ওয়াসিম কাপুর

ওয়াসিম কাপুর

ভারতীয় চিত্রশিল্প যেসব প্রতিভাবান শিল্পীর অবদানে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রভূত খ্যাতি এবং সম্মান অর্জন করেছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম ওয়াসিম কাপুর (Wasim Kapoor)। ওয়াসিম নিজেই বলেছিলেন যে তাঁর কাজের প্রায় নব্বই শতাংশেরই বিষয় ছিল নারীদের কষ্ট এবং তাঁদের সমস্যা। সমাজের নিষ্ঠুরতার ছবি রঙে-রেখায় জীবন্ত করেছিলেন তিনি বিশেষত তাঁর কলকাতার রিকশা-চালকদের নিয়ে তৈরি ছবির সিরিজটিতে। এছাড়াও তাঁর ছবির বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে কখনও গৌতম বুদ্ধ, যিশুখ্রিস্ট, কখনও আবার দেবী দুর্গা। ধর্মে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত হলেও তাঁর ছবির বিষয় নির্বাচন দেখলে বোঝা যায় আসলে শিল্পীর কোনো আনুষ্ঠানিক ধর্ম হয় না। ওয়াসিম বিভিন্ন সময়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের ছবিও অঙ্কন করেছিলেন। দেশের বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এমনকি বিদেশেও তাঁর ছবির প্রদর্শনী হয়েছিল। শিল্পজগতের বিখ্যাত সব সম্মানীয় পুরস্কারসহ বিড়লা আকাদেমির সর্বভারতীয় পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়েছিল ওয়াসিম কাপুরকে।

১৯৫১ সালের ৩ জানুয়ারি স্বাধীন ভারতবর্ষের লক্ষ্ণৌ শহরে এক পাণ্ডিত্যপূর্ণ পরিবারে চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুরের জন্ম হয়। তাঁর বাবা শওকত রিয়াজ কাপুর ছিলেন একজন জনপ্রিয় উর্দু কবি এবং ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে তাঁকে ভূষিত করা হয়। শওকত রিয়াজ মূলত সালিক লক্ষ্ণৌবী (Salik Lucknawi) নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। ওয়াসিমের বাবার পরিবার ছিল হিন্দু। কিন্তু ওয়াসিমের ঠাকুরদা তুলসী রাম কাপুর শওকতের জন্মের চার বছর আগে ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন তারেক রিয়াজ কাপুর। ওয়াসিমের আরও চার ভাই হলেন শামীম কাপুর, সেলিম কাপুর, কলিম কাপুর ও জলি কাপুর এবং তাঁর দুই বোনের নাম ইয়াসমিন এবং শাহলা।

লক্ষ্ণৌতে বেড়ে উঠলেও মাত্র ছয় মাস বয়সেই পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে এসেছিলেন ওয়াসিম কাপুর । তারপর থেকে যতদিন গেছে এই শহরের সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা বেড়েছে। তাঁর ছবির বিষয় হয়ে উঠেছে এই মহানগর। শৈশব থেকে কৈশোরের মাঝামাঝি সময়টুকু আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো কাটেনি ওয়াসিমের। ছয় মাস বয়সে বিছানার উপর থেকে নীচে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে শরীরের নীচের অংশে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ওয়াসিম কাপুর । যদিও সেই আঘাত যে কতটা গভীর এবং গুরুতর তা বোঝা গিয়েছিল দুই-আড়াই বছর বয়সে, যখন হাঁটতে শুরু করেন তিনি। সেই তখন থেকেই চিকিৎসার জন্য ওয়াসিমকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। হাসপাতালের বদ্ধ চার দেওয়ালের মধ্যে বারোটা বছর কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর অন্যান্য ভাই-বোনেরা তখন স্কুলে পড়াশোনা করত এবং প্রায়শই তাঁকে দেখতে বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে আসত হাসপাতালে। ওয়াসিমের দাদা শামীম এবং বোন ইয়াসমিন সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে ফেরার পথে অধিকাংশ দিনই বাবার সঙ্গে চলে আসত হাসপাতালে, সঙ্গে করে নিয়ে আসত তাঁদের ছবি আঁকার খাতা এবং ওয়াসিমকে দেখাত। মাত্র আড়াই বছর বয়সেই সেই ছবি আঁকার খাতা থেকে ছবিগুলি নকল করে আঁকতে শুরু করেছিলেন ওয়াসিম কাপুর । তাঁর বাবা চিত্রশিল্পের প্রতি সন্তানের আগ্রহ লক্ষ্য করেছিলেন তখন এবং তাঁর জন্য অঙ্কনের একজন শিক্ষকের ব্যবস্থা করবার কথা ভেবেছিলেন যিনি গৃহশিক্ষকের মতো নিজে এসে ছবি আঁকা শেখাবেন। এইসব শর্তাবলীসহ ওয়াসিমের বাবা ‘দ্য স্টেটসম্যান’ কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অঙ্কন শিক্ষকের জন্য। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই ইণ্ডিয়ান আর্ট কলেজের মিস্টার অমর নন্দন নার্সিংহোমে ওয়াসিমকে অঙ্কন শেখাবার জন্য এসেছিলেন। যদিও প্রথমে অমর নন্দন একটু চিন্তিত ছিলেন যে সারা দেহ প্লাস্টারে ঢাকা এমন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কীভাবে শিশুটি ছবি আঁকা আয়ত্ত করবে। যদিও এই আশঙ্কা সম্পূর্ণই মিথ্যে হয়ে গিয়েছিল। আর্ট কলেজের এই শিক্ষকের সাহায্যেই যামিনী রায়, নন্দলাল বসু, মাইকেল অ্যাঞ্জেলোদের মতো বিশ্ববিখ্যাত শিল্পীদের ছবির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছিলেন ওয়াসিম। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তেল রঙে ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন তিনি। ‘অ্যাকাডেমিক অল ইণ্ডিয়া এক্সিবিশন’ এবং দিল্লির ‘অল ইণ্ডিয়া ফাইন আর্টস অ্যাণ্ড ক্রাফ্ট সোসাইটি’তে তাঁর ছবি প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। চোদ্দ বছর বয়স থেকেই জাতীয় প্রদর্শনীগুলিতে অংশ নিতে শুরু করেন ওয়াসিম কাপুর ।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

চোদ্দ বছর বয়সে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তখন চলাফেরা করবার জন্য ক্রাচের সাহায্য নিতে হত তাঁকে এবং সারাদিন তিনি ছবি আঁকাতেই ব্যস্ত রাখতেন নিজেকে। তাঁর শিক্ষক তখন তাঁকে ‘ইণ্ডিয়ান আর্ট কলেজ’-এ ভর্তি হওয়ার কথা বলেছিলেন। সেসময় আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন বিপিন গোস্বামী। শারীরিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে বিপিনবাবু বলেছিলেন এই অবস্থায় বসা এবং ছবি আঁকা ওয়াসিমের পক্ষে সম্ভব হবে না। অবশ্য ওয়াসিমের বাবা ছিলেন নাছোড়বান্দা, এটুকু কথাতেই তিনি দমে যাননি তখন। তিনি চাইতেন ছেলে যাতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ লাভ করে। শেষ পর্যন্ত বাবার জোরাজুরিতে ওয়াসিমকে ক্লাসরুমের এক কোণায় একটি বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়ে ভর্তি নিয়েছিলেন বিপিন গোস্বামী। চমৎকার দক্ষতার দ্বারা তিনি শিক্ষকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। প্রথম বর্ষে পড়াকালীনই নিজের ক্লাস শেষ হয়ে গেলে সিনিয়রদের ক্লাসেও আঁকা শিখতে চলে যেতেন ওয়াসিম। জাতীয় স্তরে ইতিমধ্যেই তাঁর ছবি প্রদর্শিত হয়েছিল বলেই সিনিয়র অধ্যাপকরাও উঁচু ক্লাসে অংশগ্রহণ করায় বাধা দিতেন না তাঁকে। এমনকি অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত থাকার ফলে অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন ঘোষ তাঁর জায়গায় ওয়াসিমকে চতুর্থ বর্ষের ক্লাস নেওয়ার জন্য নির্দেশও দিয়েছিলেন একবার। সেইসময়কার বিখ্যাত সব চিত্রশিল্পী যথা অতুল বোস, গোপাল ঘোষ, রথীন মৈত্র, দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী প্রমুখদের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন তিনি।

১৯৭১ সালে কলকাতার ‘ইণ্ডিয়ান কলেজ অফ আর্টস অ্যাণ্ড ড্রাফ্টম্যানশিপ’ থেকে ফাইন আর্টসে প্রথম শ্রেণির ডিপ্লোমা অর্জন করেছিলেন ওয়াসিম কাপুর । এরপর ১৯৭০ সালের গোড়া থেকেই একক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমসাময়িক চিত্রশিল্পীদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জির জাদুস্পর্শে। আশির দশকে তিনি ‘অ্যান্টি বোরখা সিরিজ’ নামে ছবির একটি সিরিজ আঁকতে শুরু করেছিলেন। সেই সিরিজের ‘ভিক্টিম’ শিরোনামের একটি ছবি বিড়লা অ্যাকাদেমিতে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং উচ্চ প্রশংসা লাভ করেছিল। পরবর্তীকালে ‘দেশ’ পত্রিকার প্রচ্ছদ হিসেবেও ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জী এবং ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি ফোন করেছিলেন ওয়াসিমকে। এরপর ভিক্টর তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন দেখা করতে এবং ওয়াসিমের ঘরভর্তি রঙিন ক্যানভাসের মধ্যে থেকে একের পর এক অনেকগুলি ছবি নিজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ভিক্টর এও জানিয়েছিলেন যে ওয়াসিমের ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনী করতে চান তিনি। যামিনী রায়, মকবুল ফিদা হুসেন এবং বিকাশ ভট্টাচার্যের পর ওয়াসিম কাপুর হলেন চতুর্থ ব্যক্তি, ভিক্টর ব্যানার্জী যাঁর ছবির প্রদর্শনী করতে উৎসুক হয়েছিলেন।

ডাচ চিত্রশিল্পী রেমব্রান্টের ছবির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন ওয়াসিম। রেমব্রান্ট যেভাবে তাঁর অন্তর্গত অনুভূতি এবং আবেগকে চিত্রকর্মে ঢেলে দিয়েছিলেন তা ওয়াসিমকে আকৃষ্ট করে। চারপাশের বাস্তব সমাজে যা ঘটতে দেখেছেন তিনি, সেগুলিই তাঁর ছবির বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে। শহর কলকাতার শিশুদের জীবন থেকেও ছবির অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি। নারীদের যন্ত্রণার এবং সমস্যার কথাই উঠে এসেছে তাঁর অধিকাংশ ছবিতে। সামাজিক যন্ত্রণা, নিপীড়নের চিত্র তাঁর তুলির স্পর্শে হয়ে উঠেছে জীবন্ত। তিনি বিশ্বাস করতেন সমস্ত সৃজনশীল শিল্পী, অভিনেতা, কবি প্রমুখদের উচিত সমাজের অন্যায়, সংকট, সমস্যাগুলোকে তুলে ধরা যাতে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত পৃথিবী গড়ে তোলা যায়। এই বিশ্বাস থেকেই শহরের ভিতরকার যে সত্য তাকে রূপ দিয়েছেন ওয়াসিম তাঁর ‘বয় সিরিজ’, ‘গার্ল চাইল্ড সিরিজ’, ‘প্রস্টিটিউট-সিরিজ’ প্রভৃতিতে। ১৯৮৬ সালে তৈরি কলকাতার রিকশা-চালকদের জীবনযন্ত্রণা নিয়ে তৈরি তাঁর ছবির সিরিজটিও উচ্চ প্রশংসা লাভ করেছিল। একটি কুষ্ঠরোগ কেন্দ্রে তিনি তাঁর ছবি বিক্রির অর্থ প্রদান করেছিলেন।

জন্মগতভাবে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ হলেও ওয়াসিমের ছবির বিষয় নির্বাচন লক্ষ্য করলে বোঝা যায় উদার চিন্তায় বিশ্বাসী এই মানুষটি কেবল শিল্পীর ধর্মেই বিশ্বাস করেন। তাঁর মতো শিল্পীর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের বেড়া যে ছিল না তা বুঝতে পারা যায় যখন কলকাতার জমকালো বার্ষিক উৎসব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি দেবী দূর্গার ছবি এঁকেছিলেন। কাঁটাতার দিয়ে চোখের উপর থেকে বেড় দেওয়া যিশুর মুখের ছবি যখন তিনি আঁকেন সেখানে যিশু কোনো ধর্মীয় ব্যক্তি নয়, এক বেদনার প্রতীক হিসেবেই উপস্থাপিত। বাইবেল পড়ে যিশুর এক জাদুকরী রূপের কল্পনা করতেন তিনি। এমনকি ছাত্রাবস্থায় যামিনী রায়ের আঁকা যিশুর ছবির অনুলিপি তৈরি করেছিলেন ওয়াসিম। এছাড়াও তিনি মাদার টেরেসা, গৌতম বুদ্ধের মতো বিভিন্ন মহান ব্যক্তিত্বদের ছবিও এঁকেছিলেন ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে।

মাঝেমাঝে বিভিন্ন জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকা এবং বহু রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবিও এঁকেছিলেন ওয়াসিম। বলিউডের মহাতারকা অমিতাভ বচ্চনের ছবি যেমন এঁকেছিলেন, তেমনি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুরও একটি তৈলচিত্র অঙ্কন করেছিলেন বাম মানসিকতার এই শিল্পী যে ছবিটির উদ্বোধন হয়েছিল বেঙ্গল অ্যাসেম্বলিতে জ্যোতি বসুর ৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে। ভারতের সংসদ ভবন, উর্দু আকাদেমি, ললিতকলা অ্যাকাদেমি সর্বত্র তাঁর আঁকা ছবি দেখতে পাওয়া যায়।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে ওয়াসিমের ছবির প্রদর্শনী হয়েছে। তাঁর কাজগুলি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যাণ্ড কালচার, সিআইএমএ আর্ট গ্যালারি, দিল্লির ললিত কলা অ্যাকাডেমি, ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, ভাদেরা আর্ট গ্যালারি প্রভৃতি জায়গায় প্রদর্শিত হয়েছিল। এছাড়াও ফ্রান্সের প্যারিস, লিয়ন এবং মার্সেইলসেও ওয়াসিমের ছবির প্রদর্শনী হয়েছিল।

চিত্রশিল্পে অনবদ্য অবদানের জন্য নানা সময়ে বিভিন্ন সম্মানীয় পুরস্কার লাভ করেছিলেন তিনি। ১৯৮০ এবং ১৯৮১ সালে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের ‘অল ইণ্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড’, ১৯৮৫তে এশিয়ান পেইন্টসের ‘শিরোমণি পুরস্কার, কলকাতার বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যাণ্ড কালচারের ‘অল ইণ্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ এবং ১৯৮৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরস্কার পেয়েছেন ওয়াসিম কাপুর।

সম্প্রতি এই ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ৭১ বছর বয়সে প্রফুল্ল সরকার স্ট্রীটের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যু হয়।

আপনার মতামত জানান