চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলা

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলা

ব্রিটিশ ভারতে বাংলার বিপ্লবী আন্দোলন ক্রমশই সন্ত্রাস সৃষ্টি করছিল একের পর এক ব্রিটিশ নিধন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। বাংলার বুকে ইতস্তত গড়ে উঠেছিল গুপ্ত বিপ্লবী সমিতি। বোমা বানানোর কাজে সেই সময়কার বিপ্লবীরা দক্ষ হয়ে উঠছিলেন। সেই বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে ব্রিটিশ হত্যার ঘটনার বিরুদ্ধে বহু মামলাও দায়ের হয়েছে ভারতীয় আদালতে। কিন্তু সুদূর চট্টগ্রামের বুকে এক অঙ্কের শিক্ষকের নেতৃত্বে ব্রিটিশের অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের মতো এক বিরাট ঘটনা ঘটে যায়, দেশবাসী এক দৃপ্ত জাতীয়তাবোধে জেগে ওঠে। এই অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক বিরাট বড় অধ্যায়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যে সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে আত্মবলিদান দিতে পারে তা এই অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। নারীশক্তির জাগরণই হোক বা বিপ্লবের মাধ্যমে মানুষের মুক্তি দুই ক্ষেত্রেই চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ব্রিটিশ সরকার দায়ের করেছিল একটি নতুন মামলা।

১৯৩০ সালে শুরু হয় চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলা। কিন্তু ১৯৩২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত পুলিশের গ্রেপ্তারি কর্মকাণ্ড চলে এবং ১৯৩২ সালের মার্চ মাসে মামলার রায় ঘোষণা হয়। তখনো মাস্টারদাকে না পাওয়ার কারণে মাস্টারদার গ্রেপ্তারের পরে ১৯৩৩ সালের ১৫ জুন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অতিরিক্ত মামলা শুরু হয় যার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয় ১৯৩৩ সালের ১৪ আগস্ট। মামলায় প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন লোকনাথ বল, গণেশ ঘোষ, অম্বিকা চক্রবর্তী, হরিগোপাল বল, অনন্ত সিংহ, ত্রিপুরা সেন, আনন্দ প্রসাদ গুপ্ত, বিলাস দে, বিভূতিভূষণ ভট্টাচার্য, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, হিমাংশু সেন, বিনোদ বিহারী চৌধুরি, সুবোধ রায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং মাস্টারদা সূর্য সেন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু হয় এবং তার উপরে ‘বিস্ফোরক পদার্থ আইন, ১৯০৮’-এর ৪বি ধারা ও ‘ভারতীয় অস্ত্র আইন, ১৮৭৮’-এর ১৯এফ ধারা লাগু হয়েছিল। এই মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে মামলা লড়েছিলেন শরৎচন্দ্র বসু, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এবং সন্তোষকুমার বসু।

১৯২৩ সাল থেকেই চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র পরিসরে বিপ্লবী কার্যকলাপ শুরু হয়েছিল। ১৪ ডিসেম্বর বাটালি পাহাড় এলাকায় সরকারি রেলের টাকা লুঠ করে অনন্ত সিং, দেবেন দে ও নির্মল সেন প্রমুখ বিপ্লবীরা। রেল ডাকাতি করে পাওয়া টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনার জন্য কলকাতায় চলে যান কয়েকজন বিপ্লবী। চট্টগ্রামের সুলুকবাহার এলাকায় বিপ্লবীদের সদর দপ্তরে পুলিশ হানা দিলে প্রথমে বিপ্লবীরা নগরকানা পাহাড়ে আশ্রয় নেন। কিন্তু ধরা দিতে চাননি কেউই। তাই সূর্য সেন, অম্বিকা চক্রবর্তী ও রাজেন দাস পকেটে রাখা পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সায়ানাইডের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অসুস্থ সূর্য সেন ও অন্যান্য বিপ্লবীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং হাসপাতালে চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রুজু করে ব্রিটিশ পুলিশ। এই মামলার কারণে নয় মাস কারাবন্দি থাকতে হয়েছিল সকলকে। ইতিমধ্যে সমগ্র বাংলা জুড়ে ১ নং বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স জারি করে বিপ্লবীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করে পুলিশ। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে মাস্টারদা আশ্রয়ের খোঁজে চলে আসেন কলকাতার শোভাবাজারে। এখানে পুলিশ বোমা কারখানার হদিশ পেয়ে গেলে দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলার সূত্রপাত ঘটে। মাস্টারদা পালিয়ে গেলেও পরে গ্রেপ্তার হন এবং মুরারিপুকুর ষড়যন্ত্র মামলায় দুই বছরের কারাবাস হয় তাঁর। তখনো চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ সবই ছিল এই বিরাট কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতিপর্ব।

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মোট ৬৫ জন বিপ্লবী একত্রে রাত দশটার দিকে আক্রমণ করে। তবে দুটি ছোটো ছোটো দলে বিভক্ত হয়ে এই অভিযান করেছিলেন বিপ্লবীরা। গণেশ ঘোষের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে দামাপাড়ায় অবস্থিত অস্ত্রাগার দখল করে এবং লোকনাথ বলের নেতৃত্বে আরো দশজন বিপ্লবী অক্সিলিয়ারি ফোর্সেস আর্মারি দখলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৬৫ জন বিপ্লবীর এই সংগঠনের নাম ‘ইণ্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি’। কয়েকটি সাধারণ রিভলবারও বন্দুক ব্যবহার করে বিপ্লবীরা ব্রিটিশ পুলিশের সেই অস্ত্রাগার ভেঙে মাস্কেট্রি রাইফেল, রিভলবার এবং কার্তুজ লুঠ করেন। অস্ত্রাগার লুঠের খবর যাতে কোনোভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই আক্রমণের শুরুতেই বিপ্লবীরা পুরো চট্টগ্রামের টেলিফোন ও টেলিগ্রামের তার কেটে দিয়েছিলেন। অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র সংগ্রহের পরে বিপ্লবীরা তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরে ১৬ জনের একটি বিপ্লবী দল পাহাড়তলির ইউরোপিয়ান ক্লাবের সদর দপ্তরে আক্রমণ হানে। গুড ফ্রাইডে উপলক্ষ্যে সেখানে কয়েকজন ব্রিটিশ উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। বিপ্লবীদের আক্রমণের খবর পেয়ে তারা বিপদ-সংকেত বাজিয়ে দেয় যা বিপ্লবীরা আশা করেনি প্রথমে। ফলে অস্ত্রাগারের বাইরে সূর্য সেন সকল বিপ্লবীদের একত্রিত করে প্রথম সেখানে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই খবর পেয়ে কয়েকজন ব্রিটিশ সৈন্য বিপ্লবীদের আক্রমণ করতে শুরু করেন। বিপদ বুঝে অন্য সমস্ত বিপ্লবীদের নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেন চট্টগ্রামের জালালাবাদ পাহাড়ে আশ্রয় নেন।

১৯৩০ সালের ২২ ‌এপ্রিল বিকেলে ট্রেনে করে ব্রিটিশ বাহিনী এসে উপস্থিত হয় এবং মাস্টারদা পরিচালিত বিপ্লবী দলের সঙ্গে জালালাবাদ পাহাড়ে তাঁদের প্রত্যক্ষ সংগ্রাম শুরু হয়। জালালাবাদের যুদ্ধে লোকনাথ বলকে নেতৃত্বের অধিকার দিয়েছিলেন মাস্টারদা। বিপ্লবীদের ক্রমাগত আক্রমণে ব্রিটিশ সৈন্যরা পিছিয়ে যায়। পরে ব্রিটিশদের উন্নত আগ্নেয়াস্ত্রের কাছে বিপ্লবীদের সামান্য রাইফেল আর বন্দুক বেশিক্ষণ পাল্লা দিতে পারে না। জালালাবাদের যুদ্ধে মোট ১১ জন বিপ্লবী শহীদ হন যাদের মধ্যে ছিলেন হরিগোপাল বল, নরেশ রায়, ত্রিপুরা সেন, বিধু ভট্টাচার্য, মতি কানুনগো, প্রভাশ বল, শশাঙ্ক দত্ত, নির্মল লালা, জিতেন দাস, মধু দত্ত এবং পুলিন ঘোষ। ব্রিটিশদের মধ্যে নিহত হন ৮০ জন ব্রিটিশ সৈন্য। তবে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম চালালেও ব্রিটিশ বাহিনী জালালাবাদ পাহাড় দখল করতে পারেনি। জীবিত বিপ্লবীদের সঙ্গে করে সূর্য সেন পাহাড় থেকে নামেন এবং বিপ্লবীরা ক্রমে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কোয়েপাড়ার বিনয় সেনের বাড়িতে এই সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন সূর্য সেন এবং তাঁর সঙ্গী অপর বিপ্লবী নির্মল সেন। লোকনাথ বল প্রমুখ আরো কয়েকজন বিপ্লবী নিরুদ্দেশ হয়ে যান সাময়িকভাবে। ফেনী রেলস্টেশনের দখল নিয়ে ট্রেনে করে অনেক বিপ্লবী পালিয়ে গিয়েছিলেন চন্দননগরে। ইতিমধ্যে বিপ্লবীদের খোঁজা শুরু করে পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট। বিপ্লবী জীবন ঘোষালকে হত্যা করে ব্রিটিশ পুলিশ।

জেলে বন্দি বিপ্লবীদের উদ্ধারের জন্য ল্যাণ্ডমাইন তৈরির পরিকল্পনার কাজে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন বিপ্লবী অর্ধেন্দু। কলকাতা থেকে নাইট্রিক অ্যাসিড ও সালফিউরিক অ্যাসিড সংগ্রহ করে বিপ্লবী কল্পনা দত্ত বিপ্লবীদের ফর্মুলা অনুযায়ী বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেন গান কটন। অর্ধেন্দুর কাকা নিশি দে’র বাড়িতে বোমা কারখানা স্থাপিত হয় এবং সেই ল্যাণ্ডমাইন বানানোর কাজে সাহায্য করতে থাকেন অপূর্ন সেন, প্রফুল্ল মল্লিক, সুশীল সেন প্রমুখ বিপ্লবীরা। পরিকল্পনা মাফিক জেলের ভিতরে ল্যাণ্ডমাইন, বোমা আর গান কটন পাঠালেও ধরা পড়ে যান নিবারণ ঘোষ। নিশি দে’র বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির ফলে গ্রেপ্তার হন অর্ধেন্দু গুহ, সুশীল সেন, প্রফুল্ল মল্লিক, অনিল রক্ষিত, রবি সেন, হৃদয় দাস, প্রভাত দত্ত প্রমুখরাও। ১৯৩২ সালের ১৩ জুন ধলঘাটে মাস্টারদা, প্রীতিলতা, নির্মল সেন, ভোলা দত্ত, মণি দত্ত প্রমুখরা যে বাড়িতে গোপনে আস্তানা তৈরি করেছিলেন, সেখানে ব্রিটিশ পুলিশ গোর্খা সেনাবাহিনী নিয়ে আক্রমণ চালায়। ধলঘাটের সেই বাড়িতে পুলিশের গুলি লেগে মারা যান নির্মল সেন এবং ভোলা। মামলা ততদিনে শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু মাস্টারদাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রিটিশ পুলিশ মাস্টারদাকে ধরে দেবার বদলে দশ হাজার টাকা পুরস্কার ধার্য করেছে। হরিপদ ভট্টাচার্য, তারকেশ্বর দস্তিদার, সুশীল সেন ও কল্পনা দত্তের সঙ্গে একের পর এক জায়গা বদলে বদলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন মাস্টারদা।

১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় দেবীপ্রসাদ গুপ্ত, মনোরঞ্জন সেন, রজত সেন, স্বদেশ রায়, ফণীন্দ্র নন্দী, সুবোধ চৌধুরী প্রমুখ বিপ্লবীরা পুরুষবেশী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নেতৃত্বে পুলিশের পোশাকে পাহাড়তলির ইউরোপিয়ান ক্লাবে দ্বিতীয়বার আক্রমণ করেন এবং কয়েকজন ব্রিটিশ পুলিশকে হত্যা করেন। মনে রাখতে হবে এই ক্লাবের বাইরেই সাইনবোর্ডে লেখা থাকতো, ভারতীয় ও কুকুরদের প্রবেশ নিষেধ। পুলিশের সঙ্গে লড়াইয়ে অন্য সকল বিপ্লবী পালিয়ে গেলেও আহত প্রীতিলতা সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ পরবর্তীকালে দেবীপ্রসাদ গুপ্ত, মনোরঞ্জন সেন, রজত সেন, স্বদেশ রঞ্জন রায়কে হত্যা করে এবং আহত সুবোধ চৌধুরী ও ফণীন্দ্র নন্দীকে গ্রেপ্তার করে। অবশেষে ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাবিলাস দ্বীপে বিপ্লবী ধীরেন দাসের বাড়ি থেকে নেত্র সেনের বিশ্বাসঘাতকতায় গ্রেপ্তার হন মাস্টারদা সূর্য সেন। কিন্তু পরে মাস্টারদার দলের অনুগামীরাই নেত্র সেনকে মেরে ফেলেন। ১৯৩৩ সালের ১৯ মে গাহিরা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন কল্পনা দত্ত এবং পুলিশের বুটের আঘাতে গুরুতরভাবে আহত হন বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার।

মাস্টারদা গ্রেপ্তার হওয়ার পরে নতুন করে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অতিরিক্ত মামলা শুরু হয়। চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হয় ১৪ আগস্ট তারিখে। বিচারে মাস্টারদা সূর্য সেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির আদেশ হয়। কল্পনা দত্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের দণ্ড দেওয়া হয়। তাছাড়া গণেশ ঘোষ, হরিপদ ভট্টচার্য, ফকিরচন্দ্র সেনগুপ্ত, কালীকিঙ্কর দে, হিমাংশু ভৌমিক, লালমোহন সেন, ফণীন্দ্রনাথ নন্দী, সহায়রাম দাস, সুবোধ চৌধুরী, সুধীর রঞ্জন চৌধুরী, কালিপদ চক্রবর্তী প্রমুখ বিপ্লবীদের আন্দামানে দ্বীপান্তরিত করা হয়। এই কারাগারেই মাস্টারদার উপর অকথ্য নির্যাতন চালায় ব্রিটিশ পুলিশ। ফাঁসির বন্দী হলেও তাঁর নখ উপড়ে নেওয়া, দাঁত ভেঙে দেওয়া, জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার মতো নির্যাতন করা হয় তাঁকে। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি মাস্টারদার ফাঁসি হয়। তারকেশ্বর দস্তিদারকেও অকথ্য অত্যাচার করে অর্ধমৃত অবস্থায় ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। মাস্টারদার মৃত্যুর পরে তাঁর শবদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। বরং ব্রিটিশ জাহাজ থেকে ভারত মহাসাগরে ফেলে দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতে দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে হিন্দি ভাষায়। তাছাড়া ১৯৪৯ সালে নির্মল চৌধুরীর পরিচালনায় প্রথম ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ২০১০ সালে আশুতোষ গোয়ারিকরের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘খেলে হাম জি জান সে’ ছবিটি যা মূলত মানিনী চ্যাটার্জির লেখা ‘ডু অ্যাণ্ড ডাই : দ্য চিটাগাং আপরাইজিং ১৯৩০-৩৪’ বইটি দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিষেক বচ্চন এবং দীপিকা পাকড়ুকোনের অভিনয় বেশ প্রশংসনীয় হয়। ২০১২ সালে বাঙালি পরিচালক বেদব্রত পাইন ‘চিটাগাং’ নামে আরেকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। মনোজ বাজপেয়ী এখানে মাস্টারদার চরিত্রে অভিনয় করেন। আশ্চর্যজনকভাবে নাসায় কর্মরত বেদব্রত পাইন শুধু এই ছবিটি করবেন বলে চাকরিও ছেড়েছিলেন বলে শোনা যায়।

One comment

আপনার মতামত জানান