বাংলাদেশের উত্থান-পতনময় রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন একেকজন মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে যাঁরা উচ্চশিক্ষা এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের গুরুদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছিলেন। নিঃসন্দেহে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ (Iajuddin Ahmed) তেমনই একজন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিদের দীর্ঘ তালিকায় তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হয়ে রয়েছে। যদিও রাজনীতির ক্ষেত্রে পদার্পণ করলেও তাঁর প্রাথমিক পরিচয় ছিল তিনি মৃত্তিকা বিজ্ঞানের একজন প্রথিতযশা অধ্যাপক। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল উপকূলীয় অঞ্চলের ধানগাছে লবণাক্ততার প্রভাব। চাহিদা অনুযায়ী উদ্ভিদকে সরবরাহের জন্য মাটিতে উদ্ভিদের খাদ্যজাত পুষ্টিকে সংরক্ষণ করে রাখবার এক মূল্যবান পদ্ধতির বিকাশসাধন ঘটিয়ে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তিনি। পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতির পদও তিনি অলঙ্কৃত করেছেন একসময়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন, জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেন ইয়াজউদ্দিন। খাদ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারও একসময় ছিল তাঁরই কাঁধে। স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
১৯৩১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতের মুন্সিগঞ্জ জেলার (বর্তমান বাংলাদেশ) নয়াগাঁও গ্রামে এক বিত্তশালী মুসলিম পরিবারে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের জন্ম হয়। তাঁর বাবার নাম ছিল মৌলভী ইব্রাহিম মিয়া (Moulvi Ibrahim Mia) যিনি মুন্সিগঞ্জের একজন নামজাদা মানুষ ছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং পরবর্তীকালের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগমের (Anwara Begum) সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। যদিও এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় বিবাহ। আনোয়ারা এবং ইয়াজউদ্দিন দত্তক নিয়েছিলেন তাঁদের পুত্র ইমতিয়াজ আহমেদ বাবুকে। এছাড়াও ইয়াজউদ্দিনের প্রথমপক্ষের দুই সন্তান হলেন সুজান আহম্মেদ এবং অ্যাডাম আহম্মেদ।
মুন্সিগঞ্জ হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা শুরু হয় ইয়াজউদ্দিনের এবং ১৯৪৮ সালে সেই স্কুল থেকেই ম্যাট্রিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। তারপর ১৯৫০ সালে মুন্সিগঞ্জেরই হরগঙ্গা কলেজ থেকে আইএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর আরও উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ প্রবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি হন বিজ্ঞান বিভাগে। সেই সময় গোটা বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। সেই আঁচ ইয়াজউদ্দিন এড়াতে পারেননি। তিনিও আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৫২ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৫৪ সালে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই মৃত্তিকা বিজ্ঞানে ১৯৫৪ সালে এমএসসি অর্থাৎ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনে সাফল্য পান তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি পাড়ি দেন বিদেশে, চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং সেখানকার ম্যাডিসনে অবস্থিত উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে এমএস (MS) এবং ১৯৬২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভে সক্ষম হন।
মৃত্তিকা বিজ্ঞানে ডক্টরেট উপাধি নিয়ে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ফিরে আসেন দেশে। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে প্রথমে সহকারী অধ্যাপক এবং পরে ১৯৭৩ সালে পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। পরবর্তীকালে এই মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগেরই চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি প্রথম দফায় ১৯৬৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন ইয়াজউদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট বা অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক আহম্মেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং জার্মান টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও জার্মানির গটিংজেন ইউনিভার্সিটির অতিথি অধ্যাপক ছিলেন।
একজন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী হিসেবে ইয়াজউদ্দিন চাহিদামতো উদ্ভিদকে সরবরাহের জন্য গাছের খাদ্যজাত পুষ্টি ভূগর্ভে সংরক্ষণ করে রাখার যে অত্যাশ্চর্য পদ্ধতির বিকাশসাধন করেছিলেন তা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১২৫টির মতো গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছিলেন।
১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন ইয়াজউদ্দিন এবং পাশাপাশি খাদ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) চেয়ারম্যানের পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকে ইয়াজউদ্দিন ‘ফেডারেশন অফ ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ’ (ফুটা)-র সভাপতি হন। স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ছিলেন একাই, সুতরাং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। পরের দিন অর্থাৎ ৬ই সেপ্টেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি ‘হান্ড্রেড ইয়ারস অফ বঙ্গভবন’ বইটির রচনা এবং প্রকাশের জন্য প্রভূত উৎসাহ দেন এবং নির্দেশনা দান ও সহযোগিতা করেন। অবশেষে ২০০৬ সালে তাঁর উপদেষ্টা মুখলেসুর রহমান চৌধুরীর উদ্যোগে বইটি প্রকাশিত হয়েছিল।
সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তৎকালীন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বিচারপতি কে এম হাসান অসুস্থতার কারণে সেই দায়িত্ব গ্রহণে অক্ষম হলে আরও পাঁচজনকে এই পদের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল। সংবিধান অনুযায়ী শেষ বিকল্প হল রাষ্ট্রপতি স্বয়ং। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি অন্য কোনও প্রার্থীর এই পদে বসা নিয়ে একমত হতে না পারায় অবশেষে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর ইয়াজউদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলি তাঁর এই নিয়োগ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাদের অভিযোগ ছিল উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে সাংবিধানিক নির্দেশিকা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বিএনপি সংসদদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন ইয়াজউদ্দিন। ২০০৭ সালের আসন্ন নির্বাচনে উপদেষ্টা হিসেবে তদারকির দায়িত্বও পান ইয়াজউদ্দিন, যদিও তাঁর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ছিল অব্যাহত।
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও তার সদস্যরা ইয়াজউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করলে তা প্রত্যাখান করেন তিনি। নির্বাচনকে বিএনপির দ্বারা প্রভাবিত এবং পরিকল্পিত বলে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বয়কট করেছিল। ইয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ ছিল যে, তিনি বিএনপির পক্ষ নিয়ে কাজ করছেন। রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী উভয় দলকে নির্বাচনে রাজি করানোর চেষ্টায় খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। অবশেষে ২৩ ডিসেম্বর তাঁরা আগামী ২২ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়। তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রীসভার চারজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ ছিল, তিনি উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ যাই হোক, রাজি হওয়ার পরেও শেষ মুহূর্তে ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ হঠাৎ সমস্ত স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ তাদের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরকেও প্রত্যাহার করে নিয়ে বলে, আওয়ামী লীগ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অসম্ভব ব্যাপার।
এই একদলীয় নির্বাচন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনকে বিপন্ন করে দেবে এবং বিএনপির ক্ষমতা অধিগ্রহণকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না ভেবে উদ্বিগ্ন হয়েই ২০০৭-এর ১১ জানুয়ারি সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। এই তারিখেই ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে যে নির্বাচন কমিশন ও তাঁর সরকার ব্যর্থ তা স্বীকার করেন তিনি। জেনারেল মঈন উদ্দিন আহমেদ ইয়াজউদ্দিনকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে এবং পদত্যাগ করতে রাজি করান। সাবেক বিচারপতি ফজলুল হককে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করে পরবর্তী কোনও ঘোষণার আগে পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বহাল করেন ইয়াজউদ্দিন। সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে বিরোধীরা দেশের গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত হলেও সরকারের দুর্নীতি কমানোর জন্য পেশাদার টেকনোক্র্যাটদের নেতৃত্বে অনেকেই সন্তুষ্ট ছিলেন। পরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করে ইয়াজউদ্দিন বিশিষ্ট ব্যাঙ্কার ফখরুদ্দিন আহমেদকে নতুন প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত করেন। উপদেষ্টা পদ ছাড়লেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছিলেন ইয়াজউদ্দিন।
২০০৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইয়াজউদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রথমে সংসদের নতুন সদস্যদের নির্বাচনের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে ২০০৮ সালের শেষ দিকে একটি জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়। সেই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত ইয়াজউদ্দিন রাষ্ট্রপতি পদে থাকবেন বলে ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে এবং জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন ইয়াজউদ্দিন।
বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভিদের পুষ্টির জন্য অভূতপূর্ব এক পদ্ধতি আবিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন সম্মানীয় খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল ইয়াজউদ্দিনকে। ১৯৮৭ সালে তিনি পেয়েছিলেন ইব্রাহিম মেমোরিয়াল মেডেল এবং ১৯৯০ সালে তিনি অতীশ দীপঙ্কর পদক লাভ করেন। শিক্ষার উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৫ সালে তাঁকে ‘একুশে পদক’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল।
কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতা বৃদ্ধির কারণে ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর ৮১ বছর বয়সে থাইল্যান্ডের অন্তর্গত ব্যাঙ্ককের বুমরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মৃত্যু হয়।