ব্রাজিল

ব্রাজিল (Brazil) দেশটি বেশিরভাগ বিশ্ববাসীর কাছে ফুটবলের জন্য পরিচিত। মোট পাঁচবার ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল বিশ্বকে পেলে, গ্যারিঞ্চা, সক্রেটিস, রোনাল্ডিনহোদের মত ফুটবলশিল্পীদের বছরের পর বছর ধরে উপহার দিয়ে গেছে।  আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত এই দেশটির প্রাকৃতিক বৈচিত্র যেমন অতুলনীয় তেমনই সংস্কৃতি ও জাতিগত  বৈচিত্র্যও অনেক। আকর্ষণীয় এই দেশটির নানা তথ্য এখানে আমরা জেনে নেব একটু।

দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সব থেকে বড় দেশ হল ব্রাজিল। উত্তরে  ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম ও ফরাসি গায়ানা; দক্ষিণে উরুগুয়ে; পূর্ব দিকে আটলান্টিক মহাসাগর  এবং  পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু ঘিরে রয়েছে সমগ্র দেশটিকে। এছাড়া উত্তর-পশ্চিমে কলম্বিয়া; দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে দেশগুলি রয়েছে।

ব্রাজিলের রাজধানী হল ব্রাসিলিয়া(Brasilia)। আয়তন ও জনসংখ্যার বিচারে ব্রাজিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ।এই দেশের মুদ্রার নাম ব্রাজিলীয় রিয়াল(চিহ্ন – R$)। ১ ব্রাজিলীয় রিয়াল প্রায় ০.২৬ আমেরিকান ডলার বা ১৮ ভারতীয় টাকার সমান। এ দেশের জাতীয় ভাষা হল পর্তুগিজ। দেশের প্রায় ৮৭% মানুষ খ্রীষ্টান, ৮% নাস্তিক এবং বাকিরা অন্যান্য সম্প্রদায়ভুক্ত। দেশের শাসক রাষ্ট্রপতি।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর ব্রাজিল বিশ্বের ভ্রমণ মানচিত্রে বেশ উপরের দিকে আছে। পর্যটক সংখ্যার বিচারে দক্ষিণ আমেরিকার প্রধান গন্তব্য ব্রাজিল। ব্রাজিলের উল্লেখযোগ্য  ভ্রমণ স্থানের তালিকা অপূর্ণই থেকে যাবে যদি তালিকার শুরুতেই অ্যামাজন রেইন ফরেস্টের নাম না থাকে। রিও ডি জেনারিও(Rio de Janeiro) তে অবস্থিত দুই হাত প্রসারিত ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার (Christ the Redeemer), সাও পাউলো, সালভাদর উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ স্থান। এছাড়াও ব্রাজিলের সমুদ্রতট ও বালিয়াড়ি ভ্রমণ স্থান হিসেবে সারা বিশ্বে আলাদা জায়গা করে রেখেছে।

বার্বিকিউড মাংসের জন্যে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকায় সেরা। এছাড়াও মুকেকা (Moqueca), ক্যাসাকা (Cachaça) ইত্যাদি খাবার এবং পানীয়ের জন্য ব্রাজিল  বিখ্যাত।বৈচিত্রের দেশ ব্রাজিলে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন খাবার প্রধান খাদ্য হিসেবে গৃহীত হলেও ফেইসুয়াদা (Feijoada)ব্রাজিলের জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য হয়।

ব্রাজিল দেশটির কথা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি না ফুটবলের কথা বলা হয়। ব্রাজিল একমাত্র দেশ যারা বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সাল মিলিয়ে মোট পাঁচ বার বিশ্বকাপ জয় করেছে। ব্রাজিলের ফুটবল তার শিল্প ও সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত – ‘কালো মানিক’ নামে পরিচিত বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে ব্রাজিলের মানুষ। এছাড়াও ব্রাজিলের রোনাল্ডো বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৫)।

14 comments

  1. পিংব্যাকঃ পেলে | সববাংলায়

আপনার মতামত জানান