ত্র্যম্বকেশ্বর

জ্যোতির্লিঙ্গ ত্র্যম্বকেশ্বর

ত্র্যম্বকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের মন্দিরটি (Trimbakeshwar Jyotirlinga) মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার অন্তর্গত ত্র্যম্বক শহরে ব্রহ্মগিরি নামক পর্বতের কাছে অবস্থিত। এটি নাসিক থেকে শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার এবং নাসিক রোড থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গোদাবরী নদীর কাছেই এই মন্দিরটির অবস্থান এবং মন্দির প্রাঙ্গনে যে কুশাবর্ত কুন্ড আছে তাকেই গোদাবরী নদীর উৎপত্তিস্থল বলে মনে করা হয়। শক্তিশালী মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রেও এই ত্র্যম্বকেশ্বরের উল্লেখ পাওয়া যায়।

শিবপুরাণ অনুযায়ী একদা ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে দুজনের তুমুল বিবাদ উপস্থিত হয়। সেই বিবাদ সন্তোষজনক পরিণতিতে না পৌঁছে চলতেই থাকলে মহাদেব তখন একটি আলোকরশ্মির স্তম্ভ রূপে তাঁদের দুজনের মাঝখানে প্রকট হন। ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু কেউই সেই আলোকস্তম্ভের আদি ও অন্ত খুঁজে পাননি। শেষমেশ তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এই দিব্য জ্যোতিই শ্রেষ্ঠতম। এভাবেই জ্যোতির্লিঙ্গের ধারণাটির উদ্ভব হয়।

বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে অন্যতম হল ত্র্যম্বকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। এই জ্যোতির্লিঙ্গকে ঘিরে নানারকম কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। সেই কিংবদন্তিগুলো মূলত ঋষি গৌতমকে ঘিরেই। একসময় ব্রহ্মগিরি পর্বতে দীর্ঘকাল ধরে জলের অভাব দেখা দিয়েছিল। জীবকূল জলের অভাবে শুকিয়ে প্রাণ হারায়, চতুর্দিকে খরা দেখা দেয় এবং অনেকে সেই স্থান পরিত্যাগ করে। ঋষি গৌতম তখন জলের জন্য তপস্যা শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে তপস্যা করে তিনি বরুণদেবকে সন্তুষ্ট করেছিলেন। বরুণদেব তাঁকে বর প্রার্থনা করতে বললে ঋষি গৌতম বৃষ্টি চেয়েছিলেন। তখন বরুণদেব গৌতমকে একটি গর্ত খনন করতে বললেন এবং তা জলে ভরে দিলেন। বললেন সেই জল অক্ষয় হয়ে থাকবে এবং সেখানে তীর্থ হবে। সেইখানে পুস্করিণী হওয়ায় ঋষিরা যারা চলে গিয়েছিলেন তাঁরা পুনরায় ফিরে এসে স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে থাকেন। শুষ্ক মাঠে পুনরায় সবুজ শস্য ফলে। সেই জলাশয় থেকেই সকলে জল নিয়ে তাঁদের নিত্যকর্ম সম্পন্ন করতেন। ঋষিপত্নীরা সেখান থেকে জল নিতে আসতেন এবং গৌতমের পত্নী অহল্যাও তাঁদের সাথে জল নিতে আসতেন। কিন্তু অহল্যার মধুর বাক্য কিছু ঋষিপত্নীদের সহ্য হত না, কারণ অহল্যার স্বামীর তপস্যাতেই সেই জলাশয় নির্মিত হয়েছিল, ফলে প্রবল ঈর্ষা জন্মেছিল সেইসব ঋষিপত্নীদের। তাঁরা তাঁদের স্বামীর কাছে নিত্যদিন গিয়ে অহল্যার নামে কটুক্তি করতেন এবং গৌতমের কথা বলে ঋষিদের উত্যক্ত করে তুলতেন। আবার অন্য একটি কাহিনী অনুসারে ঋষি গৌতমের প্রতিপত্তি দেখে বাকি ঋষিরা তাঁর ওপর ঈর্ষা করতে শুরু করেন। তবে যাই হোক না কেন, অবশেষে সমস্ত ঋষিরা একত্র হয়ে গৌতমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। তাঁরা চেয়েছিলেন ঋষি গৌতম যেন তাঁদের ওপর রুষ্ট না হন অথচ সেই স্থান ত্যাগ করে চলে যান। ঋষিরা তখন গণেশের তপস্যা করতে থাকেন এবং গণেশ স্বয়ং প্রকট হলে তাঁরা গণেশকে তাঁদের উদ্দেশ্য জানান। গণেশ ঋষিদের এই অনৈতিক অভিপ্রায়ের সমালোচনা করলেও শেষ পর্যন্ত তাঁদের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে সাহায্য করেন। গৌতমের ফসলের ক্ষেতে একটি গরুর ছদ্মবেশে ফসল খেয়ে বেড়াতে থাকেন গণেশ। গৌতম গরুটিকে তাড়ানোর জন্য দূর্বা ঘাস ছুঁড়ে মারেন, কিন্তু সেই সামান্য আঘাতেই গরুটির মৃত্যু হয়। মতান্তরে সেই গরুটি ছিল আসলে পার্বতী দেবীর বন্ধু জয়া। তখন গোহত্যার পাপ থেকে বাঁচার জন্য তিনি ভগবান শিবের প্রার্থনা করেন যাতে ভগবান শিব সেইস্থানে গঙ্গাকে দিয়ে যান। গঙ্গাকে সেখানে নিয়ে আসবার উদ্দেশ্য ছিল যাতে তিনি গঙ্গায় স্নান করে নিজের পাপ ধুতে পারেন।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

এই কিংবদন্তীর অন্য একটি গল্পও প্রচলিত আছে। প্রচন্ড দুর্ভিক্ষের সময় গৌতমের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে বরুণদেব তাঁর আশ্রমে বৃষ্টি দেন। সেই বৃষ্টির ফলে গৌতম সেখানে শস্য উৎপাদন করেন এবং ঋষিরা তাঁর আশ্রমে আশ্রয় নেন। ঋষিদের আশীর্বাদে গৌতমের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকলে ইন্দ্রের পদমর্যাদা নড়বড়ে হয়ে ওঠে। ফলে ইন্দ্র সমগ্র ত্র্যম্বক এলাকায় বৃষ্টির ব্যবস্থা করেন যাতে ঋষিরা গৌতমের আশ্রম ছেড়ে নিজেদের জায়গায় চলে যেতে পারেন। এর মধ্যেই ধানক্ষেতে গোহত্যার ঘটনা ঘটে এবং সেটি ছিল জয়ার ছদ্মরূপ। গোহত্যার অপরাধে ঋষিরা তাঁর আশ্রমে খাদ্যগ্রহণে অস্বীকৃত হন এবং সেই স্থান পরিত্যাগে বাধ্য হন। গৌতম এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার উপায় ঋষিদের কাছে জানতে চাইলে ঋষিরা তাঁকে শিবের কাছে যেতে এবং গঙ্গাস্নানের উপদেশ দেন। তখন শিবের উপাসনা করেন ঋষি গৌতম। শিব আবির্ভূত হলে তিনি শিবের কাছে গঙ্গা প্রার্থনা করেন। শিব তখন ব্রহ্মগিরিতে গঙ্গাকে আনতে চাইলেও গঙ্গা সেখানে আসতে চাননি। পরে শিবের তাণ্ডবনৃত্যে ভয় পেয়ে সেখানে এলেও বারেবারে গঙ্গা তাঁর গতিপথ পরিবর্তন করতে থাকেন। এর ফলে ঋষি গৌতম গঙ্গাস্নান করতে পারেন না। তিনি যখনই গঙ্গায় স্নান করতে যাওয়ার চেষ্টা করেন, গঙ্গা তখনই সেই স্থান ছেড়ে পালায়। তখন গঙ্গাকে ধরে রাখবার জন্য ঋষি গৌতম গঙ্গাকে মন্ত্রঃপুত কুশ বা ঘাসের গন্ডি দ্বারা আবদ্ধ করে ফেলেছিলেন, সেই কারণেই এখানে অবস্থিত কুণ্ডটি কুশাবর্ত কুণ্ড নামে পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় সেই কুণ্ড থেকেই গোদাবরী নদীর উৎপত্তি হয়েছিল। গঙ্গা সেখানে এলেও তিনি সেখানে একা থাকতে চাননি, এবং বলেন শিব যদি সেখানে তাঁর সঙ্গে অবস্থান করেন তবেই তিনি থাকবেন। এই কারণেই এবং দেবতাদের অনুরোধেও শিব সেখানে জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে অবস্থান করেন। অন্য একটি কাহিনী অনুসারে, ত্র্যম্বকেশ্বর হল সেই স্থান যেখানে ব্রহ্মা পৃথিবী সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন তপস্যা করেছিলেন।

পেশোয়া বালাজি বাজিরাও যিনি নানা সাহেব নামেও পরিচিত, তিনিই এই ত্র্যম্বকেশ্বর মন্দিরের বর্তমান রূপটি নির্মাণ করেছিলেন। প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে জ্যোতির্লিঙ্গের চারপাশে একটি পাথর ছিল, যে পাথরটি ফাঁপা কিনা তা নিয়ে বাজি ধরেছিলেন বাজিরাও। তাঁর মত ছিল পাথরটি ফাঁপা নয়, অথচ যখন সেই পাথরটি ফাঁপা প্রমাণিত হয় তখন তিনি বিস্মিত হন এবং সেখানে মন্দিরটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। মন্দিরটি ১৭৫৫ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ তৈরি শুরু হয়েছিল এবং দীর্ঘ একত্রিশ বছর ধরে নির্মাণকার্য চলেছিল। অবশেষে ১৭৮৬ সালের মধ্যে মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল। এটি নারায়ণ ভগবন্তের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছিল এবং গণেশ নারায়ণ দ্বারা সম্পন্ন হয়েছিল৷ মোট ৭৮৬ জন কারিগর দিনরাত কাজ করেছিল এই মন্দির নির্মাণের জন্য। ৪৮টি উট, ৮৫টি হাতি এবং ১১২টি ঘোড়ার সাহায্যে রাজস্থানের মাকরানা থেকে মার্বেল বহন করে আনা হয়েছিল। এই মন্দির নির্মাণের জন্য তৎকালীন সময়ে প্রায় নয় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছিল। মন্দির প্রাঙ্গনটির উন্নয়ন এবং পরিধি বৃদ্ধি শ্রীমন্ত সর্দার রাওসাহেব পারনেরকরের হাতে ঘটেছিল। এই মন্দিরে অনেক মণিরত্ন সঞ্চিত ছিল বলে জানা যায়, যা মুঘল এবং ব্রিটিশরা লুঠ করে নিয়েছিল। মন্দিরে এককালে নাসাক ডায়মন্ড ছিল যা তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা লুঠ করে নিয়েছিল। বালাজি বাজিরাও ত্র্যম্বকেশ্বরের বিভিন্ন গুরুজীকে তাম্রপত্র অর্পণ করেছিলেন। সেই তাম্রপত্র বহু প্রজন্ম ধরে সংরক্ষিত হয়ে আসছে এবং তাম্রপত্রধারী পন্ডিতেরাই ত্র্যম্বকেশ্বর মন্দিরের অনুমোদিত পুরোহিত।

এই ত্র্যম্বকেশ্বর মন্দির অসাধারণ স্থাপত্য শৈলীর এক নিদর্শন। মূল মন্দিরটির মুখ পূর্বদিকে এবং মন্দিরের দৈর্ঘ্য ২৬৫ ফুট এবং প্রস্থ ২১৮ ফুট। মন্দিরের চারদিকে চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। মন্দিরের উত্তরদিকের প্রবেশদ্বারটি সবচেয়ে বড় এবং সাধারণত এই দ্বার দিয়েই ভক্তেরা প্রবেশ করে। মন্দিরটি মূলত কালো পাথরের তৈরি এবং মন্দির গায়ে নাগারা স্থাপত্য শৈলীর কাজ লক্ষ করা যায়। মন্দিরের পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রবেশদ্বারের মাঝখানে রয়েছে অমৃত কুন্ড, যার গভীরতা মন্দিরের উচ্চতার সমান। এই কুন্ডের জল পূজার জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আরও যে-তিনটি জলকুন্ড রয়েছে সেগুলি হল, বিল্বতীর্থ, বিশ্বানতীর্থ এবং মুকুন্দতীর্থ। পূর্ব দিকের ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে গম্বুজ আকৃতির ছাউনি বিশিষ্ট আকর্ষণীয় একটি হলঘর রয়েছে। ১২ ফুটের বর্গাকৃতি একটি মার্বেলের ওপর দেখা যাবে কচ্ছপের একটি মূর্তি। মূল মন্দিরের মুখোমুখি গেটের বিপরীত দিকে নন্দীর একটি মন্দির রয়েছে। এছাড়াও এই মন্দিরের ভিতরে পার্বতী এবং গণেশের জন্যও মন্দির রয়েছে। তাছাড়া গঙ্গাদেবী, জলেশ্বর, রামেশ্বর, গৌতমেশ্বর, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ এবং লক্ষ্মী নারায়ণ প্রভৃতি দেবতার বেশ কয়েকটি মূর্তি রয়েছে। পশ্চিমদিকে মন্দিরের প্রধান গর্ভগৃহ। পাঁচটি ধাপ নেমে গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে হয়। সেখানে কালো শিলার মাঝে একটি গর্তের মধ্যে তিনটি আঙুল আকৃতির ছোট ছোট শিলা দেখা যায়, যে তিনটি শিলা আসলে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করছে। শিবের লিঙ্গটি থেকে অবিরাম জলের প্রবাহ চলেছে, যেটি আসলে গঙ্গার প্রবাহ বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। এই জ্যোতির্লিঙ্গের পূর্বদিকে দেবী পার্বতীর একটি মার্বেল মূর্তি লক্ষ করা যাবে।

বছরের বিভিন্ন সময়ে ত্র্যম্বকেশ্বরে বেশ কিছু উৎসব ধুমধাম করে পালিত হয়। প্রথমেই বলতে হয় মহাশিবরাত্রির কথা। ফাল্গুন মাসের এই বিশেষ দিনে এখানে বিশেষভাবে পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। মূলত সোমবার এবং শিবরাত্রির সময় জ্যোতির্লিঙ্গকে একটি মহামূল্যবান পাথর খচিত মুকুট পরানো হয়, মনে করা হয় এটি মহাভারতের পান্ডবদের সময়কার মুকুট। তারপর জ্যোতির্লিঙ্গকে পালকি করে গ্রামের পথে শোভাযাত্রার জন্য বের করা হয়। রাত দশটা থেকে ১২টা পর্যন্ত কীর্তন হয়। এই মহাশিবরাত্রির সময়ে এখানে বিরাট বড় মেলা হয়। আবার ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হয় হোলিকাপূজন। দ্বিতীয়দিনে হয় ধুলিবন্ধন, সেদিন দেবতাকে বিশেষভাবে অলঙ্কৃত করা হয় এবং পঞ্চম দিনে হয় রঙ্গপঞ্চমী। সেইদিন দেবতার গায়ে রঙ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। গণেশ চতুর্থী এখানে উদযাপিত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। প্রত্যেক বছর এই সময় টানা দশদিন ধরে উদযাপন চলতে থাকে। ত্র্যম্বকেশ্বরে পালিত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল অক্ষয় তৃতীয়া। মূলত বৈশাখ মাসে এটি উদযাপিত হয়। এছাড়াও চৈত্র মাসের প্রথমদিন যা গুড়ি পাড়ওয়া উৎসব নামে পরিচিত, সেটিও বিশেষ পূজার মাধ্যমে ধুমধাম করে উদযাপিত হয়ে থাকে। শ্রাবণ মাসে নাগপঞ্চমীও অনুষ্ঠিত হয় মন্দিরে। সাধারণত জুলাই বা আগস্ট মাসে এই উৎসবটি পালিত হয়। আবার কুম্ভমেলার সময় লক্ষ লক্ষ ভক্ত গোদাবরীতে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে ত্র্যম্বকেশ্বরে গিয়ে পূজা দেন। এই ত্র্যম্বকেশ্বরে কাল ভৈরব জয়ন্তী পালিত হয়ে থাকে। ভগবান শিবেরই এক উগ্র রূপ কাল ভৈরবের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয় দিনটি। খুবই ভক্তি এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। সাধারণত সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে নবরাত্রি উৎসবের উদযাপন ধুমধাম করে করা হয় এই মন্দিরে। নবরাত্রি অর্থাৎ নয়টি রাত ধরে দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপকে বিশেষভাবে পূজা করা হয়। শেষে দুর্গাপূজা এবং বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটে। এছাড়াও ত্র্যম্বকেশ্বর মন্দিরে কখনও কখনও বিশেষভাবে ত্রিপিন্ডি শ্রাদ্ধ পূজা, মহামৃত্যুঞ্জয় পূজা, নারায়ণ নাগবলী পূজা, কালসর্প পূজা ইত্যাদি পূজাগুলি হয়ে থাকে।

বিশ্বাস করা হয় যে, এই ত্র্যম্বকেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলে ভক্তের ইচ্ছেপূরণ হয় এবং তারা পাপমুক্ত হয়।

তথ্যসূত্র


  1. পৌরাণিক গল্পসমগ্র :- শিবপুরাণ, শতদ্রুশোভন চক্রবর্তী, পুস্তক বিপণি, মহালয়া আশ্বিন ১৩৬৪, পৃষ্ঠা :- ৭৯-৮৬
  2. https://en.m.wikipedia.org/
  3. https://devotionalyatra.com/
  4. https://www.trimbakeshwar.org/
  5. https://www.shivamahadeva.net/
  6. https://myoksha.com/trimbakeshwar-temple/

আপনার মতামত জানান