আধুনিক বাংলা কবিতা যাঁদের মেধা, প্রতিভা ও নিরলস সৎ কাব্যসাধনার ফলে ক্রমে পরিপুষ্টি লাভ করেছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন কবি অরুণ মিত্র (Arun Mitra)। চল্লিশের দশকে এক দৃপ্ত কঠিন স্বর নিয়ে বাংলা কবিতার জগতে বেলাগাম অশ্বের মতো তাঁর আবির্ভাব। প্রথমদিকে তাঁর উচ্চারণে কমিউনিস্ট মতাদর্শ নিহিত ছিল এমনকি বামপন্থীদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গেও ছিল অরুণ মিত্রের অন্তরঙ্গ যোগাযোগ। মার্কসবাদী ‘অরণি’ পত্রিকার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন ঘনিষ্ঠভাবে। চাকরিসূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গেও জড়িত থেকেছেন দীর্ঘদিন। বঙ্গীয় প্রগতি লেখক সংঘের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। আবার এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ফরাসি ভাষা বিষয়ে একজন পন্ডিত ছিলেন অরুণ মিত্র। ফরাসিদের সাহিত্য নিয়ে নিরন্তর চর্চা ও গবেষণা করে ফরাসি সরকারের থেকে ‘লিজিয়ন অব অনার’ পেয়েছিলেন তিনি। কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ যেমন লিখেছেন, তেমনি করেছেন অসংখ্য অনুবাদ। একটিমাত্র উপন্যাস লিখেছিলেন সারাজীবনে। কবিতাগ্রন্থের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন একসময়।
১৯০৯ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটিশ অধ্যুষিত অখন্ড ভারতের যশোর শহরে (বর্তমান বাংলাদেশ) অরুণ মিত্রের জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম হীরালাল মিত্র এবং মা যামিনীবালা দেবী। আসলে যশোর ছিল অরুণ মিত্রের মামার বাড়ি। সেখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব জীবন। একটি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন বলেই প্রচুর বই এবং পত্রপত্রিকা পড়বার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। ছোটবেলা থেকেই সেকারণে সাহিত্যের প্রতি একটি আকর্ষণ জন্মে গিয়েছিল। খাতা ভর্তি করে ফেলতেন কবিতা রচনা করে। এভাবেই ছোটবেলা কেটে গিয়েছিল তাঁর। এখানে উল্লেখ্য কৈশোরকালে ‘লা মিজারেবল’ পড়ে তাঁর সেই সাহিত্যটি জানবার প্রবল ইচ্ছে হয়েছিল। পরবর্তীকালে ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যে অসাধারণ দখলের জন্য তিনি পুরস্কৃতও হয়েছিলেন।
খুব অল্প বয়সেই অরুণ মিত্র চলে এসেছিলেন কলকাতায় মূলত পড়াশুনার জন্য। এখানে এসে ভর্তি হয়েছিলেন বঙ্গবাসী স্কুলে। সেই স্কুল থেকেই তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল। ১৯২৬ সালে এই স্কুল থেকেই প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি ভর্তি হন বঙ্গবাসী কলেজে। ১৯২৮ সালে বঙ্গবাসী থেকে আইসিএস পাশ করবার পর বিশ্বসাহিত্যের প্রতি অগাধ এক আকর্ষণ ও জানবার কৌতুহল থেকেই ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশুনার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন রিপন কলেজে, যেটি বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ নামে পরিচিত। ১৯৩০ সালে ডিস্টিংশনসহ অনার্স নিয়ে বি.এ পাশ করে ইংরেজিতেই এম.এ করবার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। ‘আমার জীবন : আমার সময়’ রচনাটিতে তিনি জানিয়েছিলেন যে, কবিতা অনুরাগী সব বাঙালি ছেলেদের মতো তাঁরও প্রথম ভালো লাগা ছিল রবীন্দ্রনাথ। কলকাতা তখন একপ্রকার তাঁর স্থায়ী বাসভূমি হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি ছাত্রজীবনেই নজরুল, মোহিতলাল মজুমদার, সত্যেন দত্তের লেখাও পড়তেন মনোযোগ দিয়ে। তখন থেকেই সিরিয়াসলি কবিতা লেখার চেষ্টার সূত্রপাত তাঁর। এখানে উল্লেখ্য যে, ষোলো বছর বয়সে সন্ত্রাসবাদী কিশোর পত্রিকা ‘বেণু’তে তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। কলেজের ছাত্র থাকাকালীন আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, সেসময় হঠাৎ সাহিত্যের তুলনায় সঙ্গীতের প্রতি তাঁর আকর্ষণ বেড়ে ওঠে। আবার সেসময়তেই ভিক্টর হুগোর উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়ে ফরাসি ভাষা শেখার চেষ্টা শুরু করে দেন, মূল ভাষায় ফরাসি দেশের আরও সব সাহিত্য পড়বার জন্য৷ কিন্তু পারিবারিক অবস্থার চাপে এম.এ পরীক্ষা আর দেওয়া হয় না তাঁর। বড় ছেলে হওয়ার দরুন, সংসারের দায়িত্ব বহনের দায় এসে
পড়ে কাঁধে। পরীক্ষা না দিয়ে পড়াশুনা ছেড়ে তিনি চাকরি নেন আনন্দবজার পত্রিকায় ১৯৩১ সালে। এই সাংবাদিকতা তাঁকে কবিতার দর্শন তৈরিতে যেন খানিকটা সাহায্যও করেছিল। ১৯৪২ সাল পর্যন্ত আনন্দবাজারে কাজ করেছিলেন তিনি।
ত্রিশের দশকে সারা বিশ্বে যে ফ্যাসিজম-বিরোধী এক চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার প্রবক্তা ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। এই সান্নিধ্য অরুণ মিত্রকেও সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার পথে চালিত করেছিল। মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছিলেন তিনি। বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী প্রখ্যাত বাঙালি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘পরে জেনেছিলাম আমাদের অনেক আগেই অরুণ মিত্র কমিউনিস্ট হয়েছিলেন’। অরুণ মিত্র তখন আনন্দবাজারের বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অরুণ মিত্র যুদ্ধের খবরাখবরের দায়িত্বে ছিলেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘অরুণবাবু যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বোঝান। হিটলারের জার্মানি যে হারবেই এ বিষয়ে তাঁর ধারণার কখনো নড়চড় হয়নি’। ১৯৩৭ সালে আনন্দবাজারের লেখক ও সাংবাদিকরা মিলে সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদারকে কেন্দ্রে রেখে মার্কসীয় চিন্তাচর্চার উদ্দেশ্যে ‘অনামী চক্র’ নামে একটি আলোচনা-চক্র স্থাপন করেছিলেন। অরুণ মিত্র সেই চক্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। সেসময় শারদীয় আনন্দবাজার এবং ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হত।
মার্কসবাদের কাছাকাছি থাকার সূত্রেই ‘বঙ্গীয় প্রগতি লেখক সংঘ’ ও ‘সোভিয়েত সুহৃদ সমিতি’র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ১৯৪২ সালে ‘সোভিয়েট দেশ’ নামে একটি সংকলনে ‘সোভিয়েট পররাষ্ট্রনীতি’ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। আনন্দবাজারে কাজ করাকালীন সময়কালে তিনি যেসমস্ত কবিতা রচনা করেছিলেন সেগুলি নিয়েই ১৯৪৩ সালে তাঁর প্রৎম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রান্তরেখা’ প্রকাশিত হয়েছিল। আনন্দবাজার ছেড়ে দেওয়ার পরে সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার সম্পাদিত ‘অরণি’ পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। এই ‘অরণি’ পর্বটি তাঁর কবিজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল। সারাবিশ্বের তৎকালীন পরিস্থিতি এমনকি ফরাসী কমিউনিস্ট লেখকদের বিতর্কের ইতিহাসের সংক্ষিপ্তসারও প্রকাশিত হয়েছিল তখন অরণিতে। সত্যেন্দ্রনাথকে সম্পাদনার কাজে তখন সহায়তা করতেন অরুণ মিত্র। তাঁর বহু কবিতা এই মার্কসীয় চিন্তাধারায় পুষ্ট অরণি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল৷ কিন্তু উল্লেখ্য যে কেবল বামপন্থী মনোভাবাপন্ন কবিতা রচনা করেই নিজেই গন্ডীবদ্ধ করে রাখেননি তিনি। রাজনীতির মতো কবিতাকে বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থী ছাপ দেওয়া যায় না বলেই মনে করতেন তিনি৷ তাঁর মত, ‘রাজনৈতিক মতবাদ প্রকাশের জন্যে তো কবিতা লেখা হয় না, কবিতা লেখা হয় জীবনের অভিঘাতে কবি-হৃদয়ে যে-স্পন্দনের সৃষ্টি হয় তাই প্রকাশ করার জন্যে।’
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৪৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টির জনপ্রিয়তা হ্রাসের সময়ে ফরাসি সরকারের বৃত্তি পেয়ে ফ্রান্সের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ পান অরুণ মিত্র। সেবছর ফ্রান্সে চলে যান এবং ‘দ্য গ্রুপ দ্য লা রভ্যু ব্লাঁশ’ নামে একটি পত্রিকাগোষ্ঠী নিয়ে গবেষণা করেন। ফরাসি ভাষা ও সাহিত্য সহজেই আয়ত্ত করে ফেলেছিলেন তিনি। বাঙলার সংস্কৃতি জগতে অরুণ মিত্র ফরাসি ভাষায় পন্ডিত হিসেবে প্রভূত শ্রদ্ধা লাভ করেছিলেন। আঁদ্রে জিদ-এর প্রবন্ধ তিনি অনুবাদ করেছিলেন প্রগতি পত্রিকার জন্য।
মাত্র তিনবছরের মধ্যেই গবেষণা সমাপ্ত করে উচ্চতর উপাধি লাভ করে দেশে ফিরে আসেন অরুণ মিত্র। গবেষণা শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করে ১৯৫২ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর কলকাতায় খুব বেশিদিন থাকলেন না, ১৯৫৩ সালে এলাহাবাদ চলে গেলেন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিতে। সেখানেও স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে তাঁর ভীষণই আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেখানে বসেও অবশ্য লেখালেখি চালিয়ে গিয়েছিলেন।
১৯৫৪ সালে অরুণ মিত্রের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘উৎসের দিকে’ ১৯৪৩-৫৪, এই এগারোবছর ধরে লেখা কবিতার সংকলন। অনেক বেশি পরিণত, সংযত, নিমগ্ন কন্ঠস্বর তাঁর এই কাব্যগ্রন্থে। এইসময় থেকেই মূলত গদ্যকবিতা লেখার দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন তিনি। ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত ‘ঘনিষ্ঠ তাপ’ কাব্যগ্রন্থে এই রীতিটিই লক্ষ্যণীয়৷ সম্ভবত ফরাসি কবিদের এই ধরনের কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘মঞ্চের বাইরে মাটিতে’ (১৯৭০), ‘শুধু রাতের শব্দ নয়’ (১৯৭৮), প্রথম পলি শেষ পাথর’ (১৯৮১), ‘খুঁজতে খুঁজতে এতদূর’ (১৯৮৬), ‘যদিও আগুন ঝড় ধসা ডাঙা’ (১৯৮৮), ‘এই অমৃত এই গরল’ (১৯৯১), ‘টুনি-কথার ঘেরাও থেকে বলছি’ (১৯৯২), ‘খরা উর্বরে চিহ্ন দিয়ে চলি’ (১৯৯৪), ‘অন্ধকার যতক্ষণ জেগে থাকে’ (১৯৯৬), ‘ওড়াউড়িতে নয়’ (১৯৯৭), ‘ভাঙনের মাটি’ (১৯৯৮) ‘উচ্ছন্ন সময়ের সুখ দুঃখ ঘিরে’ (১৯৯৯) কাব্যগ্রন্থগুলি। ১৯৮৫-তে প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’। তাঁর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতার মধ্যে ‘লাল ইস্তাহার’, ‘কসাকের ডাক: ১৯৪২’, ‘গলি’, ‘মরযাত্রা’, ‘সীমান্ত’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এরই মধ্যে ১৯৭৯ সালে তাঁর একমাত্র উপন্যাস ‘শিকড় যদি চেনা যায়’ প্রকাশ পেয়েছিল। এছড়াও ফরাসি ভাষা চর্চা কেবল নয়, ফরাসি দেশের সাহিত্য বিষয়ে বিভিন্নসময়ে নানা প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। করেছিলেন ফরাসি থেকে অনেকগুলি অনুবাদের কাজও। ভলতেয়ারের বিখ্যাত উপন্যাস ‘কাঁদিদ’-এর অনুবাদ তাঁর করা। এছাড়াও ‘পাঁচশ বছরের ফরাসি কবিতা’ (১৯৯৪) বইতে বিভিন্ন ফরাসি কবির কবিতার অসাধারণ অনুবাদ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও আদ্য রঙ্গাচার্যের লেখা বই ‘ভারতীয় থিয়েটার’ নাম দিয়ে অনুবাদ করেন তিনি। তাঁর অনুদিত আরও কয়েকটি গ্রন্থ হল, ‘সার্ত্র ও তাঁর শেষ সংলাপ’ (১৯৮০), ‘মায়াকোভস্কি’ (১৯৭৯), ‘পল এলুয়রের কবিতা’ (১৯৮৫) ইত্যাদি। ফরাসি সাহিত্য নিয়ে লেখা তাঁর মৌলিক প্রবন্ধের বইটি হল ‘ফরাসি সাহিত্য প্রসঙ্গে’ (১৯৮৫)। এছাড়াও তাঁর আরও কয়েকটি প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথাধর্মী ও মননশীল গদ্যগ্রন্থর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সৃজন সাহিত্য নানান ভাবনা’ (১৯৮৭), ‘খোলা চোখে’ (১৯৯২), ‘পথের মোড়ে’ (১৯৯৬), ‘কবিতা আমি ও আমরা’ (১৯৯৯), ‘জীবনের রঙে’ (১৯৯৯) ইত্যাদি।
আজীবন সাহিত্যচর্চার জন্য বিভিন্নসময়ে নানা সম্মানীয় পুরস্কার লাভ করেছিলেন অরুণ মিত্র। ১৯৭৯ সালে ‘শুধু রাতের শব্দ নয়’ কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। আবার ১৯৮৭ সালে ‘খুঁজতে খুঁজতে এতদূর’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ফরাসি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে চর্চার জন্য ফরাসি সরকার ১৯৯২ সালে তাঁকে ‘লিজিয়ন অব অনার’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।
২০০০ সালের ২২ অগাস্ট কলকাতায় ৯০ বছর বয়সে এই প্রতিভাবান কবি ও প্রাবন্ধিক অরুণ মিত্রের মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র
- কবি অরুণ মিত্র, সম্পাদনা :- শঙ্খ ঘোষ ও অরুণ সেন, কবি অরুণ মিত্র সংবর্ধনা সমিতি, ২০ ডিসেম্বর, ১৯৬০
- https://en.m.wikipedia.org/
- https://www.indianetzone.com/
- https://www.anandabazar.com/