আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের ভিতরেই ছোট্ট তন্বী নদী এই সিকিয়াঝোরা (Sikia Jhora)। উত্তরবঙ্গের মোহময়ী প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি পরিবেশে কিছু দিন কাটাতে চাইলে বাঙালির চিরাচরিত দী-পু-দা অর্থাৎ দীঘা, পুরী আর দার্জিলিং-এর ধারণার বাইরে গিয়ে একেবারে অচেনা নতুন জায়গায় ভ্রমণের অনুভূতি দেবে এই সিকিয়াঝোরা। একদিকে জঙ্গল, তার মাঝে নিস্তরঙ্গ শান্ত নদীস্রোতে নৌকাবিহারের আস্বাদ পেতে দু-তিন দিনের ছুটিতে সিকিয়াঝোরা চলে আসাই যায়। অনেকে এই অঞ্চলকে ডুয়ার্সের অ্যামাজন বলে থাকেন।

আলিপুরদুয়ার জেলার উত্তর পানিয়ালগুড়ির মধ্যে অবস্থিত সিকিয়াঝোরা নদী। আলিপুরদুয়ার সদর থেকে এই সিকিয়াঝোরার দূরত্ব মাত্র ১৯ কিলোমিটার এবং জয়ন্তী পাহাড় থেকে এটি ২৫ কিমি. দূরে অবস্থিত। সিকিয়াঝোরার আশেপাশেই রয়েছে চিলাপাতা, জলদাপাড়া এবং গরুমারা অভয়ারণ্য। সিকিয়াঝোরা থেকে চিলাপাতা অরণ্যের দূরত্ব ৪০ কিমি এবং জলদাপাড়ার জঙ্গল এখান থেকে ৫০ কিমি. দূরেই অবস্থিত।
সিকিয়াঝোরা আসতে হলে ট্রেনে করে প্রথমেই নামতে হবে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে ভাড়া গাড়ি করে সিকিয়াঝোরা পৌঁছানো যায়। এই অঞ্চলের নিকটবর্তী বিমানবন্দর হল বাগডোগরা যা সিকিয়াঝোরা থেকে ১৮২ কিমি. দূরে অবস্থিত। চাইলে সেখান থেকেও গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি এখানে চলে আসা যায়। উত্তরবঙ্গের যে কোনও স্থানে ভ্রমণের জন্য নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন প্রধান কেন্দ্র হলেও সিকিয়াঝোরা থেকে এই স্টেশনের অনেকটা দূরত্বের কারণে কাছের নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নামাই শ্রেয়। নিজের গাড়ি করে এলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ২৭ নং এবং পরে ৩১৭ নং জাতীয় সড়ক ধরে মোটামুটি ঘন্টা চারেকের মধ্যে সিকিয়াঝোরা চলে আসা যায়।
সিকিয়াঝোরার আশেপাশে বক্সা অরণ্যকে কেন্দ্র করে কিছু হোটেল রয়েছে। তাছাড়া কেউ চাইলে আলিপুরদুয়ারের কোনও হোটেলে থেকেও সিকিয়াঝোরা ঘুরে আসতে পারেন। কলকাতা, বর্ধমান বা দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জায়গা থেকে মানুষ সাধারণত ডুয়ার্স ভ্রমণের অঙ্গ হিসেবে এখানে ঘুরতে আসেন। ফলে সমগ্র ডুয়ার্স ভ্রমণে আপনার নির্দিষ্ট হোটেলে থাকাই উপযুক্ত। সিকিয়াঝোরার নৌকাবিহার কিংবা নজরমিনারে উঠে বন্য প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য এক দিন সময় যথেষ্ট, ফলে রাত্রিবাসেরও খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। হোটেলে থাকতে হলে আগে থেকে বুক করে আসাই শ্রেয়, নচেৎ পর্যটকদের চাহিদার কারণে ঘর নাও পাওয়া যেতে পারে। তবে স্থানীয়দের কাছে জায়গাটি পিকনিক স্পট হিসাবে বেশি জনপ্রিয়।

আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের ঘন অরণ্যের ভিতরেই ঝিরঝির করে বয়ে চলেছে তন্বী নদী সিকিয়াঝোরা। ভারত এবং ভুটানের মধ্যে হাতিদের অভিবাসনের কারণে এই বক্সা অরণ্য আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত। এই বক্সার মধ্যেই আটটি পৃথক পৃথক জঙ্গল রয়েছে। কয়েক বছর আগে সিকিয়াঝোরায় পশ্চিমবঙ্গের বনদপ্তর থেকে একটি ছোট্ট বাঁধ এবং একটি জলাধার তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। বক্সা অরণ্যের দামনাপুর রেঞ্জের অন্তর্গত সিকিয়াঝোরা বহু সময় ধরেই নৌ-বিহারের আস্বাদের টানে বহু পর্যটককে আকৃষ্ট করে। সম্প্রতি ডুয়ার্স ভ্রমণের সঙ্গেই এই সিকিয়াঝোরার নৌকাবিহার এক অত্যন্ত অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সাধারণভাবে বক্সা অরণ্য জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে বেশ উন্নত এবং এই অরণ্যের মধ্যে বেশ কিছু দুর্লভ প্রজাতির ঔষধি গাছ রয়েছে, রয়েছে বেশ কিছু অর্কিডের প্রজাতিও। আর তাছাড়া সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় ব্যাঘ্র-বহুল অরণ্য হিসেবে বক্সা বিখ্যাত হয়ে আছে। নৌকায় চড়ে সিকিয়াঝোরার বুকে ভেসে ভেসে বক্সা অরণ্যের অনেক গভীরে চলে যাওয়া যায় যেখানে হয়তো পায়ে হেঁটে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না। নিস্তব্ধ নির্জন অরণ্য প্রকৃতির বুকে কেবল নদীর বয়ে চলার কুলুকুলু শব্দ আর পাখিদের কূজন শুনতে শুনতে হঠাৎই সিকিয়াঝোরায় জল খেতে আসা কোনও বন্য জন্তুদের দেখতে পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। ৪ কিমি. পথ নৌকা বিহারে সেইসব বন্য জন্তুদের দেখতে পাওয়ার উত্তেজনায় কখন যে সময় পেরিয়ে যাবে টের পাওয়া যাবে না। সিকিয়াঝোরা নদীতে নৌ-বিহার শেষে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় সিকিয়াঝোরা নজরমিনারে যেখান থেকে সমগ্র জঙ্গলের একটা সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায় এবং জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা সিকিয়াঝোরার প্রবাহপথের এক অসাধারণ মনোরম দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। শুধুমাত্র এই দৃশ্য উপভোগ করার জন্যেই বহু পর্যটক বারবার আসতে চান এই সিকিয়াঝোরায়। সেই নজরমিনারের আশেপাশে কিছু সময় কাটাতে পারেন পাখি দেখার জন্য। এমনিতে বক্সা অরণ্যে ৫১৬টি পৃথক পৃথক প্রজাতির পাখি দেখা যায় যাদের মধ্যে কিছু বিপন্ন প্রজাতির পাখিও রয়েছে। পক্ষীপ্রেমীদের কাছে এই অরণ্য এক আদর্শ জায়গা। বক্সা অরণ্যে থাকা চিতাবাঘ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হাতি, ভারতীয় সিভেট, মেছো বেড়াল, বনবিড়াল, মালয়ের বড়ো কাঠবেড়ালি, বেজি ইত্যাদি পশু এবং সারস, হাঁস, কর্মোর্যান্ট, মাছরাঙা, এশীয় হর্নবিল ইত্যাদি পাখিও দেখা যায়। এক পবিত্র নিসর্গ সৌন্দর্যের মাঝে এই সিকিয়াঝোরা নিমেষেই সমস্ত নাগরিক ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে গঠিত একটি ইকো-ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটি রয়েছে যারা এই সিকিয়াঝোরায় পিকনিক করতে আসা পর্যটকদের দেখাশোনা করেন। সিকিয়াঝোরার এই সৌন্দর্য আর নিবিড় অরণ্য প্রকৃতির কারণে একে অনেকে ‘উত্তরবঙ্গের সুন্দরবন’ বা ‘ডুয়ার্সের আমাজন’ও বলে থাকেন।

সিকিয়াঝোরার নির্জন কোলাহলমুক্ত অরণ্য প্রকৃতি, পাখির কূজন আর শান্ত তন্বী নদীর বয়ে চলার কুলুকুলু ধ্বনি অবশ্যই উপভোগ করবেন। নৌকা ভ্রমণের সময় বক্সা অরণ্যের নানাবিধ গাছ-গাছালি, অর্কিড চোখে পড়বে। তার সঙ্গে ভাগ্য সহায় হলে দূর অরণ্যের গভীরে বন্য জন্তুর ডাক শোনার পাশাপাশি তাদের একেবারে সামনে থেকে জল খেতে আসতেও দেখতে পারেন। জঙ্গলে হাতি তো রয়েছেই, ফলে হাতির দেখাও দৈবাৎ মিলতে পারে। নদীর জলের মধ্যে মাঝির দাঁড়ের ছলাৎ ছল শব্দ নিশ্চিতভাবে সকলকেই কল্পনার জগতে নিয়ে যাবে। জঙ্গলের স্যাঁতসেঁতে বন্য আবহ, গা ছমছমে নিস্তব্ধতা শরীরে এবং মনে এক চাপা উত্তেজনার সঞ্চার করবে। সিকিয়াঝোরার নদীতে নৌকাবিহারের পর নদীর পাশেই থাকা নজরমিনারে উঠে সমগ্র জঙ্গলের এক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সঙ্গে ক্যামেরা থাকলে ছবিপ্রেমীদের হাত থামতেই চাইবে না আর পাখিপ্রেমী হলে দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে গভীর দূরবীনে। সিকিয়াঝোরায় কিছুক্ষণ কাটিয়ে পাশের কালকূট জঙ্গলে চাইলে বনভোজনও সেরে ফেলা যায়। তবে জঙ্গলের মধ্যে অধিক উৎসাহে বেশি গভীরে যাওয়া উচিত নয়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত এক্ষেত্রে। সিকিয়াঝোরায় মাত্র ৪ কিমি. যাওয়া যায় নৌকা করে, তার পরে যাওয়ার অনুমতি নেই, অনেকক্ষেত্রে মাঝিদের অতিরিক্ত পয়সা দিয়ে অনেক পর্যটক আরও গভীরে চলে যান রোমাঞ্চের সন্ধানে, কিন্তু তা একেবারেই করা উচিত নয়। বন্য পরিবেশে জন্তু-জানোয়ারদের দ্বারা যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। আর একটি নৌকায় একবারে ১০-১৪ জন লোক নিয়ে যাওয়া হয়। একটি ট্রিপে একটিমাত্রই নৌকাই যেতে পারে, একত্রে একাধিক নৌকার যাওয়ার অনুমতি নেই। নৌকার মাঝিদের কাছে প্রায়ই দেখা যাবে আত্মরক্ষার জন্য খুরকির মত ছোট-খাটো অস্ত্র থাকে। জঙ্গলের পথে হাঁটার সময় সতর্ক থাকতে হবে সাপ, মাকড়সা বা এই জাতীয় বিষাক্ত সরীসৃপ কিংবা পোকা-মাকড়ের হাত থেকে সাবধানে থাকার জন্য। সিকিয়াঝোরার জলে ভুল করেও নামবেন না, এখানে জলের গভীরতা সম্পর্কে কারও কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। নৌ-বিহারের সময় কখনই জোরে জোরে কথ্যা বলা, গান চালানো বা চিৎকার করা, হুল্লোড় করা একেবারেই উচিত নয়। জঙ্গলের পরিবেশের শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ। সর্বোপরি বক্সা অরণ্যে পশু শিকার একেবারেই করা যাবে না, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জঙ্গলের মধ্যে কোনওভাবেই বর্জ্য পদার্থ, প্লাস্টিকের বোতল বা খাবারের পাত্র ফেলে আসা যাবে না। সিকিয়াঝোরায় সম্প্রতি একটি ইকো-পার্কও গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে শিশুদের উপযোগী দোলনা, ফোয়ারা ইত্যাদি রয়েছে। ইকো-পার্কের প্রবেশমূল্য মাথাপিছু ২০ টাকা আর নৌ-বিহারের ভাড়া লাগে মাথাপিছু ৬০ টাকা করে। ইকো-পার্কটির মধ্যেই গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা এবং একটি পৃথক বিশ্রামাগারও রয়েছে। সাইটসিইং হিসেবে আশেপাশের জলদাপাড়া, চিলাপাতা কিংবা গরুমারা অরণ্যেও সময় করে ঘুরে আসা যায়। সিকিয়াঝোরা থেকে জয়ন্তী পৌঁছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উত্তর-পূর্ব অংশটিও সাইটসিইং হিসেবে ঘুরে দেখা যায় এবং সান্তালবাড়ি থেকে বক্সা দূর্গ পর্যন্ত রাস্তায় ট্রেক করা যায় সহজেই।
সাধারণত জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকালের কারণে বক্সার জঙ্গল পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে। তাছাড়া বছরের যে কোনও সময় আসা যায় সিকিয়াঝোরা। শীতকাল আদর্শ সময়। আর সিকিয়াঝোরার নৌকাবিহারের জন্য ভোরে অথবা বিকেলের দিকে বেরোনোই ভাল। বিশেষত দিনের ঐ সময়েই বন্য জন্তুরা অনেক সময় সিকিয়াঝোরায় জল খেতে আসে, ফলে তাদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ট্রিপ টিপস :
- কীভাবে যাবেন – এক্ষেত্রে ট্রেনে করে প্রথমে নামতে হবে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে এবং সেখান থেকে ভাড়ার গাড়ি করে সোজা সিকিয়াঝোরায় পৌঁছানো যায়। নিজের গাড়িতে এলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ২৭ নং এবং ৩১৭ নং জাতীয় সড়ক ধরে কমবেশি ৪ ঘণ্টার মধ্যে সিকিয়াঝোরা পৌঁছানো যায়।
- কোথায় থাকবেন – বক্সা অরণ্যের আশেপাশে অনেক হোটেল আছে। চাইলে আলিপুরদুয়ারেও থাকা যায় কোনও হোটেলে।
- কী দেখবেন – সিকিয়াঝোরা জঙ্গল, সিকিয়াঝোরা নদীতে নৌকাবিহার এবং নদীর পাশেই ওয়াচ টাওয়ারে উঠে এই অঞ্চলের সমগ্র জঙ্গল আর সিকিয়াঝোরা নদীর অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা।
- কখন যাবেন – বর্ষাকাল বাদে বছরের যে কোনও সময় সিকিয়াঝোরা যাওয়া যায়। শীতকাল আদর্শ সময়।
- সতর্কতা –
- জঙ্গলের মধ্যে অধিক উৎসাহে বেশি গভীরে যাওয়া উচিত নয়।
- স্থানীয় গ্রামবাসী বা মাঝিদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
- সিকিয়াঝোরায় মাত্র ৪ কিমি. যাওয়া যায় নৌকা করে, তার পরে যাওয়ার অনুমতি নেই, অনেকক্ষেত্রে মাঝিদের অতিরিক্ত পয়সা দিয়ে অনেক পর্যটক আরও গভীরে চলে যান রোমাঞ্চের সন্ধানে, কিন্তু তা একেবারেই করা উচিত নয়।
- জঙ্গলের পথে হাঁটার সময় সতর্ক থাকতে হবে সাপ, মাকড়সা বা এই জাতীয় বিষাক্ত সরীসৃপ কিংবা পোকা-মাকড়ের হাত থেকে সাবধানে থাকার জন্য।
- সিকিয়াঝোরার জলে নৌ-বিহারের হাত দেবেন না। নদীতে ভুল করেও নামবেন না, এখানে জলের গভীরতা সম্পর্কে পর্যটকদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।
- নৌ-বিহারের সময় কখনই জোরে জোরে কথা বলা, গান চালানো বা চিৎকার করা, হুল্লোড় করা একেবারেই উচিত নয়। জঙ্গলের পরিবেশের শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ।
- জঙ্গলের মধ্যে কোনওভাবেই বর্জ্য পদার্থ, প্লাস্টিকের বোতল বা খাবারের পাত্র ফেলে আসা যাবে না।
- জঙ্গলে পশু শিকার একেবারেই করা যাবে না, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
- বিশেষ পরামর্শ –
- সাধারণত খুব ভোরে বা বিকেলের দিকে বন্য জন্তুরা সিকিয়াঝোরায় জল খেতে আসে, ফলে ঐ সময় নৌকাবিহার করলে বন্য জন্তুদের দেখা মেলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
One comment