বাংলার নবজাগরণের এক অন্যতম পথিকৃৎ এবং আধ্যাত্মিক সংস্কারক রামকৃষ্ণ পরমহংস (Ramakrishna Paramahamsa)। শুধুই একজন আধ্যাত্মিক সংস্কারক হিসেবে নয়, আজ এক প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠনের নামের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন তিনি যাঁর প্রদর্শিত পথে আজও বহু মানুষ খুঁজে পান মুক্তির পথ। গুরুর আজ্ঞা পালন করে তাঁর সুযোগ্য শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বের দরবারে ভারতের হিন্দু ধর্মের গৌরব ও মহত্ত্বকে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী কালীর একান্ত উপাসক এই ‘পাগলা ঠাকুর’-এর নামেই বিশ্বব্যাপী আর্তের সেবার ব্রত নিয়ে স্বামীজি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন’। ‘যত মত তত পথ’ কিংবা শিবজ্ঞানে জীবসেবার পরম বাণী নিয়ে প্রাণের ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস জগতে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন সর্বধর্মসমন্বয়ের মহান সাধনা।
১৮৩৬ সালের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম হয়। তাঁর আসল নাম গদাধর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাবা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একনিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ ব্রাহ্মণ আর মা চন্দ্রামণি দেবী ছিলেন গৃহবধূ। ক্ষুদিরাম ও চন্দ্রামণি দেবীর চার সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ সন্তান গদাধরকে গর্ভে ধারণ করার পর থেকেই নানা রকম অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন চন্দ্রামণি দেবী এবং তাঁর পিতা ক্ষুদিরামও বিষ্ণু দেবতার পাদপদ্ম সাক্ষাৎ করেন ও স্বপ্নে জানতে পারেন তাঁর ঘরে এক মহাপুরুষের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে। বিষ্ণুর পাদপদ্ম দর্শন করার পরে যেহেতু তাঁর আবির্ভাব হয় সেই কারণে তাঁর বাবা ক্ষুদিরাম কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন ‘গদাধর’ যা কিনা বিষ্ণুরই আরেক নাম। গদাধরের বড় দাদা রামকুমার ছিলেন দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের প্রধান পুরোহিত। শৈশবে ‘গদাই’ ছিল তাঁর ডাকনাম। গদাধর গ্রামের পাঠশালায় শৈশবে কিছুদিন শিক্ষালাভ করলেও বেশিদিন পাঠশালায় যাননি তিনি, প্রথাগত শিক্ষা তাঁর ভালো লাগতো না। পুঁথিগত বিদ্যালাভ না হলেও পুরাণ, ভাগবত, রামায়ণ ও মহাভারতে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন গদাধর। সংস্কৃত জানলেও তিনি বলতে পারতেন না। এছাড়াও গান-বাজনা, কথকতা ও অভিনয়ে তাঁর পারদর্শিতা ছিল। তিনি ভালো মূর্তি গড়তেও জানতেন। একবার শিবরাত্রি উপলক্ষে যাত্রায় শিব সেজে তন্ময় হয়ে পড়লে তাঁর চেতনা লোপ পায়। এভাবে দেখা যায়, ধীরে ধীরে ছয়-সাত বছর থেকেই তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিক ভাবের প্রকাশ ঘটতে থাকে।
বলা যায়, দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে কালীর পূজারি হিসেবেই রামকৃষ্ণের কর্মজীবন শুরু হয়। ১৮৫৫ সালে কলকাতার জানবাজারের মাড় বংশের বাবু রাজচন্দ্র দাসের পত্নী রাসমণি দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তখন বর্ণভেদের পঙ্কিল সমাজে কৈবর্ত্য-গোত্রীয় কোনো রমণীর প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে কোনো ব্রাহ্মণই পুজো করতে রাজি ছিলেন না। তখন গদাধরের দাদা রামকুমার এগিয়ে আসেন। বাবা মারা যাওয়ায় রামকুমারের কাঁধে তখন সংসারের দায়িত্ব আর তিনি ছোটভাই গদাধরকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর পূজারি হয়ে আসেন। একবছর দাদা রামকুমারের সহকারী হয়ে কাজ করেন গদাধর। ১৮৫৬ সালে রামকুমারের মৃত্যুর পর গদাধর দক্ষিণেশ্বরের প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব পান। কিন্তু তাঁর পূজা-পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন, চিরাচরিত প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি নিজের মনমতো পুজো করতেন যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে ব্রাহ্মণমহলে। তিনি মা ভবতারিণীকে মৃন্ময়ীরূপে নয়, চিন্ময়ীরূপে পূজা করতেন। তাঁর এই পূজা-পদ্ধতি নিয়ে তৎকালীন ব্রাহ্মণসমাজ ঘোর আপত্তি জানায়। কিন্তু গদাধর রাণী রাসমণি ও তাঁর ছোট জামাতা মথুরবাবুর অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন বলে তাঁদের সম্মতিতে সেই আপত্তি স্হায়িত্ব পায় না। তাঁরা গদাধরের মধ্যে এক মহামানবকে খুঁজে পান। মথুরবাবু তাঁর মহানুভবতাকে উপলব্ধি করেন এবং আগামী দিনের এক মহাপুরুষকে তিনি গদাধরের মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন। মথুরবাবুই গদাধরের নাম রাখেন ‘রামকৃষ্ণ’।
এরপর থেকে গদাধরের এক অন্য জীবন শুরু হয়। তিনি ১৮৫৭ সালে দক্ষিণেশ্বর সংলগ্ন পঞ্চবটী বনে সাধনা শুরু করেন। গভীর রাতে একাকী নির্জন বনে ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকতেন। ১৮৬১ সালে ভৈরবী ব্রাহ্মণী দক্ষিণেশ্বর এলে গদাধর ভৈরবীর থেকে কুমারীপূজা শিক্ষা ও কুণ্ডলিনী যোগের সাধনা করেন এবং ভৈরবীর কাছে গোকুলব্রত ও চৌষট্টি প্রকার তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন। ১৮৬৩ সালে রামাইত সাধু তাঁর কাছে আসেন এবং রামকৃষ্ণ তাঁর থেকে ‘রাম’ মন্ত্রে দীক্ষা নেন। শ্রীকৃষ্ণের গোপীদের মতো মধুরভাবে সাধনা করার জন্য ছয়মাস স্ত্রীবেশ ও স্ত্রীভাব গ্রহণ করেন রামকৃষ্ণ। ১৮৬৪-‘৬৫ সালে তোতাপুরীর সঙ্গে রামকৃষ্ণের সাক্ষাৎ হলে পরিব্রাজক বেদান্ত পণ্ডিত তোতাপুরী সন্ন্যাসীর থেকে তিনি অদ্বৈত বেদান্তের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন ও নির্বিকল্প সমাধির সাধনায় রত হন। তাঁর বেদান্ত বিচারে ও ঈশ্বরীয় নানা প্রসঙ্গে অসাধারণ জ্ঞান দেখে তোতাপুরী তাঁকে ‘পরমহংস’ উপাধিতে ভূষিত করেন। গদাধর চট্টোপাধ্যায় ক্রমে পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘ রামকৃষ্ণ পরমহংস ’ নামে। ১৮৬৬ সালে তিনি সুফি গোবিন্দ রায়ের নিকট ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। আবার, কলকাতায় শম্ভুচরণ মল্লিকের কাছে তিনি বাইবেলের কথা শুনতে যেতেন। পানিহাটিতে বিভিন্ন বৈষ্ণবীয় উৎসবেও তিনি যোগদান করতেন।
বিভিন্ন ধর্মে দীক্ষিত হয়ে তিনি এই সারমর্মে উপনীত হন যে, ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। তাকে নানা নামে ডাকা হলেও এতে ঈশ্বরের স্বরূপ পরিবর্তিত হয় না। এই উপলব্ধি থেকেই তিনি বলেছিলেন, ‘যত মত তত পথ’। শাস্ত্রে রয়েছে ‘একং সদ্বিগ্রা বহুধা বদন্তি’ অর্থাৎ সত্য এক হলেও ঋষিরা তাকে বহু নামে ডেকে থাকেন। তাঁর মতে, কাম ও অর্থই মানুষকে ঈশ্বরের কাছ থেকে বঞ্চিত করে রাখে সকলকে। এই দুইয়ের মোহের উপরে মানুষ যদি জয় লাভ করতে পারে তাহলে সে সহজেই ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতে পারবে। এই জগৎকে তিনি মায়া বলেছেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। তাই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ না করে জীবের সেবা করাই মানুষের একমাত্র ধর্ম হওয়া উচিত বলে মনে করতেন রামকৃষ্ণ পরমহংস। তিনি বলতেন যে, প্রত্যেকের ধর্মের প্রতি যে কোনো মানুষের সমভাব ও শ্রদ্ধাবোধ থাকা প্রয়োজন এবং তাঁর কথায় “সংসারে থাকতে হবে পাঁকাল মাছের মত। পাঁকে থাকবে অথচ গায়ে একটুও পাঁক লাগবে না”। সংসারে যার যা প্রকৃতি সেই নিয়েই তাঁর থাকা উচিত, এমনটাই উপদেশ দিতেন তিনি। উনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিলগ্নে তাঁর মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয় শিক্ষিত যুবক থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তি। ১৮৭৯ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যে ব্রাহ্মনেতা প্রতাপচন্দ্র মজুমদার, বর্ধমান রাজার সভাপণ্ডিত পদ্মলোচন, জয়পুরের পণ্ডিত নারায়ণ শাস্ত্রী, প্রখ্যাত ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার সকলেই রামকৃষ্ণের ভাবধারায় আকৃষ্ট হয়ে পড়েন যারা তাঁকে ‘গুরু’র মর্যাদা দেন এবং হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে ব্রতী হন। তাঁর সহজ-সরল ভাষায় উপদেশমূলক বাণীগুলি সহজেই সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল, তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন গৃহী থেকে সন্ন্যাসী সকলেই। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্বামী বিবেকানন্দ এবং তৎকালীন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা কেশবচন্দ্র সেনের উপরেও গভীর প্রভাব বিস্তার করেন রামকৃষ্ণ। তাঁর শিক্ষা কেশবচন্দ্রকে কঠোর ব্রাহ্ম আদর্শের প্রত্যাখ্যান করে বহুবাদকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অণুপ্রেরণা দিয়েছিল। কেশবচন্দ্রের নববিধানে রামকৃষ্ণের মতাদর্শের প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট। রামকৃষ্ণের অন্যান্য শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিখ্যাত নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষ যার জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল রামকৃষ্ণের সংস্পর্শে এসে। রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই গিরিশচন্দ্র ঘোষের মধ্যে এক আধ্যাত্মিক ভাবনার উন্মেষ ঘটে এবং তিনি রামকৃষ্ণের সংস্পর্শে এসে নিজের জীবনে খুঁজে পান শান্তির আশ্রয়। রবীন্দ্রনাথও তাঁর ভাবধারায় প্রভাবিত হয়েছিলেন। ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সভাপতি হিসেবে এক জায়গায় ভাষণ দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেন যে তাঁর আত্মার সারল্য দিয়ে পণ্ডিত আর ধর্মবেত্তাদের পিছনে ফেলে মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনের সারসত্যটি তুলে ধরেছিলেন রামকৃষ্ণদেব। রবীন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণদেবকে নিয়ে একটি কবিতাও লেখেন ‘বহু সাধকের বহু সাধনার ধারা / ধেয়ানে তোমার মিলিত হয়েছে তারা…’। ম্যাক্সমুলার, রোমা রোল্যাঁ, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু সকলেই তাঁর মতাদর্শকে সত্য বলে মেনে নিয়ে তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হন।
১৮৮৫ সালের জুলাই মাসে রামকৃষ্ণের গলায় কর্কট রোগ ধরা পড়ে। বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল দত্ত তাঁর সেবা করেন এবং তাঁর ওষুধ খেয়ে তিনি দীর্ঘ আটমাস সুস্থ ছিলেন। কিন্তু পরে ফের বাড়াবাড়ি হলে ১১ ডিসেম্বর রোগাক্রান্ত হয়ে দক্ষিণশ্বর মন্দির থেকে সুচিকিৎসার জন্য ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকারের পরামর্শে তিনি কাশীপুর উদ্যানবাটীতে এসে ওঠেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি এখানেই ছিলেন। এখানেই ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি কল্পতরু হন। পুরাণে আছে কল্পতরু নামে এক গাছের কথা যার কাছে যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায়। ঐ দিন সকালে বিখ্যাত নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষ রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। সেদিন তাঁর শরীর খুবই খারাপ ছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ভক্তদের দর্শন দেন এবং তখন ভাবসমাধিস্হ হয়ে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তোদের চৈতন্য হোক’। এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আজও কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ‘কল্পতরু উৎসব’ পালিত হয়।
১৮৫৯ সালে বাঁকুড়ার জয়রামবাটী গ্রামের রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কন্যা সারদামণির সঙ্গে রামকৃষ্ণের বিবাহ হয়। পরবর্তীতে রামকৃষ্ণের মত ও আর্দশ প্রচারে সারদাদেবী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সংঙ্ঘজননীও ছিলেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে গুরুর স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর মতাদর্শকে সারা পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন এবং রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর স্বামী বিবেকানন্দ গুরুর প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে আর্ত-দীন-দরিদ্রদের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেন। ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’ই ছিল রামকৃষ্ণের মূল আদর্শ আর সেই আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিবেকানন্দ ১৮৮৫ সালে গড়ে তোলেন ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন’, শিক্ষাদান, আর্ত ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যাদের একমাত্র লক্ষ্য। আজও ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন’ সেই লক্ষ্যেই নিরন্তর মানুষের সেবা করে চলেছে। বন্যা, খরা, বা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানুষের সঙ্কটকালে ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন’ নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে থাকে।
তাঁর ভক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত, অক্ষয় কুমার সেন, রাখালচন্দ্র ঘোষ (স্বামী ব্রহ্মানন্দ), কালীপ্রসাদ চন্দ্র (স্বামী অভেদানন্দ), তারকনাথ ঘোষাল (স্বামী শিবানন্দ), শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী (স্বামী সারদানন্দ) প্রমুখ এবং সুযোগ্যা শিষ্যাদের মধ্যে ছিলেন গৌরী মা ও যোগীন মা।
রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পরে তাঁর দেখানো পথে ১৯২৩ সালে স্বামী অভেদানন্দ প্রতিষ্ঠিত করেন ‘শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মিশন’। ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘রামকৃষ্ণ সারদা মঠ’ এবং ১৯৫৯ সালে স্বামী নিত্যানন্দ ‘শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশন’ প্রতিষ্ঠিত করেন।রামকৃষ্ণের নানা সময় গল্পের ছলে বলা বাণী-উপদেশ এবং তাঁর জীবনের নানা ঘটনাগুলি নিয়ে তাঁর শিষ্য মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত পাঁচ খণ্ডে রচনা করেন ‘শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত’।
১৮৮৬ সালের ১৬ আগস্ট রাত্রে একটা নাগাদ রামকৃষ্ণ পরমহংস -এর মৃত্যু হয়।
7 comments