পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত হল দীঘা। কথাতেই আছে, বাঙালির ঘোরার তিনটে জায়গা হল দীপুদা, অর্থাৎ দীঘা, পুরী আর দার্জিলিং। দীঘা এমন একটি সমুদ্রসৈকত, যা বাঙালির কাছে কখনও পুরনো হয়না। যতই নতুন নতুন সমুদ্রসৈকত যেমন তাজপুর বা মন্দারমনি তৈরি হোক, দীঘা বাঙালির তালিকায় থেকেই যাবে। কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গ থেকে খুব সহজে এবং নিজের বাজেটের মধ্যে সমুদ্র দেখতে বাঙালি এখানে আসবেই। আর তাই তো দীঘা সবসময় ভিড়ে ঠাসা থাকে।

দীঘা হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমায় অবস্থিত একটি সমুদ্রসৈকত। দীঘা বঙ্গোপসাগরের উত্তর প্রান্তরের শেষ সীমানায়, পূর্বমেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত। যদি দীঘা অঞ্চলের ম্যাপ বুঝতে চাই, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশার দিকে পরপর সমুদ্রের জায়গাগুলো হল যথাক্রমে বাঁকিপুট, জুনপুট, মন্দারমনি, তাজপুর মোহনা, তাজপুর, চাঁদপুর, শঙ্করপুর, দীঘা মোহনা, ওল্ড দীঘা, নিউ দীঘা, উদয়পুর, তালসারি (এটি ওড়িশার সমুদ্রসৈকত)। বকখালি এবং সেই সংলগ্ন সমুদ্রসৈকত গুলো আলাদাভাবে যেতে হয় বলে সেই তালিকায় এদের সাথে জোড়া হল না।
দীঘার আদি নাম বীরকুল। ওয়ারেন হেস্টিংস তাঁর একটি চিঠিতে এই জায়গাকে “প্রাচ্যের ব্রাইটন” বলে উল্লেখ করেছেন । ১৯২৩ সালে একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও ভ্রমনকারী ফ্রাঙ্ক স্মিথ দীঘাতে থাকতে আসেন । দীঘার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাকে এত মুগ্ধ করে যে তিনি দীঘা নিয়ে লেখালিখি শুরু করেন । ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি দীঘায় পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধানচন্দ্র রায়কে বলেন।

বাঙালির অন্যতম প্রধান ঘোরার জায়গা হল দীঘা। দীঘা সমুদ্রসৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। দীঘার থেকে পূর্ব দিকে গেলে দেখা যাবে ওল্ড দীঘা সমুদ্রসৈকত আর দীঘার পশ্চিম দিকে আছে নিউ দীঘা সমুদ্রসৈকত। দীঘার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ভারতবর্ষের ও ভারতবর্ষের বাইরে থেকেও বছরের বিভিন্ন সময় দীঘা ঘুরতে আসেন পর্যটকরা । দীঘার অগভীর বালুকাভূমিতে উঁচু উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ে, যা দেখতে মানুষ ভিড় করে। বোল্ডারে বসে নিউ দীঘাতে সামনে অসীম সমুদ্র দেখতে দেখতে মন ভালো হয়ে যায়। কখনও ঢেউ এসে পায়ে আঘাত করে। কয়েক কিলোমিটার লম্বা এই সমুদ্রসৈকতের এক পাশে যেমন গভীর সমুদ্র, তেমন অন্যপাশে ঝাউ গাছের অগভীর জঙ্গল। ঢেউ-এর জলে পা ভিজিয়ে হেঁটে যাওয়া যায় দীর্ঘ এই পথ। ঝাউ গাছ দিয়ে ঘেরা এই সমুদ্রসৈকত এখনও বাঙালির প্রিয় একটা জায়গা। দীঘায় গেলে কোস্টগার্ড দের পরামর্শ শুনে চলাটা খুব দরকারি তাছাড়াও সাঁতার কাটা যাবেনা এমন অঞ্চলে সাঁতার কাটার চেষ্টা করা একেবারেই উচিৎ নয়।
কলকাতা থেকে দীঘার দুরত্ব মোটামুটি ১৮০ কিমি এবং বাস, গাড়ি বা ট্রেন তিনভাবেই যাওয়া যায়। ২০২০ সালের কোভিড পরিস্থিতির আগে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ট্রেনে করে আসতে চাইলে হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে দীঘাতে প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে । ট্রেনে যেতে গেলে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে হবে । হাওড়া স্টেশন থেকে নিম্নলিখিত ট্রেনগুলো দীঘার জন্য ভালো।
ট্রেন নাম্বার | ট্রেনের নাম | কখন ছাড়বে | দীঘা কখন পৌঁছবে |
---|---|---|---|
১২৮৫৭ | তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস | সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট | সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট |
১২৮৪৭ | দীঘা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস | সকাল ১১ টা ১০ মিনিট | সকাল ২টো ২০ মিনিট |
২২৮৯৭ | কাণ্ডারি এক্সপ্রেস | দুপুর ২টো ১৫ মিনিট | বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিট |
বাসে যেতে গেলে ধর্মতলা থেকে বাস পাওয়া যায়। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন জায়গা থেকেও প্রচুর বাস ছাড়ে। দীঘা যাওয়ার জন্য বাস খুবই সহজলভ্য। আর গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে কলকাতা থেকে বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে তে এসে এন এইচ্ ১৬ (পুরোনো নাম এন এইচ্ ৬) রাস্তা ধরে কোলাঘাটে এসে এন এইচ্ ১১৬ (পুরোনা এন এইচ ৪১) রাস্তা হয়ে নন্দকুমার পর্যন্ত আসতে হবে, সেখান থেকে স্টেট হাইওয়ে ধরে দীঘার পথ পাওয়া যাবে।
দীঘাতে সমস্ত মূল্যের হোটেল ভাড়া পাওয়া যায়। সকলেই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী থাকতে পারে। ২০২০ সালের কোভিড পরিস্থিতির আগে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দীঘাতে ঠিকঠাক হোটেলে পরিবার নিয়ে থাকতে ভারতীয় মুদ্রায় প্রতিদিন ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা লাগবে। এছাড়াও অনেক কম মূল্যে কিম্বা অনেক বেশি মুল্যের খুব ভালো হোটেলও ভাড়া পাওয়া যায় দীঘাতে। দীঘা স্টেশনে এসে হোটেল এজেন্টদের সবসময় উপেক্ষা করা উচিৎ। সাধারনত তাদের খুঁজে দেওয়া হোটেল গুলি সমুদ্রসৈকত থেকে অনেক দুরে অবস্থিত হয়। দীঘাতে পৌঁছে হোটেল বুক করতে গেলে অনেকক্ষেত্রেই ভালো হোটেল পাওয়া যাবে না। তাই হোটেল আগে থেকে বুক করে রাখাই ভালো হবে। ওল্ড দীঘার তুলনায় নিউ দীঘাতে ভালো আরামদায়ক হোটেল বেশি পাওয়া যায়।
দীঘাতে কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে গেলে টোটো বা গাড়ি করে যাওয়া যায়। যাওয়ার আগে অবশ্যই জিজ্ঞেস করে নেবেন কতক্ষণের জন্য তারা ওই ভাড়া বলছে। শুরুতে এই কথা বলে না নিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘুরতে একটু বেশি সময় নিলেই তারা প্রচুর ভাড়া চেয়ে বসে।

নিউ দীঘা – দীঘায় থাকা এবং সমুদ্রস্নান বলতে মূলত নিউ দীঘাকেই বোঝায়। এখানের সমুদ্রে সারাদিনই ভিড় থাকে। এখানে ঢেউ ওল্ড দীঘার চেয়ে কম, তাই ওল্ড দীঘাতে থাকলেও স্নান করলে নিউ দীঘাতেই এসে করা উচিত। নিউ দীঘা ওল্ড দীঘার তুলনায় বেশি পরিষ্কার। যদিও দিন দিন পর্যটকেরা নিউ দীঘাকেও সমানভাবে নোংরা করে চলেছে। এখানের সৈকতটি বেশ চওড়া। ভোরবেলায় এই সমুদ্রসৈকতে হাঁটার পাশাপাশি অনেকেই বল বা বেলুন নিয়ে সৈকতে খেলা করে। সৈকতের সামনেই আছে দীঘার সুন্দর ঝাউবন। দীঘায় এসে এই ঝাউবনে ফটো তোলেনি, এরম মানুষ খুব কম আছে।
ওল্ড দীঘা – পূর্বে দীঘা বলতে এই জায়গাটিকেই বোঝাত। পরে ভিড় বাড়ায় সমুদ্রসৈকত নিউ দীঘা অবধি প্রসারিত হয়েছে। আর সেজন্যই এই সৈকতের নামের আগে জুড়ে গেছে ‘ওল্ড’। এখানে ঢেউয়ের উচ্চতা খুব বেশি। এখানে বিকালে বা ভোরবেলায় এই ঢেউয়ের আছড়ে পড়া দেখা একটা অভিজ্ঞতার বিষয়। বড় ঢেউ আর সেই ঢেউকে আটকাতে বোল্ডার থাকায় সব জায়গা স্নানের উপযুক্ত নয়। স্নানের জন্য বিশেষ জায়গা চিহ্নিত করা আছে। তবে স্নান না করলেও এখানে সমুদ্রের তীরে ছাউনির তলায় বসে ডাব খেতে খেতে সমুদ্রকে উপভোগ করতে পারেন। এটা দীঘার একটা খুব ভালো অভিজ্ঞতার মধ্যেই পড়ে।

দীঘার মোহনা – ওল্ড দীঘা থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে চম্পা নদী যেখানে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে, সেই জায়গাটিই দীঘার মোহনা নামে পরিচিত। এটি আন্তর্জাতিক মাছের বাজার। এখানে মৎস্যজীবীদের জালে বিভিন্ন ধরনের মাছ ওঠে, যা দেখাই একটা আলাদা অভিজ্ঞতা। যেমন ২০১৩ সালে দীঘা মোহনায় প্রায় ৮০০ কেজি ওজনের একটি মাছ উঠেছিল, যা দেখতে পর্যটকদের ভিড় ছিল দেখার মত। শুধু দেখাই নয়, চাইলে মাছ কিনেও আনা যায়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে এখানে মানুষ ভিড় জমায়। তবে এখানে আসার আদর্শ স্থান ভোরবেলা। বেলা বাড়তে বাড়তে দীঘা মোহনায় ভিড় কমে, সমুদ্র একটু দূরে যায়। তখন এই সৈকতে একা বা কয়েকজন মিলে হেঁটে চলাও একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা। এতটা ফাঁকা সৈকত দীঘায় আর কোথাও পাওয়া যায় না। এখানে সমুদ্রের অনেকটা ভেতর অবধি রাস্তা করা আছে। সকালে জোয়ারের সময় সেটা জলের স্রোতে ঢেকে যায়। একটু বেলা হলেই জল দূরে সরে গেলে রাস্তার শেষ অবধি হেঁটে সমুদ্রকে ছুঁয়ে আসা যায়।
দীঘার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে সায়েন্স সেন্টার, অমরাবতী পার্ক, ম্যারীন স্টেশন, দীঘার কাজল দীঘি বা ওন্ডার ল্যান্ড। এছাড়া দীঘা থেকে যে সমুদ্রসৈকত আর জায়গাগুলো যাওয়া যায় তা হল জুনপুট, মন্দারমনি, তাজপুর, চাঁদপুর, উদয়পুর, শঙ্করপুর, তালসারি, চন্দনেশ্বর শিব মন্দির। স্থানীয় মানুষেরা এখানে বাস বা গাড়ি করে পিকনিক করতে আসেন। ঝাউবনের পাশে পিকনিক করে জায়গাটিকে অনেকে নোংরা করে চলে যান। পিকনিক করতে এসে ঝাউবনের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
দীঘাতে বছরের সবসময়েই যাওয়া যায় তবে সাধারনত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দীঘা ভ্রমনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময়ে এখানে ভিড়ও থাকে খুব বেশি। পশ্চিমবাংলায় স্কুলগুলোয় গ্রীষ্ম এবং পুজোর ছুটিতে এখানে প্রচুর মানুষ ঘুরতে আসে। বর্ষাকালে যদিও প্রচুর মানুষ এখানে আসে, কিন্ত বর্ষাকালে সমুদ্র ভ্রমণের জন্য না আসাই ভালো।
দীঘায় হোটেলে পাবেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী খাবার পাবেন। শুধু হোটেলেই কেন, এখানে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দোকানগুলোতেও সমস্ত রকমের খাবার আপনি পাবেন। বরং অনেকেই হোটেলে থেকে বাইরের দোকান থেকেই খাবার খাওয়া পছন্দ করে। মাছ থেকে শুরু করে চাইনিজ,মোগলাই, হিং এর কচুড়ি, মিষ্টি, চিংড়ি মাছ, কাঁকড়া, কাজুবাদাম, নারকেলের জল আর বাঙালি স্বাদের রান্নাবান্না পর্যটকরা খুব ভালো উপভোগ করেন। খাবার হোটেলের এখানে এত বেশি বিকল্প আছে, যে খাবার নিয়ে এখানে কোন চিন্তাই নেই। অনেক রাত অবধি এখানে দোকান খোলা পাওয়া যায়।
দীঘায় কেনাকাটি করার জন্য প্রচুর দোকান। দোকানগুলোও রাত অবধিই খোলা থাকে। কাজুবাদাম, হাতে সেলাই করা মাদুর, হায়দ্রাবাদী মুক্তোর গহনা, ঝিনুকের মালা ও গহনা, শুঁটকি মাছ, শঙ্খ, কাপড়ের ব্যাগ, কাঠের পেন, ঝিনুকের পেন স্ট্যান্ড পর্যটকরা খুব কিনে আনেন। শুধু দোকানেই কেন, সমুদ্র পাড়েই ফেরি হয় মুক্তা কিংবা নানা রঙের সমুদ্রের পাথর বা আরও নানা খেলনার জিনিস। কেনাকাটি এখানের আরেক অভিজ্ঞতা। দীঘা থেকে কেনা বিভিন্ন জিনিস আপনি উপহার দিতে পারেন আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধবকে।
ট্রিপ টিপস
- কিভাবে যাবেন – ২০২০ সালের কোভিড পরিস্থিতির আগে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী হাওড়া থেকে দীঘা প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে । হাওড়া স্টেশন থেকে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস (সকাল ৬ টা ৪০) দুরন্ত এক্সপ্রেস (সকাল১১ টা ১৫) ও কান্ডারী এক্সপ্রেস (দুপুর ২ টো ৪০) প্রতিদিন দীঘা যায়। এছাড়াও ধর্মতলা থেকে বাস যায়।
- কোথায় থাকবেন – দীঘার জন্য আগে থেকে ভালো হোটেল বুক করতে হবে । দীঘার আশেপাশে বিভিন্ন দামের অনেক হোটেল ভাড়া পাওয়া যায়। তবে ওল্ড দীঘার তুলনায় নিউ দীঘাতে হোটেল ব্যবস্থা অনেক ভালো ।
- কি দেখবেন – নিউ এবং ওল্ড দীঘা সমুদ্রসৈকত, নিউ দীঘা সয়েন্স সেন্টার, দীঘা মোহনা, অ্যাকোয়ারিয়াম অব্ জিওলজিক্যাল সার্ভে অব্ ইন্ডিয়া, অমরাবতী পার্ক, কাজল দীঘি, দীঘা মোহনা। স্থানীয় লোকেরা ঝাউবনে পিকনিক করতে আসেন। এছাড়াও দীঘা থেকে অল্পদূরে জুনপুট, মন্দারমনি, তাজপুর, উদয়পুর, চন্দনেশ্বর শিবমন্দির, উদয়পুর বা শঙ্করপুরের মতো জায়গায় যাওয়া যায়।
- কখন যাবেন – বর্ষাকাল অবশ্যই বাদ দিন। শীত ও বসন্ত এখানে ভ্রমণের জন্য বিশেষ উপযোগী।
- সতর্কতা –
- দীঘায় জলে স্নান করতে গেলে কোস্টগার্ড দের পরামর্শ শুনে চলাটা খুব দরকারি।
- সাঁতার কাটা যাবেনা এমন অঞ্চলে সাঁতার কাটার চেষ্টা করা একেবারেই উচিৎ নয়।
- মদ খেয়ে জলে নামবেন না।
- হোটেল সংক্রান্ত ব্যাপারে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দীঘা স্টেশনে এসে হোটেল এজেন্টদের সবসময় উপেক্ষা করা উচিৎ।
- পিকনিক করতে এসে ঝাউবনের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
- বিশেষ পরামর্শ –
- কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে গেলে টোটো বা গাড়িকে অবশ্যই জিজ্ঞেস করে নেবেন কতক্ষণের জন্য তারা ওই ভাড়া বলছে। শুরুতে এই কথা বলে না নিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘুরতে একটু বেশি সময় নিলেই তারা প্রচুর ভাড়া চেয়ে বসে।
সুন্দর তথ্য বহুল লেখা