আঁকাবাঁকা ছোট ছোট পাহাড় আর নদীর উপরে ভাসমান নৌকা, সব মিলিয়ে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা মুকুটমণিপুর ৷ প্রকৃতি যেন নিজে হাতে সাজিয়ে তুলেছে স্থানটিকে। তাই মুকুটমণিপুরকে ‘রাঢ়বঙ্গের রানি’ বলা হয় ৷ শহরের কোলাহল থেকে দূরে অন্তত দুই দিনের জন্য সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাতে ঘুরে আসাই যায় মুকুটমণিপুর থেকে। জল, জঙ্গল আর পাহাড়ের মিশেলে এর থেকে মনোরম বিকল্প আর কিছু নেই। কংসাবতী আর কুমারীর নদীর সঙ্গমে মুকুটমণিপুরের স্মৃতি সহজে ভোলার নয়।
ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছে কংসাবতী ও কুমারী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত মুকুটমণিপুর পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটি গ্রাম ও পর্যটনকেন্দ্র। এর দুরত্ব বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র ৫৫ কিলোমিটার এবং বিষ্ণুপুর থেকে ৮২ কিলোমিটার। মুকুটমণিপুর বাঁকুড়ার খাতরা মহকুমার অন্তর্গত। কলকাতা থেকে মুকুটমণিপুরের দূরত্ব কমবেশি ২৫০-৩০০ কিমি।
পাহাড়, নদী আর সবুজের সমাহারে নয়নাভিরাম স্থান মুকুটমণিপুর। একদিকে কংসাবতী নদী কুলুকুলু শব্দে বয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে সারি দিয়ে মাথা উঁচিয়ে দাড়িয়ে আছে পাহাড়। কংসাবতী বাঁধের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখা মেলে সবুজ ঘেরা গ্রাম৷ নির্জনতা উপভোগ করার আদর্শ স্থান মুকুটমণিপুর৷ শহরের কোলাহল থেকে দূরে, ব্যস্ততা থেকে একটু ছুটি নিয়ে অবসর যাপন করতে হলে অবশ্যই মুকুটমণিপুর ভ্রমণ করা যায়। পাহাড় আর জলের এমন সহাবস্থানই মুকুটমণিপুরের মূল আকর্ষণ।এখানকার রাস্তার উপরে রঙিন নকশা, সুন্দর পসরা সাজিয়ে থাকে সারিবদ্ধ দোকান, রাস্তার পাশে ঝাড়বাতি আর আছে বোট বুকিং কাউন্টার, সাজানো গোছানো পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে মুকুটমণিপুর। পশ্চিমবঙ্গের মুকুটমণিপুরই প্রথম পর্যটনকেন্দ্র যেখানে পথচিত্র তৈরি করা হয়েছে৷ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ রয়েছে এখানেই। তাছাড়া মুকুটমণিপুর জলাধারের বিশাল জলরাশির বুকে ভেসে চলা নৌকাগুলি যেন স্বপ্নের মত।
ট্রেন, বাস বা গাড়ি তিনভাবেই যাওয়া যায় মুকুটমণিপুর৷ সাধারণভাবে সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে রূপসী বাংলা ট্রেন ধরে কিংবা হাওড়া স্টেশন থেকে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস ধরে মুকুটমণিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া যায়৷ মুকুটমণিপুরের সবথেকে কাছের রেলস্টেশন হল বাঁকুড়া, তবে অনেকক্ষেত্রে ছাতনাতেও কিছু ট্রেন দাঁড়ায়। বাঁকুড়া স্টেশন থেকে মুকুটমণিপুরের দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। বাঁকুড়া স্টেশন থেকে মুকুটমণিপুর যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করা যেতে পারে। তবে লোকাল বাসে করে মুকুটমণিপুর যেতে চাইলে প্রথমে বাঁকুড়া বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। বাঁকুড়া স্টেশন থেকে বাঁকুড়া বাসস্ট্যান্ডটা বেশ কিছুটা দূরে। ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে কোভিড পরিস্থিতিতে হাওড়া থেকে মাত্র দুটি ট্রেনই চালু রয়েছে মুকুটমণিপুর যাওয়ার জন্য। প্রথমটি হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস এবং দ্বিতীয়টি হাওড়া-বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেস। দুটি ট্রেনই হাওড়া থেকে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে ছাড়ে এবং ছাতনা স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টে ২২ মিনিটে। কলকাতার ধর্মতলার শহীদ মিনারের কাছ থেকে সরাসরি মুকুটমণিপুর যাওয়ার সরকারি বাসও ধরা যায় কিংবা কলকাতা থেকে বাসে দুর্গাপুর পর্যন্ত এসে সেখান থেকে আবার বাসে চেপে বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছানো যায় বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে। নিজের গাড়ি করে এলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ে ধরে প্রথমে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া এবং সেখান থেকে বেলিয়াতোড় হয়ে বাঁকুড়ার ধলডাঙা এবং খাতরার ভিতর দিয়ে মুকুটমণিপুর চলে আসা যায়৷
মুকুটমণিপুরে থাকার জন্য অনেক হোটেল, লজ ও রিসর্ট আছে৷ আবার কেউ চাইলে বাঁকুড়া শহরের সহজলভ্য হোটেলও থাকতে পারেন৷ বর্তমান সময়ে পছন্দ মতন থাকার জায়গা খুঁজে অনলাইনে আগেই বুক করে নেওয়া যায়৷ এছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্টের সোনাঝুরি রিসর্ট এখানকার অন্যতম ভালো রিসর্ট, এখানেও আগে থেকে অনলাইনে বুকিং করা যায়৷ মোটামুটি একটি ভাল হোটেলে একদিনের জন্য থাকা বাবদ মাথাপিছু আনুমানিক ৭৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা খরচ হতে পারে। মুকুটমণিপুর জলাধারের পাড়েও বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি হোটেল রয়েছে।
বন্ধু-বান্ধব সহযোগে দলবদ্ধভাবে পিকনিক করতে যাওয়া যায় আবার এখানে থাকাও যায়। এছাড়া পরিবার নিয়েও এখানকার ভ্রমণ উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে। কলকাতা বা সংলগ্ন অঞ্চলের থেকে মানুষেরা থাকার জন্য এলেও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া বা সংলগ্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে এটি পিকনিক স্পট হিসেবে বেশি জনপ্রিয়। মুকুটমণিপুরে পৌঁছে ঘোরাঘুরির জন্য কোনও ভ্যান বা গাড়ি ভাড়া করে নেওয়া যেতে পারে৷ মুকুটমণিপুর জলাধার, বোনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক, পরেশনাথের শিব মন্দির, কংসাবতী বাঁধ, মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট ইত্যাদি জায়গা একে একে ঘুরে নেওয়া যায় সহজেই।
কংসাবতী বাঁধ – এই বাঁধ প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ, চারিদিকে বাঁধানো। বাঁধের শুরুতে আছে নৌকা ভ্রমণের বন্দোবস্ত। কংসাবতী বাঁধটি দেখতে বেশ সুন্দর। এই বাঁধ থেকে কয়েকটি গেটের সাহায্য জল ছাড়া হয়; বাঁধের উপরের খালটির মধ্য দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালো লাগে। কংসাবতী বাঁধ ভালভাবে ঘোরার জন্য নৌ-ভ্রমণেরও ব্যবস্থা আছে। কংসাবতী বাঁধের পাশে বেশ কিছু ছোট ছোট পাহাড় আছে আর পাহাড়ের ধাপে ধাপে আছে অনেক গাছ-গাছালি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য এখানে এসে ধরা পড়েছে ৷ ভারতের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ‘আর্থ ড্যাম’ অর্থাৎ মাটির বাঁধ এটি৷
মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট – কংসাবতী বাঁধ থেকে বেরতেই প্রথমে চোখে পড়ে মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট। সুন্দর করে সাজানো একটি টিলা যার উপর থেকে মুকুটমণিপুরের অসাধারণ রূপ দেখা যায়৷ মুসাফিরানার দেয়ালে আঁকা আছে বাঁকুড়ার সমস্ত দ্রষ্টব্য জায়গার ছবি।
পরেশনাথ মন্দির – ছোট টিলার উপরে অবস্থিত পরেশনাথ শিবমন্দির। বেশ কয়েকটি সিঁড়ি ভেঙে এই মন্দিরে উঠতে হয়। এই অঞ্চলে গুজব আছে সেচবাঁধ তৈরির সময় মাটি খুঁড়ে এই শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল। পরে এর মতই আরেকটি বড় লিঙ্গ তৈরি করা হয়। দুটোই এখন পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরে পৌঁছাতে গেলে গাড়ি না নিয়ে অনেকে পাহাড়ে ‘ট্রেকিং’ করেও উঠে থাকেন ৷ এই পরেশনাথ পাহাড়ের ছোট্ট টিলার উপর থেকে দেখা যায় বহুদূর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সবুজের শোভা। পাহাড়ের নীচে ধানখেত, তালগাছ, সবুজে ভরা গ্রামের অপূর্ব দৃশ্যপট৷
মোহনা – মোহনা এখানকার অন্যতম ঘোরার জায়গা। এই মোহনার বৈশিষ্ট্য হল এখানে কংসাবতী বা কাঁসাই নদী এবং কুমারী নদী এসে একসঙ্গে মিলিত হয়েছে । সেখান থেকে নৌকো চড়ে নদীর ওপারে যাওয়া যায়। নদী-মোহনার ঐ পাড়েই বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক।
বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক – বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কে একসঙ্গে অনেক হরিণ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া ময়ূর কিংবা রাঁজহাসও দেখা যায় এই বনভূমিতে। মুকুটমণিপুরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে৷ গ্রামের প্রান্তে মনোরম সূর্যাস্ত, ছোটনাগপুর মালভূমির শাল, পলাশের ঘন নিবিড় জঙ্গলের মাঝে লালমাটির আঁকাবাঁকা রাস্তা আর সন্ধ্যাবেলা ধামসা মাদলের সঙ্গে আদিবাসীদের নৃত্য যেন এখানে ঘুরতে আসার উপরি পাওনা। এছাড়া চাইলে মুকুটমণিপুর থেকে গাড়ি নিয়ে সাইটসিইং ঘুরে আসা যায় অম্বিকানগর,গাংদুয়া ড্যাম, রানিবাঁধ হয়ে ঝিলিমিলি জঙ্গল, সুতান লেক এবং তালবেরিয়া ড্যাম ৷ তবে ঘোরার সময় মাথায় রাখতে হবে কোনওভাবেই বাঁধের জল কিংবা ডিয়ার পার্ক কিংবা পরেশনাথের পাহাড়ের চূড়ায় নোংরা, প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলা যাবে না। জলে ভয় থাকলে মোহনায় বোটিং না করাই শ্রেয়।
বাঁকুড়ায় গ্রীষ্মকালে তাপপ্রবাহ খুব বেশি থাকে, তাই সেই সময়টা ঘুরতে না যাওয়াই ভাল৷ বর্ষাকালের সৌন্দর্য অন্যরকম। হোটেলের ঘরে বসে লাল মাটির সোঁদা গন্ধ নিয়ে নির্জনতা উপভোগ করার আনন্দই আলাদা কিন্তু স্বভাবতই সেক্ষেত্রে বাইরের সাইট সিইং করতে সমস্যা হতে পারে৷ শীতকাল ঘোরাঘুরির জন্য আদর্শ; শীতের শুরু বা শেষ দিকে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মনোরম পরিবেশে ঘোরা যেতে পারে৷ তবে কমবেশি সারাবছরই মানুষের আনাগোনা থাকে মুকুটমণিপুরে।
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া বিখ্যাত তার টেরাকোটা শিল্পের জন্য। বাঁকুড়ার প্রসিদ্ধ জিনিস হল বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত মাটির ঘোড়া, তাছাড়া কাঠের ঘোড়াও পাওয়া যায় এখানে৷ স্মৃতি হিসেবে এখান থেকে হস্তশিল্পের নিদর্শনটি কিনে আনাই যায়৷

ট্রিপ টিপস
- কীভাবে যাবেন – ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে কোভিড পরিস্থিতিতে হাওড়া থেকে মাত্র দুটি ট্রেনই চালু রয়েছে মুকুটমণিপুর যাওয়ার জন্য। প্রথমটি হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস এবং দ্বিতীয়টি হাওড়া-বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেস। দুটি ট্রেনই হাওড়া থেকে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে ছাড়ে এবং ছাতনা স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টে ২২ মিনিটে। কলকাতার ধর্মতলার শহীদ মিনারের কাছ থেকে সরাসরি মুকুটমণিপুর যাওয়ার সরকারি বাসও ধরা যায় কিংবা কলকাতা থেকে বাসে দুর্গাপুর পর্যন্ত এসে সেখান থেকে আবার বাসে চেপে বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছানো যায় বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে। নিজের গাড়ি করে এলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ে ধরে প্রথমে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া এবং সেখান থেকে বেলিয়াতোড় হয়ে বাঁকুড়ার ধলডাঙা এবং খাতরার ভিতর দিয়ে মুকুটমণিপুর চলে আসা যায়।
- কোথায় থাকবেন – মুকুটমণিপুরে থাকার জন্য অনেক হোটেল, লজ ও রিসর্ট আছে৷ কেউ চাইলে বাঁকুড়া শহরের সহজলভ্য হোটেলও থাকতে পারেন৷ মুকুটমণিপুর জলাধারের পাড়েও বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি হোটেল রয়েছে। মোটামুটি একটি ভাল হোটেলে একদিনের জন্য থাকা বাবদ মাথাপিছু আনুমানিক ৭৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
- কী দেখবেন – মুকুটমণিপুর জলাধার, বোনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক, পরেশনাথের শিব মন্দির, কংসাবতী বাঁধ, মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট ইত্যাদি জায়গা একে একে ঘুরে নেওয়া যায় সহজেই। এছাড়া চাইলে মুকুটমণিপুর থেকে গাড়ি নিয়ে সাইটসিইং ঘুরে আসা যায় অম্বিকানগর,গাংদুয়া ড্যাম, রানিবাঁধ হয়ে ঝিলিমিলি জঙ্গল, সুতান লেক এবং তালবেরিয়া ড্যাম৷
- কখন যাবেন – বছরের যে কোনও সময় মুকুটমণিপুরে আসা যায়। তবে শীতকাল আদর্শ সময়। বর্ষাকালে এলে ভিজে লাল মাটির সোঁদা গন্ধ মোহিত করে তুলবে ঠিকই, কিন্তু বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনাটাই মাটি হতে পারে।
- সতর্কতা –
- পরেশনাথের পাহাড়ই হোক বা বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক কোথাও পিকনিক করা উচিত নয়।
- জলাধারের জলে কিংবা মোহনায় বোটিং-এর সময় প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলা একেবারেই উচিত নয়।
- আসার আগে অনলাইনে আগে থেকে হোটেল বুক করে নেওয়াই সমীচীন।
- পায়ের সমস্যা বা শ্বাসকষ্ট কিংবা হৃদযন্ত্রের জটিলতা রয়েছে যাদের, তারা খাড়াই সিঁড়ি বা পাহাড়ি চড়াই ওঠার সময় থেমে থেমে উঠবেন।
- বিশেষ পরামর্শ – সাধারণত একদিনেই ঘুরে আসা যায় মুকুটমণিপুর, তবে এক রাত অনায়াসে থাকা যায় এখানে। মনে ভক্তি থাকলে পরেশনাথের শিবমন্দিরে পুজোও দিতে পারেন। মোহনায় নৌ-ভ্রমণের আনন্দ নিতে ভুলে যাবেন না।
One comment