উনিশ শতকে নবজাগরণের সময়কালীন বাংলার বিখ্যাত দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ ব্রজেন্দ্রনাথ শীল (Brajendra Nath Seal)। তাঁর অসাধারণ মেধা ও পান্ডিত্যের জন্য তিনি ‘আচার্য’ উপাধিতে ভূষিত হন। বহুভাষাবিদ্ ব্রজেন্দ্রনাথের দর্শন ও গণিতে ছিল প্রবল উৎসাহ। শিল্প, সাহিত্য, নৃতত্ত্ব, সংস্কৃতি, সভ্যতা, ইতিহাস, দর্শন, গণিত, বিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব বিদ্যাচর্চার সমস্ত শাখাতেই তাঁর অসামান্য জ্ঞান ও প্রজ্ঞার কারণে তাঁকে ‘চলন্ত বিশ্বকোষ’ বলা হতো আর রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘সর্ববিদ্যাবিশারদ’ উপাধি দিয়েছেন। রাশিবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশকে উৎসাহিত করেছেন তিনি, একইসঙ্গে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বিখ্যাত ‘হিন্দু রসায়নশাস্ত্রের ইতিহাস’ বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায় লিখে দিয়েছেন তিনি। উনিশ শতকের বাঙালি মনীষার এক জ্বলন্ত প্রতিমূর্তি ছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথ শীল।
১৮৬৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হুগলী জেলার হরিপালে ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের জন্ম হয়। তাঁর বাবার নাম মহেন্দ্রনাথ শীল ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী, তাঁর মায়ের নাম রাধারানী দেবী। তাঁরা উত্তর কলকাতার রামমোহন সাহা লেনে থাকতেন। মহেন্দ্রনাথ শীল দর্শন, গণিত ও ভাষাচর্চায় প্রবল আগ্রহী ছিলেন, ভালো বেহালাও বাজাতে পারতেন তিনি। দর্শন ও গণিতের প্রতি বাবার এমন ভালোবাসা থেকেই ব্রজেন্দ্রনাথের দর্শন ও গণিতের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু মাত্র আট বছর বয়সে বাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে মামাবাড়িতে মানুষ হন ব্রজেন্দ্রনাথ শীল। ছোটোবেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। অঙ্ক ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়।
মামাবাড়ির কাছে গ্রামের পাঠশালায় ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ শুরু হয়। এরপরে তিনি ভর্তি হন জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউশনে। এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত যিনি পরবর্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ নামে পরিচিত হন। ১৮৭৮ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়ে উত্তীর্ণ হন ব্রজেন্দ্রনাথ। ১৮৮০ সালে এফ.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে গণিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হন। ১৮৮৩ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে গণিতে সাম্মানিকসহ প্রথম বিভাগে স্নাতক হন তিনি। কলেজে পড়াকালীন তাঁর দর্শনের অধ্যাপক হেস্টি সাহেবের দ্বারা প্রভাবিত হন ব্রজেন্দ্রনাথ শীল এবং গণিতে স্নাতক হওয়া সত্ত্বেও দর্শনে ১৮৮৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন তিনি।
এই প্রসঙ্গে একটি বিখ্যাত কিংবদন্তি আছে ব্রজেন্দ্রনাথের এই গণিত থেকে দর্শনে স্থানান্তরিত হওয়া নিয়ে। কলেজে গণিতের অধ্যাপক গৌরীশঙ্কর দে চেয়েছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথ গণিত পড়ুক আর অন্যদিকে দর্শনের অধ্যাপক উইলিয়াম হেস্টি চেয়েছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথের স্নাতকোত্তরের বিষয় হোক দর্শন। এই দ্বন্দ্বের মধ্যে যদিও ব্রজেন্দ্রনাথ দর্শনকেই বেছে নিয়েছিলেন। ১৯১০ সালে ‘কেমিক্যাল, ফিজিক্যাল অ্যাণ্ড মেকানিক্যাল থিওরিস অফ অ্যানসিয়েন্ট হিন্দুজ’ শিরোনামে গবেষণাপত্র রচনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি. এইচ. ডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
মাত্র কুড়ি বছর বয়সে সিটি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের কর্মজীবন শুরু হয়। চব্বিশ বছর বয়সে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এত কম বয়সে খুব কম মানুষই এমন জায়গায় পৌঁছেছিলেন। কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের অনুরোধে ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কোচবিহার ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৭৮ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘ নয় বছর। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নাগপুর ও মহীশূর কলেজেও উপাচার্য পদে আসীন ছিলেন তিনি। ১৯২০ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ নয় বছর মহীশূর কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি সেখানকার পাঠ্যক্রম নতুনভাবে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়াও মহীশূর কলেজের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য তিনি উদ্যোগী হন। ১৮৮৫ সালে নাগপুরের মরিস মেমোরিয়াল কলেজে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন ব্রজেন্দ্রনাথ। পরম বন্ধু স্যার আশুতোষ মুখ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে রাজা পঞ্চম জর্জের সম্মানে তৈরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
দর্শন ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে উনিশ শতকের ভারতে ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের মতো পন্ডিত দ্বিতীয় কেউ ছিলেন না। ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্বেও তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদের অন্যতম প্রচারক ছিলেন। দর্শনে গণিতের সূত্র প্রয়োগে তিনিই ছিলেন পথিকৃৎ। তাঁর মতে, দর্শন ও বিজ্ঞান একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত বিষয়। তবে শুধুই দর্শন ও গণিত নয়, তিনি ভূতত্ত্ব ও প্রত্নতত্ত্বের বিষয়েও গবেষণা করেছেন। ভূতত্ত্বের দ্বারা পৃথিবীর আনুমানিক সৃষ্টির উৎস জানার জন্য আগ্রহী হয়েছিলেন তিনি। প্রত্নতত্ত্বের উপরে তাঁর লেখা প্রবন্ধগুলির মধ্যে ‘ওড়িশার মন্দিরগাত্রের চিত্র’ ও ‘শিক্ষাবিস্তার’ অন্যতম। ভাবলে আশ্চর্য লাগে, বিখ্যাত রাশিবিদ প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশকে রাশিবিদ্যায় গবেষণার জন্য উৎসাহিত করেন ব্রজেন্দ্রনাথ শীল। শিশু ও প্রাণীদের মনস্তত্ত্ব নিয়েও গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ধর্ম, দর্শনতত্ত্ব, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা, নৃতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, বিজ্ঞান জ্ঞানচর্চার প্রায় সকল শাখায় তাঁর ছিল অবাধ যাতায়াত।
শুধুমাত্র শিক্ষকতা, গ্রন্থ রচনা বা গবেষণামূলক কাজ করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিদগ্ধ সভায় ব্রজেন্দ্রনাথ শীল নিজের বক্তব্য রেখেছেন অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে। ১৮৯৯ সালে রোমে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ‘প্রাচ্যবিদ্যা’ সম্মেলনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। সেখানে তিনি খ্রিস্ট ও বৈষ্ণব ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করেন এবং তাঁর এই আলোচনার ফল হয় সুদূরপ্রসারী। বিদেশি পন্ডিতদের মধ্যে তিনি প্রভূত সমাদৃত হন। এরপরে তিনি ইউরোপ ও লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতিতে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ পান। ১৯১১ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বজাতি কংগ্রেসে ‘জাতিতত্ত্ব’ নিয়ে তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। বন্ধু নরেন্দ্রনাথ দত্তের ধর্মগুরু রামকৃষ্ণদেবের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘সর্বধর্ম সম্মেলন’-এ ব্রজেন্দ্রনাথ উদ্বোধনী বক্তৃতা রাখেন। ১৯২১ সালে বন্ধু রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে বিশ্বভারতীর সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যের একজন যোগ্য সমালোচকও ছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথ। ১৮৯১ সালে ব্রজেন্দ্রনাথ বন্ধু রবীন্দ্রনাথের কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেন। এই প্রসঙ্গে জানা যায়, ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বিশ্বের দরবারে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেও ব্রজেন্দ্রনাথ কখনোই গীতাঞ্জলিকে খুব একটা উন্নতমানের রচনা বলে মনে করেননি। এমনকি শোনা যায়, ইয়েটস-এর বহু আগে ব্রজেন্দ্রনাথ শীলই রবীন্দ্র-কবিতার ইংরেজি অনুবাদ করে দিয়েছিলেন।
শিক্ষা সংস্কারের জন্য নানাভাবে সচেষ্ট ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কখনও উপাচার্যরূপে শিক্ষাব্যবস্হার নতুন কাঠামো প্রণয়ন করেছেন, আবার কখনও কলেজের আধুনিকীকরণ করেছেন। ১৯১৭ সালে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মাইকেল স্যাডলারের নেতৃত্বে ভারতের শিক্ষাব্যবস্হা সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল। ব্রজেন্দ্রনাথ ছিলেন এই কমিশনের অন্যতম সদস্য। এই কমিশন দুইবছর পরে অর্থাৎ ১৯১৯ সালে ভারতের শিক্ষা সংস্কারের জন্য রিপোর্ট তৈরি করে যার অধিকাংশই ছিল ব্রজেন্দ্রনাথের লেখা। কমিশনের নেতৃত্বে থাকা স্যাডলার সাহেব শিক্ষাব্যবস্থা এমনকি প্রশাসনের উপরে ব্রজেন্দ্রনাথের এমন দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
গণিতের উপর তাঁর লেখা ‘এ মিরর অন দ্য কো-এফিসিয়েন্ট অফ নাম্বারস’ বইটি ১৮৯১ সালে প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯০৩ সালে ব্রজেন্দ্রনাথ শীল ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে লেখা ‘নিও-রোমান্টিক মুভমেন্ট ইন বেঙ্গলি লিটারেচার’ গ্রন্থে নিজের বিচারশক্তির দ্বারা তুলনামূলক সাহিত্যের এক অসামান্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ধর্মতত্ত্বের উপরে ১৮৯৯ সালে ‘এ কমপারেটিভ স্টাডি অফ ক্রিশ্চিয়ানিটি অ্যাণ্ড বৈষ্ণবিজ্ম’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন তিনি। সমালোচনা সাহিত্যের উপর ১৯০৩ সালে ‘নিউ এসে ইন ক্রিটিসিজম’ রচনা করেন ব্রজেন্দ্রনাথ শীল। এরপরে ১৯১১ সালে তাঁর লেখা নৃতত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ ‘রেস অরিজিন’ অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পায়। ১৯১৫ সালে প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞানচর্চার উপরেও তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ‘পজেটিভ সায়েন্স অফ অ্যানসিয়েন্ট হিন্দুজ’ নামে। এই প্রবন্ধে তিনি বিজ্ঞানচর্চায় হিন্দুদের সঙ্গে বৌদ্ধ ও জৈনদের অবদান নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখা দিয়েছেন। এই প্রবন্ধটি প্রথমে ১৮৯০ সালে ‘ক্যালকাটা রিভিউ’তে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৩৬ সালে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে প্রায় ভগ্ন শরীরে একটি ইংরেজি মহাকাব্য লেখেন ব্রজেন্দ্রনাথ শীল ‘দ্য কোয়েষ্ট ইটারনাল’ নামে যেখানে তিনি মানবসভ্যতার কালের ঘটনাবলীর এক দার্শনিক মতবাদসমূহের বিবরণ দিয়েছেন। স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুর পরে ভগিনী নিবেদিতার অনুরোধে বিবেকানন্দকে নিয়ে ‘ছাত্রজীবনে স্মৃতিচারণা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ রচনা করেন যা ‘প্রবুদ্ধ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেইসময়ের আরও এক মনীষী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের লেখা ‘হিন্দু রসায়ন শাস্ত্রের ইতিহাস’ গ্রন্থটির প্রথম দুটি অধ্যায় স্বয়ং ব্রজেন্দ্রনাথেরই লেখা। বিদ্যাচর্চার পরিসরে এমন কোনো শাখা নেই যা তাঁর অধিগত ছিল না।
তাঁর সারাজীবনের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অনেক সম্মাননা লাভ করেছেন। মহীশূর সরকার তাঁকে ‘রাজতন্ত্র প্রবীণ’ সম্মান প্রদান করে, ইংরেজ সরকার ‘নাইটহুড’ উপাধিতে ভূষিত করে ব্রজেন্দ্রনাথকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘ডি. এস. সি’ ডিগ্রিতে সম্মানিত হন তিনি। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘সর্ববিদ্যাবিশারদ’ আখ্যা দেন। তাঁর অসাধারণ জ্ঞানের জন্য তাঁকে ‘চলন্ত বিশ্বকোষ’ বলেও অভিহিত করা হতো। তাঁর বলিষ্ঠ চরিত্র ও অপরিসীম জ্ঞানের জন্য তাঁকে ‘আচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পরে কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল’ রাখা হয়। ইংরেজ পন্ডিতরা তাঁকে গ্রিক দার্শনিক ‘অ্যারিস্টটল’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। অনেকে তাঁকে ‘সক্রেটিসের উত্তরসূরি’ বলেও সম্বোধন করেছেন।
১৯৩৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের মৃত্যু হয়।
2 comments