শিরডি ত্যাগ করলেও সাঁইবাবা রয়ে যান সেখানে। নিমগাছের নীচে দীর্ঘদিন বসবাস করেন। অন্য আরেকটি মত উপরে লেখা হয়েছে বিস্তারিতভাবে।চার-পাঁচ বছর একটি নিমগাছের তলাতেই বাস করতেন তিনি এবং মাঝে মাঝে শিরডির আশেপাশের জঙ্গলে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে বেড়াতেন। দীর্ঘদিন ধ্যান করেছেন তিনি। তারপর একসময়ে একটি পুরাতন ও জরাজীর্ণ মসজিদে বাস করতে শুরু করেন সাঁই। সেখানে একাকী জীবন কাটাতেন এবং ভিক্ষা করে বেঁচেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি হিন্দু, মুসলিম উভয় ধর্মের মানুষকেই সাদরে স্বাগত জানাতেন। সেই মসজিদেই এক পবিত্র আগুন প্রজ্জ্বলন করতেন তিনি, যা মূলত ধুনি নামে পরিচিত। সেই ধুনির ছাই তিনি অভ্যাগতদের দিতেন এবং মানুষের বিশ্বাস ছিল সেই ছাইয়ের নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে এবং তা বিপদ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। এমনকি প্রথম প্রথম তিনি গাঁয়ের হাকিমের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ঋদ্ধি প্রয়োগের মাধ্যমে অসুস্থদের চিকিৎসা করতেন। শুধু তাই নয়, তাঁর কাছে আগত দর্শনার্থীদের তিনি আধ্যাত্মিক শিক্ষাও দান করতেন। তিনি যেমন মনোযোগ সহকারে কোরান পড়বার নির্দেশ দিয়েছিলেন তেমন হিন্দু গ্রন্থগুলি যেমন রামায়ন, বিষ্ণুর সহস্রনাম, ভগবদগীতা ইত্যাদিও খুবই অভিনিবেশসহ পাঠ করার কথা বলেছিলেন তাঁর ভক্তদের। যে মসজিদে তিনি বাস করতেন, সেই মসজিদের একটি হিন্দু নাম দিয়েছিলেন সাঁই, সে-নামটি হল, দ্বারকাময়ী। সেখানে থাকার সময়  আপা কুলকার্নি, নানা সাহেব ডেঙ্গেলে, চিদাম্বর কেশব, মাধব রাও দেশপান্ডে, নানাসাহেব নিমোঙ্কর, নানাসাহেব চান্দরকর, দাস গণুর মতো আধ্যাত্মিক মানুষেরা সাঁইবাবার কাছে যেতেন। এই দাস গণু পুলিশের চাকরি ছেড়ে সাঁইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন এবং পরে একজন নামকরা কবি হয়েছিলেন। কীর্তনের মাধ্যমে তিনি গুরুর মহিমা ছড়িয়ে দিতেন চারদিকে। একটি মাত্র ধর্মের সংকীর্ণ গন্ডিতে আবদ্ধ থাকার কথা কখনই বলেননি সাঁই বরং মানবতার ধর্মকেই সবচেয়ে উপরে স্থান দিয়েছিলেন। প্রেম, ক্ষমা, অপরকে সাহায্য করা ইত্যাদি মানবিক গুনগুলির বিকাশের কথা বলেছেন তিনি বারংবার। তাঁর শিক্ষা কোনরূপ বৈষম্য ছাড়াই সকল জীবের প্রতিই বিশ্বজনীন ভালোবাসার নীতির ওপর জোর দেয়। হিন্দু ও ইসলাম উভয়েরই উপাসনা পদ্ধতি পালন করতেন তিনি৷ নাস্তিকতার বিরোধী ছিলেন সাঁই। তিনি বলতেন, ঈশ্বর সমস্ত কিছুতে প্রবেশ করেন এবং প্রতিটি জীবের মধ্যেই বাস করেন। ঈশ্বরের একত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর সুবিদিত কথাগুলির মধ্যে দুটি হল, ‘সবকা মালিক এক’ এবং আল্লাহ মালিক’। তিনি প্রকৃতঅর্থে একজন আধ্যাত্মিক সদগুরুর প্রতি ভক্তি ও আত্মনিবেদনের কথা বলতেন। ধর্মের মোড়কে সমস্ত ধরনের নিপীড়নকেই সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

ধর্মীয় উৎসবেও অংশগ্রহণ করতেন সাঁই, এবং দর্শনার্থীদের জন্য খাবার তৈরির অভ্যাসও ছিল তাঁর। সেই খাবার ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করতেন তিনি। সাঁইবাবার বিনোদন ছিল নাচ এবং ধর্মীয় গান গাওয়া। সন্ত কবীরের গান তাঁর ভীষণই প্রিয় ছিল। দুবেলা তিনি তবলা ও সারেঙ্গী সহযোগে মৌলু এবং কাওয়ালি শুনতে ভালোবাসতেন। নিজে ভীষণই সরল জীবনযাপন করতেন তিনি। প্রথম প্রথম খাদ্যের জন্য ভিক্ষা করতে হলেও পরবর্তীতে ভক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভক্তরা নিজেরাই মসজিদে বাবার জন্য খাবার নিয়ে আসতেন। সংগৃহীত খাদ্যদ্রব্য একটি খোলা হাঁড়িতে রাখতেন তিনি৷ প্রত্যেকে, যারা বাবার সেবায় নিযুক্ত থাকত, এমনকি মসজিদ প্রাঙ্গন পরিস্কার করত যারা তারাও সেই পাত্র থেকে খাদ্যগ্রহণ করতে পারত। অভুক্ত প্রাণীদেরও তিনি ফেরাতেন না। জীবনে কখনই টাকার বা ব্যক্তিগত কোনো চাহিদা তাঁর ছিল না।

বেশকিছু অলৌকিক ঘটনাও সাঁইবাবাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত রয়েছে। কথিত আছে যে, যখন তিনি ভক্তদের জন্য নিজে একটি বড় পাত্রে রান্না করতেন, তখন ফুটন্ত খাবার নাড়বার জন্য কোনোরকম হাতা ব্যবহার করতেন না, বদলে নিজের হাতই ব্যবহার করতেন। আবার ১৯১০ সালে শিরডিতে যখন কলেরার মারাত্মক প্রকোপ দেখা যায়, তখন একদিন সাঁই এক বস্তা গম পিষতে শুরু করেন৷ গ্রামের মেয়েরাও হাত লাগায় তাঁর সঙ্গে। সেই গম পিষে যে ময়দা পাওয়া গেল তা গ্রামের সীমানায় ছড়িয়ে দিতে বলেন সাঁই৷ পরে তিনি বলেছিলেন যে, কলেরার বিস্তার রোধ করার জন্যই এ-কাজ করতে বলেছিলেন তিনি। এও কথিত আছে যে, দাস গণু একবার ভাবেন স্নানের জন্য প্রয়াগে যাবেন, সেকারণে বাবার অনুমতি নিতে আসেন। যদিও বাবা বলেন অতদূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রয়াগ এখানেই রয়েছে। দাস গণু তখন বাবার পায়ে মাথা রাখলে দুই পায়ের আঙুল থেকে গঙ্গা ও যমুনার স্রোত বেরিয়ে আসে।

শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও সাঁইয়ের অগণিত ভক্ত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, কিউবা, কানাডা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি নানাস্থানে সাঁইবাবার মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। উনিশ শতকে তাঁকে ঘিরে ভক্তিমূলক আন্দোলনেরও উদ্ভব ঘটেছিল। মহারাষ্ট্রে শ্রী সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্ট নামে একটি ধর্মীয় সংগঠনও গড়ে উঠেছে।১৯১০ সাল থেকে গোপালরাও বুটি সাঁইবাবার সঙ্গে শিরডিতে থাকতে শুরু করেন। একরাতে বুটির স্বপ্নে এসে বাবা তাঁকে মন্দির সহ একটি ওয়াদা নির্মাণ করতে বলেন, যাতে তিনি সকলের ইচ্ছে পূরণ করতে পারেন।

১৯১৫ সালে সেই বুটি ওয়াদা নির্মাণ শুরু হয়। কিন্তু সেসময় সাঁই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে ১৯১৮ সালের ১৫ অক্টোবরে দুপুর ২:৩৫ মিনিটে মসজিদে এক ভক্তের কোলে মাথা রেখে শিরডির সাঁইবাবার মৃত্যু হয়। সাঁইবাবার মৃতদেহের শেষকৃত্য নিয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে একটু বাদ-প্রতিবাদ বেঁধেছিল৷ বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল যেন তাঁকে বুটি ওয়াদায় নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে সেই বুটি ওয়াদাতেই একটি সমাধি নির্মাণ করে সাঁইয়ের মৃতদেহ রাখা হয়েছিল।

আপনার মতামত জানান