রবীন্দ্রানুসারী কবি ও সম্পাদক হিসেবে যতীন্দ্রমোহন বাগচী (Jatindra Mohan Bagchi) বাংলা সাহিত্যে পরিচিত। রবীন্দ্রযুগের কবি হয়েও তিনি আপন স্বকীয়তা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর লেখায় গ্রাম্য দরিদ্র মানুষের জীবনকাহিনী ও নারীর বেদনা ফুটে উঠেছে। ‘কাজলা দিদি’ ও ‘অন্ধবধূ’ কবিতা দুটি তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। তাঁর ‘কাজলা দিদি’ কবিতাটি সুধীন দাশগুপ্তের সুরে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠে বিশেয জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর সৃষ্টি প্রচারের বিমুখ হয়েও বাঙালির মননে থেকে গেছে আজও।
১৮৭৫ সালের ২৭ নভেম্বর যতীন্দ্রমোহন বাগচীর জন্ম হয় অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার যমশেরপুর গ্রামের এক উচ্চবিত্ত জমিদার পরিবারে। তাঁর বাবার নাম হরিমোহন বাগচী ও মায়ের নাম গিরিশমোহিনী দেবী। যতীন্দ্রমোহনের পূর্বপুরুষ সৃষ্টিধর বাগচী যমশেরপুর এসে বসতি স্হাপন করেন । সৃষ্টিধরের পরবর্তী বংশধর রামনৃসিংহ বাগচী ‘বর্ধনশীল বাগচী’ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর আমল থেকেই ‘বাগচী পরিবার’ সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে রামগঙ্গা বাগচী নসিপুরের মহারাজ কীর্তিচাঁদের দেওয়ান ছিলেন। সেই সময়ে তিনি যুগিনদা, টেকা, মজলিশপুর, বিদাড়া, পরাশপুর, কুপিলা, যমশেরপুরে জমিদারির পত্তন করেন। ধীরে ধীরে বাগচী জমিদারদের প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। ১৮৯৮ সালে ভাবিনীদেবীর সঙ্গে যতীন্দ্রমোহনের বিবাহ হয়।
বাড়িতে জ্যাঠামশাইয়ের কাছে রামায়ণ ও মহাভারত পাঠের মধ্য দিয়ে যতীন্দ্রমোহনের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপরে তিনি ভর্তি হন বহরমপুর খাগড়া মিশনারি স্কুলে। অসম্ভব মেধাবী যতীন্দ্রমোহন অল্পবয়সেই তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণে শিক্ষকদের অবাক করে দেন। তিনি খাগড়া মিশনারি স্কুল বহরমপুর থেকে বৃত্তি নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ১৮৯৮ সালে কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপরে যতীন্দ্রনাথ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০০ সালে এফ. এ পাশ করেন তিনি। স্কটিশ চার্চ কলেজ যা তখন ডাফ কলেজ হিসেবে পরিচিত ছিল, সেখান থেকে তিনি বি এ পাশ করেন। স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর লেখা কবিতা প্রকাশ হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যু উপলক্ষ্যে।
যতীন্দ্রমোহনের কর্মজীবন শুরু হয় বিচারপতি সারদাচরণ মিত্রের সচিব হিসেবে। সারদাচরণ আইনব্যবসার পাশাপাশি সাহিত্যানুরাগীও ছিলেন। মূলত তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় ও অনুপ্রেরণায় যতীন্দ্রমোহনের সাহিত্যচর্চা বৃদ্ধি পায়। মূলত সারদাচরণের প্রভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সাহিত্য জগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের লাইসেন্স কালেক্টর হিসেবে কাজ করার সময় নাটোরের মহারাজের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তিনি নাটোরের মহারাজের সচিব হিসেবেও কিছুদিন কাজ করেছেন। এই সময়ে মহারাজের পত্রিকা ‘মর্ম্মবাণী’র সম্পাদনাও করেছেন। মহারাজের মৃত্যুর পরে তিনি এফ এন গুপ্ত পেন্সিল কোম্পানির ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন কিছুদিন। এই কাজ তাঁর বেশি দিন ভাল না লাগায় তিনি স্বাধীনভাবে কোলিয়ারি ব্যবসা শুরু করেন।
যতীন্দ্রমোহনের সাহিত্যচর্চা শুরু হয় কলেজে পড়াকালীন। বি.এ পড়ার সময় তাঁর পরিচয় হয় রবীন্দ্রনাথের সাথে। মূলত রবীন্দ্রনাথের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই তাঁর সাহিত্য জীবনের সূচনা। যতীন্দ্রমোহনের রচনার বিষয়বস্তু ছিল সৌন্দর্যপিপসা ও মানবতা। তাঁর কবিতাগুলিকে বিষয় নির্বাচনের নিরিখে কোন একটি বিশেষ ভাবধারায় চিহ্নিত করা যায় না। যতীন্দ্রমোহনের কবিতার প্রধান পটভূমি ছিল প্রকৃতি। প্রকৃতির নিসর্গ বর্ণনার সাথে জীবনের সুখ দুঃখের ঘটনাবলীর সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন তিনি নিদারুণভাবে। তাঁর সমসাময়িক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় বা কুমুদরঞ্জন মল্লিকের থেকে তথাকথিত শহুরে কবির থেকে তাঁর রচনায় পল্লীগ্রামের বর্ণনা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আক্ষরিক অর্থে পল্লী গ্রামের সৌন্দর্য বর্ণনায় যতীন্দ্রমোহন ছিলেন একজন রূপকার। কর্মসূত্রে শহরে বাস করলেও পল্লীগ্রামে জীবনের আর্কষণে তিনি ফিরে এসেছেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থের চরিত্রগুলিতে গ্রামীণ মানুষের জীবন যন্ত্রণার কাহিনী প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষত গ্রাম্য নারীর জীবনযন্ত্রণার ছবি তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন।
ছাত্রাবস্থায় তিনি নিয়মিত লিখতেন ‘ভারতী’, ‘প্রবাসী’, ‘সাধনা’, ‘সবুজপত্র’, ‘মর্ম্মবাণী’ পত্রিকায়। ‘ভারতী’ পত্রিকায় লেখার সুবাদে যতীন্দ্রমোহনের সঙ্গে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের বিশেষ সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে যতীন্দ্রমোহনের রচনায় সত্যেন্দ্রনাথের প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। ১৯০৬ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘লেখা’ প্রকাশিত হয়। তাঁর ৬৬টি কবিতা নিয়ে সংকলিত এই প্রথম কাব্যগ্রন্থটি তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন। রবীন্দ্রনাথ সেই কাব্যগ্রন্থের কিছু জায়গায় সংযোজন ও বিয়োজন করে যতীন্দ্রমোহনকে আরও উৎসাহিত করেন।
রবীন্দ্রনাথের দ্বারা প্রভাবিত হয়েও লেখনীর গুণে তিনি স্বতন্ত্র করে তুলেছেন নিজেকে। ‘লেখা’ ও ‘অপরাজিত’ প্রকাশ হওয়ার পরে কবি হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘রেখা’ প্রকাশিত হওয়ার পরে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শব্দচয়ন, ভাবপ্রকাশ ও গ্রামের বর্ণনার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। ‘চাষার মেয়ে’ কাব্যগ্রন্থটিতে তিনি এক স্বামীহারা রমণীর নিঃসঙ্গতার কাহিনী সুন্দররূপে ফুটিয়ে তুলেছেন। একইভাবে তিনি ‘সার্টের গান’ কবিতায় দীন-দরিদ্র মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কাহিনী শব্দের দ্বারা বাস্তবরূপ দিয়েছেন। মেহনতি মানুষের দুর্দশাক্লিষ্ট জীবনযন্ত্রণার কথা তিনি লিখেছেন ‘পাহাড়ীয়া প্রেম’ কাব্যগ্রন্থে। যতীন্দ্রমোহনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা ‘কাজলা দিদি’ কবিতাটি। এক গ্রাম্য বালিকার বয়ানে তাঁর কিশোরী দিদির মৃত্যুযন্ত্রণার কাহিনী কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী এখানে হৃদয়স্পর্শী করে ফুটিয়ে তুলেছেন। বালিকার শিশুমনে মৃত্যু নিয়ে কোনও ধারণাই নেই। সে শুধু তার মায়ের কাছে দিদির কথা জানতে চায়। ছোট্ট শিশুমনের আকুল আর্তির কথা যতীন্দ্রমোহন এত সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন এই কবিতায় যে কবিতাটি পড়লে পাঠকের হৃদয় ভাবাবেগে সিক্ত হয়ে ওঠে। গ্রামীণ পরিবারের সহজ সরল দিক, মমত্ববোধ ও দিদির প্রতি ভালবাসা ‘কাজলা দিদি’ কবিতাটির প্রতিটি ছন্দে প্রকাশ পেয়েছে। যতীন্দ্রমোহনের সাহিত্যিক জীবনের অন্য একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা ‘অন্ধবধূ’। এক অন্ধ গ্রাম্য রমণীর বেদনার কথা তিনি এই কবিতায় ব্যক্ত করেছেন। এই কবিতার প্রতিটি শব্দচয়ন পাঠকদের মনে এক অন্ধ মানুষের অনুভূতিকে অনুভব করায় সুনিপুণভাবে। দৃষ্টিহীন রমণীর যন্ত্রণার পাশাপাশি তাঁর প্রতি সমাজের উপেক্ষা ও নির্মমতার কাহিনীর কথাও যতীন্দ্রমোহন বাগচী এই কবিতার মাধ্যমেই তুলে ধরেছেন। এগুলি ছাড়াও যতীন্দ্রমোহনের অন্যতম কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘লেখা’ (১৯০৬), ‘রেখা’ (১৯১০), ‘অপরাজিতা’ (১৯১৫), ‘বন্ধুর দান’ (১৯১৮), ‘নাগকেশর’ (১৯১৭), ‘জাগরণী’ (১৯২২), ‘নীহারিকা’ ( ১৯২৭), ‘মহাভারতী’ (১৯৩৬ ) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। নাগকেশর, বন্ধুর দান ও জাগরণী প্রকাশিত হওয়ার পরে যতীন্দ্রমোহনের কবিখ্যাতি মধ্যগগনে পৌঁছায়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘নাগকেশর’ কাব্যগ্রন্থটির অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন। তাঁর ‘মহাভারতী’ কাব্যনাট্যে রবীন্দ্রনাথের ‘কর্ণ কুন্তী সংবাদ’ কাব্যনাট্যের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। যতীন্দ্রনাথ কর্ণ, ভীম দুর্যোধন এদের চরিত্রগুলির আলাদা বিন্যাসের মাধ্যমে পৌরাণিক যুগের বিশ্লেষণ করেছেন। আবার ‘রাধা’ বা ‘মথুরার রাজা’ চরিত্র গুলির মাধ্যমে বৈষ্ণব যুগের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি শুধুই প্রকৃতিপ্রেমিক কবি ছিলেন না, তাঁর প্রেমের কবিতাগুলির মধ্যেও তাঁর কবি হৃদয়ের ভাবাবেগ ও হৃদয় নিবেদনের কাহিনী আমরা সুষ্পষ্ট রূপে দেখতে পাই। ‘জোৎস্না লক্ষ্মী’ ও ‘যৌবন চাঞ্চল্য’ তাঁর প্রেমের কবিতা। তাঁর ‘পথের সাথী’ উপন্যাসটিও প্রভূত জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর একটিমাত্র সমালোচনামূলক গদ্যগন্থ ‘রবীন্দ্রনাথ ও যুগসাহিত্য’। এই গ্রন্থে তিনি রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিত্ব ও তাঁর সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এই গ্রন্থে তাঁকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠির সংকলন রয়েছে। এই চিঠিগুলি থেকে তাঁর বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থের বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের মতামত ও তৎকালীন কবিদের রচনার বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
যতীন্দ্রমোহন কবি হওয়ার পাশাপাশি বহু পত্রিকার সম্পাদনা ও করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। তিনি ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ সাল অবদি ‘মানসী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এই পত্রিকাটি নাটোরের মহারাজ জগদিন্দ্রনাথের সম্পাদনা করলেও লেখা সংগ্রহ, সংশোধন ও প্রচারকার্য মূলত যতীন্দ্রনাথই করতেন। ক্রমে তিনি ‘মানসী’ পত্রিকার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন। সেইসময়ের প্রবীণ সাহিত্যিকদের ছত্রছায়ায় নবীন সাহিত্যিদের উৎসাহিত করার কাজটি যতীন্দ্রমোহনের তত্ত্বাবধানে করত ‘মানসী’ পত্রিকা। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ব্যঙ্গ কবিতাগুলিও যতীন্দ্রমোহনের সম্পাদনায় ‘মানসী’তে নিয়মিত প্রকাশিত হত। যতীন্দ্রনাথের কবিখ্যাতি যখন মধ্যগগনে সেই সময়ে ফণীন্দ্রনাথ পালের সাথে ১৯২১ থেকে ১৯২২ সাল অবধি ‘যমুনা’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন । তাঁর দুই কন্যা ইলা ও লীলা এবং স্ত্রীর মৃত্যুর পরে ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সাল অবধি ‘পূর্বাচল’ পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। আমৃত্যু তিনি এই পত্রিকার সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
যতীন্দ্রমোহন ছিলেন বন্ধুবৎসল মানুষ। তাঁর কলকাতার বাড়িতে সাহিত্যিক থেকে গায়ক-গায়িকার এক মজলিশ বসত। সেখানে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, হেমেন্দ্রকুমার রায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রাধারানী দেবী, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিজাভূষণের মত প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বরা আসতেন। তিনি যেমন অগ্রজ লেখকদের সম্মান করতেন তেমনই তাঁর অনুজ কবিদের কাছেও জনপ্রিয় ছিলেন। অন্য এক কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সাথে ছিল তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যতীন্দ্রমোহনের উৎসাহেই যতীন্দ্রনাথের কবিতা লেখার সূচনা ঘটে।
যতীন্দ্রমোহন বাগচী সেই অর্থে কোনও স্বীকৃতি পাননি। কিন্তু বাংলার কবিসমাজের পক্ষ থেকে তাঁর পঞ্চাশ বছরের জন্মদিনে ‘রসচক্র’ সংবর্ধিত করা হয় তাঁকে। আর একবার তাঁর ছেষট্টি বছরের জন্মদিনে কাশিমবাজারের রাজা, নাটোরের মহারাজা তাঁকে সংবর্ধনা দেন। যতীন্দ্রমোহনের লেখা কবিতাগুলিতে সুর দিয়েছেন বিখ্যাত সুরকার শচীনদেব বর্মণ ও সুধীন দাশগুপ্তের মত ব্যক্তিত্বরা। শচীনদেব বর্মণের সুরে ও কন্ঠে ‘ঝুলনে ঝুলিছে শ্যামরাই’ ও ‘বাইবো না আর উজান ঘরে’ গান দুটি জনপ্রিয় হয়। যতীন্দ্রমোহনের ‘কাজলা দিদি’ কবিতাটিকে সুধীন দাশগুপ্ত সুর দেন। প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠে গাওয়া ‘বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই’ গানটি প্রবল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
১৯৪৮ সালের ১ ফ্রেব্রুয়ারি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র
- অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়, 'রবীন্দ্রানুসারী কবিসমাজ', দে'জ পাবলিশিং, আগস্ট ২০১৭, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৬৩-৭০
- শ্রী অলোক রায়, 'যতীন্দ্রমোহন কবি ও কাব্য', সাহিত্য প্রকাশ, ১৩৬১ বঙ্গাব্দ, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৬-৩৫, ৪২-৬০
- https://en.wikipedia.org/
- https://www.anandabazar.com/
- https://www.anandabazar.com/