ব্যারাকপুর ভ্রমণ

ব্যারাকপুর ভ্রমণ

ব‍্যারাকপুর একটি প্রাচীন শহর। এখানেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম সেনানিবাস গড়ে ওঠে। আবার ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ শুরুও হয়েছিল এখানে। ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যারাকপুর বহু পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষনীয় স্থান।

পশ্চিমবঙ্গের হুগলী নদীর তীরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ব্যারাকপুর শহরটি অবস্থিত। এটি কলকাতা থেকে ২৪ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

বিপ্রদাস পিপিলাই রচিত মনসামঙ্গল কাব্যে ব‍্যারাকপুরের আদি নাম হিসাবে ‘চাণক’ এর উল্লেখ আছে। আবুল ফজল রচিত আইন-ই-আকবরীতে বারবকপুর নামটি পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে ব্রিটিশ সৈন্যরা এখানে সেনাঘাঁটি বা ব‍্যারাক তৈরী করে, সেই সময় থেকেই এই অঞ্চলটি ব্যারাকপুর হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছে। ব্যারাকপুরে দুটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। প্রথমটি ১৮২৪ সালের বিন্দী তিওয়ারীর নেতৃত্বে বিদ্রোহ। তবে দ্বিতীয় বিদ্রোহের কারণেই এই অঞ্চলটি বেশি বিখ্যাত। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ, যার সূচনা হয়েছিল ব‍্যারাকপুরে। এই বিদ্রোহের প্রত‍্যক্ষ‍ কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেল। এই রাইফেলের কার্তুজ দাঁত দিয়ে কাটা নিয়ে সেনানিবাসে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে অসন্তোষ শুরু হয়। সিপাহীরা প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতীয় সিপাহী মঙ্গল পান্ডে। এই বিদ্রোহ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে ব্রিটিশদের হাতে এই বিদ্রোহ দমন হয় এবং মঙ্গল পান্ডের ফাঁসি হয়। তাঁর স্মৃতিতে এখানে রয়েছে একটি পার্ক। বর্তমানে এখানেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ ট্রেনিং একাদেমি অবস্থিত।

বই  প্রকাশ করতে বা কিনতে এই ছবিতে ক্লিক করুন।

শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মেইন লাইনের ট্রেনে করে ব্যারাকপুর স্টেশনে আসতে হবে। স্টেশনের বাইরে অটো, টোটো ও রিকশার স্ট্যান্ড রয়েছে। এই স্ট্যান্ড থেকে এখানের দ্রষ্টব্য স্থানগুলো ঘোরার জন্য গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। এছাড়া ব‍্যারাকপুর স্টেশন থেকে টিটাগড়ের বাসে করে তালপুকুর নেমে দ্রষ্টব‍্য স্থানগুলো ঘুরতে হবে। নিজের গাড়ি নিয়ে এলেও গাড়ি করে আপনি ব্যারাকপুর ঘুরে দেখতে পারেন।

ব‍্যারাকপুরের ঘোরার জন্য রাত্রিবাসের কোনো প্রয়োজন নেই। কলকাতায় থেকে এখানে সহজেই ঘুরতে আসা যায়। তবুও এখানেই রাত্রিবাস করতে হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মালঞ্চ অতিথি নিবাসে থাকা যায়। এছাড়াও আশে পাশে কিছু সস্তার হোটেল রয়েছে।

ব‍্যারাকপুরের দ্রষ্টব‍্য স্থানগুলো একটি টোটো ভাড়া করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখে নিতে পারেন। তবে টোটোতে উঠবার আগে অবশ্যই কোন কোন জায়গা ঘোরাবে এবং কত টাকা নেবে সেটা ভালভাবে কথা বলে নেবেন। আবার প্রতিটি জায়গায় আলাদা ভাবে যাবার জন্যও আলাদা করে টোটো ভাড়া করতে পারেন। নিজের গাড়ি নিয়ে গেলে সবচেয়ে সুবিধা হয়। দ্রষ্টব্য জায়গাগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা এখানে তুলে দেওয়া হল –

সোনার অন্নপূর্ণা মন্দির – ব‍্যারাকপুরে তালপুকুর অঞ্চলে সোনার অন্নপূর্ণা মন্দির খুবই প্রাচীন একটি মন্দির। এই মন্দিরটি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে রানী রাসমণির কনিষ্ঠা কন্যা জগদম্বা দেবী তৈরী করেছিলেন। এই মন্দিরে দেবী অন্নপূর্ণা ও মহাদেব প্রতিষ্ঠিত আছেন। এই মন্দির ভ্রমণ নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পড়তে ক্লিক করুন এখানে

গান্ধী ঘাট। ছবি সববাংলায়

গান্ধী ঘাট – রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় ব‍্যারাকপুরের নিজ বাসভবনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, মহাত্মা গান্ধী তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। সুরেন্দ্রনাথের বাড়িটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু হলে তাঁর চিতাভস্ম ভারতবর্ষের বিভিন্ন নদীতে অর্পণ করা হয়েছিল। এই অঞ্চলের যে ঘাটে তাঁর চিতাভস্ম অর্পণ করা হয়েছিল সেই ঘাটটির নাম গান্ধী ঘাট। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারিয়া এই ঘাটে মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম অর্পণ করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে তিনি গান্ধীঘাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯৪৯ সালে জওহরলাল নেহেরু এর উদ্বোধন করেন। ঢোকার মুখে যে দরজা রয়েছে তার মাথাটি সাদা অর্ধ উপবৃত্তাকার আকৃতির। দরজা দিয়ে প্রবেশ করার পর একটু এগোলেই গঙ্গার তীরে নির্মাণ করা আছে সুন্দর একটা মিনার। মিনারের রঙও ধবধবে সাদা। নিচে থেকে মিনারটির এক চতুর্থাংশ উচ্চতায় মিনারের সাথে আড়াআড়িভাবে প্রশস্থ ছাদ রয়েছে। মিনারের একদিকের ছাদ অন্যদিকের চেয়ে অপেক্ষাকৃত অনেকটা লম্বা। মিনারটির সঙ্গে লাগোয়া গঙ্গার ঘাট। সুন্দর বাঁধানো বসবার জায়গা এবং গঙ্গায় যাওয়ার সিঁড়ি। এখানে বসে গঙ্গার দৃশ্য মনকে তৃপ্তি দেবে। এখানে গঙ্গার ঘাটটি খুবই পরিষ্কার। কোনওরকম ভাবে এটিকে নোংরা করবেন না। এখানে যাওয়ার জন্য কোনও প্রবেশমূল্য নেই। রবিবারে গান্ধী ঘাট বন্ধ থাকে। অন্যদিন ভোর ৪টে থেকে সন্ধ্যে ৬টা অবধি এটি খোলা থাকে। গান্ধী ঘাটের ভিতর রিক্সা, সাইকেল, চারচাকা বা অন্যান্য যে কোন গাড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে লকডাউনের পর থেকে এখনও অবধি গান্ধী ঘাট বন্ধ রয়েছে। জওহরকুঞ্জ পার্ক থেকে মিনারটি দেখা যায়।

জওহরকুঞ্জছবি সববাংলায়

জওহরকুঞ্জ – পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আরবান রিক্রিয়েশন ফরেস্ট্রি ডিভিশন দ্বারা পরিচালিত এই পার্কটি গান্ধী ঘাটের পাশেই অবস্থিত। ছোট ও বড় গাছের সমাহারে পার্কটি সুসজ্জিত। বিভিন্ন চেনা এবং অচেনা গাছগুলো দেখতে দেখতেই সময় কেটে যায়। সুবিধার জন্য বহু গাছের গায়ে সেই গাছের নামের বোর্ড রয়েছে। পার্কের ভেতরের রাস্তা এত সুন্দরভাবে কোথাও উঁচু আবার কোথাও নীচু করা হয়েছে, যাতে করে পার্কটির ভিতরে পাহাড়ি অঞ্চলের অনুভূতি তৈরী হয়। এখানে ছোট একটি পুকুরও রয়েছে। এটি পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য খুব সুন্দর একটি জায়গা। পার্কটিতে কয়েকটা ছাউনি দেওয়া বসার জায়গা রয়েছে। এখানে বসে হরেকরকমের পাখি দেখতে দেখতে মনটা ভরে উঠবে। তবে অনেকেই এই বসার জায়গাগুলোতে বসে পরিবেশ উপভোগ না করে নিজেদের নাম, মোবাইল নাম্বার লিখতে ব্যস্ত থাকে।এইভাবে পার্কের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। পার্কের ভেতরে প্লাস্টিক বা অন্য কোন দ্রব্য ফেলে পার্কটি নোংরা করবেন না। এই পার্কে বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য আলাদা প্রবেশমূল্য রয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পার্কটি খোলা থাকে।

মঙ্গল পাণ্ডে পার্কছবি সববাংলায়

মঙ্গল পাণ্ডে পার্ক – ভারতীয় সিপাহী মঙ্গল পাণ্ডের স্মৃতিরক্ষার্থে এই পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে মঙ্গল পান্ডে পার্ক। পার্কটি ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে ও সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশে অবস্থিত। পার্কে প্রবেশের রাস্তাটি খুব সুন্দর করে বাঁধানো রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে একটু এগোলেই মঙ্গল পাণ্ডের মূর্তি। কিছুটা দূরে একটি কামানও দেখা যায়। সবুজে ঘেরা পার্কের ভেতরে দিকে দিকে বসবার জন্য সুন্দর করে বেঞ্চি বানানো রয়েছে। গঙ্গার ধার বরাবর বেশ কয়েকটা চেয়ার পাতা রয়েছে। পার্কের চেয়ারে বসে গঙ্গার জলের উপর বিকেলের সূর্যাস্তের আভা দেখতে ভালো লাগবে। বড় জিরাফের মূর্তি, বাচ্চাদের জন্য স্লিপ, দোলনা ইত্যাদি আছে। সবুজ গাছ গাছারির মাঝে রাস্তাটা পরিপাটি করে বাঁধানো। পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য খুব ভালো জায়গা। ভেতরে কয়েকটি খাবারের স্টলও আছে। তবে পার্কটি খুব পরিচ্ছন্ন নয়। যারা পার্কের দায়িত্বে আছেন, তাদের উচিত সেইদিকে নজর দেওয়া। এই পার্কে প্রবেশমূল্য রয়েছে। তবে যতটা প্রবেশমূল্য নেওয়া হয়, সেই তুলনায় পার্কের পরিচ্ছন্নতা অনেক কম। ক্যামেরার জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। পার্কটি সপ্তাহের প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যে ৬.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্কের বাইরে, বাইক বা গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা আছে।

বার্থোলোমিউ চার্চ – বার্থোলোমিউ চার্চটি ব‍্যারাকপুর ক‍্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে মঙ্গল পাণ্ডে পার্কের কাছে অবস্থিত। ১৮৩১ সালে চার্চটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। চার্চটির স্থাপত্য খুব সুন্দর। চার্চটি খোলা থাকে শুধুমাত্র রবিবার সকাল ৮.৩০ টা থেকে বিকেল ৯:৩০ টা পর্যন্ত। অন্যান্য দিনে মূল চার্চের ভেতরে প্রবেশ না করা গেলেও বাইরেটা ঘুরে দেখা যায়।

গান্ধী স্মারক সংগ্রহশালাছবি সববাংলায়

গান্ধী স্মারক সংগ্রহশালা – মহাত্মা গান্ধীর জীবনকে কেন্দ্র করে ব্যারাকপুর ক‍্যান্টনমেন্টে গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চলে গান্ধী স্মারক সংগ্রহশালা অবস্থিত। এখানে গান্ধীজির জীবনের অমূল‍্য সংগ্রহ রয়েছে। গান্ধীজীর সঙ্গে বাংলা ও উড়িষ্যার যোগাযোগের কাহিনী এই সংগ্রহশালায় তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৬৬ সালে এটি জনসাধারণের জন‍্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। সংগ্রহশালাটিতে পাঁচটি কক্ষ রয়েছে। একটি কক্ষে বেশ বড় একটা দেওয়াল চিত্র রয়েছে, একটি কক্ষে গান্ধীজির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে যথা মহাত্মা গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর সহ অন‍্যান‍্য জাতীয় নেতাদের চরকায় সুতো কাটার চিত্র, স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের তথ‍্যচিত্র ইত‍্যাদি রয়েছে। একটি কক্ষে গান্ধীজির ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী, দরকারী চিঠি রয়েছে। একটি কক্ষে একটা গ্রন্থাগার ও কয়েকজন মনীষীদের বক্তব‍্যের টেপরেকর্ডার রয়েছে আর একটা কক্ষে বেশ কিছু আলোকচিত্র রয়েছে। এই সংগ্রহশালাটি প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে কোনো প্রবেশমূল‍্য লাগে না। এটি বুধবার বন্ধ থাকে।

এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন ব‍্যারাকপুর সদর বাজারে অবস্থিত দেবদ্বার পার্কে। এই পার্কটির খোলার সময় বিকেল ৪ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। তাছাড়া মঙ্গল পাণ্ডে মেমরিয়াল, জগন্নাথ মন্দির এগুলো ঘুরে আসতে পারেন।

সারা বছর ধরেই এখানে আসা যায়। শুধু দ্রষ্টব‍্য স্থানগুলোর খোলা ও বন্ধের সময় খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু গান্ধী ঘাট এই মুহূর্তে বন্ধ আছে এবং বার্থোলোমিউ চার্চ একমাত্র রবিবার সকালেই খোলা থাকে, তাই ব‍্যারাকপুরে রবিবার সকালে আসলে সমস্ত দ্রষ্টব্য দেখতে পারেন। অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাসের মধ‍্যে এলে মনোরম পরিবেশ থাকে।


ট্রিপ টিপস

  • কীভাবে যাবেন – শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে ব্যারাকপুর স্টেশনে এসে অটো, টোটো বা রিক্সা করে দ্রষ্টব্য স্থানগুলি ঘুরতে পারেন কিম্বা ব্যারাকপুর – টিটাগড় বাসে করে তালপুকুরে নেমে ঘোরা শুরু করা যায়।
  • কোথায় থাকবেন – ব্যারাকপুরে একদিনেই ঘোরা সম্ভব। তবে ইচ্ছে হলে কাছাকাছি কিছু অতিথি নিবাসে থাকতে পারেন।
  • কি দেখবেন – সোনার অন্নপূর্ণা মন্দির,গান্ধী ঘাট, গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়, মঙ্গল পান্ডে পার্ক, জওহরকুঞ্জ, বার্থোলোমিউ ক্যাথেড্রাল, দেবদ্বার পার্ক, জগন্নাথ মন্দির ইত্যাদি।
  • কখন যাবেন – সারা বছর ধরেই এখানে আসা যায়।
  • সতর্কতা
    • গান্ধী ঘাট বর্তমানে বন্ধ আছে।
    • গান্ধী মিউজিয়াম বুধবার বন্ধ থাকে।
    • জওহরকুঞ্জ এবং মঙ্গল পাণ্ডে পার্কে প্রবেশ করতে হলে প্রবেশ মূল্য লাগে। তবে মঙ্গল পাণ্ডে পার্কে যতটা প্রবেশমূল্য নেওয়া হয়, সেই তুলনায় পার্কের পরিচ্ছন্নতা অনেক কম। তুলনায় কম প্রবেশমূল্যের জওহরকুঞ্জ পার্ক অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
    • কোন পার্কের দেওয়ালে বা স্তম্ভে নিজের নাম, মোবাইল নাম্বার লিখবেন না। এইরূপ করলে আপনাকে ফাইন দিতে হবে।
  • বিশেষ পরামর্শ
    • যেহেতু গান্ধী ঘাট এই মুহূর্তে বন্ধ আছে এবং বার্থোলোমিউ চার্চ একমাত্র রবিবার সকালেই খোলা থাকে, তাই ব‍্যারাকপুরে রবিবার সকালে আসলে বাকি সমস্ত দ্রষ্টব্য দেখতে পারেন।

2 comments

আপনার মতামত জানান