সববাংলায়

শ্রীরামপুর

পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত হুগলী জেলার একটি অন্যতম প্রসিদ্ধ ইতিহাস বিজড়িত জনপদ হল শ্রীরামপুর ()। শ্রীরামপুর মহকুমার সদর দপ্তর এই জনপদটি কলকাতা নগরোন্নয়ন নিগমের অধীনে গড়ে উঠেছে।

ভৌগোলিক অবস্থানের বিচারে শ্রীরামপুর ২২.৭৫ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৩৪ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তরে শেওড়াফুলি, দক্ষিণে কোন্নগর এবং রিষড়া, পূর্ব দিকে ব্যারাকপুর এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে ঘোড়ামারা। ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত এই জনপদ গাঙ্গেয় ব-দ্বীপেরই একটি অংশ বিশেষ। ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থে এবং ঐতিহাসিক দলিলে এই স্থানের উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যে শ্রীরামপুরের দুটি গ্রাম আকনা এবং চাতরার উল্লেখ পাওয়া যায়। মাহেশের রথের বিবরণ বিখ্যাত পর্যটক ট্রেভর্নিয়ারের ভ্রমণকাহিনীতেও লক্ষণীয়। এমনকি আবুল ফজলের লেখা ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থেও রাজা মানসিংহের শ্রীপুর অর্থাৎ শ্রীরামপুরে শিবির স্থাপনের উল্লেখ পাওয়া যায়। কথিত আছে যে শ্রীচৈতন্যদেব বেশ কয়েকবার এখানে রথযাত্রায় সামিল হন। খ্রিস্টীয় পনেরো শতকের পর এখানে বৈষ্ণব মনোভাবাপন্ন বেশ কিছু হিন্দু তীর্থস্থান গড়ে ওঠে যার মধ্যে কিছু কিছু এখনও রয়েছে। শ্রীরামপুরের উত্তরে অবস্থিত শেওড়াফুলির রাজা শ্রীমনোহরচন্দ্র রায় ১৭৫২ সালে এখানে একটি রামসীতার মন্দির স্থাপন করেন এবং সংলগ্ন তিনটি মৌজা শ্রীপুর, গোপীনাথপুর ও মনোহরপুরকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করেন। মনে করা হয় যে এই রামসীতার মন্দির থেকেই শ্রীরামসীতাপুর বা শ্রীরামপুর নামের উৎপত্তি।

এই জনপদের ইতিহাস গড়ে উঠেছে মূলত তিনটি পর্যায়ে – প্রাক-নগরায়ণ যুগ (১৭৫৫ সালের আগে), নগরায়ণ যুগ (১৭৫৫-১৮৫৪) এবং শিল্প-পত্তনের যুগ (১৮৫৪-১৯৪৭)। এখানকার জমিদার গোস্বামীদের পুরোনো রাজবাড়ি আজও শ্রীরামপুরের অবশ্য দ্রষ্টব্য ঐতিহাসিক স্থান। এই গোস্বামীরা শ্রীরামপুরের অন্যতম আদি বাসিন্দা। শ্রীচৈতন্যের অন্যতম পার্ষদ শ্রীআচার্য অদ্বৈত গোস্বামীর বংশধর তারা। ধীরে ধীরে অন্যান্য সম্প্রদায় যেমন ব্যানার্জী, মুখার্জী, বারুজীবী, দত্ত, দে, দাস প্রমুখরা এখানে বসতি স্থাপন করেন, সঙ্গে আসেন বিভিন্ন শ্রমজীবী সম্প্রদায় যেমন পটুয়া, মান্না, কৈবর্ত, গোয়ালারা। তাদের নামেই বিভিন্ন পাড়ার নামকরণ হতে থাকে। এই সময় এই জায়গার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল নদীপথ। ভাগীরথী ও সরস্বতী নদী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, যদিও এখন সরস্বতী নদীর কোন প্রবহমান ধারার খোঁজ এখানে পাওয়া যায় না। এই শহরের বুক চিরে চলে যাওয়া বাদশাহী সড়ক বা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড অধুনা বাংলাদেশ ও দিল্লির মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করত। শ্রীরামপুরের উত্তরে শেওড়াফুলি হাট ছিল বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র। এর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং অন্যান্য জনপদের। চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝে শ্রীরামপুরে বেশ কিছু ইউরোপীয় বাণিজ্যকুঠি স্থাপন হতে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ফরাসি, পর্তুগিজ ও দিনেমারদের কুঠি। শ্রীরামপুরে নগরায়ণ যুগের সূচনা হয় দিনেমারদের হাত ধরে। ১৭৫৫ সালে তৎকালীন বাঙলার নবাব আলিবর্দি খাঁ নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও প্রচুর উপঢৌকনের বিনিময়ে  শ্রীরামপুরে দিনেমারদের বসবাসের ও বাণিজ্যকুঠি স্থাপনের অনুমতি দেন। তারা শ্রীপুরে ভাগীরথীর তীরে তিন বিঘা ও আকনায় সাতান্ন বিঘা জমি পায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে। এরপর বার্ষিক ১৬০১ টাকা খাজনার বিনিময়ে তারা শেওড়াফুলির জমিদারদের থেকে শ্রীপুর, আকনা ও পিয়ারাপুরের স্বত্ব লাভ করে। দিনেমার সম্রাট ষষ্ঠ ফ্রেডরিকের নামে তারা এই জায়গার নাম রাখে ফ্রেডরিকনগর। বাণিজ্যের সুবিধার্থে তারা ‘টিনবাজার’ নামে একটা বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করে যেটি এখনও শ্রীরামপুর আদালতের পিছনে বর্তমান এবং অন্যতম বড় স্থানীয় বাজার। প্রথমদিকে তারা রেশম ও সুতির বস্ত্রের জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই মধ্যস্বত্বভোগীরা স্থানীয়ভাবে বসতি স্থাপন করে ও বেনিয়া এবং মুৎসুদ্দি নামে পরিচিত হয়। ধীরে ধীরে শ্রীরামপুর সমগ্র অঞ্চলের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৭৭৭ সালে ড্যানিশ এশিয়াটিক কোম্পানির হাত থেকে শ্রীরামপুরের শাসনক্ষমতা যায় সরাসরি ডেনমার্কের রাজার হাতে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে নদীর তীর বরাবর ও প্রধান সড়কের আশেপাশে অনেক সম্ভ্রান্ত বসতবাড়ি স্থাপিত হতে থাকে। এগুলি ছিল প্রধানত বিভিন্ন জমিদারদের বাড়ি ও ইউরোপীয় বণিকদের আবাসস্থল। গ্রামীণ অঞ্চল থেকে নগরায়ণ যুগের পরিবর্তনে এই বাড়িগুলির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ওলাভের স্মৃতিতে এখানে যে গির্জাটি নির্মিত হয় সেটি আজও শ্রীরামপুরে দিনেমার শাসনের সাক্ষ্য বহন করছে। এর চূড়ায় পবিত্র গোলক ও ক্রস চিহ্ন এককালে ভাগীরথীর ওপার থেকেও দেখা যেত।

আরও পড়ুন:  জলপাইগুড়ি জেলা

দিনেমারদের শাসনকালে শ্রীরামপুরে আসা খ্রিস্টান মিশনারি উইলিয়াম কেরি, উইলিয়াম ওয়ার্ড আর যোশুয়া মার্শম্যান শ্রীরামপুর তথা বাংলায় খ্রিষ্টধর্ম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উইলিয়াম কেরি ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ‘শ্রীরামপুর মিশন’ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরে শ্রীরামপুর কলেজ হিসেবে পরিচিত হয়। এখানে প্রথমে ধর্মতত্ত্ব নিয়ে যে পড়াশোনা হত সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমকক্ষ এবং ডেনমার্কের রাজা কর্তৃক সেই পাঠক্রম অনুমোদিত ছিল। এশিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্তনও এখান থেকেই হয়। এখানে কেরি, ওয়ার্ড ও মার্শম্যানের চেষ্টায় যে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা হয় সেটি বাংলায় নবজাগরণের অন্যতম প্রতীক। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা পঞ্চানন কর্মকার বাংলায় ছাপাখানার উপযোগী প্রথম বাংলা হরফ তৈরি করেন। এই ছাপাখানা থেকেই ‘দিগদর্শন’ ও ‘সমাচারদর্পণ’ নামে প্রথম বাংলা সাময়িক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তারপর বাংলা ভাষায় রামায়ণ ও মহাভারত ছাপা হলে সেটিও বিদ্বজ্জনের মধ্যে সাড়া জাগায়। কেরি সাহেব স্বয়ং এই ছাপাখানা থেকে বাংলায় বাইবেলের অনুবাদ প্রকাশ করেন। এখান থেকে প্রকাশিত হওয়া অন্যান্য বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘হিতোপদেশ’, ‘কথোপকথন’ ইত্যাদি। কেরি সাহেবের বিশাল বইয়ের সংগ্রহ আজও শ্রীরামপুর কলেজের জাদুঘরে গেলে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের প্রথম কাগজকল স্থাপিত হয় শ্রীরামপুরের বটতলায়। দিনেমাররা শ্রীরামপুরে ছিলেন ১৭৫৫ থেকে ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত। এরপর শ্রীরামপুর চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে। ইতিমধ্যে ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট হাওড়া-ব্যাণ্ডেল শাখার ট্রেন চলাচল চালু হলে শ্রীরামপুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পশহর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। একের পর এক পাটকল, কাগজকল, সুতোকল ইত্যাদি স্থাপন হলে ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে শ্রমজীবী মানুষের আগমন ঘটতে থাকে এই অঞ্চলে। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন পুরসভা হিসাবে শ্রীরামপুর আত্মপ্রকাশ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হুগলি শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পশহর হয়ে ওঠে শ্রীরামপুর।

শ্রীরামপুরের পঞ্চানন কর্মকার বাংলা ছাপাখানা এবং বাংলা মুদ্রণের হরফ তৈরির কৃতিত্বের কারণে ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন। কথিত আছে শ্রীরামপুর শহরে মামারবাড়িতে রাজা রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন। ‘নীলদর্পণ’ নাটকের রচয়িতা দীনবন্ধু মিত্র এখানে মুখ্য ডাকঘরে কর্মরত ছিলেন। অমিয় চক্রবর্তী, হরপ্রসাদ মিত্রের মত কবিরাও এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন। প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ গোপীনাথ সাহার জন্মস্থানও এই শহর। এখানকার ইকল্যাট সুইমিং ক্লাব থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে বুলা চৌধুরী সর্বপ্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন।

আরও পড়ুন:  ঠাকুরগাঁও জেলা

শ্রীরামপুরের সাক্ষরতার হার ৮৮.৭৩ শতাংশ যা কিনা জাতীয় সাক্ষরতার হারের থেকেও বেশি। প্রাচীনকাল থেকেই শ্রীরামপুর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল সমগ্র বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। সংস্কৃত শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে যে টোলগুলি গড়ে উঠেছিল, সেখানে দূরদূরান্ত থেকে বহু বিদ্যার্থীরা পড়াশোনা করতে আসতেন। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের পুস্তিকাও প্রকাশ করা হত যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘জ্ঞানারুণোদয়’ ও ‘সত্যপ্রদীপ’। পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে শ্রীরামপুর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। এর সঙ্গে একের পর এক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হতে থাকে এই অঞ্চলে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল চাতরার নন্দলাল ইনস্টিটিউশন, শ্রীরামপুর মলিনা বয়েজ একাডেমি, ইউনিয়ন স্কুল, শ্রীরামপুর উচ্চবিদ্যালয়। নারীশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় শ্রীরামপুর মিশন স্কুল এবং শ্রীরামপুর উচ্চবালিকা বিদ্যালয় (অধুনা আক্‌না গার্লস হাই স্কুল)। এই বিদ্যালয়গুলি আজও রয়েছে, তার পাশপাশি নতুন কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। উচ্চতর কারিগরি শিক্ষার জন্য এখানে গড়ে উঠেছে গভর্নমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাণ্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি। তাছাড়া শ্রীরামপুর কলেজ, শ্রীরামপুর গার্লস কলেজ এই জনপদের উচ্চতর শিক্ষাঙ্গনের ভূমিকা পালন করে আসছে বহু যুগ ধরে। আর এখানকার মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়ও খুবই প্রাচীন।

মাহেশের রথযাত্রা শ্রীরামপুরের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আজও প্রতি বছরই এই উৎসবকে ঘিরে বহু জনসমাগম হয়। বৈষ্ণব ধর্মের ভক্তিরসে সিক্ত এই জনপদে দোলপূর্ণিমা, রাস, রথযাত্রা ইত্যাদি উৎসব মহা ধুমধাম করে পালিত হয়। তাছাড়া শাক্ত রীতির অন্তর্গত দেবী কালীর পূজারও চল রয়েছে এখানে। সার্বজনীন দুর্গাপূজা এবং বড়দিন, গুড ফ্রাইডে উদ্‌যাপনেও শ্রীরামপুর খুবই বিখ্যাত।  

প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন দেখা যায় এই শহরের আনাচে কানাচে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও রথ, বল্লভপুরের রাধাবল্লভ মন্দির, শ্রীপুরের রামসীতার মন্দির, হেনরি মার্টিন প্যাগোডা, সেন্ট ওলাভের গির্জা, শ্রীরামপুর কলেজ, বুড়োবিবির মাজার, মল্লিকপাড়া বড় মসজিদ, মানিকতলার দরগা, গঙ্গাতীরের ব্যাপ্টিস্ট গির্জা, উইলিয়াম কেরির সমাধিস্থল, কেরির লাইব্রেরি, চাতরার আল আমিন সিদ্দিকীর মসজিদ, ঝাউতলা মসজিদ ইত্যাদি। এই শহরে একই সঙ্গে প্রাচীন সনাতন ধর্মের গৌরব আর ঔপনিবেশিক সময়ের ইতিহাসের এক মেলবন্ধন দেখতে পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:  দোলা মাতার মন্দির

আজকের একবিংশ শতাব্দীর শ্রীরামপুরে আজও গোস্বামীদের পুরনো রাজবাড়ি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও শ্রীরামপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিশাল বাজারে বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ বেচা-কেনা করতে আসে। দুশো বছরের গৌরব নিয়ে শ্রীরামপুর কলেজ আজও তার ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। ভাগীরথীর ধার বরাবর নবকলেবরে সেজে ওঠা ঘাটগুলোয় আজ আগের মত বড় বড় জাহাজ না ভিড়লেও তা শ্রীরামপুরবাসীর গর্বের কারণ। ড্যানিশ পান্থশালা আজ নতুন করে সেজে উঠে ডেনমার্ক ট্রাভার্ণ-এর রূপ নিয়েছে। প্রগতির ছোঁয়া লাগলেও শ্রীরামপুরের বুক থেকে ইতিহাসের গন্ধ মোছেনি আজও।

error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন।

Discover more from সববাংলায়

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

চৈতন্যদেবের অসামান্য জীবনী দেখুন

চৈতন্য জীবনী

ভিডিওটি দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন