ও পি নায়ার

ও পি নায়ার

ভারতীয় সঙ্গীত জগতে যেসব উজ্জ্বল নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটেছে এবং যাঁদের একনিষ্ঠ সুরসাধনা আমাদের সুবৃহৎ সঙ্গীতের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে, ও পি নায়ার (O P Nayyar) ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম ছন্দোময় এবং সুরেলা সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও কেবল সঙ্গীত পরিচালকই নন, তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার এবং সঙ্গীত প্রযোজক। আশা ভোঁসলে এবং মহম্মদ রফির কন্ঠে নায়ারের নির্মাণ করা সঙ্গীত হয়তো চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সঙ্গীত শ্রোতাদের কাছে। প্রকৃতপক্ষে গুরু দত্ত এবং রফির কারণেই কখনও বম্বে ছেড়ে যাননি তিনি। কিন্তু বলিউডের একজন শীর্ষস্থানীয় কন্ঠসঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কখনও কাজ করেননি তিনি। আশ্চর্যের ব্যপার এই যে, এমন সুরসাধকের ধ্রুপদি সঙ্গীতের কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। হারমোনিয়াম বাজানোও শিখতে পারেননি তিনি। তাঁকে একজন অপ্রশিক্ষিত সুরকারও বলা চলে, কিন্তু বাণিজ্যিক সাফল্যের নিরিখে ও পি নায়ার আজও অদ্বিতীয়। কিন্তু প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে সবসময় আত্মসন্দেহে ভুগতেন তিনি। প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগে কিশোর কুমারের প্রতিভাকে শচীন দেব বর্মনের পর ও পি নায়ারই চিনতে পেরেছিলেন প্রথম। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। 

১৯২৬ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতের লাহোরে (বর্তমান পাকিস্তানে) এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ও. পি নায়ারের জন্ম হয়। তাঁর পুরো নাম ওমকার প্রসাদ নায়ার। তাঁর পরিবারের সঙ্গে সঙ্গীতের তেমন কোনো যোগাযোগ না থাকলেও, ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল অনুরাগ। তাঁর বাবা স্থানীয় এক মেডিক্যাল স্টোরে রসায়নবিদ হিসেবে কাজ করতেন। নায়ারের দুই সহোদর ছিলেন পি. পি নায়ার এবং জি. পি নায়ার। 

নায়ার প্রাথমিকভাবে লাহোরের স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন এবং সেখানেই সঙ্গীতের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়। স্থানীয় গানের প্রতিযোগিতায় তিনি প্রায়ই অংশগ্রহণ করতেন এবং অনুষ্ঠানে গান করতেন। কিন্তু কখনই প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গীতশিক্ষার সুযোগ হয়নি তাঁর। তবে তাঁর মৃদু কন্ঠস্বর এবং স্বাভাবিক সঙ্গীত প্রবৃত্তি মুগ্ধ করত সকলকে। কিশোর বয়সেই লাহোরের ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’তে কাজ করেছিলেন ও পি নায়ার। অতএব বুঝতেই পারা যায় তাঁর প্রতিভা ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’র কাছে পৌঁছেছিল এবং পরবর্তীকালেও বহুবার সেখানে গান করার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন নায়ার। তাছাড়াও দশ বছর বয়সে একটি পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রে যেমন গান গেয়েছিলেন, তেমনি একটি ভূমিকায় অভিনয়ও করেন। এই কাজটির জন্য তখনকার দিনে তিনি পুরস্কারমূল্য স্বরূপ পেয়েছিলেন দশ টাকা। 

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল চারিদিকে। লাহোরে নায়ারের এক মুসলিম প্রতিবেশী দাঙ্গার সময় তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। পরে সেই প্রতিবেশীর সহায়তায় পিছনের দরজা দিয়ে দাঙ্গাবাজদের হাত থেকে পালিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে ভারতের অন্তর্ভুক্ত পাঞ্জাবের অমৃতসরে চলে এসেছিলেন তিনি। লাহোরকে নায়ার অত্যন্ত ভালবেসে ফেলেছিলেন, কিন্তু এই রাষ্ট্রীয় বিভাজনের সামনে তাঁর হৃদয়গত আবেগ গুরুত্ব পায়নি। অমৃতসরে কিছুদিন কাটানোর পরে পাঞ্জাবের পাটিয়ালায় চলে এসেছিল নায়ারের পরিবার। পাটিয়ালায় এসে সঙ্গীতের শিক্ষকতাও করেছিলেন ও পি নায়ার। 

১৯৪০-এর দশকে মূলত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হবার পরে হিন্দি চলচ্চিত্র জগত এক নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। সেই সময় বহু অভিনেতা বম্বে চলে যাচ্ছিলেন কাজের খোঁজে। ১৯৪৯ সালে ও পি নায়ারও নতুন রূপে জেগে ওঠা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের সঙ্গীত প্রতিভাকে যাচাই করে নেওয়ার জন্য এক ভাগ্যান্বেষী যুবকের মত পাড়ি দিয়েছিলেন বম্বেতে। যদিও বম্বেতে গিয়েই সৌভাগ্যবশত কাজ পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেবছরই কৃষাণ কেওয়াল পরিচালিত ‘কানিজ’ চলচ্চিত্রে আবহ সঙ্গীত নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন নায়ার। কিন্তু স্বাধীন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম কাজ ১৯৫২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘আসমান’-এ। ১৯৫২ সালেই কিশোর কুমার অভিনীত ‘ছম ছমা ছম’ ছবিতেও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অনবদ্য কাজ করেছিলেন তিনি। এই ছবিতে শামসাদ বেগমদের কন্ঠে নায়ারের সঙ্গীত ভীষণভাবে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছিল। 

১৯৫০-এর দশকে তাঁর সঙ্গীত জীবনের শুরুর দিকেই কিংবদন্তি পরিচালক এবং প্রযোজক গুরু দত্তের সান্নিধ্য লাভ করেন ও পি নায়ার এবং তাঁর সঙ্গে একেরপর এক ছবিতে কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে গুরু দত্তের ‘বাজ’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করে তিনি প্রকৃত সাফল্য পেয়েছিলেন। গুরু দত্তের স্ত্রী কিংবদন্তী গায়িকা গীতা দত্তের সঙ্গেও তখন পরিচয় হয়েছিল নায়ারের। তরুণ এই সঙ্গীত পরিচালকের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছিলেন গীতা দত্ত। ‘বাজ’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর গুরু দত্তের ‘আর পার’ (১৯৫৪), ‘মি: অ্যান্ড মিসেস ৫৫’ (১৯৫৫) এবং  ‘সিআইডি’ (১৯৫৬)-এর মতো ছবিতেও সঙ্গীত পরিচালনার কাজ পেয়েছিলেন ও পি নায়ার । এরপর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। যদিও গুরু দত্তের সঙ্গে কাজ করে প্রভূত সাফল্য তিনি পেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গীত জীবনের প্রথম বড় সাফল্য এসেছিল ১৯৫৭ সালে দিলীপকুমার অভিনীত ‘নয়া দৌড়’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে। কেবলমাত্র সঙ্গীত পরিচালনাই নয়, বেশ কয়েকটি গানও তিনি রচনা করেছিলেন এই ছবির জন্য। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তাতে কাজ করেছিলেন মহম্মদ রফি, আশা ভোঁসলে এবং শামসাদ বেগম। আশা ভোঁসলের জীবনের একটি বাঁকবদল ঘটেছিল বলা যায় এই ছবির মাধ্যমে। এই ছবির ‘মাঙ্গকে সাথ তুমহারা’ এবং ‘উড়ে জব জব জুলফে তেরি’র মতো গান কালজয়ী হয়ে রয়েছে। আশা-নায়ার এবং রফি-নায়ার জুটি অনেক স্মরণীয় গান উপহার দিয়েছিল এরপর। এই ছবির সব গানেই রফিকে কন্ঠশিল্পী হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন নায়ার। উল্লেখযোগ্য যে এই ‘নয়া দৌড়’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। ১৯৫৭ সালেই বম্বের ফিল্মালয় স্টুডিও নবাগত পরিচালক নাসির হুসেনের সঙ্গে পরিচয় করায় দর্শকদের। নাসির হুসেন তাঁর ছবির নবাগত অভিনেতা-অভিনেত্রী শাম্মি কাপুর এবং অমিতার জন্য একটি রোম্যান্টিক আবহ সঙ্গীত চাইছিলেন। নাসিরের সেই ছবি ‘তুমসা নাহি দেখা’ (১৯৫৭)-র জন্য সঙ্গীত নির্মাণ করেছিলেন নায়ার। পরবর্তীকালে নাসির হুসেনের ‘ফির ওহি দিল লায়া হু’ (১৯৬৪) ছবিতেও সঙ্গীত নির্মাণের দায়িত্ব পড়েছিল তাঁর উপর। 

পাঞ্জাবি গানের ছন্দময়তাকে ব্যবহার করে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সঙ্গীত নির্মাণের এক নতুন শৈলীর আমদানি করছিলেন ও পি নায়ার। মহম্মদ রফিও যেহেতু পাঞ্জাবের মানুষ, তাই তাঁদের মধ্যে বনিবনাও ছিল ভাল। গায়িকা হিসেবে আশা ভোঁসলের সাফল্যের পিছনেও নায়ারের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। যদিও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির আরেকজন কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে বহু বছর কাজ করেননি নায়ার। কারণ তাঁর কাছে আশার কন্ঠকেই বেশি আবেদনময় মনে হয়েছিল। নায়ারের রচিত গান ‘কহি পে নিগাহে কহি পে নিশানা’ কিংবা ‘চুরি বনে কান্তা বনে’ প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছিল।

১৯৬৬ সালে ‘বাহারে ফিরভি আয়েঙ্গি’ সিনেমার একটি গান সম্পূর্ণ অর্কেস্ট্রা সহযোগে রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনেক সঙ্গীতশিল্পী রেকর্ডিং স্টুডিওতে দেরি করে পৌঁছনোর ফলে পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে যায়। এই ছবিটিতে পুনরায় গুরু দত্তের সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছিল তাঁর। তবে গীতা দত্তের পরিবর্তে আশা ভোঁসলে গান গেয়েছিলেন এই চলচ্চিত্রে। তবে মনে রাখার বিষয় আশা ভোঁসলের সঙ্গে কাজ করবার পূর্বে নায়ার-গীতা জুটি ২২টি চলচ্চিত্রে মোট ৬৫টি গান গেয়েছিলেন। 

১৯৬১ সালেই সম্ভবত নায়ারের কোনও কাজ প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৬২ সালে অবশ্য ‘এক মুসাফির এক হাসিনা’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে অসাধারণ এক প্রত্যাবর্তন হয়েছিল তাঁর। এই ছবিতে একের পর এক আশা ভোঁসলে এবং মহম্মদ রফির কন্ঠে কালজয়ী সমস্ত গান নির্মাণ করেছিলেন নায়ার। এছাড়াও ১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কাশ্মীর কি কলি’ এবং ১৯৬৫ সালের চলচ্চিত্র ‘মেরে সানাম’ মহম্মদ রফির সঙ্গে করা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য দুটি কাজ নায়ারের। ১৯৬০-এর দশকে রফি-নায়ার জুটিটি অসংখ্য জনপ্রিয় গান দিয়েছিল। কিন্তু মহম্মদ রফির সঙ্গে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হওয়ায় নায়ার পরবর্তী অনেকগুলি ছবিতে মহেন্দ্র কাপুরের সঙ্গে কাজ করেন। নায়ারের সঙ্গীত পরিচালনায় মহেন্দ্র কাপুরের একটি বিখ্যাত গান হল ‘বাহারে ফিরভি আয়েঙ্গি’ চলচ্চিত্রের ‘বদল যায়ে আগর মালি, চমন হোতা নাহি খালি’। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বাংলা গানের ওপর ভিত্তি করে তিনি তৈরি করেছিলেন ‘চল আকেলা চল আকেলা’ গানটি। ১৯৬৯ সালে ‘সম্বন্ধ’ চলচ্চিত্রের জন্য এই গানটি গেয়েছিলেন মুকেশ। 

সঙ্গীত প্রযোজনার কাজেও নায়ারের অবদান অনস্বীকার্য। শামসাদ বেগমের সঙ্গে ‘কাজরা মহব্বতওয়ালা’ ছাড়াও আরও বেশ কিছু সঙ্গীতের সহ-প্রযোজক ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে মধুবালার মৃত্যুর পরে, বৈজয়ন্তীমালা, সাধনা, মালা সিন্‌হা, পদ্মিনী, আশা পারেখ, শর্মিলা ঠাকুর প্রমুখ খ্যাতনামা অভিনেত্রী ও পি নায়ার ও আশা ভোঁসলের বেশ কয়েকটি গানে লিপ-সিং করেছিলেন। ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত একটানা হিট গান দিয়েছিল এই জুটি। ‘প্রাণ যায়ে পর বচন না যায়ে’ চলচ্চিত্রের ‘চ্যান সে হামকো কাভি’ গানটিই ছিল আশা-নায়ার জুটির শেষ গান। আশা ভোঁসলের পরে তিনি দিলরাজ কৌর, কৃষ্ণা কালে, বাণী জয়রাম এবং কবিতা কৃষ্ণমূর্তিদের সঙ্গেও কাজ করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে ‘হীরা মতি’ চলচ্চিত্রই নায়ার-রফি জুটির শেষ কাজ ছিল। 

নায়ার নিজে যেমন গান লিখেছেন, তেমনি যেসব বিখ্যাত গীতিকারদের গানের কথায় সুরারোপ এবং সঙ্গীত সজ্জার কাজ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জন নিসার আখতার, কামার জালালাবাদী, এস এইচ বিহারী, সাহির লুধিয়ানভি প্রমুখ। নায়ারের প্রথম দিককার কাজ যেমন ‘নয়া দৌড়’-এ সাহির লুধিয়ানভি গান লিখেছিলেন। 

এখানে উল্লেখ্য যে, জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নায়ারের পারিশ্রমিকও এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে অনেক পরিচালক বাজেটের জন্য তাঁর সঙ্গে কাজ করতেই পারেননি। এমনকি তাঁর অহংকার এবং জেদের কথা ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কাছেই সুপরিচিত ছিল। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে সঙ্গীত জগতে তুলনামূলক কমই সক্রিয় ছিলেন তিনি বলা যায়। নবাগত রাজেশ খান্না এবং অমিতাভ বচ্চনদের মতো অভিনেতাদের জন্য কখনও সঙ্গীত রচনা করেননি তিনি। পরিবর্তে রাজ কাপুর, দেব আনন্দ, শাম্মি কাপুর এবং ফিরোজ খানের জন্য সঙ্গীত নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন ও পি নায়ার। পরে ১৯৮৯ সালে তেলুগু চলচ্চিত্র ‘নীরজানাম’-এর জন্য সঙ্গীত নির্মাণ করেছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকে সঙ্গীত জগতে নিজেকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালে সলমন খান এবং করিশ্মা কাপুর অভিনীত চলচ্চিত্র ‘নিশ্চয়’ এবং ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জিদ’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই পুরনো দিনের মতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি তিনি। 

শেষ জীবনে মুম্বাইয়ের এক শহরতলিতে বসবাস করতেন তিনি। প্রথমে মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন ভিরারে এক বন্ধুর সঙ্গে। তারপর তিনি যান থানেতে, সেখানেও এক বন্ধুর সঙ্গেই থাকতেন ও পি নায়ার । সঙ্গীত জগত থেকে সরে এসে হোমিওপ্যাথির চর্চা করতেন নায়ার সেই সময়। 

২০০৭ সালের ২৮ জানুয়ারি মুম্বাইতে ৮১ বছর বয়সে ও. পি নায়ারের মৃত্যু হয়। 

আপনার মতামত জানান